কোরান সূরা জিন আয়াত 1 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Jinn ayat 1 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা জিন আয়াত 1 আরবি পাঠে(Jinn).
  
   

﴿قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِّنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا﴾
[ الجن: 1]

বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল করা হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি; [সূরা জিন: 1]

Surah Al-Jinn in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Jinn ayat 1


বলো -- ''আমার কাছে প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে জিনদের একটি দল শুনেছিল, এবং বলেছিল -- 'আমরা নিশ্চয় এক আশ্চর্যজনক কুরআন শুনেছি,


Tafsir Mokhtasar Bangla


১. হে রাসূল! আপনি নিজ উম্মতকে বলে দিন, আমাকে ওহীযোগে অবগত করা হয়েছে যে, নাখলা উপত্যকায় জিনদের এক দল আমার কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করেছে। অতঃপর তারা নিজেদের জাতির নিকট আগমন করে বলে: আমরা এমন বাণী শ্রবণ করেছি যা তার বর্ণনা ও সাবলীলতায় অতি চমৎকার।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বল, আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জ্বিনদের একটি দল[১] মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। [২] [১] এই ঘটনা সূরা আহক্বাফের ৪৬:২৯ নং আয়াতের টীকায় উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনা হল নবী ( সাঃ ) ওয়াদীয়ে নাখলাহ নামক স্থানে সাহাবায়ে কেরাম ( রাঃ )-দেরকে নিয়ে ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন। এই সময় কয়েকজন জ্বিন সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল। তারা নবী ( সাঃ )-এর কুরআন পাঠ শুনে প্রভাবিত হয়। এখানে বলা হচ্ছে যে, সেই সময় জ্বিনদের কুরআন শোনার ব্যাপারটা নবী ( সাঃ ) জানতেন না। বরং অহীর মাধ্যমে তাঁকে এ খবর জানানো হয়।[২] عَجَبًا 'আ'জাবান' হল মাসদার ( ক্রিয়ামূল, বা ক্রিয়া-বিশেষ্য ) মুবালাগা ( অতিরিক্ত বুঝানোর ) অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অথবা সম্বন্ধপদের যাকে সম্বন্ধ করা হয় সে শব্দ ঊহ্য আছে; অর্থাৎ, ذَا عَجَبٍ । কিংবা মাসদার ( ক্রিয়া বিশেষ্য ) ব্যবহার হয়েছে ইসম ফায়েল ( কর্তৃকারক )এর অর্থে مُعْجِبًا। অর্থ হল, আমরা এমন কুরআন শুনেছি যা ভাষার চমৎকারিত্ব ও সাহিত্য-শৈলীর দিক দিয়ে বড়ই বিস্ময়কর অথবা ওয়ায-নসীহতের দিক দিয়ে বিস্ময়কর কিংবা বর্কতের দিক দিয়ে অতি আশ্চর্যজনক। ( ফাতহুল ক্বাদীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন [], ‘আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়েছে যে, জিন্দের [] একটি দল মনোযোগের সাথে শুনেছে [] অতঃপর বলেছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শুনেছি [] , আয়াত সংখ্যাঃ ২৮ আয়াত। নাযিল হওয়ার স্থানঃ মক্কী। রহমান, রহীম আল্লাহ্র নামে [] হাদীসের বিভিন্ন গ্রন্থে এসেছে যে, এই ঘটনা তখনকার যখন শয়তানদেরকে আকাশে খবর শোনা থেকে উল্কাপিণ্ডের মাধ্যমে প্রতিহত করা হয়েছিল। এ সময়ে জিনরা পরস্পরে পরামর্শ করল যে আকাশের খবরাদি শোনার ব্যাপারে বাধাদানের এই ব্যাপারটি কোন আকস্মিক ঘটনা মনে হয় না। পৃথিবীতে অবশ্যই কোন নতুন ব্যাপার সংঘটিত হয়েছে। অতঃপর তারা স্থির করল যে, পৃথিবীর পূর্ব পশ্চিম ও আনাচে-কানাচে জিনদের প্রতিনিধিদল প্রেরণ করতে হবে। যথাযথ খোঁজাখুঁজি করে এই নতুন ব্যাপারটি কি তা জেনে আসবে। হেজাযে প্রেরিত তাদের প্রতিনিধিদল যখন ‘নাখলাহ’ নামক স্থানে উপস্থিত হল, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। জিনদের এই প্রতিনিধিদল সালাতে কুরআন পাঠ শুনে পরস্পরে শপথ করে বলতে লাগলঃ এই কালামই আমাদের ও আকাশের খবরাদির মধ্যে অন্তরায় হয়েছে। তারা সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে স্বজাতির কাছে ঘটনা বিবৃত করল। আল্লাহ্ তা‘আলা এসব আয়াতে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে তাঁর রাসুলকে অবহিত করেছেন। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বর্ণনা করেন এই ঘটনায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিনদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন শোনাননি এবং তিনি তাদেরকে দর্শনও করেন নি। বরং তার কাছে জিনদের কথা ওহী করে শোনানো হয়েছিল মাত্ৰ।’ [ বুখারী: ৪৯২১, মুসলিম: ৪৪৯ ] [] জিন আল্লাহ্ তা‘আলার এক প্রকার শরীরী আত্মাধারী ও মানুষের ন্যায় জ্ঞান এবং চেতনাশীল সৃষ্টজীব। জিন এর শাব্দিক অর্থ গুপ্ত। তারা মানুষের দৃষ্টিগোচর নয়। এ কারণেই তাদেরকে জিন বলা হয়। জিন ও ফেরেশতাদের অস্তিত্ব কুরআন ও সুন্নাহর অকাট্য বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত। এটা অস্বীকার করা কুফর। মানব সৃষ্টির প্রধান উপকরন যেমন মৃত্তিকা তেমনি জিন সৃষ্টির প্রধান উপকরণ অগ্নি। এই জাতির মধ্যেও মানুষের ন্যায় নর ও নারী আছে এবং সন্তান প্রজননের ধারা বিদ্যমান আছে। পবিত্র কুরআনে যাদেরকে শয়তান বলা হয়েছে, তারা জিনদের দুষ্ট শ্রেনীর নাম। অধিকাংশ আলেমের মতে, সমস্ত জিনই শয়তানের বংশধর। তাদের মধ্যে কাফের ও মুমিন দু’শ্রেণী বিদ্যমান। যারা ঈমানদার তাদেরকে জিন বলা হলেও তাদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে শয়তান বলা হয়। তবে ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে যে, জিনেরা ভিন্ন প্ৰজাতি, তারা শয়তানের বংশধর নয়। তারা মারা যায়। তাদের মধ্যে ঈমানদার ও কাফির দু শ্রেণী রয়েছে। পক্ষান্তরে ইবলীসের সন্তানদেরকে শয়তান বলা হয়, তারা ইবলীসের সাথেই মারা যাবে, তার আগে নয়। [ দেখুন, কুরতুবী; ড.
উমর সুলাইমান আল-আশকার: আলামুল জিন ওয়াশ-শায়াতিন
] [] এ থেকে জানা যায় যে; রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সময় জিনদের দেখতে পাচ্ছিলেন না এবং তারা যে কুরআন শুনছে একথাও তার জানা ছিল না। পরবর্তী সময়ে আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে অহীর মাধ্যমে এ ঘটনা জানিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনাটি বর্ণনা প্রসংগে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস সস্পষ্টভাবে বলেছেন যে; সে সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিনদের উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠ করেননি এবং তিনি তাদের দেখেনওনি। [ মুসলিম, ৪৪৯, সহীহ ইবনে হিব্বান: ৬৫২৬, তিরমিয়ী: ৩৩২৩, মুসনাদে আহমাদ: ১/২৫২ ] [] জিনদের উক্তির অর্থ হলো, আমরা এমন একটি বাণী শুনে এসেছি যা ভাষাগত উৎকর্ষতা, বিষয়বস্তু, প্ৰজ্ঞা, জ্ঞান, বিধান ইত্যাদিতে বিস্ময়কর ও অতুলনীয়। [ মুয়াসসার ]

সূরা জিন আয়াত 1 সূরা

قل أوحي إلي أنه استمع نفر من الجن فقالوا إنا سمعنا قرآنا عجبا

سورة: الجن - آية: ( 1 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 572 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বলুন, আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং এক পরাক্রমশালী আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
  2. অতঃপর সে তার পালনকর্তাকে ডেকে বললঃ আমি অক্ষম, অতএব, তুমি প্রতিবিধান কর।
  3. আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে
  4. শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন,
  5. আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার
  6. আর ইহুদীরা বলেঃ আল্লাহর হাত বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরই হাত বন্ধ হোক। একথা বলার জন্যে
  7. তাদের কাউকেই তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
  8. আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, অপরের মালিকানাধীন গোলামের যে, কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না
  9. আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রসূল প্রেরণ না করেন, যিনি
  10. প্রত্যেক সীমালংঘনকারী পাপিষ্ঠই কেবল একে মিথ্যারোপ করে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা জিন ডাউনলোড করুন:

সূরা Jinn mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Jinn শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত জিন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত জিন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত জিন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত জিন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত জিন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত জিন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত জিন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত জিন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত জিন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত জিন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত জিন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত জিন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত জিন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত জিন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত জিন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত জিন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত জিন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত জিন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত জিন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত জিন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত জিন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers