কোরান সূরা শাম্স আয়াত 10 তাফসীর
﴿وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا﴾
[ الشمس: 10]
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়। [সূরা শাম্স: 10]
Surah Ash-Shams in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Shams ayat 10
আর সে-ই ব্যর্থ হবে যে একে পঙ্গু করবে।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০. আর সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যে নিজ আত্মায় পাপ-পঙ্কিলতা সেঁটে দিয়ে সেটিকে কলুষিত করেছে।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এবং সে ব্যর্থ হবে, যে তাকে কলুষিত করবে। [১] [১] অর্থাৎ, আত্মাকে যে কলুষিত ও ভ্রষ্ট করবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। دسّ শব্দটি تَدسِيس শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে। যার অর্থ হল, এক বস্তুকে অন্য বস্তুতে লুকিয়ে ফেলা। সুতরাং এখানে دساها এর অর্থ হল, যে নিজের আত্মাকে লুকিয়ে ফেলল এবং অনর্থক ছেড়ে দিল এবং তাকে আল্লাহর আনুগত্য এবং নেক আমল দ্বারা প্রকাশ করল না।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর সে-ই ব্যর্থ হয়েছে, যে নিজেকে কলুষিত করেছে [ ১ ]। [ ১ ] পূর্বোক্ত শপথগুলোর জওয়াবে এ আয়াতগুলোয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছে, قَدْاَفْدَحَ مَنْ زَكّٰهَا এখানে, زكاها শব্দটি تزكية থেকে। এর প্রকৃত অর্থ পরিশুদ্ধতা; বৃদ্ধি বা উন্নতি। বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি নিজের নফস্ ও প্রবৃত্তিকে দুস্কৃতি থেকে পাক-পবিত্র করে, তাকে সৎকাজ ও নেকির মাধ্যমে উদ্ধুদ্ধ ও উন্নত করে পবিত্ৰতা অর্জন করে, সে সফলকাম হয়েছে। এর মোকাবেলায় বলা হয়েছে, دَسَّاهَا এর শব্দমূল হচ্ছে تَدْسِيْسٌ। যার মানে হচ্ছে দাবিয়ে দেয়া, লুকিয়ে ফেলা; পথভ্রষ্ট করা। পূর্বাপর সম্পর্কের ভিত্তিতে এর অর্থও এখানে সুস্পষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ সেই ব্যক্তিই ব্যৰ্থ, যে নিজের নাফসকে নেকী ও সৎকর্মের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ ও উন্নত করার পরিবর্তে দাবিয়ে দেয়, তাকে বিভ্রান্ত করে অসৎপ্রবণতার দিকে নিয়ে যায়। [ ফাতহুল কাদীর ] কোন কোন মুফাস্সির আয়াত দুটির আরেকটি অর্থ করেছেন, সে ব্যক্তি সফলকাম হয়; যাকে আল্লাহ্ পরিশুদ্ধ করেন এবং সে ব্যক্তি ব্যর্থ, যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা গোনাহে ডুবিয়ে দেন। [ ইবন কাসীর, তাবারী ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত জাবির ( রাঃ ) বর্ণিত হাদীস ইতিপূর্বে। গত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত মুআয( রাঃ ) কে বলেনঃ “তুমি কি ( আরবি ) এসব সূরা দ্বারা নামায পড়তে পার না? ১-১০ নং আয়াতের তাফসীর হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবি ) শব্দের অর্থ হলো আলোক। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এর অর্থ হচ্ছে পূর্ণদিন। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা সূর্য ও দিবসের শপথ করেছেন। আর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর যে চাদ চমকায় তার শপথ করেছেন। ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, মাসের মধ্যে প্রথম পনেরো দিন চন্দ্র সূর্যের পিছনে থাকে এবং শেষের পনেরো দিন সূর্যের আগে থাকে। যায়েদ ইবনে আসলাম ( রঃ ) বলেন যে, এর অর্থ হলোঃ লাইলাতুল কদরের চাঁদ। তারপর দিবসের শপথ করা হয়েছে যখন তা আলোকিত হয়। কোন কোন আরবী ভাষাবিদ বলেছেন যে, এর ভাবার্থ হলোঃ দিন যখন অন্ধকারকে আলোকিত করে দেয়। কিন্তু যদি বলা হয় যে, দিগদিগন্তকে যখন সেই সূর্য চমকিত, আলোক উদ্ভাসিত করে দেয়, তাহলে বেশি মানানসই হয় এবং ( আরবি ) এর অর্থের সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ হয়। এ কারণে হযরত মুজাহিদ ( রঃ ) বলেনঃ দিনের শপথ, যখন সূর্য তাকে আলোকিত করে দেয়। এখানে সূর্যের কথাই বলা হয়েছে। রাত্রি যখন সূর্যকে ঢেকে দেয় এবং চারদিক অন্ধকারে ছেয়ে যায়। ইয়াযীদ ইবনে যী হামামাহ ( রঃ ) বলেন যে, যখন রাত্রি আসে তখন আল্লাহ জাল্লাজালালুহু বলেনঃ আমার বান্দাদেরকে আমার এক বিপুলাকার মাখলুক ঢেকে দিয়েছে। কাজেই মাখলুক বা সৃষ্টিজগত যখন রাত্রিকে ভয় করে তখন রাত্রির স্রষ্টাকে আরো বেশী ভয় করা উচিত। এটা মুসনাদে ইবনে আবী হাতিমে বর্ণিত হয়েছে।অতঃপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আকাশের শপথ করেছেন। এখানে যে ব্যবহার ( আরবি ) করা হয়েছে, আরবী ব্যাকরণের পরিভাষায় এটাকে মা মাসদারিয়্যাহও বলা যেতে পারে। অর্থাৎ আসমান ও তার সৃষ্টি কৌশলের শপথ। হযরত কাতাদা ( রঃ ) এ কথাই বলেন। আর এই ( আরবি ) অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে। তাহলে অর্থ হবেঃ আসমানের শপথ এবং তার স্রষ্টা অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তা'আলার শপথ। মুজাহিদও ( রঃ ) এ কথাই বলেন। এ দু'টি অর্থ একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ( আরবি ) এর অর্থ হচ্ছে উচ্চ করা যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আসমানকে আমি প্রশস্ততা সম্পন্ন করে সৃষ্টিকারী । আর জমীনকে আমি বিছিয়ে দিয়েছি এবং আমি কতইনা উত্তমরূপে বিছিয়ে থাকি।" {৫১:৪৭-৪৮) এখানে বলা হয়েছেঃ জমীনের, ওকে সমতলকরণের, ওর বিছানোর, ওকে প্রশস্তকরণের, ওর বন্টনের এবং ওর মধ্যকার সৃষ্ট জীবসমূহের শপথ। এর তাফসীরে একে প্রশস্তকরণের উক্তিটিই বেশী প্রসিদ্ধ। ভাষাবিদদের নিকটেও এটাই পরিচিত। জাওহারী ( রঃ ) বলেন যে, ( আরবি ) শব্দটি ( আরবি ) শব্দের মত, যার অর্থ হলো বিস্তৃত করা। অধিকাংশ তাফসীরকারের উক্তি এটাই।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ শপথ মানুষের এবং তাঁর যিনি তাকে সুঠাম করেছেন অর্থাৎ যখন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে তখন সে ঠিকঠাক অবস্থায় অর্থাৎ ফিতরাতের উপরই প্রতিষ্ঠিত ছিল। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তুমি একাগ্রতার সাথে স্বীয় চেহারাকে দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখো, এটা হলো আল্লাহর ফিতরাত যার উপর তিনি লোকদেরকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই ।” ( ৩০৪ ৩০ )।রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ প্রত্যেক শিশু ফিতরাতের উপর জন্মগ্রহণ করে থাকে । অতঃপর তার পিতা মাতা তাকে ইয়াহুদী, খ্রিস্টান বা মাজুসীরূপে গড়ে তোলে। যেমন চতুষ্পদ জন্তু নিখুঁত ও স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব করে থাকে। তোমরা তাদের কাউকেও কান কাটা অবস্থায় দেখতে পাও কি?” ( এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ ) হতে বর্ণিত হয়েছে)সহীহ মুসলিমে হযরত আইয়াম ইবনে হাম্মাদ মাজাশেঈ ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আমি আমার বান্দাদেরকে একাগ্রচিত্ত অবস্থায় সৃষ্টি করেছি, অতঃপর শয়তানরা এসে ধর্মপথ থেকে সরিয়ে তাদেরকে বিপথে নিয়ে গেছে ।”এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ তিনি তাকে তার অসকর্ম এবং তার সঙ্কর্মের জ্ঞান দান করেছেন আর তার ভাগ্যে যা কিছু ছিল সে দিকে তাকে পথ নির্দেশ করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হলোঃ তিনি ভালমন্দ প্রকাশ করে দিয়েছেন। হযরত আবুল আসওয়াদ ( রঃ ) বলেনঃ আমাকে হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন ( রঃ ) জিজ্ঞেস করেনঃ মানুষ যা কিছু আমল করে এবং কষ্ট সহ্য করে এসব কি আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ভাগ্যে নির্ধারিত রয়েছে? তাদের ভাগ্যে কি এরকমই লিপিবদ্ধ আছে? না তারা নিজেরাই নিজেদের স্বভাবগতভাবে আগামীর জন্যে করে যাচ্ছে? যেহেতু তাদের কাছে নবী এসেছেন এবং আল্লাহর হুজ্জত তাদের উপর পূর্ণ হয়েছে এবং এজন্যে এ সব কিছু এভাবে করছে? আমি জবাবে বললামঃ না, না। বরং এসবই পূর্বহতে নির্ধারিত ও স্থিরীকৃত হয়ে আছে। হযরত ইমরান ( রঃ ) তখন বললেনঃ তা হলে কি এটা জুলুম হবে না? এ কথা শুনে আমি কেঁপে উঠলাম। আতঙ্কিত স্বরে বললামঃ সবকিছুর স্রষ্টা ও মালিক তো সেই আল্লাহ। সমগ্র সাম্রাজ্য তাঁরই হাতে রয়েছে। তাঁর কার্যাবলী সম্পর্কে কারো কিছু জিজ্ঞেস করার শক্তি নেই। তিনিই বরং সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। আমার এ জবাব শুনে হযরত ইমরান খুবই খুশী হলেন। তারপর বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে সুস্থতা দান করুন। আমি পরীক্ষামূলকভাবেই তোমাকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছি। শোন, মুযাইনা অথবা জুহাইনা গোত্রের একটি লোক রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর নিকট এসে ঐ প্রশ্নই জিজ্ঞেস করে যে প্রশ্ন আমি তোমাকে করেছি। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাকে তোমার মতই উত্তর দিয়েছিলেন। লোকটি তখন বলেছিলঃ “ তা হলে আর আমাদের আমলে কি হবে?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বলেছিলেনঃ “আল্লাহ তা'আলা যাকে যে জায়গার জন্যে সৃষ্টি করেছেন তার থেকে সেই সেই জায়গার অনুরূপ আমলই প্রকাশ পাবে । যদি আল্লাহ তাকে জান্নাতের জন্যে সৃষ্টি করে থাকেন তবে জান্নাতের কার্যাবলীই তার জন্যে সহজ হবে। আর যদি জাহান্নামের জন্যে সৃষ্টি করে থাকেন তবে জাহান্নামের কার্যাবলীই তার জন্যে সহজ হবে। এই কথার সত্যতা আল্লাহর কিতাবের নিম্নের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়ঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ শপথ মানুষের এবং তার, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন । অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও তার সঙ্কর্মের জ্ঞান দান করেছেন।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)আল্লাহ পাকের উক্তিঃ সেই সফলকাম হবে, যে নিজেকে পবিত্র রাখবে এবং সেই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে। অর্থাৎ যে নিজেকে আল্লাহর আনুগত্যে নিয়োজিত রাখবে সে কৃতকার্য হবে যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে যে পবিত্রতা অর্জন করে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে ও নামায আদায় করে । আর সেই ব্যর্থ হবে, যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে, এ ভাবে যে, সে নিজেকে হিদায়াত থেকে সরিয়ে নিবে, ফলে সে নাফরমানীতে নিয়োজিত থাকবে এবং আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে দিবে। পরিণামে সে ব্যর্থ ও নিরাশ হবে। আর এও অর্থ হতে পারেঃ যে নক্সকে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র করেছেন সে সফলকাম হয়েছে। আর যে নক্সকে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা নিচে নিক্ষেপ করেছেন সে বরবাদ, ক্ষতিগ্রস্ত ও নিরুপায় হয়েছে। আওফী ( রঃ ) এবং আলী ইবনে আবী তালহা ( রঃ ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে এরূপই বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের একটি ক্রটি এই যে, জুওয়াইবির ( ইবনে সাঈদ ) হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে পরিত্যক্ত অর্থাৎ উসূলে হাদীসের পরিভাষায় মাতরূকুল হাদীস'। দ্বিতীয় ক্রটি এ যে, হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণনাকারী যহহাকের ( রঃ ) তার সাথে সাক্ষাৎ প্রমাণিত নয়। মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী করীম ( সঃ ) কে ( আরবি ) এ আয়াতের তাফসীরে বলতে শুনেছেনঃ “ যে নক্সকে আল্লাহ পবিত্র করেছেন সেই নক্স নিষ্কৃতি লাভ করেছে ।” হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখন ( আরবি ) পাঠ করতেন তখন তিনি থেমে যেতেন। অতঃপর বলতেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমার নক্সকে আপনি ধর্মানুরাগ দান করুন! আপনিই ওর অভিভাবক ও প্রভু এবং ওর সর্বোত্তম পবিত্রকারী ।” ( এ হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে ( আরবি ) পাঠ করার পর বলতে শুনেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমার নক্সকে আপনি সংযমশীলতা দান করুন । এবং ওকে পবিত্র করুন! আপনি তো ওর সর্বোত্তম পবিত্রকারী! আপনিই ওর ওয়ালী ও মাওলা।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবী হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ একদা রাত্রে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি দেখি যে, নবী করীম ( সঃ ) বিছানায় নেই । আমি তখন অন্ধকারে হাতরাতে লাগলাম। হঠাৎ তার উপর আমার হাত পড়ে গেল। ঐ সময় তিনি সিজদায় ছিলেন এবং পাঠ করছিলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমার নফসকে আপনি সংযমশীলতা দান করুন! এবং ওকে পবিত্র করুন! আপনি তো ওর সর্বোত্তম পবিত্রকারী । আপনি ওর ওয়ালী ও মাওলা।” ( এ হাদীসটি শুধু ইমাম আহমদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) নিম্নের দু'আটি পাঠ করতেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমি অক্ষমতা ও অলসতা হতে, এবং বার্ধক্য, ভীরুতা,কৃপণতা ও কবরের আযাব হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি । হে আল্লাহ! আমার অন্তরে তাকওয়া দান করুন এবং ওকে পবিত্র করে দিন! আপনিই তো ওর সর্বোত্তম পবিত্রকারী। আপনিই ওর ওয়ালী ও মাওলা। হে আল্লাহ! আপনার ভয় নেই এমন অন্তরের অধিকারী হওয়া থেকে আমাকে রক্ষা করুন এবং এমন নফস হতে রক্ষা করুন যা কখনো পরিতৃপ্ত হয় না। এমন ইলম হতে রক্ষা করুন যা কোন উপকারে আসে না। আর এমন দু’আ হতে রক্ষা করুন যা কবুল হয় না।”হযরত যায়েদ ( রাঃ ) বলেনঃ “ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদেরকে এ দু'আ শিখাতেন এবং আমরা তোমাদেরকে তা শিখাচ্ছি ।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) এবং ইমাম মুসলিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)
সূরা শাম্স আয়াত 10 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না।
- তোমরা জেনে রাখ তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রসূল রয়েছেন। তিনি যদি অনেক বিষয়ে তোমাদের আবদার মেনে
- তোমাদের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি মাত্র প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের সমান বৈ নয়। নিশ্চয় আল্লাহ
- আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
- বলুনঃ হে আহলে কিতাবগন, তোমরা স্বীয় ধর্মে অন্যায় বাড়াবাড়ি করো না এবং এতে ঐ সম্প্রদায়ের
- মিসরে যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করল, সে তার স্ত্রীকে বললঃ একে সম্মানে রাখ। সম্ভবতঃ সে
- আল্লাহ মানুষের জন্য অনুগ্রহের মধ্য থেকে যা খুলে দেন, তা ফেরাবার কেউ নেই এবং তিনি
- মূসা বললেনঃ এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে সাথে রাখবেন
- বলে দাও-হে মানবকুল, তোমরা যদি আমার দ্বীনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাক, তবে (জেনো) আমি তাদের
- মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা শাম্স ডাউনলোড করুন:
সূরা Shams mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Shams শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers