কোরান সূরা মু'মিন আয়াত 65 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ghafir ayat 65 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিন আয়াত 65 আরবি পাঠে(Ghafir).
  
   

﴿هُوَ الْحَيُّ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ فَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ ۗ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾
[ غافر: 65]

তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর। [সূরা মু'মিন: 65]

Surah Ghafir in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ghafir ayat 65


তিনি সদাজীবিত, তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই, সুতরাং ধর্মে তাঁর প্রতি একনিষ্ঠচিত্তে তাঁকেই ডাকো। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র যিনি বিশ্বজগতের প্রভু।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৬৫. তিনি চিরঞ্জীব। যিনি মৃত্যু বরণ করেন না। তিনি ব্যতীত সত্যিকার কোন মাবূদ নেই। তাই কেবল তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদাত করো এবং তাঁকেই আহŸান করো। তাঁর সাথে সৃষ্টির অন্য কাউকে শরীক করো না। বস্তুতঃ সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের প্রতিপালকের জন্য।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন ( সত্যিকার ) উপাস্য নেই, সুতরাং তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক।[১] সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য। [১] অর্থাৎ, যখন সব কিছু তিনিই করেন এবং তিনিই দেন, অন্য কেউ না সৃষ্টিতে তাঁর শরীক আছে, আর না এখতিয়ারাদিতে, তাহলে ইবাদতের যোগ্যও তিনি একাই। অন্য কেউ এতে শরীক হতে পারে না। সাহায্য প্রার্থনা এবং ফরিয়াদও তাঁরই কাছে কর। তিনিই সকলের ফরিয়াদ ও দরখাস্ত শোনার ক্ষমতা রাখেন। কারণ-ঘটিত নয় এমন অস্বাভাবিক প্রার্থনা শোনার ক্ষমতা অন্য কেউ রাখে না। ব্যাপার যখন এ রকম, তখন অন্যরা বিপদ দূর এবং প্রয়োজন পূরণ কিভাবে করতে পারে?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ্ নেই। কাজেই তোমরা তাঁকেই ডাক, তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে। সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহরই।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৬১-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় অনুগ্রহের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনি রাত্রিকে সৃষ্টি করেছেন বিশ্রামের জন্যে, আর দিবসকে করেছেন আলোকোজ্জ্বল, যাতে মানুষ তাদের কাজে-কর্মে, সফরে এবং জীবিকা উপার্জনে সুবিধা লাভ করতে পারে এবং সারা দিনের ক্লান্তি রাত্রির বিশ্রামের মাধ্যমে দূর হতে পারে। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় সৃষ্টজীবের প্রতি অত্যন্ত অনুগ্রহশীল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই মহান আল্লাহর নিয়ামতরাজির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। এই সমুদয় জিনিসের সৃষ্টিকর্তা এবং এই শান্তি ও বিশ্রামের ব্যবস্থাপক একমাত্র আল্লাহ। তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি ছাড়া সৃষ্টজীবের পালনকর্তা আর কেউ নেই। তাই তো মহান আল্লাহ বলেনঃ এই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক, সবকিছুর স্রষ্টা; তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই! সুতরাং তোমরা কিভাবে বিপদগামী হচ্ছ? আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের ইবাদত করছে তারা তো নিজেরাই সষ্ট। সুতরাং তারা কোন কিছুই সৃষ্টি করেনি। বরং তোমরা যেসব মূর্তির উপাসনা করছো সেগুলো তো তোমরা নিজেদের হাতেই তৈরী করেছে। এদের পূর্ববর্তী মুশরিকরাও এভাবেই বিভ্রান্ত হয়েছিল এবং বিনা দলীলে তারা গায়রুল্লাহর ইবাদত করতো। নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে সামনে রেখে তারা আল্লাহর দলীল প্রমাণকে অস্বীকার করতো। নিজেদের অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতাকে সামনে করে তারা বিভ্রান্ত হতো।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহই তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী। অর্থাৎ পৃথিবীকে তিনি তোমাদের জন্যে বিছানা স্বরূপ বানিয়েছেন, যাতে আরাম-আয়েশে তোমরা এখানে জীবন যাপন করতে পার, চলো, ফিরো এবং গমনাগমন কর। যমীনের উপর পাহাড়-পর্বত স্থাপন করে তিনি যমীনকে হেলা দোলা হতে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আসমানকে তিনি ছাদ স্বরূপ বানিয়েছেন যা সব দিক দিয়েই রক্ষিত রয়েছে। তিনিই তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন এবং ঐ আকৃতি করেছেন খুবই উৎকৃষ্ট। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তিনি সঠিকভাবে সজ্জিত করেছেন। মানানসই দেহ এবং সেই মুতাবেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সুন্দর চেহারা দান করেছেন। আর তিনি তোমাদেরকে দান করেছেন উৎকৃষ্ট রিযক বা আহার্য। সৃষ্টি করেছেন তিনি, বসতি দান করেছেন তিনি, পানাহার করাচ্ছেন তিনি এবং পোশাক পরিচ্ছদ দান করেছেন তিনি। সুতরাং সঠিক অর্থে তিনিই হলেন সৃষ্টিকর্তা, আহার্যদাতা। তিনিই জগতসমূহের প্রতিপালক। যেমন সূরায়ে বাকারায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার । যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্যে বিছানা ও আকাশকে ছাদ করেছেন এবং আকাশ হতে পানি বর্ষণ করে তদ্দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্যে ফল-মূল উৎপাদন করেন। সুতরাং জেনে শুনে কাউকেও আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করো না।”( ২:২১-২২ )আল্লাহ তা'আলা এখানেও এ সমুদয় সৃষ্টির বর্ণনা দেয়ার পর বলেনঃ “ এই তো আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক! কত মহান জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্! তিনি চিরঞ্জীব । তিনি শুরু হতেই আছেন এবং শেষ পর্যন্ত থাকবেন। তাঁর লয় নেই, ক্ষয় নেই। তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ। তিনিই ব্যক্ত, তিনিই গুপ্ত। তার কোন গুণ অন্য কারো মধ্যে নেই। তাঁর সমতুল্য কেউই নেই। সুতরাং তোমাদের উচিত তোমরা তাঁর তাওহীদকে মেনে নিয়ে তাঁরই কাছে প্রার্থনা জানাতে থাকবে এবং তাঁরই ইবাদতে লিপ্ত থাকবে। সমুদয় প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য।ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) বলেন যে, আহলে ইলমের একটি দলের উক্তি হলোঃ “ যে ব্যক্তি ( আরবী )লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে তার এর সাথে সাথে ( আরবী ) পড়ে নেয়াও উচিত, যাতে এই আয়াতের উপর আমল হয়ে যায় হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতেও এটা বর্ণিত আছে। হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর ( রঃ ) বলেনঃ “ যখন তুমি ( আরবী ) পাঠ করবে তখন পড়ে নিবে এবং সাথে সাথে ( আরবী ) এটাও পাঠ করবে ।”হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের ( রাঃ ) প্রত্যেক নামাযের সালামের পরে নিম্নলিখিত কালেমাগুলো পাঠ করতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, তিনি এক, তার কোন অংশীদার নেই, রাজ্য তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি প্রত্যেক জিনিসের উপর ক্ষমতাবান । আল্লাহর তাওফীক ছাড়া পাপ হতে বিরত থাকা যায় না এবং ইবাদত করার শক্তিও থাকে না। আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি। নিয়ামত তাঁরই, অনুগ্রহ তাঁরই এবং উত্তম প্রশংসাও তারই প্রাপ্য। আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বূদ নেই। আমরা একনিষ্ঠভাবে তারই আনুগত্য করি, যদিও কাফিররা অসন্তুষ্ট হয়। আর তিনি বলতেন যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) ঐ কালেমাগুলো প্রত্যেক নামাযের পরে পাঠ করতেন। ( এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ ), ইমাম আবু দাউদ ( রঃ ) এবং ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)

সূরা মু'মিন আয়াত 65 সূরা

هو الحي لا إله إلا هو فادعوه مخلصين له الدين الحمد لله رب العالمين

سورة: غافر - آية: ( 65 )  - جزء: ( 24 )  -  صفحة: ( 474 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. কেমন কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী।
  2. তারা বললঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা
  3. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার
  4. আমি তাঁর কাছে কিছু উপঢৌকন পাঠাচ্ছি; দেখি প্রেরিত লোকেরা কি জওয়াব আনে।
  5. একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে
  6. যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
  7. যদি আল্লাহ চাইতেন তবে তারা শেরক করত না। আমি আপনাকে তাদের সংরক্ষক করিনি এবং আপনি
  8. তারা নিজেদের মধ্যে ভীষণ চক্রান্ত করে নিয়েছে এবং আল্লাহর সামনে রক্ষিত আছে তাদের কু-চক্রান্ত। তাদের
  9. করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
  10. এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Ghafir mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ghafir শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers