কোরান সূরা নামল আয়াত 31 তাফসীর
﴿أَلَّا تَعْلُوا عَلَيَّ وَأْتُونِي مُسْلِمِينَ﴾
[ النمل: 31]
আমার মোকাবেলায় শক্তি প্রদর্শন করো না এবং বশ্যতা স্বীকার করে আমার কাছে উপস্থিত হও। [সূরা নামল: 31]
Surah An-Naml in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Naml ayat 31
''আমার বিরুদ্ধে যেন হামবড়াই কর না, আর আমার কাছে এস মুসলিম হয়ে’।’’
Tafsir Mokhtasar Bangla
৩১. তোমরা অহঙ্কার না করে বরং আমি যে আল্লাহর তাওহীদ ও শিরক পরিত্যাগের দিকে ডাকছি সেদিকে অনুগত ও আত্মসমর্পণকারী বেশে চলে আসো। তোমরা তো তাঁর সাথে সূর্য পূজা করছো।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তোমরা অহমিকাবশে আমাকে অমান্য করো না এবং আত্মসমর্পণ করে ( মুসলমান হয়ে ) আমার নিকট উপস্থিত হও।’[১] [১] যেমন, নবী ( সাঃ ) বিভিন্ন রাজা-বাদশাহদেরকে পত্র দিয়েছিলেন, যাতে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অনুরূপ সুলাইমান ( সাঃ ) বিলকীসকে পত্র দ্বারা ইসলামের দাওয়াত দিলেন। আজ-কাল প্রাপকের নাম আগে লেখা হয়। কিন্তু সালাফদের নিয়ম ছিল, প্রেরকের নাম আগে লেখা; যেমন সুলাইমান ( আঃ ) লিখলেন।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
‘যাতে তোমরা আমার বিরোধিতার ঔদ্ধত্য প্রকাশ না করো এবং আনুগত্য স্বীকার করে আমার কাছে উপস্থিত হও [ ১ ]।’ [ ১ ] “ মুসলিম” হয়ে হাযির হবার দু’টি অর্থ হতে পারে । এক, অনুগত হয়ে হাযির হয়ে যাও। দুই, তাওহীদবাদী হয়ে যাও বা দ্বীন ইসলাম গ্ৰহণ করে হাযির হয়ে যাও। প্রথম হুকুমটি সুলাইমানের শাসকসুলভ মর্যাদার সাথে সামঞ্জস্য রাখে। দ্বিতীয় হুকুমটি সামঞ্জস্য রাখে তার নবীসুলভ মর্যাদার সাথে। [ বাগভী; ইবন কাসীর ] সম্ভবত এই ব্যাপক অৰ্থবোধক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে পত্রে উভয় উদ্দেশ্য অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
২৭-৩১ নং আয়াতের তাফসীর হুদহুদের খবর শ্রবণ মাত্রই হযরত সুলাইমান ( আঃ ) এর সত্যতা নিরূপণ শুরু করলেন যে, যদি সে তার কথায় সত্যবাদী হয় তবে সে ক্ষমার যোগ্য হবে, আর যদি সে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হয় তবে হবে সে শাস্তির যোগ্য। তাই তিনি তাকেই বললেনঃ “ তুমি আমার এ চিঠিখানা নিয়ে গিয়ে বিলকীসকে দিয়ে এসো যে সেখানে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতা রয়েছে ।” তখন ঐ চিঠিখানা চঞ্চুতে করে নিয়ে বা পালকের সাথে বাধিয়ে নিয়ে হুদহুদ উড়ে চললো। সেখানে পৌছে সে বিলকীসের প্রাসাদে প্রবেশ করলো। ঐ সময় বিলকীস নির্জন কক্ষে অবস্থান করছিল। হুদহুদ একটি তাকের মধ্য দিয়ে ঐ চিঠিখানা তার সামনে রেখে দিলো এবং ভদ্রতার সাথে একদিকে সরে গেল। এতে সে অত্যন্ত বিস্মিত হলো এবং সাথে সাথে কিছুটা ভয়ও তার অন্তরে জেগে উঠলো। চিঠিখানা উঠিয়ে নিয়ে মোহর ছিড়ে দিয়ে পত্রটি খুললো এবং পড়তে শুরু করলো। ওর বিষয়বস্তু অবগত হয়ে নিজের সভাষদবর্গকে একত্রিত করলো এবং বললোঃ “ আমাকে এক সম্মানিত পত্র দেয়া হয়েছে ।” ঐ পত্রটি যে সম্মানিত ছিল এটা তার কাছে প্রকাশিত হয়ে পড়েছিল। কারণ, একটি পাখী ওটাকে নিয়ে আসছে, অতি সতর্কতার সাথে তার কাছে পৌঁছিয়ে দিচ্ছে এবং তার সামনে আদবের সাথে রেখে দিয়ে এক দিকে সরে দাঁড়াচ্ছে! তাই সে বুঝে নিলো যে, নিঃসন্দেহে চিঠিটি সম্মানিত এবং কোন মর্যাদা সম্পন্ন লোকের পক্ষ হতে প্রেরিত।তারপর সে পত্রটির বিষয়বস্তু সকলকে শুনিয়ে দিলো। শুরুতেই বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখা রয়েছে এবং সাথে সাথে মুসলমান হওয়ার ও তাঁর অনুগত হওয়ার আহ্বান রয়েছে।সুতরাং তারা সবাই বুঝে নিলো যে, এটা আল্লাহর নবীরই দাওয়াতনামা। তারা এটাও বুঝতে পারলো যে, তাঁর সাথে মুকাবিলা করার শক্তি তাদের নেই।অতঃপর পত্রটির সুন্দর বাচনভঙ্গী, সংক্ষেপণ, অথচ গভীর ভাব তাদের সকলকেই বিস্ময়াভিভূত করলো। অল্প কথায় গভীর ভাব প্রকাশ করা হয়েছে। এ যেন সমুদ্রকে কুঁজো বা কলসির মধ্যে বন্ধ করা।উলামায়ে কিরামের উক্তি রয়েছে যে, হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর পূর্বে কেউ পত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লিখেননি। হযরত বারীদা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাথে চলছিলাম। তিনি আমাকে বলেনঃ “ এমন একটি আয়াত আমি জানি যা আমার পূর্বে হযরত সুলাইমান ইবনে দাউদ ( আঃ )-এর পরে আর কোন নবীর উপর অবতীর্ণ হয়নি ।” আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! ঐ আয়াতটি কি? তিনি উত্তরে বললেনঃ “ মসজিদ হতে বের হওয়ার পূর্বেই আমি তোমাকে আয়াতটির কথা বলে দিবো ।” অতঃপর তিনি মসজিদ থেকে বের হতে উদ্যত হন, এমনকি মসজিদ হতে একটি পা বাইরে রেখেও দেন। আমি মনে করলাম যে, হয়তো তিনি ভুলে গেছেন। এমতাবস্থায় তিনি আমার দিকে ফিরে তাকান এবং ( আরবি ) -এই আয়াতটিপাঠ করেন।” ( এ হাদীসটি মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এটা খুবই গরীব ও দুর্বল হাদীস )অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে রাসূলল্লাহ ( সঃ ) ( আরবি ) লিখতেন। যখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন তিনি( আরবি ) লিখতে শুরু করেন। হযরত সুলাইমান ( আঃ )-এর পত্রের বিষয়বস্তু শুধু নিম্নরূপই ছিলঃ “ আমার সামনে হঠকারিতা করো না, আমাকে বাধ্য করো না, আমার কথা মেনে নাও, অহংকার করো না, বরং খাটী একত্ববাদী ও অনুগত হয়ে আমার নিকট চলে এসো ।”
সূরা নামল আয়াত 31 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না।
- আমি যদি এমন বায়ু প্রেরণ করি যার ফলে তারা শস্যকে হলদে হয়ে যেতে দেখে, তখন
- সরল পথ আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে এবং পথগুলোর মধ্যে কিছু বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে
- তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
- আপনার প্রতিপালক অমুখাপেক্ষী, করুণাময়। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদের সবাইকে উচ্ছেদ করে দিবেন এবং তোমাদের পর
- হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত
- আমি কত জনপদের ধ্বংস সাধন করেছি যার অধিবাসীরা ছিল পাপী এবং তাদের পর সৃষ্টি করেছি
- তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো কেবল পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার।
- এবং বলবে, দুর্ভাগ্য আমাদের! এটাই তো প্রতিফল দিবস।
- মানুষ যেভাবে কল্যাণ কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো খুবই দ্রুততা প্রিয়।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নামল ডাউনলোড করুন:
সূরা Naml mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Naml শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers