কোরান সূরা আ'রাফ আয়াত 185 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Araf ayat 185 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আ'রাফ আয়াত 185 আরবি পাঠে(Araf).
  
   

﴿أَوَلَمْ يَنظُرُوا فِي مَلَكُوتِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا خَلَقَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ وَأَنْ عَسَىٰ أَن يَكُونَ قَدِ اقْتَرَبَ أَجَلُهُمْ ۖ فَبِأَيِّ حَدِيثٍ بَعْدَهُ يُؤْمِنُونَ﴾
[ الأعراف: 185]

তারা কি প্রত্যক্ষ করেনি আকাশ ও পৃথিবীর রাজ্য সম্পর্কে এবং যা কিছু সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তা’আলা বস্তু সামগ্রী থেকে এবং এ ব্যাপারে যে, তাদের সাথে কৃত ওয়াদার সময় নিকটবর্তী হয়ে এসেছে? বস্তুতঃ এরপর কিসের উপর ঈমান আনবে? [সূরা আ'রাফ: 185]

Surah Al-Araf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Araf ayat 185


তারা কি তাকায় না মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সাম্রাজ্যের প্রতি আর যা-কিছু আল্লাহ্ সৃষ্টি করেছেন, আর হতে পারে তাদের নির্ধারিত কাল ঘনিয়ে এসেছে? এর পরে আর কোন পর্যালোচনার দ্বারা তারা তবে বিশ্বাস করবে?


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮৫. তারা কি আসমান ও জমিনে অবস্থিত আল্লাহর ক্ষমতার নিদর্শনাবলীর দিকে দৃষ্টি দেয় না? তারা কি এতদুভয়ের মাঝে যে পশু, উদ্ভিদ ইত্যাদি আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টি করেছেন সেগুলো দেখে না? তারা কি নিজেদের বয়সের দিকেও খেয়াল করে না, হয়তো বা তাদের বয়সের পরিসমাপ্তি অতি সন্নিকটে। তাই সময় শেষ হওয়ার আগেই তারা তাওবা করে নিতো। তারা যদি এ কুর‘আন এবং তাতে যে জান্নাতের ওয়াদা ও জাহান্নামের হুমকির বাণী রয়েছে তার উপর ঈমান না আনে তাহলে তারা আর কোন কিতাবের উপর ঈমান আনবে?!

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারা কি লক্ষ্য করে না আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের প্রতি, আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি এবং এর প্রতিও যে, তাদের ( মরণের ) নির্ধারিতকাল সম্ভবতঃ নিকটবর্তী হয়ে গেছে।[১] সুতরাং এর পর তারা আর কোন্ কথায় বিশ্বাস করবে? [২] [১] অর্থাৎ, এই সকল জিনিস নিয়েও যদি তারা চিন্তা-ভাবনা করত, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহর উপর ঈমান আনত, তার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত ও তাঁর অনুসরণ করত, তারা যে আল্লাহর সাথে শিরক করে তা ত্যাগ করত এবং এ ব্যাপারে ভয় করত যে, তাদের মৃত্যু যেন তাদের কুফরীর অবস্থায় থাকাকালীন না আসে। [২] حديث ( কথা বা বাণী ) বলতে কুরআন মাজীদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, নবী ( সাঃ )-এর সতর্ক করা ও ভয় দেখানো এবং কুরআন মাজীদ ( পড়া বা শোনার ) পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তাহলে তাদেরকে সতর্ক করার জন্য আর কি হতে পারে, যা আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ হলে তারা ঈমান আনবে?

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা কি লক্ষ্য করে না, আসমানসমূহ ও যমীনের সার্বভৌম কতৃত্ব সম্পর্কে এবং আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার সম্পর্কে? [] আর এর সম্পর্কেও যে, সম্ভবত তাদের নির্ধারিত সময় নিকটে এসে গিয়েছে, কাজেই এরপর তারা আর কোন্‌ কথায় ঈমান আনবে? [] অর্থাৎ আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যাপ্রতিপন্নকারীরা তারা কি আসমান ও যমীনে আল্লাহর রাজত্ব ও ক্ষমতা, এতদুভয়ে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পারে না? তাহলে তারা এর মাধ্যমে শিক্ষা নিতে পারত যে, এগুলো একমাত্র সে সত্ত্বার জন্য যার কোন দৃষ্টান্ত নেই, নেই কোন সমকক্ষ, ফলে তারা তাঁর উপর ঈমান আনত, তাঁর রাসূলকে সত্য বলে মানত। তাঁর আনুগত্যের দিকে ফিরে আসত। তার জন্য সাব্যস্ত করা যাবতীয় শরীক ও মূর্তি থেকে নিজেদেরকে বিমুক্ত ঘোষণা করত। তাছাড়া তারা এটাও বুঝতে সক্ষম হতো যে, এভাবে তাদের জীবনের মেয়াদও ফুরিয়ে আসছে, তখন যদি কুফরি অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় তবে তাদের স্থান হবে আল্লাহর আযাবেই। [ ইবন কাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


ইরশাদ হচ্ছে। আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীরা একথা কি চিন্তা করে দেখে না যে, আকাশ, পৃথিবী এবং এ দুয়ের মধ্যস্থলে যা কিছু রয়েছে। সবগুলোর উপর আমার কিরূপ ক্ষমতা রয়েছে? তাদের উচিত ছিল এগুলো সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করা। তাহলেই তারা এ শিক্ষা লাভ করতো যে, এ সবকিছুই আল্লাহর আয়ত্ত্বাধীন। তাঁর সাথে কারো কোন তুলনা চলে না এবং তার সাথে কারো কোন সাদৃশ্যও নেই। তিনিই একমাত্র ইবাদতের যোগ্য। তাদের আরো উচিত তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর সত্যতা স্বীকার করা, তাঁর অনুসরণে ঝুঁকে পড়া, প্রতিমাগুলোকে দূরে নিক্ষেপ করা এবং এই ভয় করা যে, মৃত্যু অতি নিকটবর্তী, সুতরাং যদি কুফরীর অবস্থাতেই মৃত্যু এসে পড়ে তবে বেদনাদায়ক শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আল্লাহ পাক বলেনঃ এর পরও তারা কোন্ কথায় ঈমান আনবে? অর্থাৎ যে ভীতি প্রদর্শন মূলক হুমকি দেয়া হয়েছে এটা আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকেই এসেছে। তারা যদি এই অহী ও কুরআনের সত্যতা স্বীকার না করে যা মুহাম্মাদ ( সঃ ) পেশ করেছেন, তবে তারা আর কোন কথার সত্যতা স্বীকার করবে?হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ শবে মিরাজে গিয়ে যখন আমি সপ্তম আকাশ পর্যন্ত পৌছলাম তখন উপর দিকে তাকিয়ে বস্ত্র ও বিদ্যুৎ দেখতে পেলাম এবং এমন কতগুলো লোকের পার্শ্ব দিয়ে আমি গমন করলাম যাদের পেট মৃৎ পাত্রের মত ফুলে মোটা হয়েছিল। পেটের মধ্যে সাপ ভরা ছিল। বাইরে থেকেও সেই সাপ দেখা যাচ্ছিল। আমি জিবরাঈল ( আঃ )-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ এরা হচ্ছে সুদখোর ।” অতঃপর এই প্রথম আকাশে নেমে এসে নীচের দিকে তাকালে ধুয়ার মত দেখলাম এবং শোরগোল শুনতে পেলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল ( আঃ )! এটা কি? তিনি উত্তরে বললেনঃ “ এরা হচ্ছে শয়তান, যারা মানুষের চোখের সামনে ঘুরতে থাকে এবং আড় হয়ে যায়, যেন মানুষ যমীন ও আসমানের আধ্যাত্মিক বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাতই করতে না পারে । যদি এই প্রতিবন্ধকতা থাকতো তবে মানুষ আকাশের বহু বিস্ময়কর ব্যাপার দেখতে পেতো।” এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হচ্ছেন আলী ইবনে যায়েদ। বহু মুনকার হাদীসের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে।

সূরা আ'রাফ আয়াত 185 সূরা

أولم ينظروا في ملكوت السموات والأرض وما خلق الله من شيء وأن عسى أن يكون قد اقترب أجلهم فبأي حديث بعده يؤمنون

سورة: الأعراف - آية: ( 185 )  - جزء: ( 9 )  -  صفحة: ( 174 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের
  2. অতঃপর যখন বিলকীস এসে গেল, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তোমার সিংহাসন কি এরূপই? সে
  3. পাপীর খাদ্য হবে;
  4. তিনি ব্যতীত তারা যাদের পুজা করে, তারা সুপারিশের অধিকারী হবে না, তবে যারা সত্য স্বীকার
  5. তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায়
  6. তোমরা যাতে আমাকে প্রস্তরবর্ষণে হত্যা না কর, তজ্জন্যে আমি আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তার শরনাপন্ন
  7. আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট বর্ণনা
  8. এটা পরিপূর্ণ জ্ঞান, তবে সতর্ককারীগণ তাদের কোন উপকারে আসে না।
  9. তাদের পশ্চাদ্ধাবনে শৈথিল্য করো না। যদি তোমরা আঘাত প্রাপ্ত, তবে তারাও তো তোমাদের মতই হয়েছে
  10. আর তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নেবার উদ্দেশ্যে আমি তাদের উপর তূর পর্বতকে তুলে ধরেছিলাম এবং

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আ'রাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Araf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Araf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আ'রাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আ'রাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আ'রাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আ'রাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers