কোরান সূরা আলে-ইমরান আয়াত 58 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Imran ayat 58 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আলে-ইমরান আয়াত 58 আরবি পাঠে(Al Imran).
  
   

﴿ذَٰلِكَ نَتْلُوهُ عَلَيْكَ مِنَ الْآيَاتِ وَالذِّكْرِ الْحَكِيمِ﴾
[ آل عمران: 58]

আমি তোমাদেরকে পড়ে শুনাই এ সমস্ত আয়াত এবং নিশ্চিত বর্ণনা। [সূরা আলে-ইমরান: 58]

Surah Al Imran in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Imran ayat 58


এটিই যা আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি নির্দেশবাণী ও জ্ঞানময় স্মারক থেকে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৫৮. হে নবী ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )! ‘ঈসা ( আলাইহিস-সালাম ) সম্পর্কিত এই নিদর্শনাবলীর বৃত্তান্ত ও জ্ঞানগর্ব আলোচনা যা আমি তোমাকে শুনাচ্ছি তা তোমার উপর নাযিলকৃত বিধানের সত্যতা প্রমাণ করে এমন সুস্পষ্ট প্রমাণ। এমনকি তা মুত্তাকীদের জন্য বিশেষ উপদেশও বটে। এ প্রমাণাদি এতোই পাকাপোক্ত যে, তাতে বাতিলের লেশমাত্রও নেই।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যা আমি তোমার কাছে পাঠ করছি, তা হল আয়াত ( নিদর্শনাবলী ) ও বিজ্ঞানময় উপদেশ।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এটা আমরা আপনার নিকট তেলাওয়াত করছি আয়াতসমূহ ও হেকমতপূর্ণ বাণী থেকে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৫৫-৫৮ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত কাতাদাহ ( রঃ ) প্রভৃতি ব্যাখ্যা দানকারীগণের মতে এর ভাবার্থ হচ্ছে- ‘আমি তোমাকে আমার নিকট উঠিয়ে নেবো, অতঃপর তোমাকে মৃত্যুদান করবো হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে‘আমি তোমাকে মত্যুদানকারী’ হযরত অহাব ইবনে মুনাব্বাহ ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত ঈসা ( আঃ )-কে উঠাবার সময় দিনের প্রথমভাগে তিন ঘন্টা পর্যন্ত মৃত্যু দান করেছিলেন। হযরত ইবনে ইসহাক ( রঃ ) বলেন যে, খ্রষ্টানদের ধারণায় আল্লাহ তা'আলা তাকে সাত ঘন্টা পর্যন্ত মৃত্যুর অবস্থায় রেখেছিলেন। পরে তাকে জীবিত করে উঠিয়ে নেন। হযরত অহাব ( রঃ ) বলেন যে, তিন দিন পর্যন্ত তিনি মৃত ছিলেন। পরে আল্লাহ পাক তাকে জীবন দান করে উঠিয়ে নেন। হযরত মাতরুল ওয়ারাক ( রঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে- ‘আমি তোমাকে দুনিয়া হতে উত্তোলনকারী। এখানে ( আরবী ) শব্দের ভাবার্থ মৃত্যু নয়।' অনুরূপভাবে ইবনে জারীর ( রঃ ) বলেন যে, এখানে ( আরবী ) শব্দের অর্থ হচ্ছে উঠিয়ে নেয়া। অধিকাংশ তাফসীরকারকের মতে এখানে ( আরবী ) শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে দ্রিা। যেমন কুরআন হাকীমের মধ্যে অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তিনি সেই আল্লাহ যিনি রাত্রে তোমাদেরকে নিদ্রা দিয়ে থাকেন। ( ৬:৬০ ) আর এক স্থানে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ প্রাণকে তার মৃত্যুর সময় উঠিয়ে নেন এবং যে প্রাণ মরে যায় তাকে তার নিদ্রার সময় ( উঠিয়ে নেন )।' ( ৩৯: ৪২ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) নিদ্রা হতে জাগরিত হয়ে বলতেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ সেই আল্লাহর সমুদয় প্রশংসা যিনি আমাদেরকে মৃত্যুদান করার পর পুনরায় জীবিত করলেন। আল্লাহ তাআলা এক জায়গায় বলেনঃ ‘তাদের অবিশ্বাসের কারণে এবং হযরত মারইয়াম ( আঃ )-এর উপর বড় অপবাদ দেয়ার ফলে এবং এই কারণে যে, তারা বলে- আমরা মারইয়াম নন্দন ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি, অথচ তারা তাকে হত্যাও করেনি এবং শূলীও দেয়নি বরং তাদের জন্যে তার প্রতিরূপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারা নিশ্চিতরূপে তাকে হত্যা করেনি’ এ পর্যন্ত। বরং আল্লাহ তাকে তাঁর নিকট উঠিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞানময়। আহলে কিতাবের প্রত্যেকেই তার মৃত্যুর পূর্বে তাঁর উপর ঈমান আনবে এবং সে কিয়ামতের দিন তাদের উপর সাক্ষী হবে। ( আরবী ) শব্দের ( আরবী ) সর্বনামটি হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দিকে ফিরেছে। অর্থাৎ যখন হযরত ঈসা ( আঃ ) কিয়ামতের পূর্বে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন তখন কিতাবী সবাই তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে। এর বিস্তারিত বিবরণ ইনশাআল্লাহ অতিসত্বরই আসছে। সে সময় সমস্ত আহলে কিতাব তার উপর ঈমান আনয়ন করবে। কেননা, না তিনি জিজিয়া কর গ্রহণ করবেন, না ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু সমর্থন করবেন। মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে হযরত হাসান বসরী ( রঃ ) হতে ( আরবী )-এর তাফসীরে বর্ণিত আছে যে, হযরত ঈসা ( আঃ )-এর উপর ঘুম চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং সে অবস্থাতেই তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ আমি তোমাকে আমার নিকট উঠিয়ে নিয়ে কাফিরদের হাত হতে পবিত্র করবো এবং কিয়ামত পর্যন্ত তোমার অনুসারীদেরকে কাফিরদের উপর জয়যুক্ত করবো । বাস্তবে হয়েছিলও তাই। যখন আল্লাহ পাক হযরত ঈসা ( আঃ )-কে আকাশে উঠিয়ে নেন তখন তার পরে তার সঙ্গী সাথীদের কয়েকটি দল হয়ে যায়। একটি দল হযরত ঈসা ( আঃ )-এর নবুওয়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাঁকে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল বলে স্বীকার করে, আর তারা একথাও স্বীকার করে যে, তিনি মহান আল্লাহর এক দাসীর পুত্র। তাদের মধ্যে আর একটি দল সীমা অতিক্রম করে বসে এবং তারা বলে, হযরত ঈসা ( আঃ ) আল্লাহ পুত্র। ( নাউজুবিল্লাহ ) অন্য একটি দল স্বয়ং তাকেই আল্লাহ বলে। আবার একদল তিন আল্লাহর মধ্যে তাকে এক আল্লাহ বলে। আল্লাহ তা'আলা তাদের এ বিশ্বাসের কথা পবিত্র কুরআনে বর্ণনা করেছেন, অতঃপর তা খণ্ডনও করেছেন। তিনশ বছর পর্যন্ত এ অবস্থায়ই থাকে। তারপর গ্রীক রাজাদের মধ্যে কুসতুনতান নামক একজন রাজা, যে একজন দার্শনিক ছিল, বলা হয় যে, শুধুমাত্র হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দ্বীনকে পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যেই এক কৌশল অবলম্বন করতঃ কপটতার আশ্রয় নিয়ে এ ধর্মের মধ্যে প্রবেশ করে। মোটকথা সে সময় ঈসা ( আঃ )-এর ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে ফেলেছিল। সে ওর ভেতর হ্রাস বৃদ্ধিও আনয়ন করেছিল। সে বহু আইন কানুন আবিষ্কার করেছিল। ‘আমান-ই-কুবরা’ও তারই আবিষ্কার, যা প্রকৃতপক্ষে জঘন্যতম বিশ্বাস ভঙ্গতা। সে তার যুগে শূকরকে বৈধ করে নিয়েছিল। তারই আদেশে খ্রীষ্টানগণ পূর্বমুখী হয়ে নামায পড়তে থাকে। সে-ই গীর্জা, উপাসনালয় প্রভৃতির মধ্যে ছবি বানিয়ে নেয় এবং নিজের এক পাপের কারণে রোযার মধ্যে দশটি রোযা বেশী করে। মোটকথা তার যুগে হযরত ঈসা ( আঃ )-এর ধর্ম ঈসায়ী ধর্মরূপে অবশিষ্ট ছিল না বরং ওটা ‘দ্বীন-ই-কুতুনতীনে পরিণত হয়েছিল। সে বাহ্যিক যথেষ্ট আঁকজমক এনেছিল, যেমন সে বারো হাজারেরও বেশী উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল এবং নিজের নামে একটি শহর বসিয়েছিল। মালেকিয়্যাহ দলটি তার সমস্ত কথা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এসব জঘন্য কার্য সত্ত্বেও তারা ইয়াহূদীদের উপর বিজয় লাভ করেছিল। কেননা, প্রকৃতপক্ষে তারা সবাই কাফির হলেও তুলানামূলকভাবে ঐ খ্রীষ্টানরাই সত্য ও ন্যায়ের বেশী নিকটবর্তী ছিল। তাদের সবারই উপর আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। আল্লাহ তা'আলা যখন হযরত মুহাম্মদ ( সঃ )-কে তার মনোনীত রাসূল করে দুনিয়ায় পাঠালেন তখন জনগণ তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। তাদের ঈমান ছিল আল্লাহর সত্তার উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, কিতাব সমূহের উপর এবং তার সমস্ত রাসূলের উপর। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে নবীগণের ( আঃ ) সত্যানুসারী এরাই ছিল অর্থাৎ উম্মতে মুহাম্মদী ( সঃ )। কেননা, এরা নিরক্ষর, আরবী, সর্বশেষ নবী ( সঃ )-এর উপর ঈমান এনেছিল যিনি ছিলেন বানী আদমের নেতা। আর রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর শিক্ষা ছিল সমস্ত সত্যকে স্বীকার করে নেয়ার শিক্ষা এবং প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক নবীর সত্যানুসারীদেরকে আমার উম্মত’ বলার দাবীদার ছিলেন তিনিই। কারণ, যারা নিজেদেরকে হযরত ঈসা ( আঃ )-এর উম্মত বলে দাবী করতো তারা ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে নষ্ট করে দিয়েছিল। তা ছাড়া শেষ নবী ( সঃ )-এর ধর্মও ছিল পূর্বের সমস্ত শরীয়তকে রহিতকারী। এ ধর্ম কিয়ামত পর্যন্ত রক্ষিত থাকবে এবং একটি ক্ষুদ্র অংশও পরিবর্তিত হবে না। এ জন্যই এ আয়াতের অঙ্গীকার অনুসারে মহান আল্লাহ এ উম্মতকে কাফিরদের উপর বিজয়ী করেন এবং এরা পূর্ব হতে পশ্চিম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।এ উম্মতে মুহাম্মদী'ই বহু দেশ পদদলিত করে, বড় বড় অত্যাচারী ও শক্তিশালী কাফিরদের মস্তক ছিন্ন করে। অর্থ-সম্পদ তাদের পদতলে গড়িয়ে পড়ে। বিজয় ও গানিমত তাদের পদ-চুম্বন করে। বহু যুগের পুরাতন সাম্রাজ্যের সিংহাসনগুলো এরা পরিবর্তন করে দেয়। পারস্য সম্রাট কিসরার আঁকজমক পূর্ণ সাম্রাজ্য এবং তার সুন্দর সুন্দর উপাসনাগারগুলো এদের হাতে বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। রোমান সম্রাট কায়সারের মুকুট ও সিংহাসন এ মুসলিমবাহিনীর আক্রমণে ভেঙ্গে খান খান হয়ে পড়ে। এরাই ঐ খ্রীষ্টানদেরকে মাসীহ পূজার স্বাদ গ্রহণ করিয়ে দেয়। তাদের ধন-ভাণ্ডার মুসলমানেরা ছিনিয়ে নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সত্য নবী ( সঃ )-এর ধর্মের প্রসার কার্যে প্রাণ খুলে খরচ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর অঙ্গীকার মানুষ উদীয়মান সূর্য ও পূর্ণিমার চন্দ্রের ঔজ্জ্বল্যের ন্যয় সত্যরূপে প্রত্যক্ষ করে। হযরত ঈসা ( আঃ )-এর দুর্নামকারীরা এবং তাঁর নামে শয়তানের পূজারীরা বাধ্য হয়ে সিরিয়ার শ্যামল উদ্যানসমূহ এবং কোলাহলময় শরহগুলো এক আল্লাহর বন্দেগীকারীদের হাতে সমপর্ণ করতঃ অসহায় অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে রোমক সাম্রাজ্যে বসতি স্থাপন করে। কিন্তু পরে তথা হতে তাদেরকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করে বের করে দেয়া হয় এবং অবশেষে তারা স্বীয় বাদশাহর বিশেষ শহর কনস্টান্টিনোপলে পৌছে। অতঃপর সেখান হতেও তাদেরকে অপদস্থ করে তাড়িয়ে দেয়া হয় এবং ইনশাআল্লাহ মুসলমানেরা কিয়ামত পর্যন্ত তাদের উপর বিজয়ীই থাকবে। সমস্ত সত্যবাদীর নেতা যার সত্যবাদিতার উপর মহান আল্লাহ মোহর মেরে দিয়েছেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সংবাদ দিয়েই দিয়েছেন যা চিরদিন অটল থাকবে, তিনি বলেন যে, তাঁর উম্মত কনস্টান্টিনোপল জয় করবে এবং তথাকার সমস্ত ধন-ভাণ্ডার তাদের অধিকারে এসে যাবে। রোমকদের সঙ্গেও তাদের এমন ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হবে যার তুলনা দুনিয়ায় নেই। আমি এগুলো একটি পৃথক পুস্তকে সন্নিবেশিত করেছি।আল্লাহ তা'আলার পরবর্তী উক্তির প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, যেসব ইয়াহূদী হযরত ঈসা ( আঃ )-কে অবিশ্বাস করেছিল এবং যেসব খ্রীষ্টান তাঁর সম্পর্কে অশোভনীয় কথা বলেছিল, দুনিয়ায় তাদেরকে হত্যা ও বন্দী করা হয়েছে এবং তাদের ধন-মাল ও সাম্রাজ্য ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এভাবে তাদের উপর পার্থিব শাস্তি নেমে এসেছে। আর পরকালে তাদের জন্যে যেসব শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে সেগুলো সম্বন্ধেও তাদের চিন্তা করা উচিত। যেখানে তাদেরকে না কেউ রক্ষা করতে পারবে, কেউ কোন সাহায্য করতে পারবে। পক্ষান্তরে মুসলমানদেরকে আল্লাহ তা'আলা পূর্ণ প্রতিদান প্রদান করবেন। দুনিয়াতেও তাদেরকে বিজয়, সাহায্য ও সম্মান দান করবেন এবং পরকালেও তারা তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ প্রাপ্ত হবে। আল্লাহ তা'আলা অত্যাচারীদেরকে ভালবাসে না ।অতঃপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! হযরত ঈসা ( আঃ ) এবং তাঁর জন্মের প্রাথমিক অবস্থার প্রকৃত রহস্য এটাই ছিল যা আল্লাহ তা'আলা লওহে মাহফুয হতে অহীর মাধ্যমে তোমার নিকট অবতীর্ণ করেছেন এবং এতে কোন সংশয় ও সন্দেহ নেই । যেমন সূরা-ই-মারইয়ামে বলেছেনঃ ‘এটাই ঈসা ইবনে মারইয়াম, এটাই প্রকৃত রহস্য যে ব্যাপারে তুমি সন্দেহ পোষণ করছিলে, তাঁর ( আল্লাহর ) সন্তান হওয়া মোটেই শশাভনীয় নয়। তিনি এটা হতে সম্পূর্ণ পবিত্র। তিনি যখন কোন কিছু করার ইচ্ছে করেন তখন শুধু বলেন, 'হও' আর তেমনই হয়ে যায়।এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

সূরা আলে-ইমরান আয়াত 58 সূরা

ذلك نتلوه عليك من الآيات والذكر الحكيم

سورة: آل عمران - آية: ( 58 )  - جزء: ( 3 )  -  صفحة: ( 57 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. নিশ্চয়ই আপনার পূর্ববর্তী পয়গম্বরগণের সাথেও উপহাস করা হয়েছে। অতঃপর যারা তাঁদের সাথে উপহাস করেছিল, তাদেরকে
  2. এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা।
  3. তুমি কি তোমার পালনকর্তাকে দেখ না, তিনি কিভাবে ছায়াকে বিলম্বিত করেন? তিনি ইচ্ছা করলে একে
  4. আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি
  5. তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং
  6. সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব,
  7. যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে
  8. অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে
  9. তাকে কেন স্বর্ণবলয় পরিধান করানো হল না, অথবা কেন আসল না তার সঙ্গে ফেরেশতাগণ দল
  10. আমি তাঁকে দুনিয়াতে দান করেছি কল্যাণ এবং তিনি পরকালেও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভূক্ত।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আলে-ইমরান ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Imran mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Imran শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আলে-ইমরান  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers