কোরান সূরা দুহা আয়াত 11 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Duha ayat 11 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা দুহা আয়াত 11 আরবি পাঠে(Duha).
  
   

﴿وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ﴾
[ الضحى: 11]

এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন। [সূরা দুহা: 11]

Surah Ad-Dhuha in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Duha ayat 11


আর তোমার প্রভুর অনুগ্রহের ক্ষেত্রে -- তুমি তবে ঘোষণা করতে থাকো।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১১. উপরন্তু নিজ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে প্রদত্ত নিআমতের শুকরিয়া করুন এবং তা অন্যদের নিকট ব্যক্ত করুন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা ব্যক্ত কর।[১] [১] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা তোমার উপর যা অনুগ্রহ করেছেন। যেমন, তিনি তোমাকে হিদায়াত, রিসালত ও নবুঅত দান করেছেন, এতীম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তোমার তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছেন, তোমাকে অল্পে তুষ্ট করেছেন ও অভাবমুক্ত করেছেন প্রভৃতি। এই সমস্ত অনুগ্রহসমূহের কথা কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়ার সাথে বয়ান কর। এ থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহের কথা চর্চা এবং প্রকাশ করাকে তিনি পছন্দ করেন। কিন্তু তা অহংকার ও গর্বের সাথে নয়। বরং আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া এবং তাঁর এহসানিতে ডুবে থেকে এবং আল্লাহর কুদরত ও শক্তিকে এই ভয় করে তা ব্যক্ত করতে হবে যে, তিনি যেন আমাদেরকে ঐ সকল নিয়ামত হতে বঞ্চিত না করে দেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আপনি আপনার রবের অনুগ্রহের কথা জানিয়ে দিন []। [] তৃতীয় নির্দেশ হচ্ছে, মানুষের সামনে আল্লাহ্র নেয়ামতসমূহ বৰ্ণনা করুন, স্মরণ করুন। নিয়ামত শব্দটি ব্যাপক অৰ্থবোধক। এর অর্থ দুনিয়ার নিয়ামতও হতে পারে আবার এমন-সব নিয়ামতও হতে পারে যা আল্লাহ্ তা‘আলা আখেরাতে দান করবেন। [ সা‘দী ] এ নিয়ামত প্ৰকাশ করার পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে। সামগ্রিকভাবে সমস্ত নিয়ামত প্রকাশের পদ্ধতি হলো আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, স্বীকৃতি দেয়া যে, আমি যেসব নিয়ামত লাভ করেছি সবই আল্লাহ্র মেহেরবানী ও অনুগ্রহের ফল। নবুওয়াতের এবং অহীর নিয়ামত প্রকাশ করা যেতে পারে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করার মাধ্যমে। এ-ছাড়া, একজন অন্যজনের প্রতি যে অনুগ্রহ করে, তার শোকর আদায় করাও আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক পন্থা। হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি অপরের অনুগ্রহের শোকর আদায় করে না, সে আল্লাহ্ তা‘আলারও শোকর আদায় করে না। [ আবুদাউদ: ৪৮:১১, তিরমিয়ী: ১৯৫৫, মুসনাদে আহমাদঃ২/৫৮ ] [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


হযরত ইকরামা ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি হযরত ইসমাঈল ইবনে কুসতুনতীন ( রঃ ) এবং হযরত শবল ইবনে ইবাদের ( রঃ ) সামনে কুরআন পাঠ করছিলেন। যখন তিনি ( আরবি ) পর্যন্ত পৌঁছেন তখন তারা উভয়েই বলেনঃ এখান হতে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক সূরার শেষে তাকবীর পাঠ করবেন। আমরা ইবনে কাসীর ( রঃ )এর সামনে পাঠ করছিলাম, তিনি মুজাহিদ ( রঃ )-এর সামনে পাঠ করলে তিনিও তাকে এই নির্দেশ দেন। তিনি আমাদেরকে অনুরূপ কথা বলেছিলেন। তিনি পাঠ করেছিলেন হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর সামনে। তিনিও তাঁকে এই হুকুম করেছিলেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) পাঠ করেছিলেন হযরত উবাই ইবনে কাবের ( রাঃ ) সামনে। তিনিও তাঁকে এটারই আদেশ করেছিলেন। আর হযরত উবাই ( রাঃ ) পাঠ করেছিলেন রাসুলুল্লাহর সামনে এবং রাসুলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁকে এরই নির্দেশ দিয়েছিলেন।ইমামুল কিরআত হযরত আবু হাসানও ( রঃ ) এই সুন্নাতের বর্ণনাকারী। হযরত আবু হাতিম রাযী ( রঃ ) এ হাদীসকে দুর্বল বলেছেন। কারণ আবুল হাসান বর্ণনাকারী হিসেবে দুর্বল। আবু হাতিম ( রঃ ) তাঁর নিকট হতে কোন হাদীসই নিতেন না। অনুরূপভাবে হযরত আবূ জাফর উকাইলীও ( রঃ ) তাঁকে মুনকারুল হাদীস বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শায়েখ শিহাবুদ্দীন আবু শামাহ ( রঃ ) শারহি শা'তিবিয়্যায় হযরত ইমাম শাফিয়ী ( রঃ ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একজন লোককে নামাযের মধ্যে এ তাকবীর বলতে শুনে বলেনঃ “ তুমি ভাল কাজই করেছে এবং সুন্নাত পালন করেছে । এ ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে, এ হাদীস সহীহ বা বিশুদ্ধ। এখন এ তাকবীর কোথায় ও কিভাবে পাঠ করতে হবে এ ব্যাপারে কারীদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, ( আরবি ) এই সূরা সমাপ্ত হওয়ার পর হতে এ তাকবীর পাঠ করতে হবে। অন্যেরা বলেছেন, ( আরবি ) সমাপ্ত হওয়ার পর হতে পড়তে হবে। আর কারো কারো মতে এটা পাঠের নিয়ম এই যে, শুধু আল্লাহু আকবার বলতে হবে। আবার কেউ কেউ বলেন যে, ( আরবি ) বলতে হবে।কোন কোন কারী সূরা আদ্দোহা হতে এই তাকবীর পাঠ করার কারণ এই বলে উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) নিকট অহী আসা কিছু দিনের জন্যে বন্ধ ছিল। তারপর হযরত জিব্রাঈল ( আঃ ) এই সূরা নিয়ে আসার পর রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) আনন্দের আতিশয্যে তাকবীর পাঠ করেন। কিন্তু এই বর্ণনা এমন কোন সনদের সাথে বর্ণিত হয়নি যেটা দ্বারা এটাকে বিশুদ্ধ অথবা দুর্বল বলা যেতে পারে। এ সব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। ১-১১ নং আয়াতের তাফসীর হযরত জুনদুব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, এ কারণে তিনি একদিন বা দুদিন রাত্রে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্যে উঠতে পারেননি। এটা জেনে একটি মহিলা এসে বলেঃ “ হে মুহাম্মদ ( সঃ )! তোমাকে তোমার শয়তান পরিত্যাগ করেছে ।” তখন মহামহিমান্বিত আল্লাহ ( আরবি ) এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন। ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ), ইমাম বুখারী ( রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ), ইমাম তিরমিযী ( রঃ ), ইমাম নাসাঈ, ইমাম ইবনে আবী হাতিম ( রঃ ) এবং ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত জুনদুব ( রাঃ ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ( সঃ ) নিকট হযরত জিবরাঈল ( আঃ )-এর আসতে কয়েকদিন বিলম্ব হয়েছিল, এতে মুশরিকরা বলাবলি করতে শুরু করে যে, মুহাম্মদ( সঃ ) কে তাঁর প্রতিপালক পরিত্যাগ করেছেন, তখন আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত আয়াতগুলো অবতীর্ণ করেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এর আঙ্গুলে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তা থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে তিনি বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তুমি শুধু একটি আঙ্গুল বৈ তো নও, আর আল্লাহর পথে তোমার এ যখম হয়েছে । শারীরিক অসুস্থতা বশতঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) দুই তিন দিন উঠতে পারেননি, এতেই ঐ মহিলাটি উপরোক্ত অশালীন উক্তি করেছিল। অতঃপর উপরোক্ত আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। জানা যায় যে, ঐ দুষ্টা মহিলাটি ছিল আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীল। তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত নাযিল হোক। রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর আঙ্গুল আহত হওয়া এবং তাতে উপরোক্ত পংক্তি আকস্মিকভাবে তার মুখে উচ্চারিত হওয়ার কথা তো সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে, কিন্তু তাহাজ্জুদ আদায়ে অসমর্থতা যে সেই কারণে হয়েছিল এবং এই আয়াতগুলো যে ঐ উপলক্ষ্যে অবতীর্ণ হয়েছিল এ উক্তি উসূলে হাদীসের পরিভাষায় গারীব বলে উল্লিখিত হয়েছে।ইমাম ইবনে জারীর ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত খাদীজা ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে বলেনঃ “ আপনার প্রতিপালক আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট তো হননি?” তখন এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয় । অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, হযরত জিবরাঈল ( আঃ )-এর আসতে বিলম্ব হওয়ায় রাসূলুল্লাহ শংকিত হয়ে পড়েন। এ কারণে হযরত খাদীজা ( রাঃ ) উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তখন এই আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। এ দুটি বর্ণনাকে উসূলে হাদীসের পরিভাষায় মুরসাল বলা হয়েছে। তবে খাদীজা ( রাঃ )-এর নাম ও উক্তি উল্লেখ এ ক্ষেত্রে সমীচীন মনে হয় না। হ্যা, তবে হয় তো দুঃখ ও বেদনার বশবর্তী হয়েই তিনি এ ধরনের উক্তি করে থাকবেন। এটা অসম্ভব নয়। তবে এ সব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।ইবনে ইসহাক ( রঃ ) এবং পূর্ব যুগীয় কোন কোন গুরুজন বলেছেন যে, হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) যে সময় তার স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং খুবই কাছাকাছি হয়েছিলেন সে সময় এই ধরনের অহী অবতীর্ণ হয়েছিল। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, অহী বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে মুশরিকদের অবাঞ্ছিত উক্তির অসারতা প্রমাণের জন্যেই এ আয়াতসমূহ অবতীর্ণ হয়। এখানে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা রোদ্র ওঠার সময়ের দিনের আলো, রাত্রির নীরবতা এবং অন্ধকারের শপথ করেছেন। এগুলো মহান স্রষ্টার কুদরতের এবং সৃষ্টির ঐশ্বর্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ শপথ রজনীর যখন ওটা আচ্ছন্ন করে এবং শপথ দিবসের যখন ওটা আবির্ভূত হয় ।”এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( হে নবী (সঃ )! তোমার প্রতিপালক তোমাকে ছেড়েও দেননি। এবং তোমার সাথে শত্রুতাও করেননি। তোমার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা বহুগুণে উত্তম। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী ইবাদত করতেন এবং দুনিয়া বিমুখ জীবন যাপন করতেন। নবী করীম ( সঃ )-এর জীবনী যারা পাঠ করেছেন তাদের কাছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা নিষ্প্রয়োজন।মুসনাদে আহমদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একটি খেজুর পাতার চাটাইর উপর শুয়েছিলেন । ফলে তার দেহের পার্শ্বদেশে চাটাইর দাগ পড়ে গিয়েছিল। তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর আমি তার দেহে হাত বুলিয়ে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! চাটাইর উপর আমাকে কিছু বিছিয়ে দেয়ার অনুমতি দিন! তিনি আমার এ কথা শুনে বললেনঃ “ পৃথিবীর সাথে আমার কি সম্পর্ক? আমি কোথায় এবং দুনিয়া কোথায়? আমার এবং দুনিয়ার দৃষ্টান্ত তো সেই পথচারী পথিকের মত যে একটি গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম গ্রহণ করে, তারপর গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে চলে যায় ।( এ হাদীসটি জামে তিরযিমীতেও বর্ণিত হয়েছে এবং উসূলে হাদীসের পরিভাষায় হাদীসটি হাসান ) আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমার প্রতিপালক তোমাকে আখেরাতে তোমার উম্মতের জন্যে এতো নিয়ামত দিবেন যে, তুমি খুশী হয়ে যাবে। তোমাকে বিশেষ সম্মান দান করা হবে। বিশেষভাবে হাউযে কাওসার দান করা হবে। সেই হাউযে কাওসারের কিনারায় খাটি মুক্তার তাঁবু থাকবে। ওর মাটি হবে নির্ভেজাল মিশক। এ সম্পর্কিত হাদীস অচিরেই বর্ণনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ।একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, যে সব ধনাগার রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর উম্মতের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে সেগুলো একে একে তার উপর প্রকাশ করা হয়। এতে তিনি খুবই খুশী হন। তারপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। জান্নাতে তাঁকে এক হাজার মহল দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক মহলে পবিত্র স্ত্রী এবং উৎকৃষ্ট মানের খাদেম রয়েছে।” ( এ হাদীসটি ইবনে আমর আওযায়ী (রঃ ) ইবনে জারীর ( রঃ ) এবং ইবনে আবী হাতিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) পর্যন্ত এ হাদীসের সনদ বিশুদ্ধ। আল্লাহর নবী ( সঃ ) হতে না শুনে এ ধরনের হাদীস বর্ণনা করা সম্ভব নয়)হযরত ইবনু আব্বাস ( রাঃ ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ( সঃ ) সন্তুষ্টির এটাও একটা কারণ যে, তাঁকে জানানো হয়ঃ তাঁর আহলে বাইতের মধ্য থেকে কেউ জাহান্নামে যাবে না। হযরত হাসান ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা তাঁর শাফা'আত বুঝানো হয়েছে।হযরত আব্দুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমরা এমন আহলে বায়েত যাদের জন্যে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার মুকাবিলায় আখেরাতকে পছন্দ করেছেন । তারপর তিনি ( আরবি ) পাঠ করেন। ( এ হাদীসটি ইবনে আবী শায়বা (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)অতঃপর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নিয়ামতসমূহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি ইয়াতীম থাকা অবস্থায় আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করেছেন, হিফাযত করেছেন, প্রতিপালন করেছেন এবং আশ্রয় দিয়েছেন। নবী করিম ( সঃ )-এর জন্ম লাভের পূর্বেই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেছিলেন। আবার কেউ কেউ বলেন যে, তাঁর জন্ম লাভের পর তার পিতা ইন্তেকাল করেন। ছয় বছর বয়সের সময় তাঁর স্নেহময়ী মাতা এই নশ্বর জগত হতে চিরবিদায় গ্রহণ করেন। তারপর তিনি তাঁর দাদা আবদুল মুত্তালিবের আশ্রয়ে বড় হতে থাকেন। তার বয়স যখন আট বছর তার দাদাও পরপারে চলে যান। অতঃপর তিনি তার চাচা আবু তালিবের নিকট প্রতিপালিত হতে থাকেন। আবু তালিব তাকে সর্বাত্মক দেখাশুনা এবং সাহায্য করেন। তিনি তাঁর স্নেহের ভ্রাতুস্পুত্রকে খুবই সম্মান করতেন, মর্যাদা দিতেন এবং স্বজাতির বিরোধিতার ঝড়ে মুকাবিলা করতেন। নিজেকে তিনি ঢাল হিসেবে উপস্থাপন করতেন। চল্লিশ বছর বয়সের সময় নবী করীম ( সঃ ) নবুওয়াত লাভ করেন। কুরায়েশরা তখন তার ভীষণ বিরোধী এমনকি প্রাণের দুশমন হয়ে গেল। আবু তালিব মুশরিক মূর্তিপূজক হওয়া সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে সহায়তা দান করতেন এবং তাঁর বিরুদ্ধবাদীদের সাথে লড়াই করতেন। এই সুব্যবস্থা আল্লাহপাকের ইচ্ছা ও ইঙ্গিতেই হয়েছিল। নবী করীম ( সঃ )-এর ইয়াতীমী অবস্থা এভাবেই কেটে যায়। আল্লাহ তা'আলা বিরুদ্ধবাদীদের নিকট হতে এভাবেই নবী করীমের ( সঃ )-এর খিদমত নেন। হিজরতের কিছুদিনের পূর্বে আৰূ তালিবও ইন্তেকাল করেন। এবার কাফির মুশরিকরা কঠিনভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। আল্লাহ তা'আলা তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে মদীনায় হিজরত করার অনুমতি দেন এবং মদীনার আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়কে তার সাহায্যকারী বানিয়ে দেন। ঐ বুর্যগ আনসার ব্যক্তিবর্গ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে এবং তার সাহাবীদেরকে ( রাঃ ) আশ্রয় দিয়েছেন, জায়গা দিয়েছেন, সাহায্য করেছেন এবং তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। আর শত্রুদের মুকাবিলায় বীরের মত সামনে অগ্রসর হয়ে যুদ্ধ করেছেন। আল্লাহ তাঁদের সবারই প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন! এ সবই আল্লাহর মেহেরবানী, অনুগ্রহ এবং রহম করমের ফলেই সম্ভব হয়েছিল।এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় নবী ( সঃ ) কে বলেনঃ তোমাকে আল্লাহ তাআলা পথহারা দেখতে পেয়ে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন। যেমন অন্যত্র রয়েছে ( আরবি ) অর্থাৎ “ এ ভাবেই আমি নিজের আদেশে তোমার প্রতি রুহ অর্থাৎ জিবরাইল ( আঃ ) কে অথবা কুরআনকে অহী হিসেবে পাঠিয়েছি । ঈমান কি জিনিস তাও তোমার জানা ছিল না, কিতাব কাকে বলে তাও জানতে না তুমি। আমি এ কিতাবকে নুর বা জ্যোতি বানিয়ে এর দ্বারা আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেছি।” ( ৪২:৫২ ) কেউ কেউ বলেন, এখানে ভাবার্থ হলো এই যে, নবী করীম ( সঃ ) শৈশবে মক্কার গলিতে হারিয়ে গিয়েছিলেন। ঐ সময় আল্লাহ তা'আলা তাঁকে যথাস্থানে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আবার এটাও বলা হয়েছে যে, তিনি তাঁর চাচা আবু তালিবের সাথে সিরিয়া যাওয়ার পতে রাত্রিকালে শয়তান তাঁর উটের লাগাম ধরে চলার পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। তারপর জিবরাঈল ( আঃ ) এসে শয়তানকে যুঁদিয়ে আবিসিনিয়ায় রেখে আসেন এবং রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) সওয়ারীকে সঠিক পথে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।” এই উভয় উক্তিই বাগাভী ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন।আল্লাহ তাআলা এরপর বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তিনি ( আল্লাহ ) তোমাকে পেলেন নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর তিনি তোমাকে অভাবমুক্ত করলেন ফলে ধৈর্যধারণকারী দরিদ্র এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ধনীর মর্যাদা তুমি লাভ করেছো। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি দুরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন!কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, এসব অবস্থা নবুওয়াতের পূর্বে হয়েছিল। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন “ ধন সম্পদের প্রাচুর্য প্রকৃত ধনশীলতা নয়, বরং প্রকৃত ধনশীলতা হচ্ছে মনের ধনশীলতা বা মনের সন্তুষ্টি ।” সহীহ মুসলিমে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, আল্লাহ যা কিছু দিয়েছেন তা যথেষ্ট মনে করেছে এবং তাতেই সন্তুষ্ট হয়েছে সে সাফল্য লাভ করেছে ।”এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় নবী ( সঃ ) কে সম্বোধন করে বলেনঃ সুতরাং তুমি ইয়াতীমের প্রতি কঠোর হয়ো না, তাকে ধমক দিয়ো না এবং তার সাথে দুর্ব্যবহার করো না, বরং তার সাথে সদ্ব্যবহার কর এবং নিজের ইয়াতীম হওয়ার কথা ভুলে যেয়ো না। কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, ইয়াতীমের সাথে ঠিক এমনই ব্যবহার করতে হবে যেমন ব্যবহার পিতা নিজের সন্তানের সাথে করে থাকেন। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ ) কে আরো বলেনঃ প্রার্থীকে না করো না। তুমি যেমন পথহারা ছিলে, আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত বা পথের দিশা দিয়েছেন, তেমনি কেউ তোমাকে জ্ঞানের কথা জিজ্ঞেস করলে তাকে রূঢ় ব্যবহার দ্বারা সরিয়ে দিয়ো না। গরীব, মিসকীন, এবং দুর্বল লোকদের প্রতি অহংকার প্রদর্শন করো না। তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করো না। তাদেরকে কড়া কথা বলো না। ইয়াতীম মিসকীনদেরকে যদি কিছু না দিতে পার তবে ভাল ও নরম কথা বলে তাদেরকে বিদায় করো এবং ভালভাবে তাদের প্রশ্নের জবাব দাও। এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ নিজের প্রতিপালকের নিয়ামতসমূহ বর্ণনা করতে থাকো। অর্থাৎ যেমন আমি তোমার দারিদ্রকে ঐশ্বর্যে পরিবর্তিত করেছি, তেমনই তুমিও আমার এ সব নিয়ামতের কথা বর্ণনা করতে থাকো। যেমন নবী করীম ( সঃ ) এর দু’আও ছিলঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনি আপনার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী করুন, ঐ নিয়ামতের কারণে আমাদেরকে আপনার প্রশংসাকারী করুন, ঐ নিয়ামত স্বীকারকারী করুন এবং পরিপূর্ণভাবে ঐ নিয়ামত আমাদেরকে দান করুন ।” আবু না ( রঃ ) বলেনঃ “ মুসলমানরা মনে করতেন যে, নিয়ামতের বর্ণনা দেয়াও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শামিল । ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত নুমান ইবনে বাশীর ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে বলেনঃ “ যে ব্যক্তি অল্প পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না । সে বেশী পেয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো না সে আল্লাহ তা'আলার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলো না। নিয়ামত স্বীকার ও বর্ণনা করাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শামিল, আর নিয়ামত অস্বীকার করা অকৃতজ্ঞতার পরিচায়ক। দলবদ্ধভাবে থাকা রহমত লাভের কারণ এবং দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া শাস্তির কারণ।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে)সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, মুহাজিরগণ বললেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আনসারগণ সমস্ত প্রতিদান নিয়ে গেছেন ।” তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাদেরকে বললেনঃ “ না, যে পর্যন্ত তোমরা তাদের জন্যে দু’আ করতে থাকবে এবং তাদের প্রশংসা করতে থাকবে ।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম ( সঃ ) বলেছেনঃ “ যারা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না তারা আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না ।( এ হাদীসটি ইমাম আবু দাউদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত জাবির ( রাঃহতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সঃ ) বলেছেনঃ “ যে ব্যক্তি কোন নিয়ামত লাভ করার পর তার বর্ণনা করেছে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী, আর যে তা গোপন করেছে সে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে ।( এ হাদীসটিও ইমাম আবু দাউদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন) হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ ( রাঃ ) বলেনঃ “ কাউকে কোন অনুগ্রহ করা হলে তার উচিত সম্ভব হলে ঐ অনুগ্রহের প্রতিদান দেয়া, আর যদি সম্ভব না হয় তবে উচিত অন্ততঃপক্ষে ঐ অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করা এবং তার প্রশংসা করা । যে ব্যক্তি এই প্রশংসা করেছে সে কৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি প্রশংসাও করেনি এবং নিয়ামতের কথা প্রকাশও করেনি সে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে।” ( এ হাদীসটিও ইমাম আবু দাউদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)কাতাদাহ ( রঃ ) বলেন যে, এখানে নিয়ামত দ্বারা নবুওয়াতকে বুঝানো হয়েছে। এক বর্ণনায় রয়েছে যে, এখানে নিয়ামত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কুরআন।হযরত আলী ( রাঃ ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হলো কল্যাণকর যে সব কথা নিজে জান, সে সব তাদের কাছেও বর্ণনা কর। মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক ( রঃ ) বলেন যে, এর অর্থ হলোঃ নবুওয়াতের যে নিয়ামত ও কারামত তুমি লাভ করেছে সেটা বর্ণনা কর। ঐ কথা আলোচনা কর। আর সেইদিকে জনগণকে দাওয়াত দাও।কাজেই নবী করীম ( সঃ ) নিজের লোকদের কাছে অর্থাৎ যাদের প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল তাদের কাছে প্রথমদিকে চুপি চুপি দাওয়াত দিতে শুরু করেন। তাঁর উপর নামায ফরয হয়েছিল, তিনি সেই নামায আদায় করতেন।

সূরা দুহা আয়াত 11 সূরা

وأما بنعمة ربك فحدث

سورة: الضحى - آية: ( 11 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 596 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. বস্তুতঃ মূসার সম্প্রদায়ে একটি দল রয়েছে যারা সত্যপথ নির্দেশ করে এবং সে মতেই বিচার করে
  2. তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন
  3. নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের
  4. আর তুমি চল সে অনুযায়ী যেমন নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর, যতক্ষণ না
  5. তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এই ওয়াদা কখন পূর্ণ হবে?
  6. আমি জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং আমারই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।
  7. আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন একাগ্রচিত্ত ইব্রাহীমের বিশুদ্ধ ধর্ম। সে
  8. নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাবান।
  9. যে সৎকাজ করছে, সে নিজের কল্যাণার্থেই তা করছে, আর যে অসৎকাজ করছে, তা তার উপরই
  10. অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্নম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা দুহা ডাউনলোড করুন:

সূরা Duha mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Duha শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত দুহা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত দুহা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত দুহা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত দুহা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত দুহা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত দুহা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত দুহা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত দুহা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত দুহা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত দুহা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত দুহা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত দুহা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত দুহা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত দুহা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত দুহা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত দুহা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত দুহা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত দুহা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত দুহা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত দুহা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত দুহা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত দুহা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত দুহা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত দুহা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত দুহা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers