কোরান সূরা নাহল আয়াত 124 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Nahl ayat 124 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা নাহল আয়াত 124 আরবি পাঠে(Nahl).
  
   

﴿إِنَّمَا جُعِلَ السَّبْتُ عَلَى الَّذِينَ اخْتَلَفُوا فِيهِ ۚ وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ﴾
[ النحل: 124]

শনিবার দিন পালন যে, নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা তাদের জন্যেই যারা এতে মতবিরোধ করেছিল। আপনার পালনকর্তা কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত। [সূরা নাহল: 124]

Surah An-Nahl in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 124


নিঃসন্দেহ সাব্বাতের নিয়ম ধার্য করা হয়েছিল কেবল তাদের জন্য যারা এ-সন্বন্ধে মতভেদ করেছিল। আর তোমার প্রভু অবশ্যই তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিনে মীমাংসা করে দেবেন যে-বিষয়ে ওরা মতভেদ করত সেই বিষয়ে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২৪. শনিবারকে সম্মান করা দ্ব›দ্বকারী ইহুদিদের উপর ফরয করে দেয়া হয়েছে। যেন তারা এদিনে নিজেদের সকল ব্যস্ততা ছেড়ে ইবাদাতের জন্য অবসর হতে পারে। তারা মূলতঃ জুমু‘আর দিনকে হারিয়ে ফেলেছে যেদিন তাদেরকে অবসর থাকতে আদেশ করা হয়েছে। হে রাসূল! নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন এ দ্ব›দ্বপূর্ণ জাতির মাঝে দ্ব›দ্বপূর্ণ বিষয়ের ফায়সালা করবেন। অতঃপর প্রত্যেককে তার উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


শনিবার পালন তো শুধু তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, যারা এ বিষয়ে মতভেদ করত।[১] তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, তোমার প্রতিপালক অবশ্যই কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের মাঝে বিচার-ফায়সালা করে দেবেন। [১] এই মতভেদ কি ছিল? এর ব্যাখ্যায় মতানৈক্য রয়েছে। কেউ বলেন, মূসা ( আঃ ) তাদের জন্য শুক্রবার দিন নিদিষ্ট করেছিলেন; কিন্তু বানী ইস্রাঈলগণ তার বিরোধিতা করে শনিবারকে সম্মান ও ইবাদতের জন্য বেছে নেয়। মহান আল্লাহ বলেছিলেন, হে মূসা তারা যে দিন বেছে নিয়েছে তাই তাদের জন্য থাকতে দাও। আবার কেউ বলেন, মহান আল্লাহ তাদেরকে সপ্তাহে একটি দিন সম্মানের জন্য বেছে নিতে বলেন। দিনটি নির্দিষ্ট করায় তাদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিল। অতঃপর ইয়াহুদীরা শনিবার ও খ্রিষ্টানরা রবিবার দিনকে বেছে নেয়। আর জুমআর দিনকে মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট করেন। আবার কিছু উলামা বলেন, খ্রিষ্টানরা রবিবারকে ইয়াহুদীদের বিরোধিতায় নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট করে, অনুরূপ ইবাদতের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ইয়াহুদীদের থেকে আলাদা রাখার জন্য বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথরের পূর্ব প্রান্তকে কিবলা হিসাবে বেছে নেয়। জুমআর দিনকে আল্লাহ কর্তৃক মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট করার কথা হাদীসে বর্ণিত আছে। ( দেখুন বুখারীঃ জুমআহ অধ্যায় )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


শনিবার পালন তো শুধু তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল, যারা এ সম্বন্ধে মতভেদ করেছে। আর যে বিষয়ে তারা মতভেদ করত আপনার রব তো অবশ্যই কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তাদের বিচার- মীমাংসা করে দেবেন []। [] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ আমাদের পূর্বের জাতিসমূহকে শুক্রবার সম্পর্কে অজ্ঞতায় রেখেছিলেন । ফলে ইয়াহুদীগণ শনিবারকে গ্রহণ করে। আর নাসারাগণ রবিবারকে গ্রহণ করে। এভাবে তারা কিয়ামতের দিনও আমাদের পিছে থাকবে। আমরা দুনিয়াবাসীদের দিক থেকে সবশেষে হলেও কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির আগে বিচারকার্য সম্পন্নকৃত হবো। [ মুসলিমঃ ৮৫৬ ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


এতে কোন সন্দেহ নেই যে, প্রত্যেক উম্মতের জন্যে আল্লাহ তাআলা এমন একটা দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন যেই দিনে তারা একত্রিত হয়ে তাঁর ইবাদত করবে খুশীর পর্ব হিসেবে। এই উম্মতের জন্যে ঐ দিন হচ্ছে শুক্রবারের দিন। কেননা, ওটা হচ্ছে ৬ষ্ঠ দিন, যে দিন আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি কার্যপূর্ণতায় পৌঁছিয়ে দেন এবং সমস্ত মাখলুকের সৃষ্টি সমাপ্ত হয়। আর তিনি তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত নিয়ামত দান করেন।বর্ণিত আছে যে, হযরত মূসার ( আঃ ) ভাষায় বাণী ইসরাঈলের জন্যে এই দিনটিকেই নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তারা এইদিন থেকে সরে গিয়ে শনিবারকে গ্রহণ করে। তারা এই শনিবারকে এই হিসেবে গ্রহণ করে যে, শুক্রবারে সৃষ্টিকার্য সমাপ্ত হয়েছে। শনিবারে আল্লাহ তাআলা কোন জিনিস সৃষ্টি করেন। নাই। সুতরাং তাওরাত অবতীর্ণ হলে তাদের জন্যে ঐ দিনকেই অর্থাৎ শনিবারকেই নির্ধারণ করা হয়। আর তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়, তারা যেন দৃঢ়তার সাথে এ দিনকে ধারণ করে। তবে একথা অবশ্যই বলে দেয়াহয়েছিল যে, হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) যখনই আসবেন তখনই সবকে ছেড়ে দিয়ে শুধু তাঁরই অনুসরণ করতে হবে। ঐ কথার উপর তাদের কাছে ওয়াদাও নেয়া হয়। সুতরাং শনিবারের দিনটি তারা নিজেরাই বেছে নিয়েছিল এবং শুক্রবারকে ছেড়ে দিয়েছিল।হযরত ঈসার ( আঃ ) যুগ পর্যন্ত তারা এর উপরই থাকে। বলা হয়েছে যে, পরে হযরত ঈসা ( আঃ ) তাদেরকে রবিবারের দিকে আহ্বান করেছিলেন। একটি উক্তি রয়েছে যে, হযরত ঈসা ( আঃ ) কয়েকটি মানসূখ হুকুম ছাড়া তাওরাতের শরীয়তকে পরিত্যাগ করেন নাই এবং শনিবারের হিফাযত তিনি বরাবরই করে এসেছিলেন। যখন তাঁকে উঠিয়ে নেয়া হয় তখন তাঁর পরে কুসতুনতীন বাদশাহর যুগে শুধু ইয়াহূদীদের হঠকারিতার কারণে ঐ বাদশাহ পূর্ব দিককে তাদের কিবলা নির্ধারণ করে এবং শনিবারের পরিবর্তে রবিবারকে ধার্য করে নেয়।হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমরা ( দুনিয়ায় সর্বশেষে আগমনকারী, আর কিয়ামতের দিন আমরা সবারই আগে থাকবো । তাদেরকে আল্লাহর কিতাব আমাদের পূর্বে দেয়া হয়েছিল এবং এই দিনটিকেও আল্লাহ তাআলা তাদের উপর ফরয করে। ছিলেন। কিন্তু তাদের মতানৈক্যের কারণে তারা তা নষ্ট করে দিয়েছে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ আমাদেরকে ওর প্রতি হিদায়াত করেছেন। সুতরাং এসব লোক আমাদের পিছনেই রয়েছে। ইয়াহূদীরা একদিন পরে এবং খৃষ্টানরা দু'দিন পরে।” (এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে। তবে এটা ইমাম বুখারীর (রঃ ) শব্দ)হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদেরকে আল্লাহ তাআলা জমআর । ( শুক্রবারের ) দিন হতে বঞ্চিত করেছেন। ইয়াহুদীদের জন্যে হলো শনিবারের দিন এবং খৃস্টানদের জন্যে হলো রবিবারের দিন। আর আমাদের জন্যে হলো শুক্রবারের দিন। সুতরাং এই দিক দিয়ে যেমন তারা আমাদের পরে রয়েছে কিয়ামতের দিনেও তারা আমাদের পিছনেই থাকবে। দুনিয়ার হিসেবে আমরা পিছনে, আর কিয়ামতের হিসেবে আগে। অর্থাৎ সমস্ত মাখলুকের মধ্যে সর্বপ্রথম ফায়সালা হবে আমাদের।” ( এ হাদীসটি এই ভাষায় ) ইমাম মুসলিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)

সূরা নাহল আয়াত 124 সূরা

إنما جعل السبت على الذين اختلفوا فيه وإن ربك ليحكم بينهم يوم القيامة فيما كانوا فيه يختلفون

سورة: النحل - آية: ( 124 )  - جزء: ( 14 )  -  صفحة: ( 281 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তাদের জ্ঞানের পরিধি এ পর্যন্তই। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ভাল জানেন, কে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত
  2. সে কি জানে না যে, আল্লাহ দেখেন?
  3. তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ।
  4. বললেন, তাকে ততক্ষণ তোমাদের সাথে পাঠাব না, যতক্ষণ তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার না দাও
  5. অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে।
  6. এগুলো আল্লাহর আয়াত, যা আমি আপনার কাছে আবৃত্তি করি যথাযথরূপে। অতএব, আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের
  7. সহাস্য ও প্রফুল্ল।
  8. যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর, তবে তোমরা নিশ্চিতরূপেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
  9. তোমাদের পুর্বে যারা কাফের ছিল, তাদের বৃত্তান্ত কি তোমাদের কাছে পৌছেনি? তারা তাদের কর্মের শাস্তি
  10. তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:

সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত নাহল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত নাহল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত নাহল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত নাহল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত নাহল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত নাহল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত নাহল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত নাহল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত নাহল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত নাহল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত নাহল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত নাহল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত নাহল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত নাহল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত নাহল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত নাহল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত নাহল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত নাহল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত নাহল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত নাহল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত নাহল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers