কোরান সূরা আম্বিয়া আয়াত 101 তাফসীর
﴿إِنَّ الَّذِينَ سَبَقَتْ لَهُم مِّنَّا الْحُسْنَىٰ أُولَٰئِكَ عَنْهَا مُبْعَدُونَ﴾
[ الأنبياء: 101]
যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত হয়েছে তারা দোযখ থেকে দূরে থাকবে। [সূরা আম্বিয়া: 101]
Surah Al-Anbiya in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anbiya ayat 101
নিঃসন্দেহ যাদের জন্য আমাদের তরফ থেকে কল্যাণ ইতিমধ্যে ধার্য হয়ে গেছে তদের এ থেকে বহু দূরে রাখা হ বে,
Tafsir Mokhtasar Bangla
১০১. যখন মুশরিকরা বললো: নিশ্চয়ই ‘ঈসা ( আলাইহিস-সালাম ) ও যে ফিরিশতাদের ইবাদাত করা হয়েছে তারা সবাই জাহান্নামে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন: নিশ্চয়ই যাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা পূর্ব থেকেই জানেন যে, তারা নিশ্চয়ই ভাগ্যবান যেমন: ‘ঈসা ( আলাইহিস-সালাম ), তাদেরকে কিন্তু জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে না।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
নিশ্চয় যাদের জন্য আমার নিকট থেকে পূর্ব হতে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে, তাদেরকে তা ( জাহান্নাম ) হতে দূরে রাখা হবে। [১] [১] কোন কোন মানুষের মনে এ প্রশ্ন জাগতে পারে বা মুশরিকদের পক্ষ হতে এ প্রশ্ন উঠতে পারে; বরং বাস্তবে উঠেও থাকে যে, যেমন ঈসা ( আঃ ), উযায়র, ফিরিশতা ও বহু সৎলোকদেরও তো ইবাদত করা হয়ে থাকে, তাহলে এরাও কি তাদের ইবাদতকারীর সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করবে? এ আয়াতে সে উত্তর দেওয়া হয়েছে। আর তা এই যে, তাঁরা ছিলেন আল্লাহর নেক বান্দা; যাঁদের নেকীর কারণে আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁদেরকে চিরস্থায়ী সুখী জীবন বা জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জাহান্নাম হতে সুদূরে থাকবেন। এ শব্দগুলি দ্বারা এ কথাও পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় যে, যে ব্যক্তি পৃথিবীতে এই ইচ্ছা ও কামনা রেখে মারা যায় যে, তার মৃত্যুর পর তার কবরকে মাজার বানানো হোক এবং লোকেরা তাকে প্রয়োজন পূরণকারী ( দাতা ) মনে করে তার নামে নযর-নিয়ায পেশ করুক ও তার পূজা ( ও সিজদাহ ) হোক, তাহলে সে ব্যক্তিও জাহান্নামের ইন্ধন হবে। কারণ আল্লাহকে ছেড়ে অথবা তাঁর সাথে নিজের ইবাদতের প্রতি আহবানকারী ( তাগূত ) নিঃসন্দেহে সেই নেক মানুষদের আওতায় কখনও পড়বে না, 'যাদের জন্য আল্লার নিকট থেকে পূর্ব হতে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে।'
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
নিশ্চয় যাদের জন্য আমাদের কাছ থেকে পূর্ব থেকেই কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে তাদেরকে তা থেকে দূরে রাখা হবে [ ১ ]। [ ১ ] পূর্ববর্তী ৯৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, “ তোমরা এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমরা যাদের ইবাদত কর, সবাই জাহান্নামের ইন্দন হবে ।” দুনিয়াতে কাফেরদের বিভিন্ন দল যেসব মিথ্যা উপাস্যের উপাসনা করেছে, এ আয়াতে তাদের সবার জাহান্নামে প্রবেশ করার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এ আয়াত শোনার পর কাফেররা এটা বলতে শুরু করল যে, যদি প্রত্যেক অবৈধ উপাস্যই জাহান্নামে যায় তবে ঈসা আলাইহিসসালাম ও ফেরেশতারাও জাহান্নামে যাবে; কারণ অবৈধ ইবাদত তো ঈসা আলাইহিস সালাম ও ফেরেশতাদেরও করা হয়েছে। তাহলে তারাও কি জাহান্নামে যাবেন? এর জওয়াবে আল্লাহ্ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেন। [ দেখুনঃ মুস্তাদরাকে হাকিমঃ ২/৩৮৪৩৮৫ ] এ থেকে জানা যায় যে, যারা দুনিয়ায় মানুষকে আল্লাহর বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা তাদেরকেই উপাস্য পরিণত করে অথবা যারা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর যে দুনিয়ায় তাদের বন্দেগী ও পূজা করা হচ্ছে এবং এ কর্মে তাদের ইচ্ছা ও আকাংখার কোন দখল নেই, তাদের জাহান্নামে যাবার কোন কারণ নেই। কারণ, তারা এ শির্কের জন্য দায়ী নয়।
সূরা আম্বিয়া আয়াত 101 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- বলে দাও, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমি এটি তোমাদের সামনে পড়তাম না, আর নাইবা তিনি
- সে মহা-অগ্নিতে প্রবেশ করবে।
- অথচ তারা অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে। অতএব আপনি জালেমদের পথভ্রষ্টতাই বাড়িয়ে দিন।
- বালিকাদ্বয়ের একজন বলল পিতাঃ তাকে চাকর নিযুক্ত করুন। কেননা, আপনার চাকর হিসেবে সে-ই উত্তম হবে,
- আমরা যখন মরে যাব, এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হয়ে যাব, তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত
- না তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে গেছ যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ
- এ দুনিয়ার জীবনে যা কিছু ব্যয় করা হয়, তার তুলনা হলো ঝড়ো হাওয়ার মতো, যাতে
- বলুনঃ আমাকে তো এ আদেশই দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য। সুতরাংতোমরা কি আজ্ঞাবহ
- যখন তারা সেই প্রতিশ্রুতিকে আসন্ন দেখবে তখন কাফেরদের মুখমন্ডল মলিন হয়ে পড়বে এবং বলা হবেঃ
- তুমি পর্বতমালাকে দেখে অচল মনে কর, অথচ সেদিন এগুলো মেঘমালার মত চলমান হবে। এটা আল্লাহর
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আম্বিয়া ডাউনলোড করুন:
সূরা Anbiya mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anbiya শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers