কোরান সূরা তাওবা আয়াত 121 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 121 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 121 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿وَلَا يُنفِقُونَ نَفَقَةً صَغِيرَةً وَلَا كَبِيرَةً وَلَا يَقْطَعُونَ وَادِيًا إِلَّا كُتِبَ لَهُمْ لِيَجْزِيَهُمُ اللَّهُ أَحْسَنَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ التوبة: 121]

আর তারা অল্প-বিস্তর যা কিছু ব্যয় করে, যত প্রান্তর তারা অতিক্রম করে, তা সবই তাদের নামে লেখা হয়, যেন আল্লাহ তাদের কৃতকর্মসমূহের উত্তম বিনিময় প্রদান করেন। [সূরা তাওবা: 121]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 121


আর তারা খরচ করে না কোনো সামান্য খরচা আর কোনো বিরাটও নয়, আর তারা কোনো মাঠও পার হয় না তবে তাদের জন্যে তা লিখিত হয়ে যায়, যেন আল্লাহ্ তাদের পুরস্কার দিতে পারেন তারা যা করে যাচ্ছিল তার চেয়ে উত্তম।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২১. তারা কম-বেশি যতো সম্পদই ব্যয় করুক না কেন এবং যে কোন উপত্যকাই তারা অতিক্রম করুক না কেন তাদের জন্য সেই ব্যয় ও সফর জাতীয় আমল লিখে রাখা হবে। যাতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এগুলোর প্রতিদান দিতে পারেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে পরকালে তাদের নেক আমলসমূহের প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর ছোট-বড় যা কিছু তারা ব্যয় করে এবং যত উপত্যকা অতিক্রম করে,[১] তা তাদের জন্য লিপিবদ্ধ হয়, যাতে আল্লাহ তাদের কৃতকর্মসমূহের অতি উত্তম বিনিময় প্রদান করতে পারেন। [১] পর্বতমালার মধ্যবর্তী যে জায়গা দিয়ে বৃষ্টির পানি বয়ে যায়, তাকে وَادي ( উপত্যকা ) বলা হয়। এখানে সাধারণ প্রান্তর ও এলাকা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আল্লাহর পথে অল্প-বিস্তর যা কিছু ব্যয় করবে, অনুরূপ যত প্রান্তর অতিক্রম করবে ( অর্থাৎ জিহাদে অল্প বা বেশি যতটাই সফর করবে ) তা সবই নেকী হিসাবে তাদের আমল-নামায় লেখা হবে, যার উপর আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সর্বোত্তম বিনিময় প্রদান করবেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তারা ছোট বা বড় যা কিছুই ব্যয় করে এবং যে কোন প্রান্তরই অতিক্রম করে তা তাদের অনুকূলে লিপিবদ্ধ হয়--- যাতে তারা যা করে আল্লাহ্‌ তার উৎকৃষ্টতর পুরস্কার তাদেরকে দিতে পারেন।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ পাক বলেন- এই গাযী লোকগুলো আল্লাহর পথে ছোট বড় খরচও করে এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বন জঙ্গলের অল্পবিস্তর পথ অতিক্রমও করে। এর প্রতিদান তারা অবশ্যই পাবে। আল্লাহ তা'আলা এখানে ( আরবী ) বলেছেন। আর পূর্ববর্তী আয়াতে ( আরবী ) বলেছেন। এই, ( আরবী ) -এর ভাবার্থ এই যে, এই খরচকরণ এবং শত্রুদের দিকে এই গমনাগমন হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত ও নিজস্ব কাজ। এ জন্যেই এই আয়াতে শারীফায় ( আরবী ) বলেছেন। আর পূর্ববর্তী আয়াতে কারীমায় আল্লাহর পথে ক্ষুধা, পিপাসা ইত্যাদির কষ্ট আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ছিল। এ জন্যে এ আয়াতে ( আরবী ) ও আনা হয়নি এবং আমলকে তাদের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করাও হয়নি। আমীরুল মুমিন উসমান ইবনে আফফান ( রাঃ ) এই আয়াতে কারীমা হতে একটা পূর্ণ ও বিরাট অংশ লাভ করেছেন। কেননা, তাবুকের যুদ্ধে তিনি মুসলিম সেনাবাহিনীকে তার প্রচুর সম্পদ দান করেছিলেন। ইবনে হাব আসসালমী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) একদা ভাষণ দান করেন এবং এই দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত সেনাবাহিনীকে সাহায্য করার জন্যে জনগণকে উৎসাহিত ও উত্তেজিত করেন। তখন উসমান ( রাঃ ) বললেনঃ “ আমার উপর রইলো জিন ও গদিসহ একশটি উট ( অর্থাৎ আমি একশটি উট দান করবো )রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) পুনরায় কওমের কাছে চাঁদা চাইলেন। এবারও উসমান ( রাঃ ) বললেনঃ “ আমার উপর থাকলো জিন, গদি ইত্যাদিসহ একশ'টি উট ।” নবী ( সঃ ) মিম্বরের উপর থেকে এক সিঁড়ি নেমে আবার বললেনঃ “ হে লোক সকল! আরো সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে ।” তখন উসমান ( রাঃ ) বললেনঃ “ সাজ ও সামানসহ একশ’টি উট ।( বর্ণনাকারী বলেন ) আমি তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে দেখলাম যে, তিনি খুশীতে তাঁর হাত এভাবে নাড়াচ্ছেন ( সর্বশেষ বর্ণনাকারী আব্দুস সামাদ (রঃ ) এ কথা বলার সময় তাঁর হাত নাড়ালেন) এবং তিনি ( নবী সঃ ) বললেনঃ “ এরপর উসমান ( রাঃ ) যে আমলই করুক না কেন তার ( জাহান্নামের আগুনে দগ্ধীভূত হওয়ার ) আর কোন ভয় নেই ।” অতঃপর উসমান ( রাঃ ) রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর কাছে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রার একটি থলে নিয়ে আসলেন এবং তা তাঁর ক্রোড়ে রেখে দিলেন, যেন তিনি তা দিয়ে অভাব ও অসুবিধাগ্রস্ত সেনাবাহিনীর যুদ্ধ যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বর্ণমুদ্রাগুলো নাড়াচ্ছিলেন এবং বলছিলেনঃ “ আজ থেকে উসমান ( রাঃ )-কে তার কোন আমল কোন কষ্টে ফেলতে পারবে না । এই এক আমলই তার মুক্তির জন্যে যথেষ্ট।” আর খুশীতে তিনি বার বার ঐ মুদ্রাগুলোকে নাড়াচাড়া করছিলেন। ( এ হাদীসটি আব্দুর রহমান ইবনে সামরা (রাঃ ) বর্ণনা করেছেন)কাতাদা ( রঃ ) আল্লাহ তা'আলার। ( আরবী )-এই উক্তি সম্পর্কে বলেন যে, আল্লাহর পথে সফর করতে গিয়ে মানুষ যত দূর পথ অতিক্রম করে ততই তারা আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভের দিক দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়।

সূরা তাওবা আয়াত 121 সূরা

ولا ينفقون نفقة صغيرة ولا كبيرة ولا يقطعون واديا إلا كتب لهم ليجزيهم الله أحسن ما كانوا يعملون

سورة: التوبة - آية: ( 121 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 206 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।
  2. অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবরাবর্গ
  3. না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
  4. তারাই সৌভাগ্যশালী।
  5. এটা একটা ঝরণা, যার পানি পান করবে নৈকট্যশীলগণ।
  6. এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত
  7. জালেমরা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও বেখবর মনে করো না তাদেরকে তো ঐ দিন
  8. এবং খেজুর বৃক্ষ ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মধ্য ও উত্তম খাদ্য তৈরী করে থাক,
  9. তাদের প্রত্যেকেই কি আশা করে যে, তাকে নেয়ামতের জান্নাতে দাখিল করা হবে?
  10. বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা তোমাদের সন্তান, তোমাদের ভাই তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র তোমাদের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers