কোরান সূরা ত্বীন আয়াত 8 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tin ayat 8 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ত্বীন আয়াত 8 আরবি পাঠে(Tin).
  
   

﴿أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَحْكَمِ الْحَاكِمِينَ﴾
[ التين: 8]

আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন? [সূরা ত্বীন: 8]

Surah At-Tin in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tin ayat 8


আল্লাহ্ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক নন?


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮. আল্লাহ কি কিয়ামত দিবসকে প্রতিদান দিবস হিসাবে নির্ধারণ করে সর্বাপেক্ষা বড় প্রজ্ঞাবান ও ইনসাফপরায়ণের কাজ করেননি?! এ কথা কি বিবেক সম্মত যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে কোনরূপ বিচার ব্যতিরেকেই অযথা ছেড়ে দিবেন?! ফলে তিনি উত্তম আমলকারীকে উত্তম প্রতিদান আর মন্দ আমলকারীকে মন্দ প্রতিদান দিবেন না?!

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন? [১] [১] অর্থাৎ, আল্লাহ কারো প্রতি অবিচার করেন না। আর তাঁর সুবিচারের দাবী এই যে, তিনি কিয়ামত সংঘটিত করবেন এবং যাদের উপর দুনিয়ায় যুলুম করা হয়েছে তাদেরকে পূর্ণ বদলা দিয়ে দেওয়া হবে। প্রকাশ থাকে যে, এই সূরার শেষে 'বালা অআনা আলা যা-লিকা মিনাশ শাহিদীন' বলার হাদীস সহীহ নয়। ( তিরমিযী )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আল্লাহ্ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক নন [] ? [] আল্লাহ্ তা‘আলা কি সব বিচারকের মহাবিচারক নন? তিনি কি সকল শাসকবর্গের মধ্যে সর্বোত্তম শাসক নন? এই ন্যায় বিচারের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রত্যেক অপরাধীকে তার শাস্তি ও প্রত্যেক সৎকর্মীকে তার উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করা। বিচারকদের শ্রেষ্ঠবিচারক আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে উপনীত করেছেন পরিপূর্ণ ন্যায় ও প্রজ্ঞার সাথে; তবুও কি তিনি মানুষের কৃতকর্মের উপযুক্ত প্রতিদানও দেবেন না? [ বাদা’ই‘উত তাফসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত বারা ইবনে আযিব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ নবী করীম ( সঃ ) তাঁর এক সফরে দু'রাকআত নামাযের কোন এক রাকআতে সূরা তীন পাঠ করছিলেন । আমি তার চেয়ে মধুর ও উত্তম কণ্ঠস্বর অথবা কিরআত আর কারো শুনিনি। ১-৮ নং আয়াতের তাফসীর এখানে তাফসীরকারগণ বহু উক্তির উপর মতভেদ করেছেন। কারো কারো মতে তীন' দ্বারা দামেস্কের মসজিদকে বুঝানো হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ‘তীন’ হলো সরাসরি দামেস্ক শহর। অন্য কেউ বলেন যে, ওটা হলো জুদী পাহাড়ে অবস্থিত হযরত নূহের ( আঃ ) মসজিদ। হযরত মুজাহিদের ( রঃ ) মতে এটা হলো সাধারণ আনজীর বা ডুমুর জাতীয় ফল।যায়তুনের অর্থ ও বিভিন্নভাবে করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, ওটা হলো বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদ। অন্য কারো মতে যায়তুন হলো ঐ ফল যাকে চিপে রস অর্থাৎ তৈল বের করা হয়। ভূরে সীনীন হলো ঐ পাহাড় যেখানে হযরত মূসা ( আঃ ) আল্লাহ তা'আলার সাথে কথা বলেছিলেন।( আরবি ) দ্বারা মক্কা শরীফকে বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। কেউ কেউ বলেন যে, এই তিন জায়গায় তিনজন বিশিষ্ট নবীকে ( আঃ ) প্রেরণ করা হয়েছিল। তুরে সীনীন এর অর্থ হলো তুরে সায়না অর্থাৎ সিনাই পাহাড়। এই পাহাড়ে আল্লাহ জাল্লাজালালুহু হযরত মুসা ( আঃ )-এর সাথে বাক্য বিনিময় করেছেন। বালাদুল আমীন হলো মক্কা মুআযযামা, যেখানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদকে ( সঃ ) পাঠানো হয়েছে। তাওরাতের শেষেও এ তিনটি জায়গার নাম উল্লিখিত রয়েছে। তাতে রয়েছে যে, তূরে সায়না থেকে আল্লাহ তা'আলা এসেছেন অর্থাৎ তিনি হযরত মূসার ( আঃ ) সাথে কথা বলেছেন আর সা’ঈর। অর্থাৎ বায়তুল মুকাদ্দাসের পাহাড় থেকে তিনি নুর চমকিত করেছেন। অর্থাৎ হযরত ঈসা ( আঃ ) কে সেখানে প্রেরণ করেছেন এবং ফারানের শীর্ষে তিনি উন্নীত হয়েছেন অর্থাৎ মক্কার পাহাড় থেকে হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) কে প্রেরণ করেছেন। অতঃপর এই তিনজন বিশিষ্ট নবীর ভাষা এবং সত্তা সম্পর্কে পর্যায়ক্রমেই উল্লেখ করা হয়েছে।এইসব শপথের পর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ নিশ্চয়ই আমি মানুষকে অত্যন্ত সুন্দর ছাঁচে ঢালাই করেছি, অতঃপর তাকে আমি অধঃপতিত হীন অবস্থার লোকদের চেয়েও হীনতম করে দিই। অর্থাৎ জাহান্নামের অধিবাসী করে দিই, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর আনুগত্য না করে থাকে। এ কারণেই যারা ঈমান এনেছে ও ভাল কাজ করেছে তাদেরকে পৃথক করে নেয়া হয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা অতি বৃদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার কথা বুঝানো হয়েছে। ইকরামা ( রঃ ) বলেন যে, যে ব্যক্তি কুরআন জমা করেছে সে বার্ধক্য ও হীন অবস্থায় উপনীত হবে না। ইবনে জারীর ( রঃ ) এ কথা পছন্দ করেছেন। কিন্তু অনেক ঈমানদারও তো বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হন। কাজেই সঠিক কথা হলো ওটাই যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে ।( ১০৩:১-৩ ) ইতিপূর্বেও এরূপ উক্তি উল্লিখিত হয়েছে।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ হে মানুষ! তুমি যখন তোমার প্রথমবারের সৃষ্টি সম্পর্কে জানো তখন শাস্তি ও পুরস্কারের দিনের আগমনের কথা শুনে এবং পুনরায় জীবিত হওয়ার অর্থাৎ পুনরুত্থানের কথা শুনে এটাকে বিশ্বাস করছো না কেন? এ অবিশ্বাসের কারণ কি? কোন বস্তু তোমাকে কিয়ামত সম্পর্কে অবিশ্বাসী করেছে? যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন তাঁর পক্ষে পুনরায় সৃষ্টি করা কি কঠিন কাজ?হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) একবার হযরত ইবনে আব্বাসকে ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করেন “ এখানে কি হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) কে বুঝানো হয়েছে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি । এখানে শুধু সাধারণ মানুষকেই বুঝানো হয়েছে।”এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তিনি কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন? তিনি কারো প্রতি কোন প্রকার যুলুম বা অত্যাচার করেন না। তিনি অবিচার করেন না। এ কারণেই তিনি কিয়ামত বা শেষ বিচারের দিনকে অবশ্যই আনয়ন করবেন এবং সেই দিন তিনি প্রত্যেক যালিম, অত্যাচারীর নিকট থেকে যুলুমঅত্যাচারের প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। ইতিপূর্বে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে মারফু’ রূপে একটি হাদীস গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ( আরবি ) সূরাটি পাঠ করবে এবং সূরার শেষের ( আরবি )পর্যন্ত পৌঁছবে তখন যেন সে বলেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “হ্যা, এবং আমিও এর উপর সাক্ষ্যদাতাদের মধ্যে একজন ।

সূরা ত্বীন আয়াত 8 সূরা

أليس الله بأحكم الحاكمين

سورة: التين - آية: ( 8 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 597 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তাকে বলা হল, এই প্রাসাদে প্রবেশ কর। যখন সে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করল সে ধারণা
  2. বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না বরং তা তোমরাই রাখ। আমার পুরস্কার তো
  3. আল্লাহ বললেন, আমি তোমার বাহু শক্তিশালী করব তোমার ভাই দ্বারা এবং তোমাদের প্রধান্য দান করব।
  4. সেদিন মিথ্যারোপকারীদের দুর্ভোগ হবে।
  5. তারা নিজেদের কৃতকর্মের কারণে কখনও মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ জালেমদের সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন।
  6. অতঃপর আমি তাকে ও তাঁর পরিবার পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম, কিন্তু তার স্ত্রী। সে তাদের মধ্যেই
  7. আর আমার হুকুম যখন এল, আমি শোয়ায়েব (আঃ) ও তাঁর সঙ্গী ঈমানদারগণকে নিজ রহমতে রক্ষা
  8. কাফেরগণ, তোমরা কিছুদিন খেয়ে নাও এবং ভোগ করে নাও। তোমরা তো অপরাধী।
  9. যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।
  10. তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ত্বীন ডাউনলোড করুন:

সূরা Tin mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tin শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ত্বীন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ত্বীন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ত্বীন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ত্বীন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ত্বীন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ত্বীন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ত্বীন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ত্বীন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ত্বীন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ত্বীন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ত্বীন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ত্বীন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ত্বীন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ত্বীন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ত্বীন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ত্বীন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ত্বীন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ত্বীন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ত্বীন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ত্বীন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ত্বীন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ত্বীন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ত্বীন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ত্বীন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ত্বীন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers