কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 110 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 110 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 110 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا﴾
[ الكهف: 110]

বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে। [সূরা কাহ্ফ: 110]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 110


বলো -- ''আমি নিঃসন্দেহ তোমাদেরই মতন একজন মানুষ, আমার কাছে প্রত্যাদিষ্ট হয়েছে যে নিঃসন্দেহ তোমাদের উপাস্য একক উপাস্য, সেজন্য যে কেউ তার প্রভুর সঙ্গে মুলাকাতের কামনা করে সে তবে সৎকর্ম করুক এবং তার প্রভুর উপাসনায় অন্য কাউকেও শরীক না করুক।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১১০. হে রাসূল! আপনি বলে দিন: আমি কেবল তোমাদের ন্যায় একজন মানুষ মাত্র। তবে আমার নিকট এ ব্যাপারে ওহী করা হয় যে, তোমাদের সত্য মা’বূদ একক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি হলেন আল্লাহ। সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাতের ভয় পায় সে যেন তার প্রতিপালকের প্রতি একান্ত নিষ্ঠা রেখে শরীয়ত মাফিক নেক আমল করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি বল, ‘আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ; [১] আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের উপাস্যই একমাত্র উপাস্য;[২] সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের উপাসনায়[৩] কাউকেও শরীক না করে।’ [১] এই কারণে আমিও প্রতিপালকের বাণী ও কথা পরিপূর্ণরূপে জ্ঞাত হতে সক্ষম নই। [২] তবে অবশ্যই আমাকে এ বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে যে, আমার নিকট আল্লাহর অহী আসে। সেই অহী দ্বারাই আমি 'আসহাবে কাহফ' ( গুহাবাসী ) ও যুলক্বারনাইন সম্পর্কে আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত কথা তোমাদের সামনে তুলে ধরেছি। যা ইতিহাসের অতল তলে তলিয়ে ছিল বা যার প্রকৃতত্ব রূপকথায় পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া ঐ অহীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতত্ত্বপূর্ণ যে নির্দেশ আমাকে দেওয়া হয়েছে, তা হল তোমাদের মাবূদ ( উপাস্য ) শুধুমাত্র একজন। [৩] নেক আমল হল তাই, যা সুন্নাহর মোতাবেক হয়। অর্থাৎ যারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে দৃঢ়-বিশ্বাসী প্রথমতঃ তাদের উচিত প্রতিটি কাজ সুন্নাহ ( সহীহ হাদীস ) মোতাবেক করা, দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর ইবাদতে কাউকেও শরীক না করা। যেহেতু বিদআত ও শিরক; এই দু'টি হল, আমল পন্ড হওয়ার মূল কারণ। আল্লাহ প্রতিটি মুসলিমকে শিরক ও বিদআত হতে দূরে রাখুন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র সত্য ইলাহ। কাজেই যে তার রব-এর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার রব-এর ‘ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে [] [] এ আয়াতকে দ্বীনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে, এখানে এমন দু'টি শর্ত বৰ্ণনা করা হয়েছে যার উপরই সমস্ত দ্বীন নির্ভর করছে। এক, কার ইবাদত করছে দুই, কিভাবে করছে। একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে ইখলাসের সাথে। আবার সে ইবাদত হতে হবে নেক আমলের মাধ্যমে। আর নেক আমল হবে একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে আমল করলেই। মোদ্দাকথা, শির্ক ও বিদ“ আত থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে এ আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে । এখানে উল্লেখিত শির্ক শব্দ দ্বারা যাবতীয় শির্কই বোঝানো হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু কিছু শির্ক আছে যেগুলো শির্ক হওয়া অত্যন্ত স্পষ্ট তাই তা থেকে বাঁচা খুব সহজ। এর বিপরীতে কিছু কিছু শির্ক আছে যেগুলো খুব সুক্ষ্ম বা গোপন। এ সমস্ত গোপন শির্কের উদাহরণের মধ্যে আছে, সামান্য রিয়া তথা সামান্য লোক দেখানো মনোবৃত্তি। সারমর্ম এই যে, আয়াতে যাবতীয় শির্ক হতে। তবে বিশেষ করে রিয়াকারীর গোপন শির্ক থেকে বারণ করা হয়েছে। আমল আল্লাহর উদ্দেশ্যে হলেও যদি তার সাথে কোনরূপ সুখ্যাতি ও প্রভাব-প্রতিপত্তির বাসনা থাকে, তবে তাও এক প্রকার গোপন শির্ক। এর ফলে মানুষের আমল বরবাদ এবং ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। মাহমুদ ইবনে লবীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “ আমি তোমাদের সম্পর্কে যে বিষয়ে সর্বাধিক আশংকা করি, তা হচ্ছে ছোট শির্ক । সাহাবায়ে কেরাম নিবেদন করলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! ছোট শির্ক কি? তিনি বললেনঃ রিয়া। [ আহমাদঃ ৫/৪২৮, ৪২৯ ] অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, “ কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা যখন বান্দাদের কাজকর্মের প্রতিদান দেবেন, তখন রিয়াকার লোকদেরকে বলবেনঃ তোমরা তোমাদের কাজের প্রতিদান নেয়ার জন্য তাদের কাছে যাও, যাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তোমরা কাজ করেছিলে । এরপর দেখ, তাদের কাছে তোমাদের জন্য কোন প্রতিদান আছে কি না '' কেননা, আল্লাহ শরীকদের শরীকানার সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী। [ তিরমিযীঃ ৩১৫৪, ইবনে মাজাহঃ ৪২০৩, আহমাদঃ ৪/৪৬৬, বায়হাকী শু'আবুল ঈমানঃ ৬৮১৭ ] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে, আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ আমি শরীকদের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উর্ধের্ব। যে ব্যক্তি কোন সৎকর্ম করে এবং তাতে আমার সাথে অন্যকেও শরীক করে, আমি সেই আমল শরীকের জন্য ছেড়ে দেই। অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, আমি সেই আমল থেকে মুক্ত; সে আমলকে আমি তার জন্যই করে দেই, যাকে সে আমার সাথে শরীক করেছিল। [ মুসলিমঃ ২৯৮৫ ] আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি সুখ্যাতি লাভের জন্য সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তা'আলাও তার সাথে এমনি ব্যবহার করেন; যার ফলে সে ঘূণিত ও লাঞ্ছিত হয়ে যায়। [ আহমাদঃ ২/১৬২, ১৯৫, ২১২, ২২৩ ] অন্য হাদীসে এসেছে, “ পিপড়ার নিঃশব্দ গতির মতই শির্ক তোমাদের মধ্যে গোপনে অনুপ্রবেশ করে । ” তিনি আরো বললেনঃ আমি তোমাদেরকে একটি উপায় বলে দিচ্ছি যা করলে তোমরা বড় শির্ক ও ছোট শির্ক ( অর্থাৎ রিয়া ) থেকে নিরাপদ থাকতে পারবে। তোমরা দৈনিক তিনবার এই দো’আ পাঠ করো। اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوذُبِكَ أَنْ أُشْرِ كَ بِكَ شَيْىًٔا وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَنْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ [ মুসনাদে আবু ইয়ালাঃ ১/৬০, ৬১ নং ৫৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ১০/২২৪ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত মুআবিয়া ইবনু আবি সুফিয়ান ( রাঃ ) বলেন যে, এটা হচ্ছে সর্বশেষ আয়াত যা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) উপর অবতীর্ণ হয়। মহান আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে ( সঃ ) নির্দেশ দিচ্ছেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি জনগণের সামনে ঘোষণা করে দাওঃ আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। যদি তোমরা আমাকে মিথ্যাবাদী মনে করে থাকো তবে এই কুরআনের মত একটি কুরআন তোমরাও আনয়ন কর। দেখো, আমি কোন ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা তো নই। তোমরা আমাকে যুলকারনাইনের ঘটনা জিজ্ঞেস করেছে এবং গুহাবাসীদের ঘটনা সম্পর্কেও প্রশ্ন করেছে। আমি তাদের সঠিক ঘটনা তোমাদের সামনে বর্ণনা করে দিয়েছি যা প্রকৃত ঘটনার সাথে সম্পূর্ণরূপে মিলে গেছে। যদি আমার কাছে আল্লাহর ওয়াহী না আসতো, তবে আমি এসব অতীতের ঘটনা সঠিকভাবে কি করে তোমাদের সামনে বর্ণনা করতে পারতাম? জেনে রেখো যে, সমস্ত ওয়াহীর সারমর্ম হচ্ছেঃ তোমরা একত্ববাদী হয়ে যাও, শিরক পরিত্যাগ কর, আমার দাওয়াত এটাই। তোমাদের যে কেউ আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করে বিনিময় ও পুরস্কার পেতে চায়, সে যেন শরীয়ত অনুযায়ী আমল করে এবং শিককে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করে। এ দুটো রুকন ছাড়া কোন আমলই আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। আমলে আন্তরিকতা থাকতে হবে এবং সুন্নাতের মুতাবেক হতে হবে।হযরত তাউস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, একটি লোক জিজ্ঞেস করলোঃ“ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমি এমন অনেক ভাল কাজ করি যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং সাথে সাথে এটাও চাই যে, লোকেরা আমার আমল দেখুক ( ও আমার সুনাম করুক! আমার এ ব্যাপারে হুকুম কি? )রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তার একথার কোন জবাব দিলেন না। তখন ( আরবী ) এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। ( এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি মুরসাল) বর্ণিত আছে যে, একটি লোক হযরত উবাদা ইবনু সামিতকে ( রাঃ ) জিজ্ঞেস করেঃ “ একটি লোক নামায পড়ে, রোযা রাখে, দান খয়রাত করে এবং হজ্ব করে, আর এগুলি দ্বারা সে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে এবং এটাও চায় যে, তার প্রশংসা করা হোক ( তার ব্যাপারে হুকুম কি? )” উত্তরে হযরত উবাদা ইবনু সামিত ( রাঃ ) বলেনঃ “ তার এই সমুদয় ইবাদতই বৃথা হবে । আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আমার কোন শরীক নেই। যে ব্যক্তি আমার সাথে অন্য কাউকেও শরীক করে, তার সমুদয় ইবাদত তারই জন্যে। তাতে আমার কোনই প্রয়োজন নেই।"হযরত আবু সাঈদ খদুরী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমরা পালাক্রমে রাসূলুল্লাহ( সঃ ) কাছে আসতাম এবং রাত্রি যাপন করতাম । তার কোন কাজ থাকলে তিনি বলে দিতেন। এরূপ লোকের সংখ্যা অনেক ছিল। একদা রাত্রে আমরা পরস্পর আলাপ আলোচনা করছিলাম এমন সময় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদের নিকট আগমন করেন এবং জিজ্ঞেস করেনঃ “ তোমরা এ সব কি সলা পরামর্শ করছো?” উত্তরে আমরা বললামঃ “হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমরা তাওবা করছি, আমরা মাসীহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম এবং আমাদের হৃদয় ভয়ে প্রকম্পিত হচ্ছিল । তখন তিনি বললেনঃ “ আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও বেশী ভয়াবহ বিষয়ের খবর দেবো? সেটা হচ্ছে গোপন শিক যে, মানুষ অন্য মানুষকে দেখাবার জন্যে নামায পড়ে ।( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)ইবনু গানাম ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমি ও হযরত আবুদ দারদা ( রাঃ ) জাবিয়ার মসজিদে গমন করি । সেখানে হযরত উবাদা ইবনু সামিতের ( রাঃ ) সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁর বাম হাত দ্বারা আমার ডান হাত ধারণ করেন এবং তার ডান হাত দ্বারা হযরত আবুদ দারদার ( রাঃ ) বাম হাত ধরেন এবং এইভাবে আমরা তিনজন কথা বলতে বলতে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। অতঃপর তিনি আমাদের দুজনকে সম্বোধন করে বললেনঃ “ দেখুন! যদি আপনাদের কোন একজন অথবা দু'জনই কিছুদিন বয়স পান তবে খুব সম্ভব যে, আপনারা ঐ সময়কেও দেখতে পাবেন যে, যারা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) যবনি থেকে কুরআন শিক্ষা করেছেন এরূপ ভাল লোক হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম জেনে প্রত্যেক হুকুমকে যথাস্থানে রেখেছেন, তারা আগমন করবেন এবং জনগণের মধ্যে তাদের কদর ও মর্যাদা এমনই হবে যেমন মৃতগাধার মাথা । আমাদের মধ্যে এইরূপ কথাবার্তা চলছিল এমন সময় হযরত শাদ্দাদ ইবনু আউস ( রাঃ ) হযরত আউফ ইবনু মালিক ( রাঃ ) আমাদের কাছে এসে পড়লেন এবং বসে গিয়েই হযরত শাদ্দাদ ( রাঃ ) বললেনঃ “ হে লোক সকল! আমি তোমাদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী ওটারই ভয় করছি যা রাসূলুল্লাহ( সঃ ) মুখে শুনেছি । অর্থাৎ গোপন প্রবৃত্তি ও শিক।" একথা শুনে হযরত উবাদা ( রাঃ ) হযরত আবুদ দারদা ( রাঃ ) বলেনঃ আল্লাহ ক্ষমা করুন! রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদেরকে বলেছিলেনঃ “এই আরব উপদ্বীপে শয়তানের উপাসনা করা হবে এর থেকে সে নিরাশ হয়ে গেছে । তবে গোপন কুপ্রবৃত্তি ও কামভাব, এটা আমাদের জানা আছে। এটা হচ্ছে দুনিয়া ও স্ত্রী লোকদের প্রতি আকর্ষণ ইত্যাদি। কিন্তু হে শাদ্দাদ ( রাঃ ) ! এই শিরক আমাদের বোধগম্য হয় না যা থেকে আপনি আমাদেরকে ভয় প্রদর্শন করেছেন।” তখন শাদ্দাদ ( রাঃ ) বলতে লাগলেনঃ “ আচ্ছা বলুন তো, একটি লোক অন্যদেরকে দেখাবার জন্যে নামায পড়ে, রোযা রাখে এবং দান খায়রাত করে, আপনার মতে তার হুকুম কি? সে শিরক করলো কি?" সবাই সমস্বরে বলে উঠলেনঃ “হাঁ, অবশ্যই ঐ ব্যক্তি মুশরিক । তিনি তখন বললেনঃ “ আমি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি দুনিয়াকে দেখাবার জন্যে রোযা রাখে সে মুশরিক এবং যে ব্যক্তি জনগণের মধ্যে নিজেকে দাতা হিসেবে পরিচিত করার জন্যে দান খায়রাত করে সেও মুশরিক ।" একথা শুনে হযরত আউস ইবনু মালিক ( রাঃ ) বললেনঃ “ এটা হতে পারে না যে, যে আমল আল্লাহ তাআলার জন্যে হবে তা তিনি কবুল করবেন এবং যা অন্যের জন্যে তা তিনি বর্জন করবেন । হযরত শাদ্দাদ ( রাঃ ) তখন বলেনঃ এটা কখনো হতে পারে না। আমি রাসূলুল্লাহকে ( সাঃ ) বলতে শুনেছি যে, মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “ আমি সবচেয়ে বড় অংশীদার । যে কেউ আমার সাথে কোন আমলে অন্যকে শরীক করে, আমি তখন আমার অংশও ঐ অন্যকেই প্রদান করি। আর আমি অত্যন্ত বেপরোয়া ভাবেই আংশিক ও পূর্ণ সব কিছুই পরিত্যাগ করি। ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, একদা হযরত শাদ্দাদ ইবনু আউস ( রাঃ ) ক্রন্দন করতে শুরু করেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “ আপনাকে কিসে কঁদালো?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “একটি হাদীস আমার স্মরণ হয়েছে এবং ওটাই আমাকে কাঁদিয়েছে । আমি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছিঃ “ আমি আমার উম্মতের ব্যাপারে শিক ও গোপন কুপ্রবৃত্তিকেই সবচেয়ে বেশী ভয় করি ।” তাকে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “ হে আল্লাহর রাসুল ( সঃ )! আপনার পরে কি আপনার উম্মত শিক করবে?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “হাঁ, শুনো! তারা সূর্য, চন্দ্র, পাথর এবং মূর্তির পূজা করবে না বটে, কিন্তু তারা আমলে রিয়াকরী করবে ( লোক দেখানো আমল করবে ) গোপন কামভাব এই যে, সকালে রোযা রাখলো এবং যখন প্রবৃত্রি চাহিদার কোন কিছু সামনে আসলো তখন রোযা ছেড়ে দিলো।” ( এ হাদীসটি সুনানে ইবনু মাজাহ্ ও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে )হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেনঃ “আমি হলাম সবচেয়ে উত্তম শরীক । আমার সাথে যে কেউ অন্যকে শরীক করে, আমি আমার নিজের অংশটাও ঐ শরীককে প্রদান করি।” ( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বাযযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবূ হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “আমি হলাম শরীকদের মধ্যে সর্বোত্তম শরীক । যে। ব্যক্তি কোন আমলে আমার সাথে অন্যকে মিলিত করে, আমি তার থেকে মুক্ত এবং তার ঐ সমস্ত আমল ঐ অন্যের জন্যেই।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত মাহমূদ ইবনু লাবীদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শির্ককেই সবচেয়ে বেশী ভয় করছি ।" সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসুল ( সঃ )! ছোট শিরক কি?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “রিয়া ( লোক দেখানো কাজ ) কিয়ামতের দিন মানুষকে তাদের আমলের প্রতিদান দেয়ার সময় আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ “ যাও, যাদের জন্যে তোমরা আমল করতে তাদের কাছেই প্রতিদান প্রার্থনা করো । দেখোতো, তাদের কাছে প্রতিদান বা পুরস্কার পাবে কি?" ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছে)আবু সাঈদ ইবনু আবি ফুযালা' আনসারী ( রাঃ ) যিনি সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) বলতে শুনেছিঃ “ যখন আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্তকে জমা করবেন এমন একদিন যেই দিন সম্পর্কে কোনই সন্দেহ নেই, সেই দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেনঃ “যে ব্যক্তি তার কোন আমলে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও মিলিয়ে নিয়েছে, সে যেন তার ঐ আমলের বিনিময় অন্যের কাছেই চেয়ে নেয় । কেননা, আল্লাহ তাআ'লা শরীকদের শিক থেকে সম্পূর্ণরূপে বেপরোয়া।" ( এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) ও ইমাম ইবনু মাজাহ ( রঃ ) এটাকে মুহাম্মদের ( রঃ ) হাদীস হতে তাখরীজ করেছেন)হযরত আবু বাকরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি মানুষকে দেখাবার জন্যে আমল করেছে, লোকদেরকে দেখিয়েই তাকে শাস্তি দেয়া হবে । আর যে ব্যক্তি নিজের আমলের কথা লোকদেরকে শুনিয়েছে ( এবং এভাবে প্রশংসা লাভ করেছে ), তাকে শাস্তিও মানুষকে শুনিয়েই দেয়া হবে।” ( এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) হতেও অনুরূপ রিওয়াইয়াত বর্ণিত আছে।হযরত ইবনু উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ সৎ আমল করে গর্ব প্রকাশকারীকে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই লাঞ্ছিত করবেন, তার চরিত্র নষ্ট করবেন এবং সে জনগণের দৃষ্টিতে হেয় ও লাঞ্ছিত হবে ।”এটা বর্ণনা করার পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার ( রাঃ ) কাঁদতে লাগলেন। ( এ হাদীসটিও মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে )হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন মানুষের সৎ কার্যাবলীর মোহর লাগানো পুস্তিকা আল্লাহ তাআলার সামনে পেশ করা হবে । মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলবেনঃ “ ওটা নিক্ষেপ কর, এটা কবুল কর । ওটা কবুল কর এবং এটা নিক্ষেপ কর।"ঐ সময় ফেরেশতাগণ আর করবেনঃ “ হে আমাদের প্রতিপালক! এই লোকটির আমলসমূহ তো আমরা ভাল বলেই জানি!” উত্তরে মহান আল্লাহ বলবেনঃ “যে আমলগুলি আমি নিক্ষেপ করতে বলেছি সেগুলি শুধু আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিল না, বরং তাতে রিয়াকারী বা লোক দেখানো উদ্দেশ্যও ছিল । আজ আমি শুধু ঐ আমলগুলিই কবুল করবো যেগুলি একমাত্র আমারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিল। ( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)আবদুল্লাহ ইবনু কায়েস খুযায়ী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, “ যে মানুষকে দেখাবার ও শুনবার জন্যে দণ্ডায়মান হয় সে আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে থাকে যে পর্যন্ত না সে বসে পড়ে ।”হযরত ইবনু মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি মানুষের দেখা অবস্থায় ধীরে সুস্থে ভালভাবে নামায পড়ে এবং একাকী পড়ার সময় অমনোযোগের সাথে তাড়াহুড়া করে । নামায শেষ করে ফেলে, সে তার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত আল্লাহকে হেয় প্রতিপন্ন করে। ( এ হাদীসটি আবূ ইয়ালা (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন)পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আমীর মুআবিয়া ( রাঃ ) এই আয়াতটিকে কুরআনের শেষ আয়াত বলেছেন। কিন্তু তার এই উক্তিটি জটিলতা মুক্ত নয়। কেননা, সূরায়ে কাহফ পুরোপুরি ভাবে মক্কা শরীফেই অবতীর্ণ হয়েছে এবং এটা প্রকাশ্য ব্যাপার যে, এরপর মদিনায় রাবরই দশ বছর পর্যন্ত কুরআন কারীম অবতীর্ণ হতে থাকে। তাহলে বুঝা যায় যে, এর দ্বারা হযরত মুআবিয়ার ( রাঃ ) উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ এইটি শেষ আয়াত এই হিসেবে যে, এটা অন্য কোন আয়াত দ্বারা মানুসূখ হয় নাই এবং ওর হুকুমেরও কোন পরিবর্তন ঘটে নাই। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী ।একটি খুবই গরীব হাদীস হাফিয আবু বকর বায্যার ( রঃ ) স্বীয় কিতাবে আনয়ন করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ( সাঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি ( আরবী ) এই আয়াতটি রাত্রিকালে পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে এতো বড় নূর ( জ্যোতি ) দান করবেন যা আদন হতে মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 110 সূরা

قل إنما أنا بشر مثلكم يوحى إلي أنما إلهكم إله واحد فمن كان يرجو لقاء ربه فليعمل عملا صالحا ولا يشرك بعبادة ربه أحدا

سورة: الكهف - آية: ( 110 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 304 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বলুনঃ আমার ও তোমাদের মধ্যে সত্য প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তো স্বীয় বান্দাদের বিষয়ে
  2. আপনার পূর্বে আমি রসূলগণকে তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণ করেছি। তাঁরা তাদের কাছে সুস্পষ্ট
  3. আল্লঅহ বললেনঃ তোকে অবকাশ দেয়া হল।
  4. এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।
  5. এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
  6. তারপর এরই পরিণতিতে তাদের অন্তরে কপটতা স্থান করে নিয়েছে সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তার তাঁর সাথে
  7. তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শ শুনি না? হঁ্যা,
  8. আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়।
  9. না কোথাও আশ্রয়স্থল নেই।
  10. নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers