কোরান সূরা ফাত্হ আয়াত 19 তাফসীর
﴿وَمَغَانِمَ كَثِيرَةً يَأْخُذُونَهَا ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمًا﴾
[ الفتح: 19]
এবং বিপুল পরিমাণে যুদ্ধলব্ধ সম্পদ, যা তারা লাভ করবে। আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [সূরা ফাত্হ: 19]
Surah Al-Fath in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Fath ayat 19
আর প্রচুর যুদ্ধেলব্ধ সম্পদ, তারা তা হস্তগত করবে। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন মহাশক্তিশালী, পরমজ্ঞানী।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১৯. আর তাদেরকে বহু গনীমত প্রদান করেছেন। তারা তা খায়বারবাসীর নিকট থেকে গ্রহণ করবে। বস্তুতঃ আল্লাহ পরাক্রমশালী। তাঁকে কেউ পরাস্ত করতে পারে না। তিনি তাঁর সৃষ্টি, ফায়সালা ও পরিচালনায় প্রজ্ঞাবান।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
এবং বিপুল পরিণাম যুদ্ধলব্ধ সম্পদ যা তারা হস্তগত করবে।[১] আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। [১] এগুলো হল গনীমতের সেই সম্পদাদি যা খায়বার থেকে লব্ধ হয়েছিল। এই অঞ্চলটি বড় উর্বর ও শস্য-শ্যামল অঞ্চল ছিল। এরই ফলে মুসলিমরা সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে ধন-সম্পদ অর্জন করেন। যেগুলো কেবল হুদাইবিয়ায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝেই বণ্টন করা হয়।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
আর বিপুল পরিমান গণীমতে [ ১ ], যা তারা হস্তগত করবে; এবং আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশালী, হিকমতওয়ালা। [ ১ ] এতে খাইবরের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ বোঝানো হয়েছে। [ ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১৮-১৯ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, এই বায়আতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশ’। হুদায়বিয়া প্রান্তরে একটি বাবলা গাছের নীচে এই বায়আত কার্য সম্পাদিত হয়েছিল।হযরত আবদুর রহমান ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার হজ্ব করতে গিয়ে দেখতে পান যে, কতগুলো লোক এক জায়গায় নামায আদায় করছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ ব্যাপার কি?” তারা উত্তরে বলেঃ “এটা ঐ বৃক্ষ, যার নীচে রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) সাহাবীদের ( রাঃ ) নিকট হতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন । হযরত আব্দুর রহমান ( রাঃ ) ফিরে এসে হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব ( রাঃ )-কে ঘটনাটি বলেন। তখন হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমার পিতাও এই বায়আতে অংশগ্রহণ করেছিলেন । তিনি বর্ণনা করেছেন যে, পর বছর তারা তথায় গমন করেন। কিন্তু তারা সবাই বায়আত গ্রহণের স্থানটি ভুলে যান। তারা ঐ গাছটিও দেখতে পাননি।” অতঃপর হযরত সাঈদ ( রাঃ ) বিস্ময় প্রকাশ করে বলেনঃ “ রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহাবীগণ, যারা নিজেরা বায়আত করেছেন, তাঁরাই ঐ জায়গাটি চিনতে পারেননি, আর তোমরা জেনে নিলে! তাহলে তোমরাই কি রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ )-এর সাহাবীগণ হতে ভাল হয়ে গেলে!” ( এটা ইমাম বুখারী স্বীয় সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন )মহান আল্লাহ্ বলেনঃ তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন । অর্থাৎ তিনি তাদের অন্তরের পবিত্রতা, ওয়াদা পালনের সদিচ্ছা এবং আনুগত্যের অভ্যাস সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। সুতরাং তিনি তাঁদের অন্তরে প্রশান্তি দান করলেন এবং আসন্ন বিজয় দ্বারা পুরস্কৃত করলেন। এ বিজয় হলো ঐ সন্ধি যা হুদায়বিয়া প্রান্তরে হয়েছিল। এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) এবং সাহাবীগণ সাধারণ কল্যাণ লাভ করেছিলেন এবং এর পরপরই খায়বার বিজিত হয়েছিল। অতঃপর অল্পদিনের মধ্যে মক্কাও বিজিত হয় এবং এরপর অন্যান্য দুর্গ ও অঞ্চল বিজিত হতে থাকে এবং মুসলমানরা ঐ মর্যাদা, সাহায্য, বিজয়, সফলতা এবং উচ্চাসন লাভ করেন যা দেখে সারা বিশ্ব বিস্ময়াবিভূত, স্তম্ভিত এবং হতবুদ্ধি হয়ে পড়ে। এ জন্যেই আল্লাহ্ পাক বলেনঃ “ আল্লাহ তাদেরকে বিপুল পরিমাণ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ দান করবেন, যা তারা হস্তগত করবে । আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। হযরত সালমা ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমরা দুপুরে হুদায়বিয়া প্রান্তরে বিশ্রাম করছিলাম এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর ঘোষণাকারী ঘোষণা করেনঃ “হে জনমণ্ডলী! আপনারা বায়আতের জন্যে এগিয়ে যান, রূহুল কুদ্স্ ( আঃ ) এসে পড়েছেন । আমরা তখন দৌড়াদৌড়ি করে রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ )-এর খিদমতে হাযির হয়ে গেলাম। তিনি ঐ সময় একটি বাবলা গাছের নীচে অবস্থান করছিলেন। আমরা তাঁর হাতে বায়আত করি।” এর বর্ণনা ...
( আরবী ) এই আয়াতে রয়েছে। হযরত সালমা ( রাঃ ) আরো বলেনঃ “ হযরত উসমান ( রাঃ )-এর পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) স্বীয় এক হস্ত অপর হস্তের উপর রেখে নিজেই বায়আত করে নেন । আমরা তখন বললামঃ হযরত উসমান ( রাঃ ) বড়ই ভাগ্যবান যে, আমরা তো এখানেই পড়ে রয়েছি, আর তিনি হয়তো বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে নিয়েছেন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেনঃ “ এটা অসম্ভব যে, উসমান ( রাঃ ) আমার পূর্বে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবে, যদিও সে তথায় কয়েক বছর পর্যন্ত অবস্থান করে ।” ( এ হাদীসটি ইমাম ইবনে আবি হাতিম বর্ণনা করেছেন )
সূরা ফাত্হ আয়াত 19 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ।
- কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা
- যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর
- হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার
- তবে যে তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আশা করা যায়, সে সফলকাম
- অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।
- পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার
- তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
- তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল
- তারা আল্লাহর অনুগ্রহ চিনে, এরপর অস্বীকার করে এবং তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাত্হ ডাউনলোড করুন:
সূরা Al Fath mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Fath শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers