কোরান সূরা মারইয়াম আয়াত 7 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maryam ayat 7 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মারইয়াম আয়াত 7 আরবি পাঠে(Maryam).
  
   

﴿يَا زَكَرِيَّا إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ اسْمُهُ يَحْيَىٰ لَمْ نَجْعَل لَّهُ مِن قَبْلُ سَمِيًّا﴾
[ مريم: 7]

হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে এই নামে আমি কারও নাম করণ করিনি। [সূরা মারইয়াম: 7]

Surah Maryam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maryam ayat 7


''হে যাকারিয়া, নিঃসন্দেহ আমরা তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছি একটি বেটা-ছেলের, তার নাম হবে ইয়াহ্‌য়া, এর আগে কাউকেও আমরা তার নামধর বানাই নি।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৭. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দু‘আ কবুল করলেন এবং তাঁকে ডাক দিয়ে বললেন: হে যাকারিয়া! আমি আপনাকে এ সুসংবাদ দিচ্ছি যে, আমি আপনার দু‘আ কবুল করেছি এবং আপনাকে এমন এক ছেলে দিয়েছি যার নাম হবে ইয়াহয়া। আমি ইতিপূর্বে এ নামে আর অন্য কারো নাম রাখিনি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তিনি বললেন, ‘হে যাকারিয়া! অবশ্যই আমি তোমাকে একজন পুত্রের সুসংবাদ দিচ্ছি; তার নাম হবে য়্যাহয়্যা; এই নামে আমি পূর্বে কারো নামকরণ করিনি।’ [১] [১] আল্লাহ তাআলা শুধু তাঁর দু'আই কবুল করলেন না; বরং সন্তানের নামও ঠিক করে দিলেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তিনি বললেন, ‘হে যাকারিয়্যা! আমরা আপনাকে এক পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি, তার নাম হবে ইয়াহইয়া; এ নামে আগে আমরা কারো নামকরণ [] করিনি। [] سميًّا শব্দের অর্থ সমনামও হয় এবং সমতুল্যও হয়। এখানে প্রথম অর্থ নেয়া হলে আয়াতের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট যে, তার পূর্বে ইয়াহইয়া নামে কারও নামকরণ করা হয়নি। [ তাবারী ] নামের এই অনন্যতা ও অভূতপূর্বতাও কতক বিশেষ গুণে তাঁর অনন্যতার ইঙ্গিতবহ ছিল। কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেন: ইয়াহইয়া অর্থ জীবিতকরণ, তিনি এমন এক বান্দা যাকে আল্লাহ ঈমানের মাধ্যমে জীবন্ত রেখেছিলেন। [ তাবারী ] পক্ষান্তরে যদি দ্বিতীয় অর্থ নেয়া হয় তখন উদ্দেশ্য হবে, তার মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল যা তার পূর্ববতী নবীগণের কারও মধ্যে ছিল না। সেসব বিশেষ গুণে তিনি তুলনাহীন ছিলেন। [ ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর ] এতে জরুরী নয় যে, ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম পূর্ববতী নবীদের চাইতে সবাবস্থায় শ্রেষ্ঠ ছিলেন। কেননা, তাদের মধ্যে ইবরাহীম খলীলুল্লাহ ও মূসা কলীমুল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃত ও সুবিদিত।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত যাকারিয়ার ( আঃ ) প্রার্থনা কবুল হয় এবং তাকে বলা হয়ঃ তুমি একটি সন্তানের সুসংবাদ শুনে নাও, যার নাম হবে ইয়াহইয়া ( আঃ )। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তখন যাকারিয়া ( আঃ ) প্রার্থনা করলো স্বীয় প্রভূর নিকট, বললোঃ হে আমার প্রতিপালক! দান করুন আমাকে আপনার নিকট হতে কোন উত্তম সন্তান; নিশ্চয় আপনি খুব প্রার্থনা শ্রবণকারী । অতঃপর তাকে ফেরেশতারা ডেকে বললোঃ যখন সে মেহরাবে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিলঃ আল্লাহ আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়ার ( আঃ )। তার অবস্থা এই হবে যে, তিনি সমর্থনকারী হবেন কালেমাতুল্লাহর ( নবুওয়াতে ঈসা (আঃ ) এবং সরদার হবেন ও স্বীয় প্রবৃত্তিকে খুব দমনকারী হবেন, আর নবীও হবেন এবং উচ্চ স্তরের সুসভ্যও হবেন।" ( ৩:৩৮-৩৯ )এখানে মহান আল্লাহ বলেন যে, তার পূর্বে এই নামের কোন মানুষ ছিল। এটাও বলা হয়েছে যে, তার সাথে সাদৃশ্যযুক্ত কেউ হবে না।' ( আরবী ) শব্দের এই অর্থই এই আয়াতেও রয়েছে। এ অর্থও বর্ণনা করা হয়েছে যে, এর পূর্বে কোন বন্ধ্যা স্ত্রী লোকের এইরূপ সন্তান হয় নাই। হযরত যাকারিয়ার কোন সন্তান জন্ম গ্রহণ করে নাই এবং তার স্ত্রীও পূর্ব হতেই সন্তানহীনা ছিলেন। হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) হযরত সারা ( আঃ ) এই দু’জনও সন্তানের সুসংবাদ পেয়ে অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তারা সন্তানহীনা ও বন্ধ্যা ছিলেন বলেই যে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন তা নয়। বরং তাদের বিস্ময় প্রকাশের কারণ ছিল তাদের ঐ চরম বার্ধক্যের অবস্থায় সন্তান লাভ। হযরত যাকারিয়ার ( আঃ ) ঐ পূর্ণ বার্ধক্য অবস্থা পর্যন্ত কোন সন্তানই জন্মগ্রহণ করে নাই এবং তাঁর স্ত্রী তো প্রথম থেকেই বন্ধ্যা ছিলেন। কিন্তু হযরত ইবরাহীম খলীলের ( আঃ ) অবস্থা তো ছিল এর বিপরীত। কারণ, তখন থেকে তেরো বছর পূর্বে তো তাঁর পুত্র। হযরত ইসমাঈল ( আঃ ) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কাজেই বন্ধ্যা হওয়ার কারণে তিনি বিস্মিত হন নাই। বরং অত্যন্ত বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের ( ইসহাকের (আঃ ) সুসংবাদ শুনেই তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী সারাও ( রাঃ ) ঐ সুসংবাদ শুনে আশ্চর্যান্বিতা হয়েছিলেন এবং বলেছিলেনঃ “ এই চরম বার্ধক্যের অবস্থায় আমার সন্তান হবে এটা কেমন কথা? আর আমার স্বামীও তো সীমাহীন বুদ্ধ! এটাতো চরম বিস্ময়কর ব্যাপারই বটে । তাঁর এ কথা শুনে ফেরেশতারা বলেছিলেনঃ “ আপনি কি আল্লাহর কাজে বিস্ময় প্রকাশ করছেন? ( হে ) এই পরিবারের লোকেরা! আপনাদের প্রতি তো আল্লাহর বিশেষ রহমত ও তাঁর বিবিধ বরকতসমূহ ( নাযিল হয়ে আসছে ) নিশ্চয় তিনি প্রশংসার যোগ্য, মহামহিমান্বিত ।

সূরা মারইয়াম আয়াত 7 সূরা

يازكريا إنا نبشرك بغلام اسمه يحيى لم نجعل له من قبل سميا

سورة: مريم - آية: ( 7 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 305 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারা আল্লাহকে সেজদা করে না কেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের গোপন বস্তু প্রকাশ করেন এবং
  2. অতীতে আমাদেরকে এবং আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এই ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। এটা তো পূর্ববতীদের কল্প-কথা বৈ কিছুই
  3. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছিল ও সাবধানে চলত, আমি তাদেরকে উদ্ধার করলাম।
  4. মেঘবিস্তৃতকারী বায়ুর শপথ
  5. এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।
  6. আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই
  7. যে ভয় করে, সে উপদেশ গ্রহণ করবে,
  8. তারা বলে, আল্লাহ পুত্র সাব্যস্ত করে নিয়েছেন-তিনি পবিত্র, তিনি অমুখাপেক্ষী। যাকিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও
  9. যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো
  10. এবং তাদের সবরের প্রতিদানে তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মারইয়াম ডাউনলোড করুন:

সূরা Maryam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maryam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মারইয়াম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মারইয়াম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মারইয়াম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মারইয়াম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers