কোরান সূরা তাওবা আয়াত 127 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Tawbah ayat 127 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা তাওবা আয়াত 127 আরবি পাঠে(Tawbah).
  
   

﴿وَإِذَا مَا أُنزِلَتْ سُورَةٌ نَّظَرَ بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ هَلْ يَرَاكُم مِّنْ أَحَدٍ ثُمَّ انصَرَفُوا ۚ صَرَفَ اللَّهُ قُلُوبَهُم بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ﴾
[ التوبة: 127]

আর যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তারা একে অন্যের দিকে তাকায় যে, কোন মুসলমান তোমাদের দেখছে কি-না-অতঃপর সরে পড়ে। আল্লাহ ওদের অন্তরকে সত্য বিমুখ করে দিয়েছেন! নিশ্চয়ই তারা নির্বোধ সম্প্রদায়। [সূরা তাওবা: 127]

Surah At-Tawbah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Tawbah ayat 127


আর যখনই কোনো সূরা অবতীর্ণ হয় তাদের কেউ কেউ অন্যের দিকে তাকায় -- ''কেউ কি তোমাদের দেখছে?’’ তারপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ্ তাদের হৃদয়কে সত্যবিমুখ করেছেন যেহেতু তারা নিঃসন্দেহ এমন এক দল যারা বুঝতে চায় না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১২৭. আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূল ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর উপর মুনাফিকদের অবস্থা সম্বলিত কোন সূরা নাযিল করলে কিছু মুনাফিক অন্যদের দিকে তাকিয়ে বলে: কেউ কি তোমাদেরকে দেখতে পাচ্ছে? কেউ না দেখলে তারা দ্রæত মজলিস থেকে উঠে যায়। আল্লাহ তা‘আলা কেন তাদের অন্তরগুলোকে হিদায়েত ও কল্যাণ থেকে ফিরিয়ে দেয় না এবং তাদের অসহযোগিতা করে না। কারণ, তারা তো একটি অবুঝ সম্প্রদায়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ করা হয়, তখন তারা একে অপরের দিকে তাকাতে থাকে ( এবং ইঙ্গিতে বলে ); ‘তোমাদেরকে কেউ দেখছে না তো?’ অতঃপর তারা ফিরে যায়;[১] আল্লাহ তাদের অন্তরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, তারা এমন এক সম্প্রদায় যাদের বোধশক্তি নেই। [২] [১] অর্থাৎ তাদের উপস্থিতিতে যখন এমন সূরা অবতীর্ণ হয়, যাতে মুনাফিকদের বদমায়েশি ও চক্রান্তের দিকে ইঙ্গিত থাকে, তখন তারা একে অন্যের দিকে তাকাতাকি করে চুপি চুপি কেটে পড়ে, ইঙ্গিতে অথবা মনে মনে বলে, মুসলিমদের কেউ তোমাদেরকে দেখছে না তো? [২] অর্থাৎ আল্লাহর আয়াত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করার কারণে আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরকে কল্যাণ ও হিদায়াত-বিমুখ করে দিয়েছেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর যখনই কোন সূরা নাযিল হয়, তখন তারা একে অপরের দিকে তাকায় এবং জিজ্ঞেস করে, ‘তোমাদেরকে কেউ লক্ষ্য করছে কি?’ তারপর তারা সরে পড়েআল্লাহ্‌ তাদের হৃদয়কে সত্যবিমুখ করে দেন; কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা ভালভাবে বোঝে না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২৬-১২৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেন- এই মুনাফিকরা কি এটুকুও বুঝে না যে, প্রতি বছর তাদেরকে একবার বা দু'বার ফিত্যায় জড়িয়ে ফেলা হয়। তথাপি তারা তাদের পূর্ববর্তী গুনাহ্ থেকে বিরত থাকছে না এবং এই ব্যাপারে আগামীতে তাদের যে অবস্থা ঘটতে যাচ্ছে তা থেকে একটুও ভয় করছে না? কাতাদা ( রঃ ) বলেন যে, যুদ্ধের বিপদ তাদের মাথায় পতিত হতো। সাহাবীগণ বলেনঃ “ প্রতি বছর আমরা কোন না কোন মিথ্যা গুজব শুনতাম যার ফলে অধিকাংশ লোক বিভ্রান্ত হয়ে পড়তো । ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ “ কাঠিন্যের যুগ বেড়ে চলছে, হীনমন্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রত্যেক বছর পূর্ব বছরের তুলনায় খারাপ অনুভূত হচ্ছে ।” উল্লিখিত আয়াত মুনাফিকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। এতে বলা হয়েছে যে, নবী ( সঃ )-এর উপর যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয় তখন তারা একে অপরকে লক্ষ্য করে বলে- তোমাদেরকে কেউ দেখছে না তো? তারপর তারা সত্য থেকে ফিরে যায়। দুনিয়ায় এই মুনাফিকদের অবস্থা এই যে, না তারা সত্যের সামনে আসে, না তা বুঝে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ তাদের কি হলো যে, তারা এই উপদেশ হতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে? যেন তারা বন্য গাধা যারা ব্যাঘ্র হতে পলায়ন করছে।” ( ৭৪:৪৯-৫১ ) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ সুতরাং কাফিরদের কি হলো যে, তারা ( এসব বিষয় জেনে নেয়া সত্ত্বেও তা মিথ্যা প্রতিপাদনের জন্যে ) তোমার দিকে দৌড়িয়ে আসছে ডনি দিক থেকে এবং বাম দিক থেকে দলবদ্ধভাবে?” ( ৭০:৩৬-৩৭ ) তারা যেন বন্য পশু । তারা ব্যাঘ্র হতে পলায়ন করছে এবং একবার ডান দিকে যাচ্ছে, একবার বাম দিকে যাচ্ছে। সত্য থেকে মিথ্যার দিকে তারা ঝুঁকে পড়ছে। আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন। না তারা আল্লাহর ডাক বুঝতে পারছে, না বুঝবার চেষ্টা করছে।

সূরা তাওবা আয়াত 127 সূরা

وإذا ما أنـزلت سورة نظر بعضهم إلى بعض هل يراكم من أحد ثم انصرفوا صرف الله قلوبهم بأنهم قوم لا يفقهون

سورة: التوبة - آية: ( 127 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 207 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তিনিই সঠিকভাবে নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। যেদিন তিনি বলবেনঃ হয়ে যা, অতঃপর হয়ে যাবে। তাঁর কথা
  2. আর এই জনপদের অধিবাসীরা কি নিশ্চিন্ত হয়ে পড়েছে যে, তাদের উপর আমার আযাব দিনের বেলাতে
  3. বলে দাও, যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমি এটি তোমাদের সামনে পড়তাম না, আর নাইবা তিনি
  4. তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন।
  5. এটা উপদেশ। অতএব, যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার দিকে পথ অবলম্বন করুক।
  6. ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে
  7. আর এই সম্পদ তাদের জন্যে, যারা তাদের পরে আগমন করেছে। তারা বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা,
  8. তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে
  9. এবং তাকে আমি বলে ছিলাম, প্রশস্ত বর্ম তৈরী কর, কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কর এবং সৎকর্ম
  10. আর তুমি চল সে অনুযায়ী যেমন নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর, যতক্ষণ না

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা তাওবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Tawbah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Tawbah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত তাওবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত তাওবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত তাওবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত তাওবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত তাওবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত তাওবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত তাওবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত তাওবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত তাওবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত তাওবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত তাওবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত তাওবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত তাওবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত তাওবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত তাওবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত তাওবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত তাওবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers