কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 80 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 80 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 80 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿وَقَالُوا لَن تَمَسَّنَا النَّارُ إِلَّا أَيَّامًا مَّعْدُودَةً ۚ قُلْ أَتَّخَذْتُمْ عِندَ اللَّهِ عَهْدًا فَلَن يُخْلِفَ اللَّهُ عَهْدَهُ ۖ أَمْ تَقُولُونَ عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ﴾
[ البقرة: 80]

তারা বলেঃ আগুন আমাদিগকে কখনও স্পর্শ করবে না; কিন্তু গণাগনতি কয়েকদিন। বলে দিনঃ তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ যে, আল্লাহ কখনও তার খেলাফ করবেন না-না তোমরা যা জান না, তা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ। [সূরা বাকারাহ্: 80]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 80


আর তারা বলে -- “আগুন আমাদের গুনতির কয়েকদিন ছাড়া কদাচ স্পর্শ করবে না।” তুমি বলো -- “তোমরা কি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে কোনো প্রতি‌শ্রুতি নিয়েছ? তাহলে আল্লাহ্ তাঁর ওয়াদার কখনো খেলাফ করেন না, অথবা তোমরা কি আল্লাহ্ সন্বন্ধে যা জান না তাই বলছ?”


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮০. তারা মিথ্যা ও অহংকারবশতঃ বলে: অল্প কিছু দিনের জন্যই জাহান্নামের আগুন আমাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা আমরা তাতে প্রবেশ করবো। হে নবী! আপনি তাদেরকে বলে দিন: তোমরা কি এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছ থেকে নিশ্চিত ওয়াদা নিয়েছিলে। যদি ব্যাপারটি এমনই হয় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করবেন না। না কি তোমরা না জেনে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তারা বলে, ‘গণা কয়েকটি দিন ছাড়া ( দোযখের ) আগুন কখনো আমাদেরকে স্পর্শ করবে না।’ ( হে মুহাম্মাদ, তুমি ) বল, ‘তোমরা কি আল্লাহর নিকট থেকে এমন কোন অঙ্গীকার[১] পেয়েছ যে, আল্লাহ সে অঙ্গীকার কখনো ভঙ্গ করবেন না? অথবা তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে এমন কথা বলছ, যা তোমরা জান না।’ [২] [১] ইয়াহুদীরা বলত যে, দুনিয়ার বয়স হল সাত হাজার বছর। আর প্রত্যেক হাজার বছরের পরিবর্তে আমরা একদিন জাহান্নামে থাকব। অতএব এই হিসেবে আমরা কেবল সাত দিন জাহান্নামে থাকব। কেউ কেউ বলতো, আমরা কেবল চল্লিশ দিন বাছুরের পূজা করেছি, অতএব এই চল্লিশ দিন জাহান্নামে থাকব। মহান আল্লাহ বললেন, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার পেয়েছ? এটাও অস্বীকৃতিসূচক জিজ্ঞাসা। অর্থাৎ, এরা ভুল বলছে, আল্লাহর সাথে এই ধরনের কোন অঙ্গীকার তাদের নেই। [২] অর্থাৎ, তোমাদের এই দাবী যে, আমরা জাহান্নামে গেলেও কেবল কিছু দিনের জন্য তা হবে, এটা তোমাদের নিজের পক্ষ থেকে মনগড়া কথা এবং এই ধরনের অনেক কথাবার্তা তোমরা আল্লাহর সাথে জুড়ে দিচ্ছ, যা তোমদের নিজেদেরই জানা নেই। এরপর মহান আল্লাহ তাঁর সেই মূলনীতির কথা উল্লেখ করছেন, যার ভিত্তিতে কিয়ামতের দিন তিনি ভাল ও মন্দজনদেরকে তাদের ভাল-মন্দের প্রতিদান ও প্রতিফল দেবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা বলে, ‘সামান্য কিছু দিন ছাড়া আগুন আমাদেরকে কখনও স্পর্শ করবে না’। বলুন, তোমরা কি আল্লাহ্‌র কাছ থেকে এমন কোন অঙ্গীকার নিয়েছ; যে অঙ্গিকারের বিপরীত আল্লাহ্‌ কখনও করবেন না ? নাকি আল্লাহ্‌ সম্পর্কে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না ?’

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, ইয়াহুদীরা বলতোঃ “ পৃথিবীর মোট সময়কাল হচ্ছে সাত হাজার বছর । প্রতি হাজার বছরের পরিবর্তে আমাদের একদিন শাস্তি হবে। তা হলে আমাদেরকে মাত্র সাত দিন জাহান্নামে থাকতে হবে। তাদের এ কথাকে খণ্ডন করতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। কারও কারও মতে তারা চল্লিশ দিন দোযখে থাকবে বলে ধারণা করতো। কেননা, তাদের পূর্বপুরুষরা চল্লিশ দিন পর্যন্ত বাছুরের পূজা করেছিল। কারও কারও মতে তাদের এই ধারণা হওয়ার কারণ ছিল এই যে, তাওরাতে আছেঃ “ দোযখের দুই ধারের ‘ যাম' নামক বৃক্ষ পর্যন্ত চল্লিশ দিনের পথ'-তাই তারা বলতো যে, এ সময়ের পরে শাস্তি উঠে যাবেএকটি বর্ণনায় আছে যে, তারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সামনে বলেঃ “ চল্লিশ দিন পর্যন্ত আমরা দোযখে অবস্থান করবো, অতঃপর অন্যেরা আমাদের জায়গায় এসে যাবে । অর্থাৎ আপনার উম্মত।” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তখন তাদের মাথায় হাত রেখে বলেনঃ না, বরং তোমরা চিরকাল দোযখে অবস্থান করবে। সেই সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) বলেন যে, খাইবার বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর খিদমতে বিষ মিশ্রিত হাগলের গোশত ‘হাদিয়া স্বরূপ আসেরাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ তোমাদের বাপ কে?' তারা বলেঃ “অমুক ।' তিনি বলেনঃ “ তোমরা মিথ্যা বলছো, তোমাদের বাপ অমুক ।' অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে বলেনঃ “ আমি তোমাদেরকে কতকগুলো প্রশ্ন করবো, তোমরা ঠিক ঠিক উত্তর দেবে তো?' তারা বলেঃ ‘হ, হে আবুল কাসিম ( সঃ )! আমরা যদি মিথ্যে বলি তবে আপনি জেনে ফেলবেন যেমন আমাদের বাপের ব্যাপারে জেনে ফেলেছেন তখন তিনি বলেনঃ “ আচ্ছা বল তো দোযখী কারা? তারা বলেঃ কিছু দিন তো আমরা দোযখে অবস্থান করবো, অতঃপর আপনার উম্মত আমাদের স্থলে অবস্থান করবে । তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ ‘আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহর শপথ! তখনও আমরা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত হবো না।অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে বলেনঃ “ আচ্ছা, আমি তোমাদেরকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো, তোমরা সত্য বলবে তো?' তারা বলেঃ ‘হ, হে আবুল কাসিম ( সঃ )! তিনি বলেনঃ “ তোমরা কি এতে ( গোশতে ) বিষ মিশিয়েছো?' তারা বলেঃ হাঁ ।' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ কেন?' তারা বলেঃ ‘এই জন্যে যে, যদি আপনি সত্যবাদী হন তবে এ বিষ আপনার কোন ক্ষতি করবে না, আর যদি মিথ্যেবাদী হন, তবে আমরা আপনা হতে শান্তি লাভ করবো ( মুসনাদ-ই-আহমাদ, সহীহ বুখারী, সুনান-ই- নাসাঈ )

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 80 সূরা

وقالوا لن تمسنا النار إلا أياما معدودة قل أتخذتم عند الله عهدا فلن يخلف الله عهده أم تقولون على الله ما لا تعلمون

سورة: البقرة - آية: ( 80 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 12 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মৃত্তিকা তাদের কতটুকু গ্রাস করবে, তা আমার জানা আছে এবং আমার কাছে আছে সংরক্ষিত কিতাব।
  2. অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
  3. তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
  4. তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন সঙ্গী
  5. মুমিনগণ, তোমরা এহরাম অবস্থায় শিকার বধ করো না। তোমাদের মধ্যে যে জেনেশুনে শিকার বধ করবে,
  6. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের
  7. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  8. সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের জন্যে স্পষ্ট সতর্ককারী।
  9. আপনার পালনকর্তার আযাবের কিছুমাত্রও তাদেরকে স্পর্শ করলে তারা বলতে থাকবে, হায় আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা অবশ্যই
  10. হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Saturday, May 18, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب