কোরান সূরা মায়িদা আয়াত 109 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Maidah ayat 109 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মায়িদা আয়াত 109 আরবি পাঠে(Maidah).
  
   

﴿۞ يَوْمَ يَجْمَعُ اللَّهُ الرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَا أُجِبْتُمْ ۖ قَالُوا لَا عِلْمَ لَنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ﴾
[ المائدة: 109]

যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী। [সূরা মায়িদা: 109]

Surah Al-Maidah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Maidah ayat 109


যেদিন আল্লাহ্ রসূলগণকে একত্রিত করবেন, তারপর বলবেন -- ''তোমাদের কী জবাব দেয়া হয়েছিল?’’ তাঁরা বলবেন -- ''আমাদের কিছু জানা নেই, নিঃসন্দেহ তুমিই অদৃশ্য সন্বন্ধে পরিজ্ঞাত।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১০৯. হে মানুষ! তোমরা কিয়ামতের দিনের কথা স্মরণ করো। যখন আল্লাহ তা‘আলা সকল রাসূলকে একত্রিত করে বলবেন: যে উম্মতের নিকট আমি তোমাদেরকে পাঠিয়েছি তারা তোমাদের ডাকে কী ধরনের সাড়া দিয়েছে? তখন তাঁরা এর উত্তর আল্লাহর দিকে সোপর্দ করে বলবেন: হে আমাদের রব! এ ব্যাপারে আমাদের কোন সঠিক জ্ঞান নেই। তা তো কেবল আপনার নিকটেই। গায়েবের খবর আপনিই নিশ্চিত জানেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( স্মরণ কর, ) যেদিন আল্লাহ রসূলগণকে একত্র করবেন, অতঃপর বলবেন, তোমরা ( উম্মতের নিকট থেকে ) কি জওয়াব পেয়েছিলে? তারা বলবে, আমাদের কোন জ্ঞান নেই,[১] নিশ্চয় তুমি অদৃশ্য সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত। [১] নবী-রসূলগণের সাথে তাঁদের সম্প্রদায় ভালো ও মন্দ যে ব্যবহার প্রদর্শন করেছে তার জ্ঞান তো তাঁদের অবশ্যই থাকবে। কিন্তু কিয়ামতের ভয়াবহতা দেখে এবং আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কারণে ঐ অজ্ঞতা প্রকাশ করবেন। অথবা ঐ অজ্ঞতার সম্পর্ক তাঁদের মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার সাথে হবে। ( অর্থাৎ, তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের উম্মতরা কি করেছেন, সে জ্ঞান তাঁদের নেই। ) বলা বাহুল্য, অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে একমাত্র আল্লাহর নিকটই আছে। এই জন্য তাঁরা বলবেন, অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত একমাত্র তুমিই; আমরা নই। এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, নবী ও রসূলগণ গায়েব জানতেন না। 'আলেমুল গায়ব' একমাত্র মহান আল্লাহর সত্তা। পক্ষান্তরে নবী ও রসূলগণ যা কিছুই জানতেন, প্রথমতঃ তার সম্পর্ক সেই জ্ঞানের সাথে হত, যা রেসালতের দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য জরুরী ছিল। দ্বিতীয়তঃ সে জ্ঞান অহীর মাধ্যমে তাঁরা অবগত হতেন। সুতরাং 'আলেমুল গায়ব' তিনিই, যিনি নিজে নিজেই বিনা কোন মাধ্যমে প্রত্যেক জিনিস সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখেন, অন্যের বলে দেওয়ার কারণে অথবা কোন মাধ্যম দিয়ে নয়। যেহেতু যিনি অন্যের জানানোর পর বা কোন মাধ্যম দ্বারা কোন জিনিস সম্পর্কে অবগত হন, তাঁকে 'আলেমুল গায়ব' বলা হয় না। অতএব মুসলিমের উচিত, এ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা এবং উদাসীনদের দলভুক্ত না হওয়া।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


স্মরণ করুন,যেদিন আল্লাহ্‌ রাসুলগণকে একত্র করবেন এবং জিজ্ঞেস করবেন, ‘আপনারা কি উত্তর পেয়েছিলেন?’ তারা বলবেন, ‘ এ বিষয়ে আমাদের কোন জ্ঞানই নেই; আপনিইতো গায়েব সম্বন্ধে সবচেয়ে ভাল জানেন []। ’ পনরতম রুকূ’ [] অর্থাৎ কেয়ামতে পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জন্মগ্রহণকারী সব মানুষ একটি উন্মুক্ত মাঠে উপস্থিত হবে। সবাই সে সুবিশাল ময়দানে উপস্থিত হবে এবং সবার কাছ থেকে তাদের সারা জীবনের কাজকর্মের হিসাব নেয়া হবে। কিন্তু আয়াতে বিশেষভাবে নবী-রাসূলগণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ “ ঐ দিনটি বাস্তবিকই স্মরণীয়, যেদিন আল্লাহ্ তা'আলা সব নবী-রাসূলকে হিসাবের জন্য একত্রিত করবেন" । উদ্দেশ্য এই যে, একত্রিত সবাইকে করা হবে, কিন্তু সর্বপ্রথম প্রশ্ন নবী-রাসূলগণকেই করা হবে যাতে সমগ্র সৃষ্টজগত দেখতে পায় যে, আজ হিসাব ও প্রশ্ন থেকে কেউ বাদ পড়বে না। নবী-রাসূলগণকে যে প্রশ্ন করা হবে, তা এই, আপনারা যখন নিজ নিজ উম্মতকে আল্লাহ তা'আলা ও তার সত্য দ্বীনের দিকে আহবান করেছিলেন, তখন তারা আপনাদেরকে কি উত্তর দিয়েছিল? তারা আপনাদের বর্ণিত নির্দেশাবলী পালন করেছিল, না অস্বীকার ও বিরোধিতা করেছিল। এ প্রশ্নের উত্তরে তারা বলবেনঃ “ তাদের ঈমান ও কাজকর্ম সম্পর্কে আমাদের জানা নেই । আপনিই স্বয়ং যাবতীয় অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী”। ইমাম তাবারী বলেন, তারা আদব রক্ষার্থে বলবেন যে, আপনি ভাল জানেন। অথবা, তারা সেদিনের কঠিন অবস্থা বিবেচনায় জওয়াব দেয়ার চেয়ে আল্লাহর উপরই তার জওয়াবের ভার ছেড়ে দিবেন। অথবা তারা এটা এজন্যে বলবেন যে, বাস্তবিকই আল্লাহ তা'আলা সবচেয়ে ভাল জানেন। নবীদের দাওয়াতে কে কেমন সাড়া দিয়েছিল তা আল্লাহ তা'আলার চেয়ে কেউ ভাল জানে না। [ ইবন কাসীর ] সারকথা এই যে, আলোচ্য আয়াতে কেয়ামতের ভয়াবহ দৃশ্যের একটি ঝলক সম্মুখে উপস্থাপিত করা হয়েছে। হিসাব-নিকাষের কাঠগড়ায় আল্লাহ তা'আলার সর্বাধিক ঘনিষ্ঠ ও প্রিয় রাসূলগণ কম্পিত বদনে উপস্থিত হবেন। সুতরাং অন্যদের যে কি অবস্থা হবে, তা সহজেই অনুমেয়। তাই এখন থেকেই সে ভয়াবহ দিনের চিন্তা করা উচিত এবং জীবনকে এ হিসাব-নিকাষের প্রস্তুতিতে নিয়োজিত করা কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হাশরের ময়দানে কোন ব্যক্তির পদযুগল ততক্ষণ পর্যন্ত সামনে অগ্রসর হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর নেয়া হয়। প্রথম এই যে, সে জীবনের সুদীর্ঘ ও প্রচুর সংখ্যক দিবারাত্রকে কি কাজে ব্যয় করেছে? দ্বিতীয় এই যে, বিশেষভাবে কর্মক্ষম যৌবনকালকে সে কিভাবে অতিবাহিত করেছে ? তৃতীয় এই যে, সে অর্থকড়ি কোন ( হালাল কিংবা হারাম ) পথে উপার্জন করেছে? চতুর্থ এই যে, অর্থকড়িতে সে কোন ( জায়েয কিংবা নাজায়েয ) কাজে ব্যয় করেছে? পঞ্চম এই যে, নিজ ইলম অনুযায়ী সে কি আমল করেছে? [ তিরমিয়ীঃ ২৪১৭ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


নবী রাসূলদেরকে যেসব কওমের নিকট পাঠানো হয়েছিল তারা তাঁদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল কি দেয়নি সে সম্পর্কে আল্লাহ তাদেরকে কিয়ামতের দিন কিভাবে সম্বোধন করবেন তাই এ আয়াতে বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেছেন ( আরবী ) অর্থাৎ “ যাদের কাছে রাসূলদের পাঠানো হয়েছিলো তাদেরকেও আমি জিজ্ঞেস করবো এবং রাসূলদেরকেও জিজ্ঞেস করবো ।” অন্যত্র বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমার প্রভুর শপথ! আমি তাদের সকলকেই তাদের আমল সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবো ।( ১৫:৯২ ) রাসূলগণ উত্তরে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমাদের কিছুই জানা নেই ।” সেদিনের ভয়াবহ অবস্থা দেখেই তাঁদের এ উত্তর হবে। তারা সেদিন ভীত-সন্ত্রস্ত হবেন বলেই তাদের মুখ দিয়ে কোন উত্তর বের হবে না। বরং বলে ফেলবেন- “ আমাদের কিছুই জানা নেই ।” অতঃপর যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন, তখন নিজের কওম সম্পর্কে সঠিক সাক্ষ্য প্রদান করবেন। কিন্তু তাদের প্রথম উক্তি এরূপই হবে- “ হে আল্লাহ! আমরা তো এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না । আপনি তো আলেমুল গায়েব। আপনার মোকাবিলায় আমাদের জ্ঞান থাকতে পারে? এতে কোনই সন্দেহ নেই যে, ভদ্রতা হিসেবে এটা অতি উত্তম জবাবই বটে- “ আপনার ব্যাপক জ্ঞানের কাছে আমাদের জ্ঞান অতি তুচ্ছ ও নগণ্য । আমাদের জ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে শুধুমাত্র বাহিকের উপর। পক্ষান্তরে আপনার জ্ঞান আভ্যন্তরীণ সংবাদও রাখে। কেননা, আপনি হচ্ছেন ‘আল্লামুল গুয়ূব বা অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত। সুতরাং আমাদের উম্মতবর্গ কি জবাব দিয়েছিল তা আপনি ভাল জানেন। কে যে কপটতামূলক আমল করেছে এবং কে বিশ্বাসমূলক কাজ করেছে এই জ্ঞান তো আমাদের নেই, বরং আপনারই আছে।”

সূরা মায়িদা আয়াত 109 সূরা

يوم يجمع الله الرسل فيقول ماذا أجبتم قالوا لا علم لنا إنك أنت علام الغيوب

سورة: المائدة - آية: ( 109 )  - جزء: ( 7 )  -  صفحة: ( 126 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বস্তুতঃ আমি তাদেরকে ঢিল দিয়ে থাকি। নিঃসন্দেহে আমার কৌশল সুনিপুণ।
  2. তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়ও মিথ্যারোপ করেছিল। তারা মিথ্যারোপ করেছিল আমার বান্দা নূহের প্রতি এবং বলেছিলঃ
  3. বরকতময় তিনিই, নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু যার। তাঁরই কাছে আছে কেয়ামতের জ্ঞান এবং
  4. হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়।
  5. আমোঘ প্রতিশ্রুত সময় নিকটবর্তী হলে কাফেরদের চক্ষু উচ্চে স্থির হয়ে যাবে; হায় আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা
  6. আপনি বলে দিন, যে কেউ জিবরাঈলের শত্রু হয়-যেহেতু তিনি আল্লাহর আদেশে এ কালাম আপনার অন্তরে
  7. আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন।
  8. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  9. যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ়
  10. এটা লিখিত রয়েছে পূর্ববতী কিতাবসমূহে;

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মায়িদা ডাউনলোড করুন:

সূরা Maidah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Maidah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মায়িদা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মায়িদা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মায়িদা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মায়িদা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মায়িদা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মায়িদা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মায়িদা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মায়িদা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মায়িদা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মায়িদা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মায়িদা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মায়িদা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মায়িদা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মায়িদা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মায়িদা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মায়িদা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মায়িদা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মায়িদা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, May 23, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب