কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 121 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 121 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 121 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ أُولَٰئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ﴾
[ البقرة: 121]

আমি যাদেরকে গ্রন্থ দান করেছি, তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে। তারাই তৎপ্রতি বিশ্বাস করে। আর যারা তা অবিশ্বাস করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [সূরা বাকারাহ্: 121]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 121


যাদের আমরা গ্রন্থ দিয়েছি তারা উহার তিলাওতের ন্যায্যতা মোতাবেক উহা অধ্যয়ন করে। তারাই এতে ঈমান এনেছে। আর যারা এতে অবিশ্বাস পোষণ করে তারা নিজেরাই হয় ক্ষতিগ্রস্ত।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২১. কুর‘আনুল-কারীম আহলে কিতাবের একটি গোষ্ঠীর কথা বর্ণনা দিয়ে বলে যে, তারা নিজেদের কাছে থাকা আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাবাদির উপর আমল করে। এমনকি তারা সেগুলোকে সত্যিকারার্থেই মানে। এরা এ কিতাবগুলোতে মুহাম্মাদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর নবুওয়াতের সত্যতার ব্যাপারে কিছু আলামত দেখতে পায়। তাই তারা তাঁর প্রতি দ্রæত ঈমান আনে। আর অন্যরা তাদের কুফরির উপর অটল আছে বিধায় তারা সত্যিকারার্থেই ক্ষতিগ্রস্ত।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আমি যাদেরকে কিতাব ( ধর্মগ্রন্থ ) দান করেছি [১] তারা যথাযথভাবে তা ( ধর্মগ্রন্থ ) পাঠ করে থাকে। [২] তারাই তাতে ( ধর্মগ্রন্থ ) বিশ্বাস করে। আর যারা তা অমান্য করে, তারাই হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [৩] [১] আহলে-কিতাবের অযোগ্য উত্তরসুরিদের নিকৃষ্ট চরিত্র ও কর্মকান্ডের প্রয়োজনীয় আলোচনার পর তাদের মধ্যে যে কিছু সৎ ও উন্নত চরিত্রের লোক ছিল, এই আয়াতে তাদের গুণাবলী এবং তারা যে মু'মিন ছিল সেই সংবাদ দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ বিন সালাম এবং আরো কিছু অন্য লোক ছিলেন। ইয়াহুদীদের মধ্য থেকে এদেরকেই ইসলাম কবুল করার তাওফীক হয়েছিল। [২] 'তারা যথাযথভাবে তা পাঠ করে' ( তারা তার হক আদায় করে তেলাঅত করে ) এর কয়েকটি অর্থ বলা হয়েছে। যেমনঃ ( ক ) অত্যধিক একাগ্রতা ও মনোযোগের সাথে পড়ে। জান্নাতের কথা এলে জান্নাত কামনা করে এবং জাহান্নামের কথা এলে তা থেকে পানাহ চেয়ে নেয়। ( খ ) তার হালালকে হালাল ও হারামকে হারাম মনে করে এবং আল্লাহর কালামের কোন বিকৃতি ঘটায় না। ( যেমন, ইয়াহুদীরা করত। ) ( গ ) এতে যা কিছু লেখা আছে, তা সবই লোকমাঝে প্রচার করে, এর কোন কিছুই গোপন করে না। ( ৪ ) এর সুস্পষ্ট আয়াতগুলোর উপর আমল করে, অস্পষ্ট আয়াতগুলোর উপর ঈমান রাখে এবং যে কথাগুলো বুঝে আসে না, তা আলেমদের মাধ্যমে বুঝে নেয়। ( ঘ ) এর প্রত্যেকটি কথার অনুসরণ করে। ( ফাতহুল ক্বাদীর ) বস্তুতঃ ( উল্লিখিত ) সব অর্থই যথাযথভাবে তেলাঅতের আওতায় পড়ে। আর হিদায়াত এমন লোকদের ভাগ্যেই জুটে, যারা উল্লিখিত কথাগুলির প্রতি যত্ন নেয়। [৩] আহলে-কিতাবের মধ্যে যে নবী করীম ( সাঃ )-এর উপর ঈমান আনবে না, সে জাহান্নামে যাবে। যেমন সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। ( ইবনে কাসীর )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি [], তাদের মধ্যে যারা যথাযথভাবে তা তিলাওয়াত করে [], তারা তাতে ঈমান আনে। আর যারা তার সাথে কুফরী করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। [] কাতাদাহ বলেন, এখানে ইয়াহুদী ও নাসারাদের বুঝানো হয়েছে। পক্ষান্তরে অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের বুঝানো হয়েছে। [ ইবনে কাসীর ] [] যথাযথভাবে তিলাওয়াতের অর্থ, তিলাওয়াতের হক আদায় করা। উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এর অর্থ যখন জান্নাতের বর্ণনা আসবে তখন আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে জান্নাত চাওয়া। আর জাহান্নামের বর্ণনা আসলে জাহান্নাম থেকে নিস্কৃতি চাওয়া। ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এর অর্থ, এগুলোর হালালকে হালাল হিসেবে নেয়া। আর হারামকে হারাম হিসেবে গ্রহণ করা। যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবে পড়া। সেগুলোর কোন অংশকে বিকৃত না করা এবং সঠিক ব্যাখ্যার বিপরীতে কোন বাজে ব্যাখ্যা উপস্থাপন না করা। মোটকথা: আল্লাহ্‌র আয়াতকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করাই এর যথাযথ তেলাওয়াত বলে বিবেচিত হবে। [ ইবনে কাসীর ] যথাযথ তেলাওয়াতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর ঈমান আনা এবং তার যাবতীয় আদেশ নিষেধ বিনা বাক্যব্যয়ে মেনে নেয়া। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ যার হাতে আমার প্রাণ, তার শপথ করে বলছি, ইয়াহুদী ও নাসারাদের যে কেউ আমার কথা শোনার পর আমার উপর ঈমান আনবে না, সে অবশ্যই জাহান্নামে যাবে” [ মুসলিম: ১১৫৩ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২০-১২১ নং আয়াতের তাফসীর রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে সান্ত্বনা প্রদান উপরোক্ত আয়াতের ভাবার্থ এই যে, আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) কে বলেছেনঃ “ হে নবী ( সঃ ) এ সব ইয়াহুদী ও নাসারা কখনও তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না । সুতরাং তুমিও তাদের পরিত্যাগ কর এবং তোমার প্রভুর সন্তুষ্টির পিছনে লেগে যাও। তাদের প্রতি রিসালাতের দাওয়াত পৌছিয়ে দাও সত্য ধর্ম ওটাই যা আল্লাহ তাআলা তোমাকে প্রদান করেছেন। ওটাকে আঁকড়ে ধরে থাক।' হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমার উম্মতের একটি দল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে অন্যদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকবে এবং বিজয় লাভ করবে । অবশেষে কিয়ামত সংঘটিত হবে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা নবীকে ( সঃ ) ধমকের সুরে বলেনঃ “ হে নবী ( স )! কখনও তুমি তাদের । সন্তুষ্টির জন্যে ও তাদের সাথে সন্ধির উদ্দেশ্যে স্বীয় ধর্মকে দুর্বল করে দিও না, তাদের দিকে ঝুঁকে পড়ো না এবং তাদেরকে মেনে নিও না।" এ আয়াত থেকে ধর্মশাস্ত্রবিদগণ এই দলীল গ্রহণ করেছেন যে, কুফরী একটিই ধর্ম। ওটা ইয়াহুদী ধর্মই হোক বা খ্রীষ্টান ধর্মই হোক অথবা অন্য কোন ধর্মই হোক না কেন। কেননা ( আরবি ) শব্দটিকে এখানে এক বচনেই এনেছেন। যেমন এক জায়গায় আছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমাদের জন্যে তোমাদের ধর্ম আর আমার জন্যে আমার ধর্ম ।”এই দলীলের উপর এই ধর্মীয় নীতির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে যে, মুসলমান ও কাফির পরম্পর উত্তরাধিকারী হতে পারে না এবং কাফিরেরা পরস্পর একে অপরের উত্তরাধিকারী হতে পারে। তারা দুজন একই শ্রেণীর কাফিরই হোক বা বিভিন্ন শ্রেণীর কাফিরই হোক না কেন। ইমাম শাফিঈ ( রঃ ) এবং ইমাম আবু হানীফার ( রঃ ) এটাই মাযহাব। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলেরও ( রঃ ) একটি বর্ণনায় এই উক্তি রয়েছে। দ্বিতীয় বর্ণনায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল ( রঃ ) এবং ইমাম মালিকের এ উক্তি বর্ণিত হয়েছে যে, দুই বিভিন্ন মাযহাবের কাফির একে অপরের উত্তরাধিকারী হতে পারে না। একটি বিশুদ্ধ হাদীসেও এটাই রয়েছে। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেন-“ আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা সত্যভাবে বুঝবার মত করে পাঠ করে । কাতাদাহ ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বুঝান হয়েছে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সহচরবৃন্দকে ( রাঃ ) বুঝান হয়েছে। হযরত উমার ( রাঃ ) বলেন যে, সত্য ভাবে পাঠ করার অর্থ হচ্ছে জান্নাতের বর্ণনার সময় জান্নাতের প্রার্থনা এবং জাহান্নামের বর্ণনার সময় জাহান্নাম হতে আশ্রয় প্রার্থনা করা। হাসান বসরী ( রঃ ) বলেন যে, স্পষ্ট আয়াতগুলোর উপর আমল করা ও অস্পষ্ট আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনা এবং কঠিন বিষয়গুলো আলেমদের কাছে পেশ করাই হচ্ছে। তিলাওয়াতের হক আদায় করা। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে এর ভাবার্থ সত্যের অনুসরণ’ও বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং তিলাওয়াতের অর্থ হচ্ছে আনুগত্য। যেমন ( আরবি ) ( ৯১:২ ) এর মধ্যে। একটি মারফু হাদীসেও এর এ অর্থই বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ সঠিক হলেও এর কোন কোন বর্ণনাকারী অজ্ঞাত। হযরত আবূ মূসা আশআরী ( রাঃ ) বলেন যে, কুরআন মাজীদের অনুসরণকারী জান্নাতের উদ্যানে অবতরণকারী। রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর পাঠের নিয়ম হযরত উমারের ( রাঃ ) তাফসীর অনুসারে এটাও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখন রহমতের বর্ণনাযুক্ত কোন আয়াত পাঠ করতেন তখন থেমে গিয়ে আল্লাহ তা'আলার নিকট রহমত চাইতেন আর যখন কোন শাস্তির আয়াত পড়তেন তখন থেমে গিয়ে তার নিকট তা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।তারপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “ ঐ সব লোকেই বিশ্বাস স্থাপন করছে', অর্থাৎকিতাবীদের মধ্যে যারা নিজেদের কিতাব বুঝে পাঠ করে তারা কুরআন মাজীদের উপর ঈমান আনতে বাধ্য হয়ে যায় । যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ যদি জরা তাওরাত ও ইঞ্জীলের উপর এবং তাদের প্রভুর পক্ষ হতে তাদের উপর অবতারিত কিতাবের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতো তবে তারা তাদের উপর হতে এবং পায়ের নীচে হতে আহার্য পেতো।'আল্লাহ রাব্বল আলামীন অন্যত্র বলেনঃ হে আহলে কিতাব! যে পর্যন্ত তোমরা তাওরাত ও ইঞ্জীলকে এবং তোমাদের প্রভুর পক্ষ হতে তোমাদের উপর অবতারিত কিতাবকে প্রতিষ্ঠিত না করো সে পর্যন্ত তোমরা কোন কিছুর উপরই নও।' অর্থাৎ তোমাদের অবশ্য কর্তব্য এই যে, তোমরা তাওরাত, ইঞ্জীল ও কুরআন কারীমের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে, ওগুলোর মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবগুলোকেই সত্য বলে বিশ্বাস করবে। যেমন রাসূলুল্লাহ( সঃ ) এর গুণাবলীর বর্ণনা, তার অনুসরণের নির্দেশ এবং তাকে সর্বোতভাবে সাহায্য করার বর্ণনা ইত্যাদি সব কিছুই ঐ সব কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।এক জায়গায় আল্লাহ পাক বলেনঃ যারা নিরক্ষর নবীর ( সঃ ) আনুগত্য স্বীকার করে, যার বর্ণনা ও সত্যতা তারা তাদের কিতাব তাওরাত' ও ইঞ্জীল’-এর মধ্যেও লিখিত দেখতে পায়। আর এক স্থানে তিনি বলেনঃ “ হে নবী সঃ তুমি বল অেমরা এর উপর ( কুরআন কারীমের উপর ) বিশ্বাস স্থাপন কর কিংবা নাই কর ( কোন ক্ষতি নাই ); এর পূর্বে যাদেরকে ইলম দান করা হয়েছে, যখন এ কুরআন মজীদ তাদের সামনে পঠিত হতে থাকে, তখন তারা চিবুকের উপর সিজদায় পড়ে যায় এবং বলে-আমাদের প্রভু পবিত্র! নিঃসন্দেহে আমাদের প্রভুর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়ে থাকে । অন্যত্র ঘোষিত হয়েছেঃ “ যাদেরকে আমি এর পূর্বে কিতাব দিয়েছি তারা এর উপরও ঈমান এনে থাকে । যখন তাদের উপর এ কিতাব পাঠ করা হয় তখন তারা তাদের ঈমানের স্বীকারোক্তি কবুতঃ বলে আমরা এর উপর ঈমান এনেছি, এটা আমাদের প্রভুর পক্ষ হতে সত্য, আমরা এর পূর্ব হতেই মুসলমান ছিলাম। এদেরকেই দ্বিগুণ প্রতিদান দেয়া হবে; যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল, ভাল দ্বারা মন্দকে সরিয়ে দিয়েছিল এবং আমার প্রদত্ত আহার্য হতে দান করেছিল।আল্লাহ তা'আলা আরও বলেনঃ “ কিতাব প্রাপ্তদেরকে বলে দাও-তোমরা কি ইসলাম গ্রহণ করছো? যদি তারা মেনে নেয় তবে তারা সুপথ প্রাপ্ত হয়েছে, আর ফদি না মানে তবে তোমার দায়িত্ব শুধুমাত্র পৌঁছিয়ে দেয়া এবং আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে দেখতে রয়েছেন । এজন্যই আল্লাহ তা'আলা এখানে বলেছেন যে, একে অমান্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত। যেমন বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ যে কেউই এর সাথে কুফরী করবে তার প্রতিশ্রুত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম। ( ১১:১৭ ) বিশুদ্ধ হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ যার আয়ত্বাধীনে আমার প্রাণ রয়েছে, তার শপথ! এই উম্মতের মধ্যে যে কেউই ইয়াহূদীই হোক বা খ্রীষ্টানই হোক আমার কথা শুনার পরেও আমার উপর ঈমান আনে না সে দোযখে প্রবেশ করবে।'

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 121 সূরা

الذين آتيناهم الكتاب يتلونه حق تلاوته أولئك يؤمنون به ومن يكفر به فأولئك هم الخاسرون

سورة: البقرة - آية: ( 121 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 19 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আপনি কি দেখেছেন যদি সে সৎপথে থাকে।
  2. না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অতঃপর তারা তা লিপিবদ্ধ করে।
  3. আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে।
  4. তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত
  5. স্মরণ করুণ, ইসমাঈল, আল ইয়াসা ও যুলকিফলের কথা। তারা প্রত্যেকেই গুনীজন।
  6. তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।
  7. আমার বান্দাদের উপর তোর কোন ক্ষমতা নেই আপনার পালনকর্তা যথেষ্ট কার্যনির্বাহী।
  8. আমি তাঁকে দুনিয়াতে দান করেছি কল্যাণ এবং তিনি পরকালেও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভূক্ত।
  9. তারা বলবে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে এ
  10. পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য?

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, May 15, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب