কোরান সূরা তাওবা আয়াত 120 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 120 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 120 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿مَا كَانَ لِأَهْلِ الْمَدِينَةِ وَمَنْ حَوْلَهُم مِّنَ الْأَعْرَابِ أَن يَتَخَلَّفُوا عَن رَّسُولِ اللَّهِ وَلَا يَرْغَبُوا بِأَنفُسِهِمْ عَن نَّفْسِهِ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ لَا يُصِيبُهُمْ ظَمَأٌ وَلَا نَصَبٌ وَلَا مَخْمَصَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَطَئُونَ مَوْطِئًا يَغِيظُ الْكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنْ عَدُوٍّ نَّيْلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُم بِهِ عَمَلٌ صَالِحٌ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ﴾
[ التوبة: 120]

মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না। [সূরা তাওবা: 120]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 120


মদীনার বাসিন্দাদের ও তাদের আশপাশের বেদুইনদের জন্যে নয় যে তারা আল্লাহ্‌র রসূলের পিছনে থেকে যাবে, এবং নিজেদের জীবনকে তাঁর জীবনের চেয়ে বেশি প্রিয় মনে করাও নয়। এটি তাদের বেলা এই জন্য যে আল্লাহ্‌র পথে তাদের কষ্ট দেয় না পিপাসা, আর ক্লান্তিও না, আর ক্ষুধাও না, আর তারা এমন পথে পথ চলে না যা অবিশ্বাসীদের ক্রোধ উদ্রেক করে, আর তারা শত্রুর থেকে সংগ্রহ করে না কোনো সংগ্রহের বস্তু, -- তবে এ-সবের দ্বারা তাদের জন্যে লিখিত হয় শুভ কাজ। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ সৎকর্মশীলদের পুরস্কার ব্যর্থ করেন না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২০. রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) নিজেই যুদ্ধের জন্য বের হলে মদীনাবাসী ও তার আশপাশের বেদুঈনদের জন্য তা থেকে পিছপা হওয়ার কোন অধিকার নেই। এমনকি তাদের কোন অধিকার নেই নিজেদের জীবনের ব্যাপারে কার্পণ্য করে সেগুলোকে রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জীবন থেকে দূরে হিফাযতে রাখা। বরং তাদের জন্য আবশ্যক রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জীবনের সামনে তাদের জীবনকে বিলিয়ে দেয়া। আর তা এ জন্য যে, আল্লাহর পথে তাদের কোন পিপাসা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা লাগলে এমনকি কাফিরদেরকে রাগান্বিত করে এমন কোন জায়গায় তারা অবস্থান করলে উপরন্তু তারা শত্রæকে হত্যা বা বন্দী করলে অথবা তাদের থেকে যুদ্ধলব্ধ কোন সম্পদ পেলে কিংবা তাদেরকে পরাজিত করলে এর পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য কবুল হওয়া নেক আমলের সাওয়াব লিখে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা সৎকর্মশীলদের প্রতিদান নষ্ট করেন না। বরং তিনি তাদেরকে তা পুরোপুরি দিয়ে দেন। উপরন্তু তা থেকে আরো বাড়িয়ে দেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


মদীনাবাসী ও তাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সঙ্গত নয় যে, আল্লাহর রসূলের ( সঙ্গী না হয়ে ) পিছনে থেকে যাবে[১] এবং তার প্রাণ অপেক্ষা নিজেদের প্রাণকে প্রিয় মনে করবে।[২] কারণ,[৩] আল্লাহর পথে তাদেরকে যে পিপাসা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা পায়, আর অবিশ্বাসীদের ক্রোধ সৃষ্টি করে এমন স্থানে তারা যে পদক্ষেপ করে[৪] এবং শত্রুদের নিকট হতে তারা যা লাভ করে,[৫] তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে তাদের জন্য এক একটি নেক আমল লিপিবদ্ধ করা হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ পুণ্যবানদের পুণ্যফল বিনষ্ট করেন না। [১] তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়ার জন্য যেহেতু সাধারণভাবে সকলকে ডাক দেওয়া হয়েছিল। ফলে বিকলাঙ্গ, বৃদ্ধ ও শরয়ী ওজর-ওয়ালা ব্যতীত সকলের জন্য তাতে শরীক হওয়া জরুরী ছিল। কিন্তু এরপরেও যে সকল মদীনাবাসী বা মদীনার আশে-পাশে বসবাসকারীগণ সেই যুদ্ধে শরীক হয়নি, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তিরস্কার ও ধমক স্বরূপ বলছেন যে, রসূল ( সাঃ ) থেকে পিছিয়ে থাকা তাদের উচিত হয়নি। [২] অর্থাৎ এটাও উচিত নয় যে, তারা নিজেদের জান বাঁচিয়ে নেবে এবং রসূল ( সাঃ )-এর জান বাঁচানোর প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ থাকবে না। বরং রসূল ( সাঃ )-এর নিকটে থেকে তাদের নিজেদের জান বাঁচানোর চেয়ে রসূল ( সাঃ )-এর সুরক্ষা বিধান করা বেশি দরকার। [৩] ذلك দ্বারা পিছিয়ে না থাকার কারণ বর্ণনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের এই জন্য পিছিয়ে থাকা উচিত নয় যে, আল্লাহর পথে যে পিপাসা, ক্ষুধা ও ক্লান্তি তাদেরকে স্পর্শ করে বা তাদের এমন পদক্ষেপ যাতে কাফেরদের মনে ক্রোধ বৃদ্ধি পায়, অনুরূপ শত্রু পক্ষের মানুষ হত্যা বা তাদেরকে বন্দী করে, তার প্রত্যেকটিই তাদের জন্য নেক আমল হিসাবে লিখিত হয়। অর্থাৎ নেক আমল শুধু এই নয় যে, মানুষ মসজিদে বা কোন এক নির্জন স্থানে বসে বসে নফল নামায, কুরআন তেলাঅত, আল্লাহর যিকর ইত্যাদি করবে। বরং জিহাদে যে সকল কষ্ট ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়; এমনকি এমন কর্ম যার দ্বারা শত্রুর মনে ভীতি বা ক্রোধের সঞ্চার হয়, তার সকল কিছু আল্লাহর নিকট নেক আমল রূপে লিখিত হয়। ফলে শুধু ইবাদত করার উদ্দেশ্যেও জিহাদ থেকে দূরে থাকা ঠিক নয়, বিনা ওজরে জিহাদে ফাঁকি দেওয়া তো দূরের কথা। [৪] এর অর্থ পায়ে হেঁটে বা ঘোড়ায় চড়ে এমন এলাকা অতিক্রম করা যে, তাদের পদক্ষেপ ও ঘোড়ার পদশব্দে শত্রুর মনে ত্রাস ও কম্পন শুরু হয় এবং তাদের হৃদয়ে ক্রোধের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। [৫] 'শত্রুদের নিকট হতে তারা যা লাভ করে।' এর অর্থ হল তাদের দলের মানুষকে হত্যা বা বন্দী করে অথবা তাদেরকে পরাজিত করে এবং গনীমতের সম্পদ অর্জন করে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


মদীনাবাসী ও তাদের পার্শ্ববর্তী মরুবাসীদের জন্য সংগত নয় যে তারা আল্লাহ্‌র রাসূলের সহগামী না হয়ে পিছনে রয়ে যাবে এবং তার জীবনের চেয়ে নিজেদের জীবনকে প্রিয় মনে করবে; কারণ আল্লাহর পথে তাদেরকে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুদা পেয়ে বসে এবং কাফেরদের ক্রোধ উদ্রেক করে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আর শত্রুদেরকে কোন কষ্ট প্রদান করে [], তা তাদের জন্য সৎকাজরূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসিনদের কাজের প্রতিফল নষ্ট করেন না। [] উপরোক্ত অনুবাদটিই অধিকাংশ মুফাসসির উল্লেখ করেছেন। তবে আবুস সাউদ তাফসীরকারের মতে এখানে আরেকটি অর্থ এও হতে পারে যে, শক্ৰদের পক্ষ থেকে তাদের উপর যে বিপদই অনুষ্ঠিত হোক না কেন তা তাদের জন্য সওয়াব হিসেবে লিখা হয়। [ তাফসীর আবুস সাউদ ]।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


তাবুকের যুদ্ধে মদীনাবাসীদের যে আরব গোত্রগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা। থেকে বিরত ছিল এবং নবী ( সঃ )-কে যুদ্ধে যে দুঃখকষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল তাতে সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরামপ্রিয়তা অবলম্বন করেছিল তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা ক্রোধের সুরে বলেন যে, তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রতিদান থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করেছে। তারা না পিপাসার কষ্ট পেয়েছে, না যুদ্ধের ক্লান্তি সহ্য করেছে। না ক্ষুধার কষ্ট অনুধাবন করেছে, না তারা এমন স্থানে এসেছে যা কাফিরদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতো, আর না তারা কাফিরদের উপর জয়যুক্ত ও সফলকাম হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছে। পক্ষান্তরে, যারা এসব কষ্ট সহ্য করেছে এবং এসব কষ্ট যারা স্বেচ্ছাপ্রণাদিত হয়ে স্বীকার করে নিয়েছে, তাদের উপর কোন জোর জবরদস্তি করা হয়নি, আল্লাহ এসব নেককার লোকের নেক কাজের প্রতিদান কখনো নষ্ট করবেন না। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যে ব্যক্তি ভাল কাজ করেছে, আমি তার প্রতিদান বিনষ্ট করবো না ।( ১৮:৩০ )

সূরা তাওবা আয়াত 120 সূরা

ما كان لأهل المدينة ومن حولهم من الأعراب أن يتخلفوا عن رسول الله ولا يرغبوا بأنفسهم عن نفسه ذلك بأنهم لا يصيبهم ظمأ ولا نصب ولا مخمصة في سبيل الله ولا يطئون موطئا يغيظ الكفار ولا ينالون من عدو نيلا إلا كتب لهم به عمل صالح إن الله لا يضيع أجر المحسنين

سورة: التوبة - آية: ( 120 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 206 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তারাই তো কুফরী করেছে এবং বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে এবং অবস্থানরত কোরবানীর জন্তুদেরকে
  2. বলে দিনঃ দেখতো, যদি আল্লাহর শাস্তি, আকস্মিক কিংবা প্রকাশ্যে তোমাদের উপর আসে, তবে জালেম, সম্প্রদায়
  3. তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে।
  4. এটা এ কারণে যে, তাদের কাছে তাদের রসূলগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলীসহ আগমন করলে তারা বলতঃ মানুষই
  5. অতঃপর তার চেয়ে বড় জালেম, কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে কিংবা তাঁর
  6. এবং আমরাই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করি।
  7. হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে।
  8. শনিবার দিন পালন যে, নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা তাদের জন্যেই যারা এতে মতবিরোধ করেছিল। আপনার
  9. অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
  10. তারা যখনই যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers