কোরান সূরা কাদ্র আয়াত 1 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Qadr ayat 1 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাদ্র আয়াত 1 আরবি পাঠে(Qadr).
  
   

﴿إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ﴾
[ القدر: 1]

আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে। [সূরা কাদ্র: 1]

Surah Al-Qadr in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Qadr ayat 1


নিঃসন্দেহ আমরা এটি অবতারণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১. নিশ্চয়ই আমি পূর্ণ কুরআন দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ করেছি। যেমনিভাবে নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর তা অবতরণের সূচনা করেছি রামাযান মাসের মহিমান্বিত রজনীতে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিশ্চয়ই আমি এ ( কুরআন )কে অবতীর্ণ করেছি মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে ( শবেকদরে )। [১] [১] অর্থাৎ, এই রাতে তা ( কুরআন ) অবতীর্ণ আরম্ভ করেছেন। অথবা তা 'লাওহে মাহ্ফূয' হতে দুনিয়ার আসমানে অবস্থিত 'বাইতুল ইযযাহ'তে এক দফায় অবতীর্ণ করেছেন। আর সেখান থেকে প্রয়োজন মোতাবেক নবী ( সাঃ ) এর উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তা ২৩ বছরে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। জ্ঞাতব্য যে, 'লাইলাতুল কদর' রমযান মাসেই হয়ে থাকে; অন্য কোন মাসে নয়। এর প্রমাণ, মহান আল্লাহ বলেছেন, " রমযান মাস; যাতে কুরআনকে অবতীর্ণ করা হয়েছে। " ( সূরা বাক্বারাহ ২:১৮৫ নং আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


নিশ্চয় আমরা কুরআন নাযিল করেছি [] ‘লাইলাতুল কদরে’ [] ; সূরা সম্পর্কিত তথ্যঃ কদরের এক অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। কেউ কেউ এ-স্থলে এ অর্থই নিয়েছেন। এর মাহাত্ম্য ও সম্মানের কারণে একে ‘লাইলাতুল-কদর’ তথা মহিমান্বিত রাত বলা হয়। কদরের আরেক অর্থ তাকদীর এবং আদেশও হয়ে থাকে। এ রাত্রিতে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত ও বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়োগকারী ফেরেশতাগণের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিফিক, বৃষ্টি ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাগণকে লিখে দেয়া হয়। [ সা‘দী ] পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, فِيْهَا يُفْرَقُ كُلُّ امْرٍحَىِىيْمٍ [ সূরা আদ-দোখান: ৪ ] এ আয়াতে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, পবিত্র রাত্ৰে তাকদীর সংক্রান্ত সব ফয়সালা লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রাত্ৰিতে তাকদীর সংক্রান্ত বিষয়াদি নিম্পন্ন হওয়ার অর্থ এ বছর যেসব বিষয় প্রয়োগ করা হবে, সেগুলো লওহে মাহফুয থেকে নকল করে ফেরেশতাগণের কাছে সোপর্দ করা। নতুবা আসল বিধি-লিপি আদিকালেই লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। [ ইমাম নববী: শারহু সহীহ মুসলিম, ৮/৫৭ ] ------------------------- [] এখানে বলা হয়েছে, আমি কদরের রাতে কুরআন নাযিল করেছি। আবার অন্যত্র বলা হয়েছে, “ রমযান মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে ।” [ সূরা আল-বাকারাহ: ১৮৫ ] এ থেকে জানা যায়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হেরা গুহায় যে রাতে আল্লাহ্র ফেরেশ্তা অহী নিয়ে এসেছিলেন সেটি ছিল রামাদান মাসের একটি রাত। এই রাতকে এখানে কদরের রাত বলা হয়েছে। সূরা দেখানে এটাকে মুবারক রাত বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, “ অবশ্যি আমরা একে একটি বরকতপূর্ণ রাতে নাযিল করেছি ।” [ সূরা আদ-দোখান: ৩ ] এ আয়াত থেকে পরিষ্কার জানা যায় যে, কুরআন পাক লাইলাতুল-কদরে অবতীর্ণ হয়েছে। এর এক অর্থ এই যে, সমগ্র কুরআন লওহে মাহফুয থেকে লাইলাতুল-কদরে অবতীর্ণ করা হয়েছে, অতঃপর জিবরাঈল একে ধীরে ধীরে তেইশ বছর ধরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে পৌঁছাতে থাকেন। দ্বিতীয় অর্থ এই যে, এ রাতে কয়েকটি আয়াত অবতরণের মাধ্যমে কুরআন অবতরণের ধারাবাহিকতা সূচনা হয়ে যায়। এরপর অবশিষ্ট কুরআন পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে পূর্ণ তেইশ বছরে নাযিল করা হয়। [ আদ্ওয়াউল বায়ান ] [] কুরআন পাকের সুস্পষ্ট বর্ণনা দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে, লাইলাতুল-কদর রামাদান মাসে। কিন্তু সঠিক তারিখ সম্পর্কে আলেমগণের বিভিন্ন উক্তি রয়েছে যা সংখ্যায় চল্লিশ পর্যন্ত পৌঁছে। এ-সব উক্তির নির্ভুল তথ্য এই যে, লাইলাতুল-কদর রামাদান মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে আসে; কিন্তু এরও কোন তারিখ নির্দিষ্ট নেই; বরং যে কোন রাত্রিতে হতে পারে। আবার প্রত্যেক রামাদানে তা পরিবর্তিতও হতে পারে। সহীহ হাদীসদৃষ্টে এই দশ দিনের বেজোড় রাত্রিগুলোতে লাইলাতুল-কদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “ রামাদানের শেষ দশকে লাইলাতুল-কদর অন্বেষণ কর ।” [ বুখারী: ২০২১ ] অন্য বর্ণনায় আছে-“ তোমরা তা শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে তালাশ কর ।” [ বুখারী: ২০২০, মুসলিম: ১১৬৯, তিরমিয়ী: ৭৯২ ] সুতরাং যদি লাইলাতুল-কদরকে রামাদানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে ঘূর্ণায়মান এবং প্রতি রামাদানে পরিবর্তনশীল মেনে নেয়া যায়, তবে লাইলাতুল-কদরের দিন-তারিখ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের মধ্যে কোন বিরোধ অবশিষ্ট থাকে না। এটিই প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত। [ ইবন হাজার: ফাতহুল বারী, ৪/২৬২-২৬৬ ]

সূরা কাদ্র আয়াত 1 সূরা

إنا أنـزلناه في ليلة القدر

سورة: القدر - آية: ( 1 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 598 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
  2. পূর্ব থেকেই আমি ধাত্রীদেরকে মূসা থেকে বিরত রেখেছিলাম। মূসার ভগিনী বলল, আমি তোমাদেরকে এমন এক
  3. যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের ক্ষমতার মালিক, আল্লাহর সামনে রয়েছে সবকিছু।
  4. যাতে তারা তাদের প্রতি আমার দান অস্বীকার করে এবং ভোগ-বিলাসে ডুবে থাকে। সত্বরই তারা জানতে
  5. অথবা বলতে শুরু কর যে, অংশীদারিত্বের প্রথা তো আমাদের বাপ-দাদারা উদ্ভাবন করেছিল আমাদের পূর্বেই। আর
  6. কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে।
  7. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের
  8. আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে
  9. আমি মূসা প্রতি এই মর্মে ওহী করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও
  10. তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাদ্র ডাউনলোড করুন:

সূরা Qadr mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Qadr শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাদ্র  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাদ্র  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাদ্র  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাদ্র  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাদ্র  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাদ্র  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাদ্র  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাদ্র  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাদ্র  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাদ্র  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাদ্র  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাদ্র  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাদ্র  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাদ্র  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাদ্র  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাদ্র  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাদ্র  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাদ্র  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাদ্র  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাদ্র  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাদ্র  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাদ্র  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাদ্র  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাদ্র  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাদ্র  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers