কোরান সূরা নিসা আয়াত 10 তাফসীর
﴿إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَىٰ ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا ۖ وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا﴾
[ النساء: 10]
যারা এতীমদের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে খায়, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্ত্বরই তারা অগ্নিতে প্রবেশ করবে। [সূরা নিসা: 10]
Surah An-Nisa in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nisa ayat 10
নিঃসন্দেহ যারা এতীমদের ধনসম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করে তারা নিশ্চয়ই তাদের পেটে আগুন গিলে। আর তারা শীঘ্রই প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০. যারা এতীমদের সম্পদ গ্রাস করে তাতে যুলুম ও অত্যাচারমূলক তাসারুফ করে তারা যেন নিজেদের পেটে জ্বলন্ত আগুন ঢুকায় যা কিয়ামতের দিন অচিরেই তাদেরকে পুড়িয়ে ফেলবে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
নিশ্চয় যারা পিতৃহীনদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা আসলে নিজেদের উদরে অগ্নি ভক্ষণ করে। আর অচিরেই তারা জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
নিশ্চয় যারা ইয়াতীমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে তারা তো তাদের পেটে আগুনই খাচ্ছে; তারা অচিরেই জ্বলন্ত আগুনে জ্বলবে [ ১ ]। [ ১ ] আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ পরিহার কর। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কি? রাসূল বললেন, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, জাদু, অন্যায়ভাবে কোন প্রাণ সংহার করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের সম্পদ গ্রাস করা, যুদ্ধের মাঠ থেকে পলায়ন করা এবং মুমিনা পবিত্ৰা নারীকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া।’ [ বুখারী: ২৭৬৬ ] সুতরাং ইয়াতিমের সম্পদ গ্রাস করার শাস্তি কুরআন ও হাদীস উভয়ের দ্বারাই প্রমাণিত।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
৭-১০ নং আয়াতের তাফসীর: আরবের মুশরিকরদের প্রথা ছিল এই যে, কেউ মারা গেলে তার বড় সন্তানেরা তার সমস্ত মাল পেয়ে যেতো। তার ছোট সন্তানেরা ও স্ত্রীরা সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হয়ে যেতো। ইসলাম এ নির্দেশ জারী করে সবারই জন্যে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে। বলা হয় যে, উত্তরাধিকারী সবাই হবে, প্রকৃত আত্মীয়তাই হোক বা বিবাহ বন্ধনের কারণেই হোক বা আযাদী সম্পর্কীয় কারণেই হোক না কেন, অংশ সবাই পাবে- অংশ কমই হোক আর বেশীই হোক।হযরত জাবির ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত উম্মে কাজ্জাহ ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর খিদমতে হাযির হয়ে আরয করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমার দুটি ছেলে আছে । তাদের পিতা মারা গেছে এবং তাদের নিকট কিছুই নেই। এ হাদীসটি অন্য শব্দে উত্তরাধিকারের অন্য দু’টি আয়াতের তাফসীরেও ইনশাআল্লাহ অতিসত্বরই আসবে। দ্বিতীয় আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে- যখন কোন মৃত ব্যক্তির মীরাস বন্টন হতে থাকবে, সে সময় যদি তার কোন দূর সম্পর্কীয় আত্মীয়ও এসে পড়ে যার কোন অংশ নেই এবং ইয়াতিম ও মিসকীনেরাও এসে যায় তবে তাদেরকেও কিছু কিছু প্রদান কর।'ইসলামের প্রাথমিক যুগে তো এটা ওয়াজিব ছিল এবং কারও কারও মতে এটা মুসতাহাব ছিল, আর এখনও এ হুকুম বাকী আছে কি না সে বিষয়ে দুটি উক্তি রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর মতে এ হুকুম এখনও বাকী আছে। হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ), হযরত আৰূ মূসা ( রাঃ ), হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর ( রাঃ ), হযরত আবুল আলিয়া ( রঃ ), হযরত শাবী ( রঃ ) , হযরত হাসান বসরী ( রঃ ), হযরত ইবনে সীরীন ( রঃ ), হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর ( রঃ ), হযরত মাকল ( রঃ ), হযরত ইবরাহীম নাখঈ ( রঃ ), হযরত আতা’ ইবনে আবি রিবাহ্ ( রঃ ), হযরত যুহরী ( রঃ ) এবং হযরত ইয়াহইয়া ইবনে মুআম্মারও ( রঃ ) একথাই বলেছেন। এমনকি হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) ছাড়া এসব পণ্ডিত এ হুকুমকে ওয়াজিব বলেছেন। হযরত আবু উবাইদাহ ( রাঃ ) এক অসিয়তের অভিভাবকত্ব করেন। তিনি একটি ছাগী যবেহ করেন এবং ঐ তিন প্রকারের লোককে ডেকে ভোজন করিয়ে দেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ ‘এ আয়াতটি না থাকলে এটাও আমার মালই ছিল।' হযরত উরওয়া ( রাঃ ) হযরত মুসআব ( রাঃ )-এর মাল বন্টনের সময়েও এটা প্রদান করেন। হযরত যুহরীরও রঃ) উক্তি এই যে, এ আয়াতটি মুহকাম'- মানসুখ নয়। একটি বর্ণনায় হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এটা অসিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর ( রাঃ )-এর ইন্তিকালের পর যখন তার ছেলে হযরত আবদুল্লাহ তাঁর পিতার মীরাস বন্টন করেন তখন তিনি পরিবারের সকল মিসকীন ও আত্মীয়-স্বজনকে প্রদান করেন এবং এ আয়াতটিই পাঠ করেন। আর সে সময় উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বিদ্যমান ছিলেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) এটা জানতে পেরে বলেনঃ “ তিনি ঠিক করেননি । এ আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে এই যে, এটা তখনই কার্যকরী হবে যখন মৃত ব্যক্তি অসিয়ত করে যাবে। ( মুসনাদ-ই-ইবনে আবি হাতিম )কোন কোন মনীষীর উক্তি এই যে, এ আয়াতটি রহিতই হয়ে গেছে। যেমন হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এ আয়াতটি রহিত এবং একে রহিতকারী হচ্ছে ( আরবী )-এ আয়াতটি। অংশ নির্ধারিত হওয়ার পূর্বে এ নির্দেশ ছিল। অতঃপর হকদারকে যখন আল্লাহ পাক হক পৌছিয়ে দেন তখন সাদকা শুধু ওটাই থাকে যা মৃত ব্যক্তি বলে যায়। হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াবও ( রঃ ) এটাই বলেন যে, যদি ঐ লোকদের জন্যে অসিয়ত থাকে তবে সেটা অন্য কথা নচেৎ এ আয়াতটি মানসুখই বটে।জমহুর ও ইমাম চতুষ্টয়ের এটাই মাযহাব। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এখানে এক বিস্ময়কর উক্তি করেছেন। তাঁর দীর্ঘ ও কয়েকবারের লিখার সার কথা হচ্ছে নিম্নরূপঃ ‘অসিয়তের মাল বন্টনের সময় মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন এসে গেলে তাদেরকেও দাও এবং তথায় আগত মিসকীনদের সঙ্গে তার সাথে কথা বল ও উত্তর প্রদান কর'। কিন্তু এটা বিবেচ্য বিষয়। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) প্রমুখ মনীষী বলেন যে, এখানে বন্টনের অর্থ হচ্ছে মীরাসের বন্টন। সুতরাং এ উক্তিটি ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ )-এর উক্তির বিপরীত। এ আয়াতের সঠিক ভাবার্থ হচ্ছেঃ মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ বন্টনের সময় যদি এসব দরিদ্র লোক উপস্থিত হয়ে যায় এবং তোমরা নিজ নিজ অংশ পৃথক করে ফেল আর এ বেচারারা তোমাদের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে তখন তাদেরকে শূন্য হস্তে ফিরিয়ে দিও না। তাদেরকে তথা হতে নিরাশ করে শূন্য হস্তে ফিরিয়ে দেয়াকে পরম দয়ালু ও দাতা আল্লাহ পছন্দ করেন না। সুতরাং আল্লাহর পথে সাদকা হিসেবে তাদেরকে কিছু প্রদান কর যেন তারা খুশী হয়ে যায়।যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ পাকের ঘোষণা রয়েছেঃ “ তোমরা তার ফল হতে খাও যখন তিনি ফল দান করেন এবং শস্য কর্তনের দিন তার হক আদায় কর । ক্ষুধার্ত ব্যক্তি ও দরিদ্র লোকদের ভয়ে যারা তাদেরকে না জানিয়ে গোপনে ক্ষেত্রের ফসল কেটে নেয় এবং গাছের ফল নামিয়ে থাকে তাদেরকে আল্লাহ তা'আলা নিন্দে করেছেন। যেমন সূরা-ই-নূন-এ রয়েছে যে, এক বাগানের মালিকের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা দরিদ্র ও মিসকীনদেরকে বঞ্চিত করার। নিয়তে একদা রাত্রিকালে অতি সন্তর্পণে বাগানের ফল নামিয়ে আনার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে রওনা হয়। তাদের পৌছার পূর্বেই তথায় আল্লাহ তা'আলার শাস্তি নেমে আসে এবং সমস্ত বাগান পুড়ে ভষ্ম হয়ে যায়। অন্যের হক নষ্টকারীদের পরিণতি এরূপই হয়ে থাকে। হাদীস শরীফে রয়েছে যে, যে মালে সাদকা মিলিত হয় অর্থাৎ, যে ব্যক্তি স্বীয় মালের যাকাত প্রদান করে না, তার মাল সে কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন-“ যারা নিজেদের পশ্চাতে নিজেদের অসমর্থ সন্তানদেরকে ছেড়ে যাবে তাদের উপর যে ভীতি আসবে তজ্জন্য তাদের শংকিত হওয়া উচিত ।' অর্থাৎ যে ব্যক্তি স্বীয় মৃত্যুর সময় অসিয়ত করে যাচ্ছে এবং সেই অসিয়তে তার উত্তরাধিকারীদের ক্ষতি হচ্ছে এমতাবস্থায় যে তা শ্রবণ করছে তার আল্লাহকে ভয় করতঃ ঐ অসিয়তকারীকে সঠিক পথ-প্রদর্শন করা উচিত এবং তার কর্তব্য এই যে, সে যেন ঐ অসিয়তকারীর মঙ্গল কামনা করে যেমন সে নিজের উত্তরাধিকারীদের মঙ্গল কামনা করে থাকে, যখন তাদের ক্ষতির ও ধ্বংসের আশংকা থাকে।সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত সা'দ ইবনে আবি ওক্কাস ( রাঃ )-এর রোগাক্রান্ত অবস্থায় তাকে দেখতে যান। সে সময় হযরত সা'দ ( রাঃ ) তাঁকে বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমার বহু মাল রয়েছে এবং আমার একটি মাত্র কন্যা আছে । আমি আমার দুই তৃতীয়াংশ মাল আল্লাহর পথে দান করে দেই। আপনি আমাকে এর অনুমতি দিচ্ছেন কি? রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ না।' তিনি বলেন :“ আচ্ছা, অর্ধেকের অনুমতি আছে কি?' রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ না ।' তিনি বলেনঃ “ তাহলে এক তৃতীয়াংশের অনুমতি দিন । রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ আচ্ছা, ঠিক আছে, কিন্তু এক তৃতীয়াংশও বেশী । তুমি যদি তোমার পিছনে তোমার উত্তরাধিকারীদেরকে সম্পদশালী রূপে ছেড়ে যাও তবে এটা ওটা হতে উত্তম যে, তুমি তাদেরকে দরিদ্ররূপে ছেড়ে যাবে এবং তারা অন্যের কাছে হাত পেতে বেড়াবে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, মানুষ যদি এক তৃতীয়াংশেরও কম অর্থাৎ এক চতুর্থাংশের অসিয়ত করে তবে ওটাই উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এক তৃতীয়াংশকেও বেশী বলেছেন। ধর্মশাস্ত্রবিদগণ বলেন যে, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী যদি ধনী হয় তবে তো এক তৃতীয়াংশের অসিয়ত করা মুসতাহাব। আর যদি উত্তরাধিকারী দরিদ্র হয় তবে তার চেয়ে কমের অসিয়ত করাই মুসতাহাব। এ আয়াতের দ্বিতীয় ভাবার্থ নিম্নরূপও বর্ণনা করা হয়েছেঃ “ তোমরা ইয়াতিমদের প্রতি এরূপই খেয়াল রাখ যেমন তুমি তোমার মৃত্যুর পর তোমার ছোট সন্তানদের প্রতি অন্য লোকদের খেয়াল রাখার কামনা কর । তুমি যেমন চাও না যে, তাদের মাল অন্যেরা অন্যায়ভাবে খেয়ে নিক এবং তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে দরিদ্র থেকে যাক, তদ্রুপ তুমিও অন্যদের সন্তানগণের মাল খেয়ো না।' এ ভাবার্থও খুব উত্তম বটে। এ কারণেই এর পরেই পিতৃহীনদের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণকারীদের শাস্তির কথা বলা হয় যে, এ লোকগুলো নিজেদের পেটে অগ্নি ভক্ষণ করছে এবং তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে ।সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ ‘সাতটি এমন পাপ হতে তোমরা বেঁচে থাকো যা ধ্বংসের কারণ হয়ে থাকে। তিনি জিজ্ঞাসিত হনঃ পাপগুলো কি কি? রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ ( ১ ) আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন, ( ২ ) যাদু, ( ৩ ) অন্যায়ভাবে হত্যা, ( ৪ ) সুদ ভক্ষণ, ( ৫ ) পিতৃহীনদের মাল ভক্ষণ, ( ৬ ) জিহাদ হতে মুখ ফিরানো এবং ( ৭ ) সতী সাধ্বী সরলা মুসলিম নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া।সুনান-ই-ইবনে আবি হাতিমের মধ্যে রয়েছে যে, সাহাবীগণ ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে মিরাজের রাত্রের ঘটনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ আমি বহু লোককে দেখেছি যে, তাদের ওষ্ঠ নীচে ঝুলতে রয়েছে এবং ফেরেশতাগণ তাদেরকে হেঁচড়িয়ে টেনে তাদের মুখ খুলে দিচ্ছেন । অতঃপর জাহান্নামের গরমপাথর তাদের মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন যা তাদের মুখের ভেতর দিয়ে ডুকে পিছনের রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং তারা ভীষণভাবে চীৎকার করছে। আমি হযরত জিবরাঈল ( আঃ )-কে জিজ্ঞেস করিঃ এরা কারা?' তিনি বলেনঃ ‘এরা ইয়াতিমদের মাল ভক্ষণকারী যারা তাদের পেটের ভেতর আগুন ভরতে রয়েছে। অতিসত্বরই তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে।হযরত সুদ্দী ( রঃ ) বলেনঃ “ পিতৃহীনদের মাল ভক্ষণকারী ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার কবর হতে এমনভাবে উঠবে যে, তার মুখ দিয়ে, চক্ষু দিয়ে, নাক দিয়ে এবং কান দিয়ে অগ্নিশিখা বের হতে থাকবে! প্রত্যেক ব্যক্তি দেখেই চিনে নেবে যে, সে কোন পিতৃহীনের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করেছে । তাফসীর-ই-ইবনে মিরদুওয়াই-এর একটি মারফু হাদীসেও এ বিষয়েরই কাছাকাছি বর্ণিত আছে। অন্য হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি তোমাদেরকে অসিয়ত করছি যে, তোমরা ঐ দু' দুর্বলের মাল পৌছিয়ে দাও, স্ত্রীদের মাল এবং পিতৃহীনদের মাল । তোমরা তাদের মাল হতে বেঁচে থাকো।”সূরা-ই-বাকারায় এটা বর্ণিত হয়েছে যে, যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন যাঁদের কাছে পিতৃহীনেরা লালিত পালিত হচ্ছিল তারা তাদের আহার্য এবং পানীয় পর্যন্ত পৃথক করে দেন। তখন অবস্থা প্রায় এই দাঁড়ালো যে, যদি ঐ পিতৃহীনদের খানা পানির কোন কিছু বেঁচে যেতো তখন হয় তারা নিজেরাই ঐ বাসী জিনিস খেয়ে নিতে না হয় তা পচে নষ্ট হয়ে যেতো। বাড়ীর লোকেরা কেউ তাতে হাতও লাগাতো না। এটা উভয় দিক দিয়েই অপছন্দনীয় হলো। নবী ( সঃ )-এর সামনেও এটা আলোচিত হলো। তখনঃ ( আরবী ) ( ২:২২০ )-এ আয়াতটি অবতীর্ণ হলো। এর ভাবার্থ এই যে, যে কাজে তোমরা পিতৃহীনদের মঙ্গল বুঝতে পারো তাই কর। ফলে এর পরে খানা-পিনা এক সাথেই হতে থাকে।
সূরা নিসা আয়াত 10 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে
- অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।
- এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
- অতঃপর তার সব ফল ধ্বংস হয়ে গেল এবং সে তাতে যা ব্যয় করেছিল, তার জন্য
- তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে।
- তিনি বললেন, হে পালনকর্তা আমার জন্য কিছু নিদর্শন দাও। তিনি বললেন, তোমার জন্য নিদর্শন হলো
- আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং
- তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছিল, অতঃপর কত কঠোর হয়েছিল আমার অস্বীকৃতি।
- এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই
- বলুনঃ সপ্তাকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে?
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নিসা ডাউনলোড করুন:
সূরা Nisa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nisa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers