কোরান সূরা নাহল আয়াত 128 তাফসীর
﴿إِنَّ اللَّهَ مَعَ الَّذِينَ اتَّقَوا وَّالَّذِينَ هُم مُّحْسِنُونَ﴾
[ النحل: 128]
নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা পরহেযগার এবং যারা সৎকর্ম করে। [সূরা নাহল: 128]
Surah An-Nahl in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Nahl ayat 128
নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তাদের সাথে রয়েছেন যারা ধর্মপরায়ণতা অবলন্বন করে ও যারা স্বয়ং সৎকর্মপরায়ণ।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১২৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ পরিত্যাগকারী মুত্তাকী এবং আদেশ মান্যকারী ও আনুগত্যকারী সৎকর্মশীলদের সাথেই রয়েছেন। তিনি তাঁর সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে তাদের সাথেই আছেন।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে থাকেন, যারা সংযম অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদের সঙ্গে আছেন যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা মুহসিন [ ১ ]। [ ১ ] এর সারমর্ম এই যে, আল্লাহ্ তা'আলার সাহায্য তাদের সাথে থাকে, যারা দু’টি গুণে গুণান্বিত। তাকওয়া ও ইহসান। তাকওয়ার অর্থ হারাম কাজ পরিত্যাগ করা এবং ইহসানের অর্থ সৎকাজ করা। [ ইবন কাসীর ] অর্থাৎ যারা শরীআতের অনুসারী হয়ে নিয়মিত হারাম কাজ পরিত্যাগ করে, আর সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ্ তাআলা তাদের সঙ্গে আছেন। বলাবাহুল্য, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার সান্নিধ্য ( সাহায্য ) অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, তার অনিষ্ট সাধন করার সাধ্য কার? আল্লাহ তা'আলার এ সঙ্গ শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য বিশেষভাবে সুনির্দিষ্ট। এ সঙ্গের অর্থ সাহায্যসহযোগিতা ও তাওফীক দান করা। [ বাগভী ] নতুবা তিনি আরশের উপরই আছেন। তিনি কারও গায়ের সাথে লেগে নেই। ঈমানদারগণ আল্লাহর সান্নিধ্য ও সঙ্গ দ্বারা ধন্য হওয়ার কথা আল্লাহ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে এসেছে। [ দেখুনঃ সূরা আল-আনফালঃ ১২, সূরা ত্বা-হাঃ ৪৬, সূরা আত-তাওবাহঃ ৪০, সূরা আস-শু'আরাঃ ৬২ ] এ ছাড়া আরেক ধরনের সঙ্গ আছে যা আল্লাহর সাথে সমস্ত সৃষ্টির সম্পর্ক। সেটার অর্থঃ তাঁর জ্ঞান, শ্রবণ, দর্শন ও শক্তিতে তিনি সবার সাথে আছেন। সবাই তাঁর মুঠোয়। কেউ তাঁর আয়ত্ব ও জ্ঞানের আওতার বাইরে নয়। এ ধরনের সঙ্গ কোন প্রকার সম্মানের বিষয় নয়। এ বিষয়টিও আল্লাহ্ তা'আলা কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ করেছেন। [ দেখুনঃ সূরা আল-হাদীদঃ ৪, সূরা আল-মুজাদালাহঃ ৭, সূরা ইউনুসঃ ৬১ ] [ উসাইমীন, আল-কাওয়ায়িদুল মুসলা ]
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১২৬-১২৮ নং আয়াতের তাফসীর প্রতিশোধ গ্রহণ ও হক? আদায় করার ব্যাপারে সমতা ও ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ইমাম ইবনু সীরীন প্রভৃতি গুরুজন ( আরবি ) আল্লাহ তাআলার এই উক্তির ভাবার্থ বর্ণনায় বলেনঃ “ যদি কেউ তোমার নিকট থেকে কোন জিনিস নিয়ে নেয় তবে তুমিও তার নিকট থেকে ঐ সমপরিমাণ জিনিস নিয়ে নাও” । ইবনু যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, পূর্বে তো মুশরিকদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার নির্দেশ ছিল। তারপর যখন কতকগুলি প্রভাবশালী লোক মুসলমান হলেন তখন তারা বললেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! যদি আল্লাহ তাআলা অনুমতি দিতেন তবে অবশ্যই আমরা এই কুকুরদের নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতাম ।” তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন। পরে এটাও জিহাদের হুকুম দ্বারা রহিত হয়ে যায়।হযরত আতা’ ইবনু ইয়াসার ( রঃ ) বলেন যে, সূরায়ে নাহলের সম্পূর্ণটাই মক্কা মুকাররমায় অবতীর্ণ হয়। কিন্তু ওর শেষের এই তিনটি আয়াত মদীনায় অবতীর্ণ হয়। উহুদের যুদ্ধে যখন হযরত হামযাকে ( রাঃ ) শহীদ করে দেয়া হয় এবং শাহাদাতের পর তার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিও কেটে নেয়া হয়, তখন রাসূলুল্লাহর ( সঃ ) যবান মুবারক থেকে হঠাৎ বেরিয়ে পড়েঃ “ এরপর যখন আল্লাহ আমাকে এই মুশরিকদের উপর বিজয় দান করবেন, তখন আমি তাদের মধ্য হতে ত্রিশজন লোকের হাত পা এই ভাবে কেটে নেবো ।” তাঁর এইকথা যখন সাহাবীদের ( রাঃ ) কানে পৌঁছলো, তখন তাঁরা ভাবাবেগে বলে উঠলেনঃ “ আল্লাহর শপথ! আমরা তাদের উপর নিযুক্ত হলে তাদের মৃতদেহগুলিকে এমনভাবে টুকরো টুকরো করে ফেলবো যা আরববাসী ইতিপূর্বে কখনো দেখে নাই ।” ( এটা ‘সীরাতে ইবনু ইসহাক’-এ রয়েছে। কিন্তু এ রিওয়াইয়াতটি মুরসাল এবং এতে একজন বর্ণনাকারী এমন রয়েছেন যার নামই নেয়া হয় নাই। হাঁ, তবে অন্য সনদে এটা মুত্তাসিলরূপেই বর্ণিত হয়েছে )হযরত আবু হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন হযরত হামযা ইবনু আবদিল মুত্তালিবকে ( রাঃ ) শহীদ করে দেয়া হয়, তখন তিনি তাঁর মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকেন। হায়! এরচেয়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্য আর কি হতে পারে যে, সম্মানিত পিতৃব্যের মৃতদেহের টুকরাগুলি চোখের সামনে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে রয়েছে! তাঁর যবান মুবারক থেকে বেরিয়ে পড়লোঃ “ আপনার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক! আমার জানা মতে আপনি ছিলেন আত্মীয়তার সম্পর্ক যুক্তকারী এবং সৎকার্যাবলী সম্পাদনকারী । আল্লাহর শপথ! অন্য লোকদের দুঃখ-বেদনার খেলাপ না করলে আপনাকে আমি এভাবেই রেখে দিতাম, শেষ পর্যন্ত আপনাকে আল্লাহ তাআলা হিংস্ৰজন্তুর পেট হতে বের করতেন।” বা এই ধরনের কোন কথা উচ্চারণ করেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ “ এই মুশরিকরা যখন এ কাজ করেছে তখন আল্লাহর ছাড় লোকের দুরবস্থা এরূপই করবো ।” তৎক্ষণাৎ হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) ওয়াহী নিয়ে আগমন করেন এবং এই আয়াতগুলি অবতীর্ণ হয়। তখন রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বীয় কসম পর্ণ করা হতে বিরত থাকেন এবং কসমের কাফফারা আদায় করেন। ( এই হাদীসের সনদও দুর্বল। এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী হচ্ছেন সালেহ বাশীর সুররী । আহলে হাদীসের নিকট তিনি দৃর্বল। ইমাম বুখারী (রঃ ) তাকে মুনকারহাদীস বলেছেন) হযরত শাবী ( রঃ ) ও হযরত ইবনু জুরায়েজ ( রঃ ) বলেন যে, মুসলমানদের মুখ দিয়ে বের হয়েছিল “ যারা আমাদের শহীদদের অসম্মান করেছে এবং তাঁদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি কেটে ফেলেছে, আমরা তাদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করেই ছাড়বো ।” তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতগুলি অবতীর্ণ করেন।হযরত উবাই ইবনু কা'ব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, উহুদের যুদ্ধে ষাট জন আনসার এবং ছ'জন মুহাজির শহীদ হয়েছিলেন। এ সময় হযরত মুহাম্মদের ( সঃ ) যবান মুবারক থেকে বের হয়েছিলঃ “ যখন আমরা এই মুশরিকদের উপর বিজয় লাভ করবো তখন আমরাও তাদেরকে টুকরা টুকরা করে ছাড়বো না ।” ( এ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনু ইমাম আহমদ (রঃ ) তাঁর পিতার মুসনাদ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন) অতঃপর যেই দিন মক্কা বিজিত হয়, সেই দিন এক ব্যক্তি বলেছিলেনঃ “ আজকের দিন কুরায়েশদেরকে চেনাও যাবে না ( অর্থাৎ তাদের মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি কেটে নেয়া হবে, তাই তাদেরকে চেনা যাবে না ) ।” তৎক্ষণাৎ রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ঘোষণা করেনঃ “ অমুক অমুক ব্যক্তি ছাড়া সমস্ত লোককে নিরাপত্তা দান করা হলো ।” যাদেরকে নিরাপত্তা দেয়াহলো না তাদের নামগুলিও তিনি উচ্চারণ করলেন। ঐ সময় আল্লাহ তাআলা এই আয়াতগুলি অবতীর্ণ করেন। তখনই রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “ আমরা ধৈর্য ধারণ করলাম এবং প্রতিশোধ গ্রহণ করা হতে বিরত থাকলাম ।” এই আয়াতের দৃষ্টান্ত কুরআন কারীমের মধ্যে আরো বহু জায়গায় রয়েছে। এতে সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ শরীয়ত সম্মত হওয়ার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। আর এ ব্যাপারে উত্তম পন্থা অবলম্বন করার প্রথম ইঙ্গিত করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ মন্দের বদলা সমপরিমাণ মন্দ । ( ৪২:৪০ ) এর দ্বারা অন্যায়ের প্রতিশোধ গ্রহণের অনুমতি দানের পর তিনি বলেনঃ “ যে ক্ষমা করে এবং সংশোধন করে নেয় তার পুরস্কার আল্লাহ তাআলার নিকট রয়েছে ।” অনুরূপভাবে ( আরবি ) অর্থাৎ “ যখমেরও বদলা রয়েছে একথা যখমের প্রতিশোধ গ্রহণের অনুমতি দানের পর মহান আল্লাহ বলেনঃ “সাদকা হিসেবে যে ক্ষমা করে দেয়, তার এই ক্ষমা তার গুণাহর কাফফারাহয়ে যায় ।” অনুরূপভাবে এই আয়াতেও সমান সমান বদলা নেয়ার বৈধতার বর্ণনার পর বলেনঃ “ যদি ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যশীলদের জন্যে ওটাই উত্তম ।এরপর ধৈর্যের প্রতি আরো বেশী গুরুত্ব আরোপ করে বলেনঃ “ ধৈর্য ধারণ করা সবারই কাজ নয় । এটা একমাত্র তারই কাজ যার উপর আল্লাহর সাহায্য থাকে এবং যাকে তার পক্ষ থেকে তাওফীক দান করা হয়।”অতঃপর বলেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! যারা তোমার বিরুদ্ধাচরণ করছে তাদের এ কাজের জন্যে তুমি দুঃখ করো না । তাদের ভাগ্যে বিরুদ্ধাচরণ লিখে দেয়াই হয়েছে। আর তাদের ষড়যন্ত্রে তুমি মনঃক্ষুন্ন হয়ো না। আল্লাহ তাআলাই তোমার জন্যে যথেষ্ট। তিনিই তোমার সাহায্যকারী। তিনিই তোমাকে সবারই উপর জয়যুক্ত করবেন। তিনিই তোমাকে তাদের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তহতে রক্ষা করবেন। তাদের শত্রুতা এবং খারাপ ইচ্ছা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ তাআলার সাহায্য, তার হিদায়াতের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তার তাওফীক তাদের সাথেই রয়েছে যাদের অন্তর আল্লাহর ভয়ে এবং যাদের আমল ইহসানের জওহর দ্বারা পরিপূর্ণ রয়েছে।যেমন জিহাদের সময় আল্লাহ তাআলা ফেরেস্তাদের নিকট ওয়াহী করেছিলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ আমি তোমাদের সাথেই রয়েছি । সুতরাং তোমরা ঈমানদারদেরকে স্থিরপদে রাখো।” ( ৮:১২ ) অনুরূপভাবে তিনি হযরত মূসা ( আঃ ) ও হযরত হারূণকে ( আঃ ) বলেছিলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমরা দুজন ভয় করো না, আমি তোমাদের দু'জনের সাথে রয়েছি । আমি শুনি ও দেখি।” ( ২০:৪৬ ) সওর পর্বতের গুহায় রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হযরত আবু বকরকে ( রাঃ ) বলেছিলেনঃ “ তুমি চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সাথে রয়েছেন । সুতরাং এই সঙ্গ ছিল বিশিষ্ট সঙ্গ। আর এই সঙ্গ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য সাথে থাকা। সাধারণ ‘সাথ’ দেয়ার বর্ণনা রয়েছে নিম্নের আয়াতেঃঅর্থাৎ “ তিনি ( আল্লাহ ) তোমাদের সাথে রয়েছেন । তোমরা যেখানেই থাকো কেন, আর তোমরা যা কিছু করছে। আল্লাহ তা দর্শনকারী।” ( ৫৭:৪ ) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তোমাদের তিন জনের সলাপরামর্শে চতুর্থজন তিনি থাকেন, পাঁচ জনের সলাপরামর্শে ষষ্ঠ জন থাকেন তিনি এবং এর চেয়ে কম ও বেশীতেও । তারা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তাদের সাথেই থাকেন।” ( ৫৮:৭ ) যেমন মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ তুমি যে কোন অবস্থাতেই থাকো, কুরআন পাঠেই থাকো বা অন্য যে কোন কাজে লিপ্ত থাকে না কেন আমি তোমাদের দর্শন করে থাকি ।” ( ১০:৬১ )সুতরাং এসব আয়াতে সাথ বা সঙ্গ দ্বারা বুঝানো হয়েছে শুনা এবং দেখাকে। তাকওয়া’-এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর নিষেধাজ্ঞার কারণে হারাম ও পাপের কাজগুলোকে পরিত্যাগ করা। আর ইহসানের অর্থ হলো প্রতিপালক আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের কাজে লেগে থাকা। যে লোকদের মধ্যে এই দু'টি গুণ বিদ্যমান থাকে তারা আল্লাহ তাআলার রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে থাকে। মহামহিমান্বিত আল্লাহ এ সব লোকের পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধাচরণকারীরা ও শত্রুরা তাদের কোনই ক্ষতি সাধন করতে পারে না। বরং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সফলকাম করে থাকেন।মুসনাদে ইবনু আবি হাতিমে হযরত মুহাম্মদ ইবনু হাতিব ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ “ হযরত উসমান ( রাঃ ) ঐ লোকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন যারা ঈমানদার, খোদাভীরু এবং সৎকর্মশীল ।”
সূরা নাহল আয়াত 128 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।
- আর আল্লাহ তা’আলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন
- আর এমনিভাবে আমি নিদর্শনসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি-যাতে অপরাধীদের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।
- রাজ্যাধিপতি, পবিত্র, পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে, যা কিছু আছে নভোমন্ডলে ও যা
- তুমি ঐদিন পাপীদেরকে পরস্পরে শৃংখলা বদ্ধ দেখবে।
- আর যখন আল্লাহ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে
- নিশ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে সে মরবে
- যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লাহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে
- এটা সৎপথ প্রদর্শন, আর যারা তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর যন্ত্রণাদায়ক
- বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা নাহল ডাউনলোড করুন:
সূরা Nahl mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Nahl শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers