কোরান সূরা মুনাফিকুন আয়াত 11 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Munafiqun ayat 11 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুনাফিকুন আয়াত 11 আরবি পাঠে(Munafiqun).
  
   

﴿وَلَن يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاءَ أَجَلُهَا ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ﴾
[ المنافقون: 11]

প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। [সূরা মুনাফিকুন: 11]

Surah Al-Munafiqun in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Munafiqun ayat 11


আর আল্লাহ্ কোনো সত্ত্বাকে অবকাশ দেন না যখন তার অন্তিম-সময় এসে যায়। আর তোমরা যা কর সে-সন্বন্ধে আল্লাহ্ পূর্ণওয়াকিফহাল।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১১. আল্লাহ কারো মেয়াদ শেষ হলে ও তার আয়ু ফুরিয়ে গেলে আদৗ তাকে পিছান না। আল্লাহ তোমাদের কাজ সম্পর্কে সম্যক অবগত। তাঁর নিকট তোমাদের কোন আমলই গোপন থাকে না এবং তিনি অচিরেই তোমাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন। আমল ভালো হলে প্রতিদানও ভালো হবে। পক্ষান্তরে আমল মন্দ হলে প্রতিদানও মন্দ হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কখনো কাউকেও অবকাশ দেবেন না। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যখন কারো নির্ধারিত কাল উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ তাকে কিছুতেই অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা আমল কর আল্লাহ্‌ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৯-১১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় মুমিন বান্দাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন খুব বেশী বেশী করে আল্লাহর যিক্‌র করে এবং তাদেরকে সতর্ক করছেন যে, তারা যেন ধন-দৌলত ও সন্তান-সন্ততির প্রেমে পড়ে আল্লাহকে ভুলে না যায়। এরপর বলেনঃ যারা আল্লাহর স্মরণে উদাসীন হবে তারা হবে ক্ষতিগ্রস্ত।অতঃপর আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা তাঁর আনুগত্যের কাজে মাল খরচ করার নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন মৃত্যুর পূর্বেই তাদেরকে প্রদত্ত মাল হতে খরচ করে। মৃত্যুর সময়ের নিরুপায় অবস্থা দেখে মাল খরচ করতঃ শান্তি লাভের আশা করা বৃথা হবে। ঐ সময় তারা চাইবে যে, যদি অল্প সময়ের জন্যেও ছেড়ে দেয়া হতো তবে যা কিছু ভাল কাজ আছে সবই তারা করতো এবং মন খুলে আল্লাহর পথে দান-খয়রাত করতো। কিন্তু তখন সময় কোথায়? যে বিপদ আসার তা এসেই গেছে। এটা কখনো টলবার নয়। বিপদ মাথার উপর এসেই পড়েছে। অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ যেদিন তাদের শাস্তি আসবে সেই দিন সম্পর্কে তুমি মানুষকে সতর্ক কর, তখন যালিমরা বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে কিছু কালের জন্যে অবকাশ দিন, আমরা আপনার আহ্বানে সাড়া দিবো এবং রাসূলদেরকে অনুসরণ করবো! তোমরা কি পূর্বে শপথ করে বলতে না যে, তোমাদের পতন নেই?" ( ১৪:৪৪ ) আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ “শেষ পর্যন্ত তাদের কারো যখন মৃত্যু এসে যাবে তখন বলবে- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ফিরিয়ে দিন, যেন আমি ভাল কাজ করতে পারি যা আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম, কখনো নয় ।( ২৩:৯৯-১০০ )এখানে মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ নির্ধারিত সময়কাল যখন উপস্থিত হয়ে যাবে, আল্লাহ কখনো কাউকেও অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত। এ লোকগুলোকে যদি ফিরিয়ে দেয়া হয় তবে এসব কথা তারা ভুলে যাবে এবং পূর্বে যে কাজ করতো পুনরায় ঐ কাজই করতে থাকবে। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেনঃ “ ঐ মালদার ব্যক্তি যে হজ্ব করেনি ও যাকাত দেয়নি সে মৃত্যুর সময় দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা করবে ।" একটি লোক তখন বললোঃ “ জনাব! আল্লাহকে ভয় করুন । দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাক্ষা তো করবে কাফির।” তখন তিনি বললেনঃ “ তাড়াতাড়ি করছো কেন? আমি তোমাকে কুরআন থেকে এটা পাঠ করে শুনাচ্ছি ।” অতঃপর তিনি ( আরবি ) হতে পূর্ণ রুকূটি পাঠ করে শুনালেন। লোকটি জিজ্ঞেস করলোঃ “ কি পরিমাণ সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হয়?” জবাবে তিনি বলেনঃ “দুই শত এবং এর চেয়ে বেশী হলে ।” সে প্রশ্ন করলোঃ “ হজ্ব কখন ফরয হয়?” তিনি উত্তর দিলেনঃ “যখন পথ খরচ ও সওয়ারীর শক্তি থাকে । একটি মারফূ’ রিওয়াইয়াতেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু এর মাওকুফটাই সঠিকতর। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত হযরত যহ্‌হাক ( রঃ )-এর রিওয়াইয়াতে ইনকিতা' রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে হযরত আবূ দারদা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে। যে, একদা সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সামনে বেশী বয়সের আলোচনা করেন। তখন তিনি বলেনঃ “ নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ কখনো অবকাশ দিবেন না । বয়সের আধিক্য এই ভাবে হয় যে, আল্লাহ তা’আলা কোন বান্দাকে সুসন্তান দান করেন এবং ঐ সন্তানরা তাদের পিতার মৃত্যুর পর তার জন্যে দু'আ করতে থাকে। ঐ দু'আ তার কবরে পৌঁছে থাকে।”

সূরা মুনাফিকুন আয়াত 11 সূরা

ولن يؤخر الله نفسا إذا جاء أجلها والله خبير بما تعملون

سورة: المنافقون - آية: ( 11 )  - جزء: ( 28 )  -  صفحة: ( 555 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা
  2. অগ্নি যখন দূর থেকে তাদেরকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পাবে তার গর্জন ও হুঙ্কার।
  3. তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
  4. তারা মানুষের কাছে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয় না। তিনি তাদের সাথে রয়েছেন,
  5. হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্যে তা
  6. হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং
  7. যে দিবস আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যাহূত হবার নয়, সেই দিবসের পূর্বে আপনি সরল ধর্মে নিজেকে
  8. না আপনি তাদের কাছে কোন প্রতিদান চান? আপনার পালনকর্তার প্রতিদান উত্তম এবং তিনিই রিযিকদাতা।
  9. আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
  10. তার পেছনে দোযখ রয়েছে। তাতে পূঁজ মিশানো পানি পান করানো হবে।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুনাফিকুন ডাউনলোড করুন:

সূরা Munafiqun mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Munafiqun শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুনাফিকুন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers