কোরান সূরা আনআম আয়াত 111 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anam ayat 111 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনআম আয়াত 111 আরবি পাঠে(Anam).
  
   

﴿۞ وَلَوْ أَنَّنَا نَزَّلْنَا إِلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةَ وَكَلَّمَهُمُ الْمَوْتَىٰ وَحَشَرْنَا عَلَيْهِمْ كُلَّ شَيْءٍ قُبُلًا مَّا كَانُوا لِيُؤْمِنُوا إِلَّا أَن يَشَاءَ اللَّهُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ يَجْهَلُونَ﴾
[ الأنعام: 111]

আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে অবতারণ করতাম এবং তাদের সাথে মৃতরা কথাবার্তা বলত এবং আমি সব বস্তুকে তাদের সামনে জীবিত করে দিতাম, তথাপি তারা কখনও বিশ্বাস স্থাপনকারী নয়; কিন্তু যদি আল্লাহ চান। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুর্খ। [সূরা আনআম: 111]

Surah Al-Anam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anam ayat 111


আর যদিবা আমরা তাদের প্রতি পাঠাতাম ফিরিশ্‌তাদের, আর মড়াও যদি তাদের সঙ্গে কথা বলতো, আর সব-কিছুই যদি তাদের সামনে একত্রে হাজির করতাম, তবুও তারা বিশ্বাস করতো না, যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করতেন, কিন্ত তাদের অধিকাংশই অজ্ঞতা পোষণ করে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১১১. তাদের প্রস্তাবিত বিষয়াদি উপস্থাপন করে তাদের আবেদনে সাড়া দিলে আমি তাদের উপর ফিরিশতা নাযিল করতাম যাঁদেরকে তারা স্বচক্ষে দেখতো এবং তাদের সাথে মৃতরাও কথা বলতো যারা আপনার আনীত বস্তুর ব্যাপারে আপনার সত্যতার সংবাদ দিতো এমনকি আমি তাদের জন্য তাদের প্রস্তাবিত সকল বস্তু একত্রিত করতাম যা তারা নিজেরাই সামনা-সামনি দেখতে পেতো তারপরও তারা আপনার আনীত বস্তুর ব্যাপারে ঈমান আনতো না। তবে আল্লাহ তা‘আলা যাদের হিদায়েত চাইবেন তাদের ব্যাপার অবশ্যই ভিন্ন। তবুও তাদের অধিকাংশই এ ব্যাপারে অজ্ঞ। তাই তারা হিদায়েতের তাওফীকের জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করে না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি যদি তাদের নিকট ফিরিশতা প্রেরণ করতাম[১] এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বলত[২] এবং সকল বস্তুকে তাদের সম্মুখে হাজির করতাম[৩] তবুও আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত তারা বিশ্বাস করত না। কিন্তু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ।[৪] [১] যেমন তারা বারবার আমার পয়গম্বরের কাছে এর দাবী করে। [২] এবং সে মুহাম্মাদ ( সাঃ )-এর ( আল্লাহর ) রসূল হওয়ার কথা সত্যায়ন করত। [৩] এর দ্বিতীয় অর্থ হল, যে নিদর্শনসমূহের এরা দাবী করে, সেগুলো সবই যদি তাদের সামনে উপস্থিত করে দেওয়া হত। আর একটি অর্থ হল, প্রতিটি জিনিস একত্রিত হয়ে দলে দলে যদি এই সাক্ষ্য দিত যে, নবী প্রেরণের ধারা সত্য, তবুও এই সমস্ত নিদর্শন এবং যাবতীয় দাবী পূরণ করে দেওয়া সত্ত্বেও এরা ঈমান আনত না। তবে যাকে আল্লাহ চান ( তার কথা ভিন্ন )। নিম্নের আয়াতটিও এই অর্থেরই {إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ، وَلَوْ جَاءَتْهُمْ كُلُّ آيَةٍ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} অর্থাৎ, নিঃসন্দেহে যাদের সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সত্য হয়েছে, তারা বিশ্বাস করবে না; যদিও তাদের নিকট সমস্ত নিদর্শন আগত হয়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছে। ( সূরা ইউনুস ১০:৯৬-৯৭ ) [৪] আর অজ্ঞতাপূর্ণ কথাগুলোই তাদের এবং সত্যকে গ্রহণ করার মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। যদি অজ্ঞতার এই বেড়া ভেঙ্গে যায়, তবে হয়তো সত্য তাদের বুঝে আসবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তা অবলম্বনও করে নেবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আমারা তাদের কাছে ফিরিশতা পাঠালেও বং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল বস্তুকে তাদের সামনে সমবেত করলেও আল্লাহ্‌র ইচ্ছে না হলে তারা কখনো ঈমান আনবে না ; কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ []। চৌদ্দতম রুকূ’ [] আলোচ্য আয়াতে এ বিষয়বস্তুই বর্ণিত হয়েছে যে, যদি আমি তাদের প্রার্থিত মু'জিযাসমূহ দেখিয়ে দেই; বরং এর চাইতেও বেশী ফিরিশতাদের সাথে তাদের সাক্ষাৎএবং মৃতদের সাথে বাক্যালাপ করিয়ে দেই, তবুও তারা মানবে না। [ মুয়াসসার ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ পাক বলেনঃ যারা কসম করে করে বলে যে, তারা কোন নিদর্শনও মু'জিযা দেখতে পেলে অবশ্যই ঈমান আনবে, তাদের প্রার্থনা যদি আমি ককূল করি এবং তাদের উপর ফেরেশতাও অবতীর্ণ করি যারা রাসূলদেরকে সত্যায়িত করবে এবং তোমার ( মুহাম্মাদ সঃ-এর ) রিসালাতের সাক্ষ্য প্রদান করবে, তথাপিও তারা ঈমান আনবে না। যেমন আল্লাহ তা'আলা তাদের উক্তি উদ্ধৃত করে বলেনঃ “ আপনি আল্লাহ এবং ফেরেশতাদেরকে এনে হাজির করুন । আর আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমান আনবো না যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যান্য রাসূলদের মত আপনিও নিদর্শনসমূহ পেশ না করবেন।” “ যারা আমার সাথে সাক্ষাতের বিশ্বাস রাখে না তারা বলে- আমাদের উপর কেন ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হয় না, কেন আমরা আমাদের প্রভুকে দেখতে পাই না? এরা বড়ই একগুয়েমি ও অবাধ্যতার মধ্যে রয়েছে ।“ আর যদি ফেরেশতাও তাদের কাছে এসে কথা বলে এবং রাসূলদেরকে সত্যায়িত করে ও সমস্ত জিনিসের ভান্ডার তাদের কাছে এনে জমা করে দেয়, তথাপি তারা ঈমান আনবে না ।" ( আরবী ) শব্দটিকে কেউ কেউ ( আরবী ) -এ যের দিয়ে এবং -কে যবর দিয়ে পড়েছেন, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আবার কেউ কেউ দু'টোকেই পেশ দিয়ে পড়েছেন, যার কারণে অর্থ দাঁড়িয়েছে-“ দলে দলে লোক এসেও যদি রাসূলদেরকে সত্যায়িত করে তথাপিও তারা ঈমান আনবে না । হিদায়াত দান তো একমাত্র আল্লাহর হাতে। যতই লোক হাক না লে তাদেরকে হিদায়াত করতে পারবে না। তিনি যা চান তা-ই করেন। তিনি সলকেই প্রশ্ন করবেন, কিন্তু তাকে প্রশ্ন করা যেতে পারে না। যেমন তিনি বলেনঃ ( হে নবী সঃ! ) যাদের উপর তোমার প্রভুর কথা সত্য ও পূর্ণ হয়ে গেছে । তারা সমস্ত নিদর্শন দেখলেও ঈমান আনবে না, যে পর্যন্ত না তারা বেদনাদায়ক শাস্তি অবলোকন করে।”

সূরা আনআম আয়াত 111 সূরা

ولو أننا نـزلنا إليهم الملائكة وكلمهم الموتى وحشرنا عليهم كل شيء قبلا ما كانوا ليؤمنوا إلا أن يشاء الله ولكن أكثرهم يجهلون

سورة: الأنعام - آية: ( 111 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 142 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এ কারণে যে, সে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততির অধিকারী।
  2. আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।
  3. নিশ্চয় সৎলোকগণ থাকবে পরম আরামে,
  4. যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং
  5. একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে
  6. যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
  7. যদি শত্রুপক্ষ চতুর্দিক থেকে নগরে প্রবেশ করে তাদের সাথে মিলিত হত, অতঃপর বিদ্রোহ করতে প্ররোচিত
  8. সে তো আমাদেরকে আমাদের উপাস্যগণের কাছ থেকে সরিয়েই দিত, যদি আমরা তাদেরকে আঁকড়ে ধরে না
  9. মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন। তিনিই
  10. আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ কেউ রয়েছে, যারা অবশ্য বিলম্ব করবে এবং তোমাদের উপর কোন

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনআম ডাউনলোড করুন:

সূরা Anam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনআম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনআম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনআম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনআম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনআম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনআম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনআম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনআম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনআম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনআম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনআম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনআম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনআম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনআম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনআম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনআম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনআম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনআম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনআম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, June 5, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب