কোরান সূরা তাওবা আয়াত 63 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 63 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 63 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿أَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّهُ مَن يُحَادِدِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَأَنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدًا فِيهَا ۚ ذَٰلِكَ الْخِزْيُ الْعَظِيمُ﴾
[ التوبة: 63]

তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে, আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ; তাতে সব সময় থাকবে। এটিই হল মহা-অপমান। [সূরা তাওবা: 63]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 63


তারা কি জানে না যে যে-কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে কাজ করে তার জন্য তবে রয়েছে জাহান্নামের আগুন তাতে অবস্থানের জন্যে? ঐটিই তো চরম লাঞ্ছনা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৩. এ মুনাফিকরা কি জানে না যে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদের এ কর্মকাÐের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের শত্রæতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আর যারা তাঁদের সাথে শত্রæতা পোষণ করে নিশ্চয়ই তারা কিয়ামতের দিবসে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে?! আর এটি মহা লাঞ্ছনা ও অসম্মান বৈ আর কি?

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কি জানে না যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাহলে সুনিশ্চিতভাবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন; সে তাতে অনন্তকাল থাকবে। এটা হচ্ছে চরম লাঞ্ছনা।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি জানে না যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করে [] তার জন্য তো আছে জাহান্নামের আগুন, যেখানে সে স্থায়ী হবে? এটাই চরম লাঞ্ছনা। [] তারা যেহেতু রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে, মুমিনদের কাছে মিথ্যা শপথ করে তাদেরকে ধোঁকা দিতে চেষ্টা করছে, সুতরাং তারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরোধিতায় নেমেছে। আর যারাই আল্লাহ্ তা'আলা ও তার রাসূলের বিরোধিতায় নামে তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আর তা ‘নিঃসন্দেহে লাঞ্ছিত জীবন। [ সা'দী; মুয়াসসার ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬২-৬৩ নং আয়াতের তাফসীর: কাতাদা ( রঃ ) এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে বলেন, বর্ণিত আছে যে, মুনাফিকদের একটি লোক বলে- আল্লাহর শপথ! আমাদের এসব সর্দার ও নেতা খুবই জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ লোক । যদি মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর কথা সত্যই হতো তবে কি এরা এতই বোকা যে, তা মানতে না?” তার এ কথা আঁটি মুসলিম সাহাবী শুনতে পান। তিনি তৎক্ষণাৎ বলে ওঠেনঃ আল্লাহ কসম! রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সব কথাই সত্য । আর যারা তাকে মেনে নিচ্ছে না তারা যে নির্বোধ এতে কোন সন্দেহ নেই।” ঐ সাহাবী নবী ( সঃ )-এর দরবারে হাযির হয়ে ঘটনাটি বর্ণনা করেন। তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ঐ লোকটিকে ( মুনাফিক ) ডেকে পাঠান। কিন্তু সে শক্ত কসম করে বলে- “ আমি তো এ কথা বলিনি । এ লোকটি আমার উপর অপবাদ দিচ্ছে। তখন ঐ সাহাবী দুআ করেনঃ “ হে আল্লাহ! আপনি সত্যবাদীকে সত্যবাদীরূপে এবং মিথ্যাবাদীকে মিথ্যাবাদীরূপে দেখিয়ে দিন!” তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন । আল্লাহ পাক বলেন, তাদের কি এ কথা জানা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণকারী চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে? সেখানে তারা অপমানজনক শাস্তি ভোগ করবে। এর চেয়ে বড় লাঞ্ছনা ও দুর্ভাগ্য আর কি হবে?

সূরা তাওবা আয়াত 63 সূরা

ألم يعلموا أنه من يحادد الله ورسوله فأن له نار جهنم خالدا فيها ذلك الخزي العظيم

سورة: التوبة - آية: ( 63 )  - جزء: ( 10 )  -  صفحة: ( 197 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ফলে কেয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং পাপভার তাদেরও যাদেরকে তারা তাদের
  2. আপনি বলুন, তোমরা তো তোমাদের জন্যে দুটি কল্যাণের একটি প্রত্যাশা কর; আর আমরা প্রত্যাশায় আছি
  3. অতঃপর তাকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে।
  4. আপনি এর জন্যে তাদের কাছে কোন বিনিময় চান না। এটা তো সারা বিশ্বের জন্যে উপদেশ
  5. মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অতঃপর তখনই সে হয়ে
  6. তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও
  7. আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে
  8. অতঃপর মূসা তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রদ্ধ ও অনুতপ্ত অবস্থায়। তিনি বললেনঃ হে আমার
  9. অতঃপর তারা তাদের পালনকর্তার আদেশ অমান্য করল এবং তাদের প্রতি বজ্রঘাত হল এমতাবস্থায় যে, তারা
  10. আর যখন আমি বললাম, তোমরা প্রবেশ কর এ নগরীতে এবং এতে যেখানে খুশী খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, July 16, 2024

Please remember us in your sincere prayers