কোরান সূরা মুজাদালা আয়াত 10 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Mujadilah ayat 10 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুজাদালা আয়াত 10 আরবি পাঠে(Mujadilah).
  
   

﴿إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ﴾
[ المجادلة: 10]

এই কানাঘুষা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত সে তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। [সূরা মুজাদালা: 10]

Surah Al-Mujadilah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Mujadilah ayat 10


নিঃসন্দেহ সলা-পরামর্শ কেবল শয়তানের তরফ থেকে হয়ে থাকে, যেন সে যন্ত্রণা দিতে পারে তাদের যারা ঈমান এনেছে, বস্তুত তাদের কোনো অনিষ্ট হতে পারে না আল্লাহ্‌র অনুমতি ব্যতীত। কাজেই আল্লাহ্‌র উপরেই তবে নির্ভর করুক বিশ্বাসিগণ।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০. পাপ, শত্রæতা ও রাসূলের অবাধ্যতার কাজে কানাকানি শয়তান কর্তৃক প্রলোভন ও তার চেলাদেরকে প্ররোচনা দেয়ার নামান্তর। যাতে করে মু’মিনদের অন্তরে দুশ্চিন্তা প্রবিষ্ট করে যে, তাদের জন্য ফন্দি আঁটা হচ্ছে। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুমতি ও ইচ্ছা ব্যতীত শয়তান ও তার প্রলোভন কোন ক্ষতি করতে পারে না। মুমিনদের উচিৎ সর্ব বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এই গোপন পরামর্শ তো শয়তানেরই প্ররোচনা, যাতে বিশ্বাসীরা দুঃখ পায়।[১] তবে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত শয়তান তাদের সামান্যতমও ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়। আর বিশ্বাসীদের কর্তব্য আল্লাহর উপরই নির্ভর করা। [২] [১] অর্থাৎ, পাপাচার, সীমালঙ্ঘন এবং রসূল ( সাঃ )-এর অবাধ্যতার বিষয়ে কানাকানি করা হল শয়তানের কাজ। কারণ, শয়তানই এ কাজ করতে উস্কানি দেয় এবং এর মাধ্যমে সে মু'মিনদেরকে মনঃকষ্ট ও দুশ্চিন্তায় ফেলতে চায়। [২] তবে এ সব কানাকানি এবং শয়তানী কার্যকলাপ মু'মিনদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না, যদি আল্লাহর ইচ্ছা না থাকে। কাজেই তোমরা শত্রুদের এই নিকৃষ্ট আচরণে চিন্তিত না হয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখ। কেননা, যাবতীয় বিষয়ের একচ্ছত্র এখতিয়ার ও ক্ষমতা কেবল তাঁরই হাতে এবং তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। ইয়াহুদী এবং মুনাফিকদের হাতে কিছুই নেই; যারা তোমাদের সর্বনাশ করতে চায়। কানাকানি করার ব্যাপারেই মুসলিমদেরকে একটি নৈতিক শিক্ষা এও দেওয়া হয়েছে যে, যখন তোমরা তিনজন একত্রে থাকবে, তখন তোমাদের মধ্য থেকে একজনকে বাদ দিয়ে দু'জনে আপোসে কানাকানি করবে না। কারণ, এ কাজ ঐ একজনের মনে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করবে। ( বুখারীঃ অনুমতি অধ্যায়, মুসলিমঃ সালাম অধ্যায় ) অবশ্য তার সম্মতি ও অনুমতি থাকলে এমন করা জায়েয হবে। কেননা, এই ক্ষেত্রে দুই ব্যক্তির কানাকানি করা কারো জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


গোপন পরামর্শ তো কেবল শয়তানের প্ররোচনায় হয় মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্য। তবে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শয়তান তাদের সামান্যতম ক্ষতি সাধনেও সক্ষম নয়। অতএব আল্লাহ্‌র উপরই মুমিনরা যেন নির্ভর করে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৮-১০ নং আয়াতের তাফসীর: মুজাহিদ ( রঃ ) বলেন যে, যাদেরকে গোপন পরামর্শ করতে নিষেধ করা হয়েছিল তারা ছিল ইয়াহূদী। মুকাতিল ইবনে হাইয়ান ( রঃ ) বলেন যে, নবী ( সঃ ) ও ইয়াহুদীদের মাঝে যখন চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় তখন ইয়াহুদীরা এই কাজ করতে শুরু করে যে, যেখানেই তারা কোন মুসলমানকে দেখতে এবং যেখানেই কোন মুসলমান তাদের কাছে যেতো তখন তারা এদিকে-ওদিকে একত্রিত হয়ে চুপে-চুপে এবং ইশারা-ইঙ্গিতে এমনভাবে কানাকানি করতো যে, যে মুসলমান একাকী তাদের কাছে থাকতো সে ধারণা করতো যে, তারা তাকে হত্যা করারই চক্রান্ত করছে। তার আরো ধারণা হতো যে, তারা তার বিরুদ্ধে এবং অন্যান্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে গোপন সড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। সুতরাং সে তাদের কাছে যেতেও ভয় কর তো। যখন সাধারণভাবে এসব অভিযোগ রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর কানে পৌছতে লাগলো তখন তিনি তাদেরকে এই ঘৃণ্য কাজে বাধা দিলেন এবং চরমভাবে নিষেধ করলেন। কিন্তু এর পরেও তারা আবার এ কাজে লেগে পড়লো।হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা হতে এবং তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি ( তাঁর দাদা ) বলেনঃ “ আমরা রাত্রে পালাক্রমে রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর খিতমতে হাযির হতাম, উদ্দেশ্য এই যে, রাত্রে তাঁর কোন কাজের প্রয়োজন হলে আমরা তা করে দিবো । একদা রাত্রে যাদের পালা ছিল তারা এসে গেল এবং আরো কিছু লোক সওয়াবের নিয়তে এসে পড়লো। লোক খুব বেশী একত্রিত হওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে এদিকে-ওদিকে বসে পড়লাম। প্রত্যেক দল নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে লাগলো। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) এসে পড়লেন। তিনি বললেনঃ “ তোমরা কি গোপন পরামর্শ করছো? আমি কি তোমাদেরকে এর থেকে নিষেধ করিনি?” উত্তরে আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করছি । আমরা মাসীহ দাজ্জালের আলোচনা করছিলাম। কেননা, তার ব্যাপারে আমাদের মনে খটকা লাগছে। তিনি একথা শুনে বললেনঃ “ আমি তোমাদের উপর তার চেয়েও যে বিষয়ে বেশী ভয় করি তার খবর কি তোমাদেরকে দিবো না?” আমরা বললামঃ হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাদেরকে আপনি ঐ খবর দিন! তিনি বললেনঃ “তা হলো গোপন শিরক । তা এই ভাবে যে, একটি লোকে দাড়িয়ে গেল এবং লোকদেরকে দেখাবার জন্যে কোন ( ইবাদতের ) কাজ করলো।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। এর ইসনাদ গারীব এবং এতে কোন কোন বর্ণনাকারী দুর্বল রয়েছেন)এরপর আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ তারা পাপাচরণ, সীমালংঘন ও রাসূল ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণের জন্যে কানাকানি করে। অর্থাৎ তারা হয়তো পাপের কাজের উপর কানাকানি করে যাতে তাদের নিজেদেরই ক্ষতি হয়, কিংবা হয়তো যুলুমের কাজে কানাকানি করে যাতে তারা অন্যদের ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র করে, অথবা তারা রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণের উপর কানাকানি করে এবং তার বিরুদ্ধাচরণ করতে একে অপরকে পাকিয়ে তোলে।আল্লাহ্ তা'আলা ঐ পাপী ও বদ লোকদের আর একটি জঘন্য আচরণের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা সালামের শব্দের পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। তারা রাসূল ( সঃ )-কে এমন কথা দ্বারা অভিবাদন করে যদদ্বারা আল্লাহ্ তাঁকে অভিবাদন করেননি।হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা কয়েকজন ইয়াহূদী রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর দরবারে হাযির হয়ে বলেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে আবুল কাসেম ( সঃ )! তোমার মৃত্যু হোক ( তাদের উপর আল্লাহর লা'নত বর্ষিত হোক! )” তখন হযরত আয়েশা ( রাঃ ) প্রতি উত্তরে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “তোমাদের মৃত্যু হোক ।” একথা শুনে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেনঃ “ হে আয়েশা ( রাঃ )! নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মন্দ বচন ও কঠোর উক্তিকে অপছন্দ করেন । হযরত আয়েশা ( রাঃ )! তখন বলেনঃ “ আপনি কি শুনেননি যে, তারা আপনাকে ( আরবী ) বলেছে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “তুমি কি শুননি যে, আমি তাদেরকে ( আরবী ) বলেছি?” তখন আল্লাহ্ তা'আলা ...
( আরবী )আয়াতটি অবতীর্ণ করেন ।
( এ হাদীসটিও ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)সহীহ্ এর মধ্যে অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, হযরত আয়েশা ( রাঃ ) বলেছিলেনঃ ( আরবী )এবং রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছিলেনঃ “ তাদের ব্যাপারে আমাদের দু'আ কবুল হয়েছে এবং আমাদের ব্যাপারে তাদের দু'আ কবূল হয়নি ।”হযরত আনাস ইবনে মালিক ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) তাঁর সাহাবীবর্গসহ বসেছিলেন এমতাবস্থায় একজন ইয়াহূদী এসে তাদেরকে সালাম করলো। তারা তার সালামের উত্তর দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বললেনঃ “ সে কি বললো তা কি তোমরা জান?” তাঁরা উত্তরে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! সে তো সালাম করলো ।” তিনি বললেনঃ “ বরং সে ( আরবী ) বলেছে । অর্থাৎ ‘তোমাদের ধর্ম মিটে যাক’ বা ‘তোমাদের ধর্মের পরাজয় ঘটুক।” অতঃপর তিনি বললেনঃ “ তাকে ডেকে আনেনা ।” তখন সহাবীগণ ( রাঃ ) তাকে ডেকে আনলেন। রাসূলুল্লাহ( সঃ ) তখন তাকে বললেনঃ “ তুমি কি বলেছো?” সে উত্তরে বললোঃ “হ্যাঁ ।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সাহাবাদেরকে বললেনঃ “ যদি আলে কিতাবদের কেউ তোমাদেরকে সালাম দেয় তবে তোমরা বলবেঃ অর্থাৎ ‘তোমার উপরও ওটাই যা তুমি বললে'( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। সহীহ্ গ্রন্থেও এ হাদীসটি হযরত আয়েশা ( রাঃ ) হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে)ঐ লোকগুলো নিজেদের কৃতকর্মের উপর খুশী হয়ে মনে মনে বলতোঃ যদি ইনি সত্যি আল্লাহর নবী হতেন তবে আমাদের এই চক্রান্তের কারণে আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই দুনিয়াতেই আমাদেরকে শাস্তি দিতেন। কেননা, আল্লাহ তা'আলা তো আমাদের ভিতরের অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তাই আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেন যে, তাদের জন্যে পরকালের শাস্তিই যথেষ্ট, যেখানে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। কত নিকৃষ্ট সেই আবাস!হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, এই আয়াতের শানে নুযূল হলো ইয়াহূদের এই ভাবে সালাম দেয়ার পদ্ধতি। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, মুনাফিকরা এভাবেই সালাম দিতো। এরপর আল্লাহ্ তা'আলা মুমিনদেরকে আদব শিক্ষা দিচ্ছেন। বলছেনঃ হে মুমিনগণ! তোমরা এই মুনাফিক ও ইয়াহূদীদের মত কাজ করো না। তোমরা যখন গোপনে পরামর্শ কর তখন সেই পরামর্শ যেন পাপাচরণ, সীমালংঘন ও রাসূল ( সঃ )-এর বিরুদ্ধাচরণ সম্পর্কে না হয়। তোমরা কল্যাণকর কাজ ও তাকওয়া অবলম্বনের পরামর্শ করবে। তোমাদের সদা-সর্বদা আল্লাহকে ভয় করে চলা উচিত যার কাছে তোমাদের সকলকেই একত্রিত হতে হবে, যিনি ঐ সময় তোমাদেরকে প্রত্যেক পুণ্য ও পাপের পুরস্কার ও শাস্তি প্রদান করবেন। আর তোমাদের সমস্ত কাজ-কর্ম ও কথাবর্তা সম্পর্কে তোমাদেরকে তিনি অবহিত করবেন। তোমরা যদিও ভুলে গেছো, কিন্তু তাঁর কাছে সবই রক্ষিত ও বিদ্যমান রয়েছে।হযরত সাফওয়ান ( রঃ ) বলেনঃ “ আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার ( রাঃ )-এর হাত ধারণ করেছিলাম এমন সময় একটি লোক এসে তাকে জিজ্ঞেস করলোঃ “কিয়ামতের দিন যে আল্লাহ্ তা'আলার সাথে মুমিনদের কানাকানি হবে এ সম্পর্কে আপনি রাসূলুল্লাহ( সঃ ) হতে কি শুনেছেন?” হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার ( রাঃ ) উত্তরে বলেনঃ “আমি রাসূলুল্লাহ( সঃ )-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তাআলা মুমিনকে নিজের কাছে ডেকে নিবেন এবং তাকে তার এমনই কাছে করবেন যে, স্বীয় হস্ত তার উপর রেখে দিবেন এবং লোকেদের হতে তাকে পর্দা করবেন । অতঃপর তাঁকে গুনাহসমূহ স্বীকার করিয়ে নিবেন। তাকে তিনি জিজ্ঞেস করবেনঃ “ তোমার অমুক অমুক পাপ কর্মের কথা মনে আছে কি?” এভাবে তিনি তাকে প্রশ্ন করতে থাকবেন এবং সে স্বীকার করতে থাকবে । আর সে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার চিন্তায় ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যে মহান আল্লাহ্ তাকে বলবেনঃ “ দেখো, দুনিয়ায় আমি তোমার এসব গুনাহ্ ঢেকে রেখেছিলাম এবং আজ আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম ।” অতঃপর তাকে তার পুণ্যসমূহের আমলনামা প্রদান করা হবে। কিন্তু কাফির ও মুনাফিকদের ব্যাপারে সাক্ষীগণ ঘোষণা করবেঃ “ এরা হলো ঐ সব লোক যারা তাদের প্রতিপালকের উপর মিথ্যা আরোপ করতো, জেনে রেখো যে, অত্যাচারীদের উপর আল্লাহর লা'নত' ।" ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী ( রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) তাঁদের সহীহ্ গ্রন্থে কাতাদাহ ( রঃ )-এর হাদীস হতে এটা তাখরীজ করেছেন)এরপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ শয়তানের প্ররোচনায় হয় এই গোপন পরামর্শ, মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্যে। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত শয়তান বা অন্য কেউ তাদের সমান্যতম ক্ষতি সাধনেও সক্ষম নয়। মুমিনরা যদি এরূপ কোন কার্যকলাপের আভাস পায় তবে তারা যেন ( আরবী ) পাঠ করে ও আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে এবং তাঁরই উপর ভরসা করে। এরূপ করলে ইনশাআল্লাহ্ শয়তান তাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। যে কানাকানির কারণে কোন মুসলমানের মনে কষ্ট হয় এবং সে তা অপছন্দ করে এরূপ কানাকানি হতে হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যখন তোমরা তিনজন থাকবে তখন যেন দুইজন একজনকে বাদ দিয়ে কানাকানি না করে, কেননা এতে ঐ তৃতীয় ব্যক্তির মনে কষ্ট হয় ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী ( রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) আমাশ ( রঃ )-এর হাদীস হতে এটা তাখরীজ করেছেন)হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ যখন তোমরা তিনজন থাকবে তখন যেন দুইজন তৃতীয় জনের অনুমতি ছাড়া তাকে বাদ দিয়ে কানাকানি করে। কেননা, এতে সে মনে দুঃখ ও ব্যথা পায়।” ( এ হাদীসটি আবদুর রাযযাক (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেছেন)

সূরা মুজাদালা আয়াত 10 সূরা

إنما النجوى من الشيطان ليحزن الذين آمنوا وليس بضارهم شيئا إلا بإذن الله وعلى الله فليتوكل المؤمنون

سورة: المجادلة - آية: ( 10 )  - جزء: ( 28 )  -  صفحة: ( 543 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহর সান্নিধ্যেই তোমাদেরকে ফিরে যেতে হবে। আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
  2. যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তবে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ, অতঃপর
  3. বাদশাহ বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম, সাতটি মোটাতাজা গাভী-এদেরকে সাতটি শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি
  4. যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না।
  5. এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি। যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন
  6. মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ
  7. নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ। আপনি জিজ্ঞেস করুন, যদি তাই হয়,
  8. দিবারাত্রির পরিবর্তনে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে রিযিক (বৃষ্টি) বর্ষণ করেন অতঃপর পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর
  9. তারা তাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী।
  10. এরা চিরকাল এ লা’নতের মাঝেই থাকবে। তাদের উপর থেকে আযাব কখনও হালকা করা হবে না

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুজাদালা ডাউনলোড করুন:

সূরা Mujadilah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Mujadilah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুজাদালা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুজাদালা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুজাদালা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুজাদালা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুজাদালা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب