কোরান সূরা আহ্যাব আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahzab ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্যাব আয়াত 8 আরবি পাঠে(Ahzab).
  
   

﴿لِّيَسْأَلَ الصَّادِقِينَ عَن صِدْقِهِمْ ۚ وَأَعَدَّ لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا أَلِيمًا﴾
[ الأحزاب: 8]

সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য। তিনি কাফেরদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন। [সূরা আহ্যাব: 8]

Surah Al-Ahzab in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahzab ayat 8


যেন তিনি সত্যবাদীদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন তাঁদের সত্যবাদিতা সন্বন্ধে, আর অবিশ্বাসীদের জন্য তিনি প্রস্তুত রেখেছেন মর্মন্তুদ শাস্তি।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. আল্লাহ নবীদের নিকট থেকে এহেন দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। যাতে করে কাফিরদেরকে নিরুত্তর করার জন্যে সত্যবাদী রাসূলদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন। আর তাঁকে ও তাঁর রাসূলদেরকে অস্বীকারকারীদের উদ্দেশ্যে কষ্ট দায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন যা হচ্ছে জাহান্নাম।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যাতে তিনি সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেন।[১] আর তিনি অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। [১] ليسأل তে لام كي ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, এই অঙ্গীকার নেওয়ার কারণ হল, আল্লাহ তাআলা সত্যবাদী নবীগণকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, তাঁরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট আল্লাহর বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছে দিয়েছিলেন কি? দ্বিতীয় অর্থ এই যে, আল্লাহ আম্বিয়াগণকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, তোমাদের সম্প্রদায় তোমাদের দাওয়াত গ্রহণ করেছিল কি না? যেমন অন্যত্র তিনি বলেছেন, " অতঃপর যাদের নিকট রসূল প্রেরণ করা হয়েছিল তাদেরকে আমি অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব এবং অবশ্যই জিজ্ঞাসা করব রসূলগণকেও। " ( সূরা আ'রাফ ৭:৬ আয়াত ) এতে সত্যের আহবায়কদের জন্য সতর্কবাণী হল যে, তাঁরা যেন দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ পরিপূর্ণভাবে ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে করেন, যাতে আল্লাহর নিকট তাঁদের মুখ উজ্জ্বল হয়। আর ঐ সকল মানুষদের জন্য শাস্তির ধমক রয়েছে, যাদের নিকট দাওয়াত পৌঁছানো হয়, অথচ তারা তা গ্রহণ করে না; তারা আল্লাহর নিকট গুনাহগার এবং শাস্তির উপযুক্ত হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদিতা সম্মন্ধে জিজ্ঞেস করার জন্য। আর তিনি কাফিরদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি []। [] অর্থাৎ আল্লাহ কেবলমাত্ৰ অংগীকার নিয়েই ক্ষান্ত হননি বরং এ অংগীকার কতটুকু পালন করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন করবেন। [ কুরতুবী, মুয়াসসার ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৭-৮ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি এই পাঁচজন স্থিরপ্রতিজ্ঞ নবীর নিকট হতে এবং সাধারণ সমস্ত নবীর নিকট হতে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তারা আমার দ্বীনের প্রচার করবেন ও তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন। তারা পরস্পরে একে অপরকে সাহায্য করবেন এবং একে অপরকে সমর্থন করবেন। তারা পরস্পরের মধ্যে ইত্তেহাদ ও ইত্তেফাক কায়েম রাখবেন। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ স্মরণ কর, যখন আল্লাহ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেনঃ তোমাদেরকে কিতাব ও হিকমত যা কিছু দিয়েছি তার শপথ! যখন একজন রাসূল আসবে তখন নিশ্চয়ই তোমরা তাকে বিশ্বাস করবে এবং তাকে সাহায্য করবে । তিনি বললেনঃ তোমরা কি স্বীকার করলে? এবং এই সম্পর্কে আমার অঙ্গীকার কি তোমরা গ্রহণ করলে? তারা বললো: আমরা স্বীকার করলাম। তিনি বললেনঃ তবে তোমরা সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী থাকলাম।” ( ৩:৮১ ) এখানে সাধারণ নবীদের বর্ণনা দেয়ার পর বিশিষ্ট মর্যাদা সম্পন্ন নবীদের নামও উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে তাদের নাম নিম্নের আয়াতেও রয়েছেঃ ( আরবি )এখানে হযরত নূহ ( আঃ )-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে যিনি ভূ-পৃষ্ঠে আল্লাহ তাআলার সর্বপ্রথম নবী ছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর বর্ণনা রয়েছে যিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী এবং হযরত ইবরাহীম ( আঃ ), হযরত মূসা ( আঃ ) হযরত ঈসা ( আঃ )-এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে যারা ছিলেন মধ্যবর্তী নবী। এতে সূক্ষ্মদর্শিতা এই রয়েছে যে, প্রথম নবী হযরত আদম ( আঃ )-এর পরবর্তী নবী হযরত নূহ ( আঃ )-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং হযরত মুহাম্মাদ ( সঃ )-এর পূর্ববর্তী নবী হযরত ঈসা ( আঃ )-এর নাম উল্লেখ রয়েছে। আর মধ্যবর্তী নবীদের মধ্যে হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) হযরত মূসা ( আঃ )-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখানেও তো এই ক্রমপর্যায় রয়েছে যে, প্রথম ও শেষের নাম উল্লেখ করার পর মধ্যবর্তী নবীদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। আর এ আয়াতে সর্বপ্রথম সর্বশেষ নবী ( সঃ )-এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কারণ তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা অধিক মর্যাদা সম্পন্ন নবী। অতঃপর একের পর এক ক্রমানুযায়ী অন্যান্য নবীদের উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তা'আলা তাঁর সমস্ত নবীর উপর দরূদ ও সালাম নাযিল করুন! এই আয়াতের তাফসীরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি সমস্ত নবীর পূর্বে সৃষ্ট হয়েছি এবং দুনিয়ায় সর্বশেষে আগমন করেছি । তাই আমা হতেই শুরু করা হয়েছে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) কিন্তু এর একজন বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে বাশীর দুর্বল এবং সনদ হিসেবে এটা মুরসাল রূপে বর্ণিত হয়েছে। এটাই বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেউ কেউ এটাকে মাওকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলেন যে, হযরত আদম ( আঃ )-এর সন্তানদের মধ্যে পাঁচজন নবী আল্লাহ তা'আলার নিকট খুইব পছন্দনীয়। তাঁরা হলেনঃ হযরত নূহ ( আঃ ), হযরত ইবরাহীম ( আঃ ), হযরত মূসা ( আঃ ), হযরত ঈসা ( আঃ ) এবং হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা ( সঃ )। এর একজন বর্ণনাকারী হামযাহ দুর্বল। এও বলা হয়েছে যে, এই আয়াতে যে অঙ্গীকারের বর্ণনা রয়েছে তা হলো ওটাই যা আল্লাহ তা'আলা রোযে আযলে হযরত আদম ( আঃ )-এর পিঠ হতে সমস্ত মানুষকে বের করে গ্রহণ করেছিলেন।হযরত উবাই ইবনে কা'ব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম ( আঃ )-কে উচ্চে তুলে ধরা হয়। তিনি তাঁর সন্তানদের দেখেন। তাদের মধ্যে তিনি ধনী, নির্ধন, সুন্দর, কুৎসিত সর্বপ্রকারের লোককেই দেখতে পান। তিনি বলেনঃ “ হে আল্লাহ! যদি আপনি এদের সবাইকে সমান করতেন তবে কতই না ভাল হতো!” মহামহিমান্বিত আল্লাহ জবাবে বলেনঃ “এটা এজন্যেই করা হয়েছে যে, যেন আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় । তাদের মধ্যে যারা নবী ছিলেন। তিনি তাদেরকেও দেখেন। তাঁরা জ্যোতির্ময় রূপে প্রকাশিত ছিলেন। তাঁদের উপর নূর বর্ষিত হচ্ছিল। তাদের নিকট হতেও নবুওয়াত ও রিসালাতের একটি বিশেষ অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল। যার বর্ণনা এই আয়াতে রয়েছে।ঘোষিত হচ্ছেঃ সত্যবাদীদেরকে তাদের সত্যবাদীতা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করবার জন্যে, অর্থাৎ তাদেরকে রাসূল ( সঃ )-এর হাদীসগুলো পৌঁছিয়ে দিতো। আর আল্লাহ তা'আলা অমান্যকারীদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন বেদনাদায়ক শাস্তি। সুতরাং হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করছি যে, আপনার রাসূলগণ আপনার বান্দাদের কাছে আপনার বাণী কমবেশী ছাড়াই পৌছিয়ে দিয়েছেন। তারা পূর্ণভাবে মঙ্গল কামনা করেছে এবং সত্যকে পরিষ্কারভাবে উজ্জ্বল পন্থায় জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। যাতে সন্দেহের লেশ মাত্র নেই, যদিও হতভাগ্য ও হঠকারীরা তাদেরকে মানেনি। আমাদের বিশ্বাস আছে যে, আপনার রাসূলদের সমস্ত কথা ন্যায় ও সত্য। যারা তাঁদের পথ অনুসরণ করেনি তারা বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট। তারা বাতিলের উপর রয়েছে।

সূরা আহ্যাব আয়াত 8 সূরা

ليسأل الصادقين عن صدقهم وأعد للكافرين عذابا أليما

سورة: الأحزاب - آية: ( 8 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 419 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি তাদের জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয় রেখে দিয়েছি যে,
  2. আমরা সবাই তাঁর আজ্ঞাবহ। তারা ছিল এক সম্প্রদায়-যারা গত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা
  3. আল্লাহ কাফেরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন। তারা কোন কল্যাণ পায়নি। যুদ্ধ করার জন্য আল্লাহ মুমিনদের জন্যে
  4. ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে
  5. যদি কেউ ওসীয়তকারীর পক্ষ থেকে আশংকা করে পক্ষপাতিত্বের অথবা কোন অপরাধমূলক সিদ্ধান্তের এবং তাদের মধ্যে
  6. তার কর্ম শীঘ্রই দেখা হবে।
  7. যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের
  8. তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডলে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবার পালনকর্তা। সুতরাং তাঁরই বন্দেগী করুন এবং তাতে দৃঢ় থাকুন
  9. তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে
  10. যারা পরকালের চাইতে পার্থিব জীবনকে পছন্দ করে; আল্লাহর পথে বাধা দান করে এবং তাতে বক্রতা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্যাব ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahzab mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahzab শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্যাব  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্যাব  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্যাব  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্যাব  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 16, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب