কোরান সূরা তাওবা আয়াত 83 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 83 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 83 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿فَإِن رَّجَعَكَ اللَّهُ إِلَىٰ طَائِفَةٍ مِّنْهُمْ فَاسْتَأْذَنُوكَ لِلْخُرُوجِ فَقُل لَّن تَخْرُجُوا مَعِيَ أَبَدًا وَلَن تُقَاتِلُوا مَعِيَ عَدُوًّا ۖ إِنَّكُمْ رَضِيتُم بِالْقُعُودِ أَوَّلَ مَرَّةٍ فَاقْعُدُوا مَعَ الْخَالِفِينَ﴾
[ التوبة: 83]

বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তোমাকে তাদের মধ্য থেকে কোন শ্রেণীবিশেষের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং অতঃপর তারা তোমার কাছে অভিযানে বেরোবার অনুমতি কামনা করে, তবে তুমি বলো যে, তোমরা কখনো আমার সাথে বেরোবে না এবং আমার পক্ষ হয়ে কোন শত্রুর সাথে যুদ্ধ করবে না, তোমরা তো প্রথমবারে বসে থাকা পছন্দ করেছ, কাজেই পেছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথেই বসে থাক। [সূরা তাওবা: 83]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 83


কাজেই আল্লাহ্ যদি তোমাকে ফিরিয়ে আনেন তাদের মধ্যের কোনো দলের নিকট, তারপর তারা যদি তোমার অনুমতি চায় বের হওয়ার জন্য তবে বলো -- ''তোমরা কোনো ক্রমেই আমার সাথে কখনো বেরুতে পারবে না, এবং তোমরা আমার সঙ্গী হয়ে কখনো কোনো শত্রুর বিরূদ্ধে লড়তে পারবে না। নিঃসন্দেহ তোমরা বসে থাকাতেই সন্তষ্ট ছিলে প্রথম বারে, অতএব বসে থাকো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের সঙ্গে।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


৮৩. হে নবী! আল্লাহ তা‘আলা যদি আপনাকে মুনাফিকীর উপর অটল এমন কোন মুনাফিক দলের নিকট ফিরিয়ে আনে অতঃপর তারা আপনার সাথে অন্য যুদ্ধে বের হওয়ার অনুমতি চায় তাহলে আপনি তাদেরকে বলে দিন: হে মুনাফিকরা! তোমরা কখনো আমার সাথে আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে বের হয়ো না। যা তোমাদের জন্য শাস্তি স্বরূপ এবং আমার সাথে তোমাদের অবস্থানের দরুন যে ফাসাদগুলো বর্তাবে তা থেকে বাঁচার জন্য। তোমরা তো তাবুক যুদ্ধে না গিয়ে এবং তা থেকে পিছিয়ে পড়ে অনেক খুশি। তাই তোমরা পিছিয়ে পড়া অসুস্থ, মহিলা ও বচ্চাদের সাথে অবস্থান করো ও বসে থাকো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আল্লাহ যদি তোমাকে ( মদীনায় ) তাদের কোন সম্প্রদায়ের[১] কাছে ফিরিয়ে আনেন, অতঃপর তারা ( কোন জিহাদে ) বের হতে অনুমতি চায়,[২] তাহলে তুমি ( তাদেরকে ) বল, তোমরা কখনো আমার সাথে ( কোন জিহাদে ) বের হবে না এবং আমার সাথী হয়ে কোন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করবে না; তোমরা প্রথমবারে বসে থাকাকে পছন্দ করেছিলে,[৩] অতএব তোমরা ঐসব লোকেদের সাথে বসে থাক, যারা পশ্চাদবর্তী থাকার যোগ্য। [৪] [১] এ সম্প্রদায় থেকে মুনাফিক্বদল উদ্দেশ্য। অর্থাৎ, যদি আল্লাহ তাআলা তোমাকে তাবুক থেকে মদীনায় সহী-সালামতে ফিরিয়ে আনেন, যেখানে পিছনে থেকে যাওয়া মুনাফিক্বরাও রয়েছে। [২] অর্থাৎ, কোন অন্য যুদ্ধে সাথে যাবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। [৩] এ হল আগামীতে সাথে না নিয়ে যাওয়ার কারণ। অর্থাৎ, তোমরা যেহেতু প্রথমবার সাথে যাওনি, সেহেতু এখন তোমরা এর যোগ্য নও যে, তোমাদেরকে কোন যুদ্ধে সাথে নিয়ে যাওয়া হবে। [৪] অর্থাৎ, এখন তোমাদের এমন অবস্থা যে, তোমরা সেই নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সাথে বসে থাক, যারা যুদ্ধে শরীক হওয়ার পরিবর্তে ঘরে বসে থাকে। নবী ( সাঃ )-কে এই নির্দেশ এই জন্য দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের সেই দুঃখ-বেদনা আরো বৃদ্ধি পায়, যা তারা পিছনে থাকার কারণে পেয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অতঃপর আল্লাহ্‌ যদি আপনাকে তাদের কোন দলের কাছে ফেরত আনেন এবং তারা অভিযানে বের হওয়ার জন্য আপনার অনুমতি প্রার্থনা করে, তখন আপনি বলবেন, ‘তোমরা তো আমার সাথে কখনো বের হবে না [] এবং তোমরা আমার সঙ্গী হয়ে কখনো শত্রুর সাথে যুদ্ধ করবে না। তোমরা তো প্রথমবার বসে থাকাই পছন্দ করেছিলে; কাজেই যারা পিছনে থাকে তাদের সাথে বসেই থাক।’ [] অর্থাৎ এরা যদি ভবিষ্যতে কোন জিহাদে অংশগ্রহনের ইচ্ছা বা আগ্রহ প্রকাশ করে তাহলে যেহেতু তাদের অন্তরে ঈমান নেই, সেহেতু এদের সে ইচ্ছাও নিষ্ঠাপূর্ণ হবে না; যখন রওয়ানা হবার সময় হবে, পূর্বেকার মতই নানা রকম ছলছুতার আশ্রয় নেবে। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি নির্দেশ হল যে, তারা নিজেরাও যখন কোন জিহাদে অংশগ্রহনের কথা বলবে, তখন আপনি প্রকৃত বিষয়টি তাদেরকে বাতলে দিন যে, তোমাদের কোন কথা বা কাজে বিশ্বাস নেই। তোমরা না যাবে জিহাদে, না আমার পক্ষ হয়ে ইসলামের কোন শক্রর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অধিকাংশ তফসীরবিদ বলেছেন যে, এ হুকুমটি তাদের জন্য পার্থিব শাস্তি হিসাবে প্রবর্তন করা হয় যে, সত্যিকারভাবে তারা কোন জিহাদে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও যেন তাদেরকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া না হয়। [ কুরতুবী; ইবন কাসীর; আদওয়াউল বায়ান ] অন্য আয়াতেও আল্লাহ্ তা'আলা মুনাফিকদেরকে অনুরূপ ভাল কাজে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন, “ তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে তখন যারা পিছনে রয়ে গিয়েছিল, তারা বলবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের সংগে যেতে দাও তারা আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করতে চায়। বলুন, ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের সংগী হতে পারবে নাআল্লাহ আগেই এরূপ ঘোষণা করেছেন।" [ সূরা আল-ফাতহ। ১৫ ] কারণ, তাদের এক অপরাধ অন্য অপরাধকে ডেকে এনেছে, আল্লাহ অন্যত্র বলেন, “আর তারা যেমন প্রথমবারে তাতে ঈমান আনেনি, তেমনি আমরাও তাদের অন্তরসমূহ ও দৃষ্টিসমূহ পাল্টে দেব এবং আমরা তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় উদভ্রান্তের মত ঘুরপাক খাওয়া অবস্থায় ছেড়ে দেব” [ সূরা আল-আনআমঃ ১১০ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে নির্দেশ দিচ্ছেন- হে রাসূল! যদি আল্লাহ তাআলা তোমাকে এই যুদ্ধ হতে নিরাপদে মদীনায় ফিরিয়ে আনেন এবং এই মুনাফিকদের কোন দল অন্য কোন যুদ্ধে তোমার সাথে গমনের জন্যে প্রার্থনা জানায় তবে তুমি শাস্তি দান হিসেবে স্পষ্টভাবে তাদেরকে বলে দেবে আমার সাথে যুদ্ধে গমনকারীদের সাথে তোমরা গমন করতে পারবে না এবং আমার সাথী হয়ে তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেও সক্ষম হবে না। তোমরা যখন যথা সময়ে প্রতারণা করেছে এবং প্রথমবার যুদ্ধে গমন না করে বাড়ীতেই বসে থেকেছো তখন এ সময়ে যুদ্ধ প্রস্তুতির কি অর্থ হতে পারে। সুতরাং এই আয়াতটি ( আরবী ) ( ৬:১১০ ) এই আয়াতটির মতই। পাপের প্রতিফল পাপকার্যের পরেই পাওয়া যায়। যেমন পুণ্যের প্রতিদান পুণ্য কার্যের পরেই লাভ করা যায়। হুদায়বিয়ার উমরার পর কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছিলঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে মুমিনগণ! তোমরা যখন গনীমতের মাল গ্রহণ করতে যাবে তখন ( যুদ্ধে গমন না করে ) পিছনে অবস্থানকারী এই লোকগুলো বলবে- আমাদেরকে অনুমতি দাও, আমরাও তোমাদের সাথে যাবো ।( ৪৮:১৫ ) এখানে বলা হচ্ছে- হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! এই ( মুনাফিক ) লোকদেরকে বলে দাও, যারা তোমার সাথে জিহাদে গমন না করে বাড়ীতেই বসেছিল, বাড়ীতে অবস্থানকারীদের সাথে তোমরাও অবস্থান কর, যারা স্ত্রীলোকদের মত বাড়ীতেই লেজ গুটিয়ে বসে থাকে।

সূরা তাওবা আয়াত 83 সূরা

فإن رجعك الله إلى طائفة منهم فاستأذنوك للخروج فقل لن تخرجوا معي أبدا ولن تقاتلوا معي عدوا إنكم رضيتم بالقعود أول مرة فاقعدوا مع الخالفين

سورة: التوبة - آية: ( 83 )  - جزء: ( 10 )  -  صفحة: ( 200 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ
  2. যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছে, চন্দ্র ও সূর্যকে কর্মে
  3. এবং রাত্রির কিছু অংশে এবং তারকা অস্তমিত হওয়ার সময় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
  4. কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
  5. অতঃপর আমি তোমাদের জন্যে তাদের বিরুদ্ধে পালা ঘুয়িয়ে দিলাম, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও পুত্রসন্তান দ্বারা সাহায্য
  6. অতঃপর তিনি এক উপায় অবলম্বন করলেন।
  7. তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে
  8. মানুষ যা চায়, তাই কি পায়?
  9. এবং তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের মধ্যে পানির পালা নির্ধারিত হয়েছে এবং পালাক্রমে উপস্থিত হতে
  10. যারা তোমাদের শত্রু আল্লাহ তাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সম্ভবতঃ বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 4, 2024

Please remember us in your sincere prayers