কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 92 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 92 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 92 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿۞ وَلَقَدْ جَاءَكُم مُّوسَىٰ بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ اتَّخَذْتُمُ الْعِجْلَ مِن بَعْدِهِ وَأَنتُمْ ظَالِمُونَ﴾
[ البقرة: 92]

সুস্পষ্ট মু’জেযাসহ মূসা তোমাদের কাছে এসেছেন। এরপর তার অনুপস্থিতিতে তোমরা গোবৎস বানিয়েছ। বাস্তবিকই তোমরা অত্যাচারী। [সূরা বাকারাহ্: 92]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 92


আর নিশ্চয়ই মূসা তোমাদের কাছে এসেছিলেন স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে, কিন্তু তোমরা বাছুরকে গ্রহণ করলে তাঁর, আর তোমরা হলে অন্যায়কারী।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৯২. নিশ্চয়ই তোমাদের রাসূল মূসা ( আলাইহিস-সালাম ) তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছেন। যা তাঁর সত্যতা প্রমাণ করে। এরপরও তোমরা গো-বাছুরকে উপাস্য বানিয়ে নিলে। মূসা ( আলাইহিস-সালাম ) তাঁর প্রতিপালকের সাক্ষাতে যাওয়ার পর তোমরা যার পূজা করেছো। নিশ্চয়ই তোমরা আল্লাহর সাথে শিরক করে নিজেদের উপর অন্যায়-অবিচার করেছো। অথচ তিনিই হলেন ইবাদাতের একমাত্র উপযুক্ত; অন্য কেউ নয়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( হে বনী ইস্রাঈলগণ! ) নিশ্চয় মূসা তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছিল, ( কিন্তু তা সত্ত্বেও তার অনুপস্থিতিতে ) তোমরা সীমালংঘনকারী হয়ে গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে। [১] [১] এটা তাদের অস্বীকৃতি ও শত্রুতার আরো একটি দলীল। মূসা ( আঃ ) সুস্পষ্ট নির্দশনসমূহ এবং অকাট্য প্রমাণাদি কেবল এই কথা সাব্যস্ত করার জন্য এনেছিলেন যে, তিনি আল্লাহর প্রেরিত রসূল এবং উপাস্য একমাত্র মহান আল্লাহ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তোমরা মূসা ( আঃ )-এর সাথে সংকীর্ণতা সৃষ্টি করলে এবং এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে গোবৎসকে উপাস্য বানিয়ে নিলে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


অবশ্যই মূসা তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ [] এসেছিলেন, তারপর তোমরা তার অনুপস্থিতিতে গো বৎস কে ( উপাস্যরুপে ) গ্রহন করেছিলে। বাস্তবিকই তোমরা যালিম []। [] এ আয়াতে ‘স্পষ্ট প্রমাণ' কি তা ব্যাখ্যা করে বলা হয় নি। অন্য আয়াতে সেটা এসেছে। যেমন, বলা হয়েছে, “ তারপর আমরা তাদেরকে তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ভেক ও রক্ত দ্বারা ক্লিষ্ট করি । এগুলো স্পষ্ট নিদর্শন; কিন্তু তারা অহংকারীই রয়ে গেল, আর তারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায়" [ সূরা আল-আরাফ: ১৩৩ ] আরও বলা হয়েছে, “তারপর মূসা তার হাতের লাঠি নিক্ষেপ করল এবং সাথে সাথেই তা এক অজগর সাপে পরিণত হল এবং তিনি তার হাত বের করলেন আর সাথে সাথেই তা দর্শকদের কাছে শুভ্র উজ্জ্বল দেখাতে লাগল" [ সূরা আল-আরাফঃ ১০৭-১০৮ ] আরও এসেছে, “ তারপর আমরা মূসার প্রতি ওহী করলাম যে, আপনার লাঠি দ্বারা সাগরে আঘাত করুন । ফলে তা বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতের মত হয়ে গেল” [ সূরা আশ-শু'আরা: ৬৩ ] অনুরূপ আরও কিছু আয়াতে। [] ইয়াহুদীদের দাবীর খণ্ডনে আয়াতে বলা হয়েছে যে, তোমরা একদিকে ঈমানের দাবী কর, অন্যদিকে প্রকাশ্য শির্কে লিপ্ত হও। ফলে শুধু মূসা ‘আলাইহিস সালাম-কেই নয়, আল্লাহ্‌কেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করে চলেছ। কুরআন নাযিলের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আমলে যেসব ইয়াহুদী ছিল, তারা গোবৎসকে উপাস্য নির্ধারণ করেনি সত্য; কিন্তু তারা নিজেদের পূর্ব-পুরুষদের সমর্থক ছিল। অতএব তারাও মোটামুটিভাবে এ আয়াতের লক্ষ্য। [ তাফসীরে মা'আরিফুল কুরআন ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৯১-৯২ নং আয়াতের তাফসীর অর্থাৎ যখন তাদেরকে কুরআন কারীমের উপর ও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ )-এর উপর ঈমান আনতে বলা হয় তখন তারা বলে- তাওরাতের উপর ঈমান আনাই আমাদের জন্যে যথেষ্ট। আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, তারা তাদের এ কথায় মিথ্যাবাদী। কুরআন কারীম তো পূর্বের সমস্ত কিতাবের সত্যতা প্রতিপাদনকারী। আর স্বয়ং তাদের কিতাবেও রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সত্যতা বিদ্যমান রয়েছে। যেমন পবিত্র কুরআনে আছেঃ “ আহলে কিতাব তাকে ( মুহাম্মদ সঃ কে ) এভাবেই চেনে যেমন চেনে তারা তাদের সন্তান সন্ততিকে । সুতরাং তাকে অস্বীকার করার ফলে তাওরাত ও ইঞ্জীলের উপরও তাদের ঈমান রইল। এ দলীল কায়েম করার পর অন্যভাবে দলীল কায়েম করা হচ্ছে যে, তারা যদি তাদের কথায় সত্যবাদী হয় তবে যে সব নবী নতুন কোন শরীয়ত ও কিতাবনা এনে পূর্ব নবীদেরই অনুসারী হয়ে তাদের নিকট এসেছিলেন, তারা তাদেরকে হত্যা করেছিল কেন? তাহলে প্রমাণিত হলো যে, তাদের ঈমান কুরআন মাজীদের উপরও নেই এবং পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের উপরও নেই।অতঃপর বলা হচ্ছে যে, হযরত মূসা ( আঃ ) হতে তো তারা বড় বড় মু'জেযা প্রকাশ পেতে দেখেছে, যেমন তুফান, ফড়িং, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত ইত্যাদি তাঁর বদ দু'আর কারণে প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া লাঠির সাপ হওয়া, হাত উজ্জ্বল চন্দ্রের ন্যায় হওয়া, মেঘের ছায়া করা, মান্না ও সালওয়া' অবতারিত হওয়া এবং পাথর হতে নদী প্রবাহিত হওয়া ইত্যাদি বড় বড় অলৌকিক ঘটনাবলী-যা হযরত মুসার ( আঃ ) নুবুওয়াতের ও আল্লাহর একত্ববাদের জ্বলন্ত প্রমাণ ছিল এবং ওগুলো তারা স্বচক্ষে দেখেছিল। অথচ হযরত মূসার ( আঃ ) তূর পাহাড়ে গমনের পরই তারা বাছুরকে তাদের উপাস্য বানিয়ে নেয়। তা হলে তাওরাতের উপর ও স্বয়ং হযরত মূসার ( আঃ ) উপর তাদের ঈমান থাকলে কোথায়? এসব অসৎ ও অপরাধমূলক কার্যের ফলে তারা কি অনাচারী ও অত্যাচারীরূপে প্রমাণিত হচ্ছে না? ( আরবি ) হতে ভাবার্থ হচ্ছে হযরত মূসার ( আঃ ) তুর পাহাড়ে যাওয়ার পর।' যেমন অন্যত্র রয়েছেঃ মূসার ( আঃ ) ভূরে যাওয়ার পর তার সম্প্রদায় বাছুরকে তাদের মা'বুদ বানিয়ে নিয়েছিল এবং ঐ গো পূজার কারণে তারা তাদের নফসের উপর স্পষ্ট জুলুম করেছিল। পরে এ অনুভূতি তাদেরও হয়েছিল। যেমন আল্লাহপাক বলেনঃ যখন তাদের জ্ঞান। ফিরলো তখন তারা লজ্জিত হলো এবং নিজেদের ভ্রান্তি অনুভব করলো। সে সময় তারা বললো- হে আল্লাহ! যদি আপনি আমাদের প্রতি সদয় না হন এবং আমাদের পাপ ক্ষমা না করেন তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 92 সূরা

ولقد جاءكم موسى بالبينات ثم اتخذتم العجل من بعده وأنتم ظالمون

سورة: البقرة - آية: ( 92 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 14 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মূসা বললেনঃ এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে সাথে রাখবেন
  2. ওযর-আপত্তির অবকাশ না রাখার জন্যে অথবা সতর্ক করার জন্যে।
  3. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি আমার সম্প্রদায়কে দিবারাত্রি দাওয়াত দিয়েছি;
  4. তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত।
  5. আর তাদের কথায় দুঃখ নিয়ো না। আসলে সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর। তিনিই শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
  6. আমি প্রত্যেক বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি।
  7. তারা যখন জলযানে আরোহণ করে তখন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে এনে তাদেরকে
  8. এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।
  9. তোমাদের কি কোন কিতাব আছে, যা তোমরা পাঠ কর।
  10. মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 4, 2024

Please remember us in your sincere prayers