কোরান সূরা রূম আয়াত 10 তাফসীর
﴿ثُمَّ كَانَ عَاقِبَةَ الَّذِينَ أَسَاءُوا السُّوأَىٰ أَن كَذَّبُوا بِآيَاتِ اللَّهِ وَكَانُوا بِهَا يَسْتَهْزِئُونَ﴾
[ الروم: 10]
অতঃপর যারা মন্দ কর্ম করত, তাদের পরিণাম হয়েছে মন্দ। কারণ, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলত এবং সেগুলো নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। [সূরা রূম: 10]
Surah Ar-Rum in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 10
অতঃপর তাদের পরিণাম হয়েছিল মন্দ যারা মন্দ কাজ করেছিল, যেহেতু তারা আল্লাহ্র নির্দেশাবলী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আর তা নিয়ে তারা হাসাহাসি করত।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০. আতঃপর যারা শিরক ও পাপের মাধ্যমে মন্দ আমল করেছিল তাদের পরিণামও চূড়ান্ত পর্যায়ের মন্দ হয়েছে। কেননা, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যারোপ করেছিল, সেগুলো নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রƒপ করেছিল।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
অতঃপর যারা মন্দ কাজ করেছিল তাদের পরিণাম হয়েছে মন্দ;[১] কারণ তারা আল্লাহর বাক্যাবলীকে মিথ্যা মনে করত এবং তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। [১] سُوآى শব্দটির উৎপত্তি سُوء শব্দ থেকে। এটা فُعلَى -এর ওজনে أَسوَأ -এর স্ত্রী লিঙ্গ, যেমন حُسنَى - أَحسَن -এর স্ত্রী লিঙ্গ। অর্থাৎ, তাদের যে পরিণতি ঘটেছিল তা ছিল নেহাতই মন্দ।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
তারপর যারা মন্দ কাজ করেছিল তাদের পরিণাম হয়েছে মন্দ [ ১ ]; কারণ তারা আল্লাহর আয়াতসমূহে মিথ্যা আরোপ করত এবং তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত। [ ১ ] ইবন আব্বাস বলেন, এর অর্থ যারা কুফরী করেছে তাদের প্রতিদান হচ্ছে, শাস্তি। [ তাবারী; আত-তাফসীরুস সহীহ ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৮-১০ নং আয়াতের তাফসীর যেহেতু এ সৃষ্টি জগতের অণু-পরমাণু আল্লাহ তা'আলার অসীম ক্ষমতার প্রকাশ এবং তার আধিপত্য ও সার্বভৌম ক্ষমতার নিদর্শন, সেহেতু ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা সমগ্র সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা কর। আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনসমূহ দেখে তাঁর পরিচয় লাভ কর এবং তাঁর মহাশক্তির মর্যাদা দাও। কখনো কখনো ঊর্ধাকাশের সৃষ্টি নৈপুণ্যের প্রতি লক্ষ্য কর এবং কখনো কখনো যমীনের সৃষ্টিতত্ত্বের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর। এসব বৃথা বা বিনা কারণে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং মহান আল্লাহ মহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগুলো সৃষ্টি করেছেন। এগুলোকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনরূপে। প্রত্যেক জিনিসের একটা নির্ধারিত সময় রয়েছে। কিয়ামতেরও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, যা অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করে না।এরপর নবীদের সত্যবাদিতা প্রকাশ করতে গিয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ চেয়ে দেখো, তাঁদের বিরুদ্ধবাদীদের পরিণাম হয়েছে কত মন্দ! পক্ষান্তরে যারা তাদেরকে মেনে নিয়েছে, উভয় জগতে তাদের কি ধরনের মর্যাদা ও সম্মান লাভ হয়েছে! তোমরা সারা পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখো, তোমাদের পূর্বের ঘটনাবলীর নিদর্শন দেখতে পাবে। তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো তোমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ছিল। তোমাদের অপেক্ষা ধন-দৌলত তাদের বেশী ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা তোমাদের চেয়ে বেশী করতো। জমি-জমা ও ক্ষেত-খামারও ছিল তাদের তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী। তাদের কাছে রাসূলগণ মু'জিযা ও দলীল প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ঐ হতভাগ্যেরা তাদেরকে মেনে নেয়নি, বরং তাঁদেরকে তারা অবিশ্বাস করেছিল। তারা নানা প্রকারের মন্দকার্যে লিপ্ত থাকতো। অবশেষে আল্লাহর গযব তাদের উপর পতিত হলো। ঐ সময় তাদেরকে উদ্ধার করে এমন কেউ ছিল না। এটা তাদের প্রতি আল্লাহর যুলুম ছিল না। তিনি তাদের মন্দ কর্মের পরিণতি হিসেবেই তাদের প্রতি শাস্তি নাযিল করেছিলেন। আল্লাহর আয়াতসমূহকে তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো, তাঁর কথায় তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ তাদের বে-ঈমানীর কারণে আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দিই এবং তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়ে বেড়াতে ছেড়ে দিই।” ( ৬:১১১ ) আরো বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখন তারা বক্রপথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন ।” ( ৬১:৫ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যদি তারা বিমুখ হয়ে যায় তবে জেনে রেখো যে, তাদের কতক পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করতে চান ।" ( ৫:৪৯ ) এর উপর ভিত্তি করে শব্দটি ( আরবি ) বা ( আরবি ) যবরযুক্ত হবে ( আরবি ) ক্রিয়ার বা কর্ম হয়ে। এটাও একটা উক্তি যে, ( আরবি ) এখানে এভাবেই পতিত হয়েছে যে, তাদের পরিণাম মন্দ হয়েছে, কেননা তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো এবং ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। এই হিসেবে এই শব্দটি যবরযুক্ত হবে ( আরবি )-এর ( আরবি ) বা বিধেয় হয়ে। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এই ব্যাখ্যাই করেছেন এবং হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) ও হযরত কাতাদা ( রঃ ) হতে কথাটা বর্ণনাও করেছেন। যহহাকও ( রঃ ) একথাই বলেন এবং প্রকৃত ব্যাপারও তাই। কেননা, এরপরেই আছেঃ( আরবি ) েঅর্থাৎ “ তা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো ।”
সূরা রূম আয়াত 10 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- দেখুন, তারা আপনার কেমন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে! অতএব তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে, এখন তারা পথ পেতে
- তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব
- আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
- যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্ত ও হবে না।
- আল্লাহর কবল থেকে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তাদেরকে মোটেই বাঁচাতে পারবেনা। তারাই জাহান্নামের অধিবাসী তথায়
- যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।
- আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে?আমরা
- আর যদি তারা তোমার সাথে প্রতারণা করতে চায়-বস্তুতঃ তারা আল্লাহর সাথেও ইতিপূর্বে প্রতারণা করেছে, অতঃপর
- তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
- আমি সোলায়মানকে পরীক্ষা করলাম এবং রেখে দিলাম তার সিংহাসনের উপর একটি নিস্প্রাণ দেহ। অতঃপর সে
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:
সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers