কোরান সূরা নামল আয়াত 86 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Naml ayat 86 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নামল আয়াত 86 আরবি পাঠে(Naml).
  
   

﴿أَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا اللَّيْلَ لِيَسْكُنُوا فِيهِ وَالنَّهَارَ مُبْصِرًا ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ﴾
[ النمل: 86]

তারা কি দেখে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্যে এবং দিনকে করেছি আলোকময়। নিশ্চয় এতে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। [সূরা নামল: 86]

Surah An-Naml in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Naml ayat 86


তারা কি দেখে না যে আমরা অবশ্যই রাতকে সৃষ্টি করেছি যেন তারা এতে বিশ্রাম করে, আর দিনকে দৃশ্যমান? নিশ্চয় এতে তো এক নিদর্শন রয়েছে সেই জাতির জন্য যারা বিশ্বাস করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮৬. এ পুনরুত্থান অস্বীকারকারীরা কি দেখতে পাচ্ছে না যে, আমি রাত বানিয়েছি সেখানে তাদের ঘুমিয়ে আরাম করার জন্য। আর দিনকে আলোকিত করেছি সেখানে কোন কিছু দেখার সুবিধার জন্য। যাতে তারা নিজেদের কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারে। নিশ্চয়ই এ বারংবার মৃত্যু ও তারপর জেগে উঠার মাধ্যমে মু’মিন জাতির জন্য সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কি দেখে না যে, ওদের বিশ্রামের জন্য আমি রাতকে সৃষ্টি করেছি এবং দিনকে করেছি আলোকোজ্জ্বল। [১] এতে বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। [১] যাতে করে তারা জীবিকার খোঁজে চেষ্টা-চরিত্র করতে পারে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি দেখে না যে, আমরা রাত সৃষ্টি করেছি তাদের বিশ্রামের জন্য এবং দিনকে করেছি দৃশ্যমান? এতে তো অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এমন সম্প্রদায়ের জন্য যারা ঈমান আনে []। [] অর্থাৎ কেন তারা রাতের বেলা আরাম করার মুহূর্তে এবং দিনের সুযোগে লাভবান হবার সময় একথা চিন্তা করেনি যে, এক মহাবিজ্ঞ ও বিজ্ঞানময় সত্তা এ ব্যবস্থা পরিচালনা করছেন এবং তিনি তাদের যথাযথ প্রয়োজন অনুযায়ী পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করেছেন? এটি কোন আকস্মিক ঘটনা হতে পারে না। আবার এগুলো বহু ইলাহর কার্যপ্রণালীও নয়। এগুলো মূলতঃ মহান আল্লাহ্‌র শক্তি ও সামর্থের উপরই প্রমাণবহ। তারা কেন আমার এ সমস্ত ক্ষমতা সম্পর্কে চিন্তা করে না, ফলে তারা ঈমান আনত? [ দেখুন, কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৮৩-৮৬ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ্ তা'আলা সংবাদ দিচ্ছেন যে, যারা তাঁকে মানে না এবং তার কথা স্বীকার করে না তাদেরকে তাঁর সামনে একত্রিত করা হবে। সেখানে তাদেরকে শাসন-গর্জন করা হবে। যাতে তারা লাঞ্ছিত হয় এবং হেয় প্রতিপন্ন হয়। প্রত্যেক কওমের মধ্য হতে প্রত্যেক যুগের এ ধরনের মানুষের দলকে পৃথক পৃথকভাবে পেশ করা হবে। যেমন মহা প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ ( ফেরেশতাদেরকে বলা হবেঃ ) একত্রিত কর যালিমদেরকে ও তাদের সহচরদেরকে ।( ৩৭: ২২ ) আর এক জায়গায় তিনি বলেন ( আরবি )অর্থাৎ “ দেহে যখন আত্মা সংযোজিত হবে ।( ৮১: ৭ ) তারা সবাই একে অপরকে ধাক্কা দেবে। তাদের প্রথম শেষেরদেরকে অগ্রাহ্য ও খণ্ডন করবে। অতঃপর তাদের সবকেই জন্তুর মত হাঁকিয়ে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ্ তা'আলার সামনে হাযির করে দেয়া হবে। তাদের হাযির হওয়া মাত্রই ঐ প্রকৃত প্রতিশোধ গ্রহণকারী আল্লাহ অত্যন্ত রাগান্বিত অবস্থায় তাদেরকে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করবেন এবং হিসাব নিবেন। পুণ্য থেকে তারা সম্পূর্ণরূপে শূন্য হস্ত হবে। যেমন তাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায আদায় করেনি । বরং সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।” ( ৭৫:৩১-৩২ ) সুতরাং ঐ সময় তাদের উপর হুজ্জত সাব্যস্ত হয়ে যাবে এবং তারা কোন কিছু পেশ করতে পারবে না। যেমন আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ এটা এমন একদিন যেদিন কারো বাক্যস্ফূর্তি হবে না এবং তাদেরকে অনুমতি দেয়া হবে না অপরাধ স্থলনের ।( ৭৭: ৩৫-৩৬ ) অনুরূপভাবে এখানে বলেনঃ “ সীমালংঘন হেতু তাদের উপর ঘোষিত শাস্তি এসে পড়বে; ফলে তারা কিছুই বলতে পারবে না । তারা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে। নিজেদের যুলুমের প্রতিফল তারা পূর্ণরূপেই প্রাপ্ত হবে। দুনিয়ায় তারা যালিম ছিল। এখন তারা যার সামনে দাঁড়াবে তিনি অদৃশ্যের খবর রাখেন। কোন কথা তার সামনে বানিয়ে বললে তা টিকবে না।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ স্বীয় ব্যাপক ক্ষমতার বর্ণনা দিচ্ছেন এবং স্বীয় সমুন্নত মাহাত্মের কথা বলছেন। আর তিনি নিজের বিরাট সাম্রাজ্য প্রদর্শন করছেন যা তাঁর আনুগত্য অপরিহার্য হওয়া, তাঁর নির্দেশাবলী মেনে চলা ও নিষিদ্ধ কাজগুলো হতে বিরত থাকা অবশ্য কর্তব্য হওয়া এবং নবীদেরকে বিশ্বাস করার মূলের উপর সুস্পষ্ট দলীল। তা এই যে, তিনি মানুষের বিশ্রামের জন্যে রাত্রি সৃষ্টি করেছেন, যাতে তাদের সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। আর দিবসকে তিনি করেছেন উজ্জ্বল ও আলোকময়, যাতে তারা জীবিকার অনুসন্ধানে ছুটে পড়তে পারে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সফর যেন তাদের জন্যে সহজ হয়। এসবের মধ্যে তো মুমিন সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই যথেষ্ট ও পূর্ণমাত্রায় নিদর্শন রয়েছে।

সূরা নামল আয়াত 86 সূরা

ألم يروا أنا جعلنا الليل ليسكنوا فيه والنهار مبصرا إن في ذلك لآيات لقوم يؤمنون

سورة: النمل - آية: ( 86 )  - جزء: ( 20 )  -  صفحة: ( 384 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এই আশায় তোমরা সুদে যা কিছু দাও, আল্লাহর কাছে
  2. এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।
  3. হে মুমিনগণ! তোমাদের দাসদাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে
  4. এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
  5. তাদের আবরণ হবে চিকন সবুজ রেশম ও মোটা সবুজ রেশম এবং তাদেরকে পরিধান করোনো হবে
  6. যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে-একটি মাত্র ফুৎকার
  7. যখন তারা তার কিনারায় বসেছিল।
  8. তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
  9. আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব।
  10. এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নামল ডাউনলোড করুন:

সূরা Naml mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Naml শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নামল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নামল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নামল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নামল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নামল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নামল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নামল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নামল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নামল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নামল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নামল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নামল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নামল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নামল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নামল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নামল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নামল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নামল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নামল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নামল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নামল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 23, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب