কোরান সূরা তাওবা আয়াত 102 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 102 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 102 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا عَسَى اللَّهُ أَن يَتُوبَ عَلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
[ التوبة: 102]

আর কোন কোন লোক রয়েছে যারা নিজেদের পাপ স্বীকার করেছে, তারা মিশ্রিত করেছে একটি নেককাজ ও অন্য একটি বদকাজ। শীঘ্রই আল্লাহ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। নিঃঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়। [সূরা তাওবা: 102]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 102


আর অন্যরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক ভালো কাজের সাথে মন্দ অপরটি মিশিয়ে ফেলেছে। হতে পারে আল্লাহ্ তাদের দিকে ফিরবেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ পরিত্রাণকারী, অফুরন্ত ফলদাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০২. মদীনাবাসীদের আরেকটি গোষ্ঠী কোন ওজর ছাড়াই যুদ্ধে যায়নি। তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে যে, নিশ্চয়ই তাদের কোন ওজর ছিলো না এবং তারা কোন মিথ্যা ওজরও পেশ করেনি। বরং তারা নিজেদের পূর্বের নেক আমলসমূহ তথা আল্লাহর আনুগত্য করা, তাঁর শরীয়তকে আঁকড়ে ধরা এবং তাঁর পথে জিহাদ করাকে একটি খারাপ আমলের সাথে মিশিয়ে ফেলেছে। তবে তারা আল্লাহর নিকট তাওবা কবুল হওয়া ও ক্ষমার আশা করছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর তাওবাকারী বান্দার প্রতি অতি ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আরো কতক লোক আছে যারা নিজেদের অপরাধসমূহ স্বীকার করেছে,[১] যারা সৎকর্মের সাথে অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে।[২] আশা রয়েছে যে, আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন।[৩] নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। [১] এরা সেই সকল একনিষ্ঠ মুসলিম, যারা কোন ওজর আপত্তি ছাড়াই শুধু শৈথিল্যের কারণে তাবুক অভিযানে নবী ( সাঃ )-এর সাথে শরীক হয়নি। তবে পরে তারা আপন ভুল বুঝতে পারে এবং তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। [২] 'সৎকর্ম' বলতে ঐ সকল নেক আমল, যা তারা জিহাদে না যাওয়ার পূর্বে করেছিল। এর ভিতর কিছু যুদ্ধে তাদের অংশ গ্রহণের আমলও ছিল। আর 'অসৎকর্ম' থেকে উদ্দেশ্য হল তাবুকের যুদ্ধে তাদের পিছিয়ে থাকা। [৩] আল্লাহর পক্ষ থেকে আশা ও সম্ভাবনার অর্থই হল, তা নিশ্চিত। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা তাদের দিকে ফিরে তাকিয়ে তাদের অপরাধের স্বীকারোক্তিকে তওবার স্থানে রেখে তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর অপর কিছু লোক আছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে; আল্লাহ্‌ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করবেন []; নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [] যে দশজন মুমিন বিনা ওযরে তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণে বিরত ছিলেন তাঁদের সাত জন মসজিদের খুঁটির সাথে নিজেদের বেঁধে নিয়ে মনের অনুতাপ অনুশোচনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এদের উল্লেখ রয়েছে এ আয়াতে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, দশজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। এদের মধ্যে সাতজন নিজেদেরকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখেছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে এসে জিজ্ঞেস করলেন, এরা কারা, যারা নিজেদেরকে খুঁটির সাথে বেঁধেছে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন, এরা আবু লুবাবা ও তার কিছু সার্থী। যারা আপনার সাথে যাওয়া থেকে পিছনে ছিল। তারা নিজেদেরকে নিজেরা বেঁধে নিয়েছে এ বলে যে, যে পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদের বাঁধন খুলে দিবেন এবং আমাদের ওযর কবুল করবেন, ততক্ষণ আমাদেরকে যেন কেউ না খুলে দেয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমিও তাদের বাঁধন খুলব না, তাদের ওযর গ্রহণ করবো না, যতক্ষণ না আল্লাহ নিজেই তাদের ছেড়ে দেন বা ওযর গ্রহণ করেন। তারা আমার থেকে বিমুখ ছিল, মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে যায়নি। যখন তাদের কাছে এ কথা পৌছল তারাও বলল, আমরাও আল্লাহর শপথ নিজেদেরকে ছাড়িয়ে নেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা না করেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে লোক পাঠিয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেন। [ আত-তাফসীরুস সহীহ ] ঘটনা যদিও সুনির্দিষ্ট তথাপি এর দাবী ব্যাপক। যারাই ভাল ও মন্দ আমলের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই এ আয়াত প্রযোজ্য। যেমন হাদীসে এসেছে, সামুরা ইবন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, গত রাত্রে আমার কাছে দুজন এসেছেন, তারা আমাকে উঠালেন, তারপর আমাকে নিয়ে এমন এক নগরীতে নিয়ে গেলেন যার একটি ইট স্বর্ণের অপরটি রৌপ্যের। সেখানে আমরা কিছু লোক দেখলাম, যাদের শরীরের একাংশ এত সুন্দর যত সুন্দর তুমি মনে করতে পার। আর অপর অংশ এত বিশ্রী যত বিশ্রী তুমি মনে করতে পার। তারা দু'জন তাদেরকে বলল, তোমরা ঐ নালাতে গিয়ে পতিত হও। তারা সেখানে পড়ল। তারপর যখন তারা আমাদের কাছে আসল, দেখলাম যে, তাদের খারাপ অংশ চলে গেছে, অতঃপর ভীষণ সুন্দর হয়ে গেছে। তারা দু’জন আমাকে বলল, এটা হলো জান্নাতে আদন। আর ওখানেই আপনার স্থান। তারা দু’জন বলল, আর যাদেরকে আপনি অর্ধেক সুন্দর আর বাকী অর্ধেক বিশ্রী দেখেছেন, তারা হচ্ছেন, যারা এক সৎকাজের সাথে অন্য অসৎকাজ মিশিয়ে ফেলেছে।' [ বুখারী ৪৬৭৪ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা যখন ঐসব মুনাফিকের অবস্থার বর্ণনা শেষ করলেন যারা মুসলিমদের সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রয়েছিল এবং যুদ্ধে শরীক হওয়া থেকে অনাগ্রহ দেখিয়েছিল, আর মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল ও সন্দেহ প্রকাশ করেছিল, তখন তিনি ঐ পাপীদের বর্ণনা শুরু করলেন যারা শুধুমাত্র অলসতা ও আরামপ্রিয়তার কারণেই জিহাদে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল। কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে হক পন্থী ও ঈমানদার ছিল। সুতরাং আল্লাহ তা'আলা বলেন-ঐ মুনাফিকদের ছাড়া অন্যেরা যে জিহাদে শরীক হওয়া থেকে বিরত ছিল তারা নিজেদের দোষ ও অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। তারা এমনই লোক যে, তাদের ভালো আমলও রয়েছে। আর ঐ সৎ আমলের সাথে কিছু দোষত্রুটিও জড়িয়ে দিয়েছে, যেমন জিহাদে শরীক হওয়া থেকে বিরত থাকা। কিন্তু তাদের এই দোষ-ক্রটিকে আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর ঐ মুনাফিকদের অপরাধ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তাদের কোন নেক আমলও নেই।এ আয়াতটি কতকগুলো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ব্যাপারে অবতীর্ণ হলেও সমস্ত অপরাধী ও পাপী মুমিনদের জন্যেও এটা সাধারণ এবং তাদের সকলের ব্যাপারেই এটা প্রযোজ্য। মুজাহিদ ( রঃ )-এর উক্তি এই যে, এটা আবু লুবাবার ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়, যখন সে বানু কুরাইযা গোত্রকে বলেছিল যে, ( আরবী ) ওটা যবেহ করার স্থান এবং স্বীয় হাত দ্বারা সে তার গলার দিকে ইশারা করেছিল। ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর উক্তি এই যে, দ্বারা আবু লুবাবা ও তার দলকে বুঝানো হয়েছে, যারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাথে তালূকের যুদ্ধে না গিয়ে পিছনে রয়ে গিয়েছিল। কেউ কেউ বলেন যে, আবু লুবাবার সাথে আরো পাঁচজন বা সাতজন অথবা নয়জন লোক ছিল। যখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাবূক হতে ফিরে আসেন তখন তারা নিজেদেরকে মসজিদের থামের সাথে বেঁধে ফেলে এবং কসম করে বলে“ যে পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আমাদেরকে স্বয়ং না খুলবেন সেই পর্যন্ত আমাদেরকে খোলা হবে না ।” অতঃপর যখন ( আরবী ) -এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে খুলে দেন এবং তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করার অপরাধ ক্ষমা করে দেন।ইমাম বুখারী ( রঃ ) বলেন, সামুরা ইবনে জুনদুব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, আজ রাত্রে দু’জন আগন্তুক আমার নিকট আগমন করে এবং আমাকে এমন এক শহর পর্যন্ত নিয়ে যায় যা স্বর্ণ ও রৌপ্যের ইট দ্বারা নির্মিত ছিল। সেখানে আমি এমন কতগুলো লোক দেখতে পেলাম যাদের দেহের অর্ধাংশ খুবই সুন্দর ছিল। কিন্তু বাকী অর্ধাংশ ছিল অত্যন্ত কুৎসিত। ওদিকে তাকাতেই মন চাচ্ছিল না। আমার সঙ্গীদ্বয় তাদেরকে বললোঃ “ তোমরা এই নদীতে ডুব দিয়ে এসো ।” তারা ডুব দিয়ে যখন বের হয়ে আসলো তখন তাদের। দেহের সর্বাংশ সুন্দর দেখালো। আমার সঙ্গীদ্বয় আমাকে বললোঃ “ এটা হচ্ছে জান্নাতে আদন । এটাই হচ্ছে আপনার মনযিল।” অতঃপর তারা বললোঃ “ এই যে লোকগুলো, যাদের দেহের অর্ধাংশ ছিল খুবই সুন্দর এবং বাকী অর্ধাংশ ছিল অত্যন্ত কুৎসিত, তার কারণ এই যে, তারা নেক আমলের সাথে বদ আমলও মিশিয়ে দিয়েছিল । আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।” ইমাম বুখারী ( রঃ ) এ আয়াতের তাফসীরে সংক্ষেপে এরূপই রিওয়ায়াত করেছেন।

সূরা তাওবা আয়াত 102 সূরা

وآخرون اعترفوا بذنوبهم خلطوا عملا صالحا وآخر سيئا عسى الله أن يتوب عليهم إن الله غفور رحيم

سورة: التوبة - آية: ( 102 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 203 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায
  2. আর আমি যে উহা বিলম্বিত করি, তা শুধু একটি ওয়াদার কারণে যা নির্ধারিত রয়েছে।
  3. তুমি কি সে লোককে দেখনি, যে পালনকর্তার ব্যাপারে বাদানুবাদ করেছিল ইব্রাহীমের সাথে এ কারণে যে,
  4. তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তুর দ্বারা চতুস্পদ জন্তু
  5. এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না।
  6. আর যদি আহলে-কিতাবরা বিশ্বাস স্থাপন করত এবং খোদাভীতি অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের মন্দ বিষয়সমূহ
  7. আমি তো সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ অবর্তীর্ণ করেছি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালনা করেন।
  8. যদি তারা আপনাকে মিথ্যবাদী বলে, তবে বলে দিনঃ তোমার প্রতিপালক সুপ্রশস্ত করুণার মালিক। তাঁর শাস্তি
  9. আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করি না। আমার এক কিতাব আছে, যা সত্য ব্যক্ত
  10. কসম তূরপর্বতের,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers