কোরান সূরা তারিক আয়াত 10 তাফসীর
﴿فَمَا لَهُ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ﴾
[ الطارق: 10]
সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না। [সূরা তারিক: 10]
Surah At-Tariq in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tariq ayat 10
তখন তার থাকবে না কোনো ক্ষমতা ও না কোনো সাহায্যকারী।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০. তখন কোন মানুষের পক্ষে আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করা যেমন সম্ভব হবে না তেমনিভাবে তাকে সহযোগিতাকারীও কেউ থাকবে না।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
সেদিন তার কোন সামর্থ্য থাকবে না এবং সাহায্যকারীও না।[১] [১] অর্থাৎ, মানুষের নিকট এমন শক্তি থাকবে না যে, সে আল্লাহর আযাব থেকে পরিত্রাণ লাভ করতে পারবে। আর না কোন দিক থেকে তার এমন কোন সাহায্যকারী পাওয়া যাবে, যে তাকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচাতে পারে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
সেদিন তার কোন সামর্থ্য থাকবে না, এবং সাহায্যকারীও নয়।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
আবু হাবল উদওয়ানী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে সাকীফ গোত্রের পূর্ব প্রান্তে ধনুকের উপর অথবা লাঠির উপর ভর দিয়ে , ( আরবি ); এই সূরাটি সম্পূর্ণ পাঠ করতে শুনেন। রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) সেখানে তাদের নিকট সাহায্যের জন্যে গিয়েছিলেন। হযরত আবু হাবল উদওয়ানী ( রাঃ ) সূরাটি মুখস্থ করে নেন। ঐ সময় তিনি মুশরিক ছিলেন। পরে তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন। সাকীফ গোত্রের মুশরিকদেরকে তিনি সূরাটি পাঠ করে শুনান। তারা এটা শুনে বললোঃ “ যদি আমরা তার কথা সত্য বলে জানতাম বা বিশ্বাস করতাম তবে তো আমরা তার আনুগত্যই করতাম ।”সুনানে নাসাঈতে হযরত জাবির ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত মুআয ( রাঃ ) মাগরিবের নামাযে সূরা বাকারাহ্ ও সূরা নিসা পাঠ করেন। তখন নবী করীম ( সঃ ) তাঁকে বলেনঃ “হে মুআয ( রাঃ )! তুমি ( জনগণকে ) ফিত্রায় ফেলবে?( আরবি ) এবং এ ধরনের ( ছোট ছোট ) সূরা পাঠ করাই কি তোমার জন্যে যথেষ্ট ছিল না?” ১-১০ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আকাশ এবং উজ্জ্বল নক্ষত্র রাজির শপথ করছেন। ( আরবি ) এর তাফসীর করা হয়েছে চমকিত তারকা বা নক্ষত্র। কারণ এই নক্ষত্র দিনের বেলায় লুকায়িত থাকে এবং রাত্রিকালে আত্মপ্রকাশ করে। একটি সহীহ্ হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কেউ যেন রাত্রিকালে তার নিজের বাড়ীতে অজ্ঞাতসারে প্রবেশ না করে ।এখানেও ( আরবি ) শব্দ রয়েছে। অন্য একটি হাদীসে এ শব্দটি দুআ' অর্থেও ব্যবহৃত হয়েছে।( আরবি ) বলা হয় চমকিত আলোকপিণ্ডকে যা শয়তানের উপর নিক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে জ্বালিয়ে দেয়। প্রত্যেক লোকের উপর আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হতে একজন হিফাযতকারী নিযুক্ত রয়েছেন। তিনি তাকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে থাকেন। যেমন অন্যত্র রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ তার সামনে-পিছনে পালাক্রমে আগমনকারী ফেরেশতা নিযুক্ত রয়েছে, তারা আল্লাহর আদেশক্রমে তার হিফাযত করে থাকে ।”( ১৩:১১ )এরপর মানুষের দুর্বলতার বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ্ পাক বলেনঃ মানুষের এটা চিন্তা করা উচিত যে, তাকে কি জনিস থেকে সৃষ্টি করা হয়েছেঃ তাদের সৃষ্টির মূল কি? এখানে অত্যন্ত সূক্ষতার সাথে কিয়ামতের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। লা হয়েছেঃ যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি কেন পুৱখানে সক্ষম হবেন না। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন তিনি পুনরুত্থান ঘটাবেন এবং এটা তার জন্যে খুবই সহজ ।” ( ৩০:২৭ )মানুষ সবেগে স্থলিত পানি অর্থাৎ নারী-পুরুষের বীর্যদ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এই বীর্য পুরুষের পৃষ্ঠদেশ হতে এবং নারীর বক্ষদেশ হতে স্খলিত হয়। নারীদের এই বীর্য হলুদ রঙের এবং পাতলা হয়ে থাকে। উভয়ের বীর্যের সংমিশ্রণে শিশুর জন্ম হয়।হার পরার জায়গাকে তারীবা' বলা হয়। কাঁধ থেকে নিয়ে বুক পর্যন্ত জায়গাকেও তারীবা বলা হয়ে থাকে। কণ্ঠনালী হতে বুক পর্যন্ত জায়গাকেও কেউ কেউ তারীবা’ বলেছেন। বুক থেকে নিয়ে উপরের অংশকেও তারীবা’ বলা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, নীচের দিকের চারটি পঞ্জরকে তারীবা’ বলা হয়। কেউ কেউ আবার উভয় স্তনের মধ্যবর্তী স্থানকেও তারীবা' বলেছেন। এ কথাও বলা হয়েছে যে, পিঠ ও বুকের মধ্যবর্তী স্থানকে ( আরবি ) বলা হয়।আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ ( আরবি ) ( নিশ্চয় তিনি তার প্রত্যানয়নে ক্ষমতাবান )। এতে দুটি উক্তি রয়েছে। একটি উক্তি এই যে, এর ভাবার্থ হলোঃ বের হওয়া পানি বা বীর্যকে তিনি ওর জায়গায় ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। এটা মুজাহিদ ( রঃ ), ইকরামা ( রঃ ) প্রভৃতি গুরুজনের উক্তি। দ্বিতীয় উক্তি এই যে, এর ভাবার্থ হলোঃ তাকে পুনরায় সৃষ্টি করে আখেরাতের দিকে প্রত্যাবৃত্ত করতেও তিনি ক্ষমতাবান। এটা হযরত যহ্হাক ( রঃ )-এর উক্তি। ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) এটাকেই পছন্দ করেছেন। কেননা, দলীল হিসেবে এটা কুরআন কারীমের মধ্যে কয়েক জায়গায় উল্লিখিত হয়েছে।এরপর আল্লাহ্ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলেনঃ কিয়ামতের দিন গোপন বিষয়সমূহ খুলে যাবে, রহস্য প্রকাশিত হয়ে পড়বে এবং লুকায়িত সবকিছুই বের হয়ে যাবে।সহীহ্ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ প্রত্যেক গাদ্দার-বিশ্বাসঘাতকের নিতম্বের নিকট তার বিশ্বাসঘাতকতার পতাকা প্রোথিত করা হবে এবং ঘোষণা করা হবেঃ “এই ব্যক্তি হলো অমুকের পুত্র অমুক গাদ্দার, বিশ্বাসঘাতক ও আত্মসাৎকারী । সেই দিন মানুষ নিজেও কোন শক্তি লাভ করবে না এবং তার সাহায্যের জন্যে অন্য কেউও এগিয়ে আসবে না। অর্থাৎ নিজেকে নিজেও আল্লাহ্র আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না এবং অন্য কেউও তাকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে না।
সূরা তারিক আয়াত 10 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- হে লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।
- তুমি তাতে মোড় ও টিলা দেখবে না।
- অথবা তাদের কৃতকর্মের জন্যে সেগুলোকে ধ্বংস করে দেন এবং অনেককে ক্ষমাও করে দেন।
- পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে অনর্থ সৃষ্টি করো না। তাঁকে আহবান কর ভয়
- শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।
- পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?
- অতঃপর তাদের পালনকর্তা তাদের দোয়া (এই বলে) কবুল করে নিলেন যে, আমি তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর
- এবং সে অবশ্য এ বিষয়ে অবহিত
- অতঃপর তারা তার প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।
- যে দিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে বলবেন, তোমরা রসূলগণকে কি জওয়াব দিয়েছিলে?
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তারিক ডাউনলোড করুন:
সূরা Tariq mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tariq শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers