কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 106 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 106 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 106 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿ذَٰلِكَ جَزَاؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوا وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَرُسُلِي هُزُوًا﴾
[ الكهف: 106]

জাহান্নাম-এটাই তাদের প্রতিফল; কারণ, তারা কাফের হয়েছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও রসূলগণকে বিদ্রূপের বিষয় রূপে গ্রহণ করেছে। [সূরা কাহ্ফ: 106]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 106


এটাই তো, -- তাদের প্রাপ্য হচ্ছে জাহান্নাম যেহেতু তারা অবিশ্বাস পোষণ করেছিল এবং আমার নির্দেশাবলী ও আমার রসূলগণকে তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০৬. তাদের জন্য প্রস্তুতকৃত সেই প্রতিদান হবে জাহান্নাম। কারণ, তারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে এবং আমার নাযিলকৃত আয়াত ও রাসূলদেরকে ঠাট্টার বস্তু বানিয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


জাহান্নাম, ওটাই তাদের প্রতিফল, যেহেতু তারা সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও রসূলদেরকে গ্রহণ করেছে বিদ্রূপের বিষয়রূপে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


জাহান্নাম, এটাই তাদের প্রতিফল, যেহেতু তারা কুফরী করেছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও রাসুলগণকে গ্রহণ করেছে বিদ্রুপের বিষয়স্বরূপ।’

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০৩-১০৬ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত মুসআব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমি আমার পিতা অর্থাৎ হযরত সা'দ ইবনু আবি ওয়াক্কাসকে ( রাঃ ) আল্লাহ তাআলার ( আরবী ) এই উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, এর দ্বারা কি হারুরিয়্যা বা খারেজীদেরকে বুঝানো হয়েছে? তিনি উত্তরে বলেনঃ “না, বরং এর দ্বারা ইয়াহুদী ও খৃস্টানরা উদ্দেশ্য । ইয়াহূদীরা রাসূলুল্লাহকে ( সঃ ) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। আর খৃস্টানরা জান্নাতকে অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে, সেখানে খাদ্য ও পানীয় কিছুই নেই। হাঁ তবে খারেজীরা আল্লাহর প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ়তার পর ভঙ্গ করে দিয়েছে।" ( এটা ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত সা'দ ( রাঃ )। খারেজীদেরকে ফাসেক বলতেন। হযরত আলী ( রাঃ ) প্রভৃতি সাহাবীদের মতে এর দ্বারা খারেজীরাই উদ্দেশ্য। ভাবার্থ এই যে, এই আয়াত দ্বারা যেমন ইয়াহুদী ও খৃস্টানরা উদ্দেশ্য, অনুরূপভাবে খারেজীরাও এর অন্তর্ভুক্ত। কেননা, আয়াতটি সাধারণ। যে কেউই আল্লাহ তাআলার ইবাদত ও আনুগত্য ঐ পন্থায় করবে, যে পন্থা আল্লাহ তাআলার নিকট পছন্দনীয় নয়, তারা সবাই এই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। যদিও তারা নিজেদের আমলে খুশী হয় এবং মনে করে নেয় যে, তারা আখেরাতের পাথেয় অনেক কিছু সংগ্রহ করে নিয়েছে এবং তাদের নেক আমল আল্লাহ তাআলার নিকট পছন্দনীয় ও তাদের সৎ আমলের বিনিময় তারা অবশ্যই লাভ করবে। কিন্তু তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তাদের আমল আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহনীয় নয়, বরং বর্জনীয়। তার ভুল ধারণাকারী লোক।এটা মক্কায় অবতারিত আয়াত। আর এটা প্রকাশ্য কথা যে, মক্কায় অবতারিত আয়াতগুলি দ্বারা ইয়াহুদী ও খৃস্টানদেরকে সম্বোধন করা হয় নাই এবং তখন পর্যন্ত খারেজীদের তো কোন অস্তিত্বই ছিল না। সুতরাং ঐ গুরুজনদের উদ্দেশ্য এটাই যে, আয়াতের সাধারণ শব্দগুলি এদের সবাইকে এবং এদের মত অন্য যারা রয়েছে তাদের সবাইকে এই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন সূরায়ে গাশিয়াতে রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ বহু মুখমণ্ডল সেই দিন লাঞ্ছিত, কষ্টভোগী ( এবং কষ্টভোগের দরুন ) কাতর হবে । ( তারা ) দগ্ধকারী অগ্নিতে প্রবেশ করবে।” ( ৮৮:২-৪ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সামনে বেড়ে গিয়ে আমি তাদের কৃত সমস্ত আমলকে বেকার ও মূল্যহীন করে দিবো ।( ২৫:২৩ ) আর এক জায়গায় আছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ‘যারা কাফির, তাদের আমলসমূহ যেন একটি মরুভূমির মরিচিকা, পিপাসার্ত লোক যাকে পানি বলে মনে করে; শেষ পর্যন্ত যখন ওর নিকট পৌঁছে তখন ওকে কিছুই পায় না।” ( ২৪:৩৯ )এরা ঐ সব লোক যারা নিজেদের পন্থায় ইবাদত ও আমল তো করে এবং মনেও করে যে, তারা অনেক কিছু পূণ্যময় কাজ করলো এবং সেগুলো আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণীয় ও পছন্দনীয়। কিন্তু তাদের ঐ আমলগুলো আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত পন্থায় ছিল না এবং তাঁর রাসূলের ( সঃ ) নির্দেশ মুতাবেকও ছিল না বলে সেগুলো গ্রহণীয় হওয়ার পরিবর্তে বর্জনীয় হয়ে। গেলো এবং প্রিয় হওয়ার পরিবর্তে অপ্রিয় ও অপছন্দনীয় হয়ে গেলো। কেননা, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো। আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর রাসূলের ( সঃ ) রিসালাতের সমস্ত প্রমাণ তাদের সামনে বিদ্যমান ছিল। কিন্তু তারা ওগুলি হতে চক্ষু বন্ধ করে নেয় এবং মেনে নেয়ার পরেও অমান্য করে। তাদের পুণ্যের পাল্লা সম্পূর্ণ শূন্য থাকবে। হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ কিয়ামতের দিন একটি মোটা তাজা ও ভারী ওযনের লোককে আনয়ন করা হবে । কিন্তু আল্লাহ তাআলার কাছে তার ওজন একটি মশার পাখার সমানও হবে না।" তারপর তিনি বলেনঃ “ তোমরা ইচ্ছা করলে- ( আরবী ) এই আয়াতটি পাঠ করে নাও ।" ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) মুসনাদে ইবনু আবি হাতিমের রিওয়াইয়াতে রয়েছে যে, খুব বেশী পানা হারকারী মোটা তাজা লোককে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার সামনে। হাজির করা হবে। কিন্ত তার ওজন শস্যের দানার সমানও হবে না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এই আয়াতটি পাঠ করেন।মসনাদে বায়্যারে রয়েছে যে, একজন কুরায়েশী হুল্লা ( লম্বা পোষাক বিশেষ ) পরিধান করে অহংকার ভরে রাসুলুল্লাহর ( সঃ ) পার্শ্ব দিয়ে গমন করে। তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত বুরাইদাকে ( রাঃ ) বলেনঃ “ এই লোকটি ঐ লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদের আল্লাহ তাআলার নিকট কিয়ামতের দিন কোনই ওজন হবে না ।” মারফু হাদীসের মত হযরত কা'বের ( রাঃ ) উক্তিও বর্ণিত আছে। এটা হচ্ছে তাদের কুফরী, সত্যকে প্রত্যাখ্যান এবং আল্লাহর নিদর্শনাবলী ও তাঁর রাসূলদেরকে বিদ্রুপের পাত্র হিসেবে গ্রহণ করারই প্রতিফল।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 106 সূরা

ذلك جزاؤهم جهنم بما كفروا واتخذوا آياتي ورسلي هزوا

سورة: الكهف - آية: ( 106 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 304 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বললেনঃ তোমরা সেখানেই জীবিত থাকবে, সেখানেই মৃত্যুবরন করবে এবং সেখান থেকেই পুনরুঙ্খিত হবে।
  2. তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। সব বিষয় তাঁর জ্ঞানের
  3. অতঃপর তাদেরকে বলা হবে, কোথায় গেল যাদেরকে তোমরা শরীক করতে।
  4. মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ
  5. এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
  6. মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয়
  7. এবং সেখানে একটি গৃহ ব্যতীত কোন মুসলমান আমি পাইনি।
  8. এটা অট্টালিকা সদৃশ বৃহৎ স্ফুলিংগ নিক্ষেপ করবে।
  9. তুমি একেবারে ব্যয়-কুষ্ঠ হয়োনা এবং একেবারে মুক্ত হস্তও হয়ো না। তাহলে তুমি তিরস্কৃতি, নিঃস্ব হয়ে
  10. যারা সৎপথপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের সৎপথপ্রাপ্তি আরও বেড়ে যায় এবং আল্লাহ তাদেরকে তাকওয়া দান করেন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers