কোরান সূরা সাফ্ফ আয়াত 13 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Saff ayat 13 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাফ্ফ আয়াত 13 আরবি পাঠে(Saff).
  
   

﴿وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ﴾
[ الصف: 13]

এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন, যা তোমরা পছন্দ কর। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন। [সূরা সাফ্ফ: 13]

Surah As-Saff in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saff ayat 13


আর অন্য একটি যা তোমরা ভালবাস -- আল্লাহ্‌র কাছ থেকে সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। আর সুসংবাদ দাও মুমিনদের।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৩. উক্ত বাণিজ্যের আরেকটি উপকারিতা হলো ইহকালীন; যেটি তোমরা পছন্দ করো। আর তা হলো, তিনি তোমাদেরকে নিজেদের শত্রæর বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন। আর নিকটতম বিজয়; যা আল্লাহ তোমাদেরকে দান করবেন তা হলো মক্কা বিজয় ইত্যাদি। হে রাসূল! আপনি মুমিনদেরকে তাদের জন্য ইহকালের বিজয় এবং পরকালে জান্নাত লাভে ধন্য হওয়ার আনন্দদায়ক সুসংবাদ প্রদান করুন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ; আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়।[১] আর বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দাও। [২] [১] অর্থাৎ, যখন তোমরা তাঁর রাস্তায় যুদ্ধ করবে এবং তাঁর দ্বীনের সাহায্য করবে, তখন তিনি তোমাদেরকে জয় ও সাহায্য দানে ধন্য করবেন। ﴿إِنْ تَنْصُرُوا اللهَ يَنْصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ﴾ অর্থাৎ, যদি তোমরা আল্লাহ( দ্বীনের ) সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পা দৃঢ়-প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। ( সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৭ আয়াত ) ﴿وَلَيَنْصُرَنَّ اللهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ﴾ অর্থাৎ, আল্লাহ নিশ্চয়ই তাকে সাহায্য করেন যে তাঁকে ( তাঁর ধর্মকে ) সাহায্য করে। ( সূরা হাজ্জ ২২:৪০ আয়াত ) আখেরাতের নিয়ামতের তুলনায় এটাকে আসন্ন বিজয় গণ্য করেছেন। আর এ থেকে মক্কা বিজয় বুঝানো হয়েছে। আর কেউ কেউ প্রতাপশালী পারস্য ও রোমক রাজ্যদ্বয় মুসলিমদের জয়লাভ করাকে এরই বাস্তব চিত্র গণ্য করেছেন; যা খেলাফতে রাশেদার যুগে মুসলিমরা লাভ করেন।[২] অর্থাৎ, মৃত্যুর পর জান্নাতের এবং দুনিয়াতে বিজয় ও সাহায্যের। তবে শর্ত হল, ঈমানদারদেরকে ঈমানের দাবীসমূহ পূরণ করতে হবে। ﴿وَأَنْتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ﴾ ( সূরা আলে ইমরান ৩:১৩৯ আয়াত ) পরের আয়াতে মহান আল্লাহ মু'মিনদেরকে দ্বীনের সাহায্যের প্রতি আরো তাকীদ করছেন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


এবং ( তিনি দান করবেন ) আরও একটি অনুগ্রহ, যা তোমরা পছন্দ কর। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও আসন্ন বিজয় ; আর আপনি মুমিনদেরকে সুসংবাদ দিন []। [] আখেরাতের নেয়ামতের সাথে কিছু দুনিয়ার নেয়ামতেরও ওয়াদা করে বলা হয়েছে, وَأُخْرَىٰ تُحِبُّونَهَا ۖ نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ “ এবং তিনি দান করবেন তোমাদের বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ । আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়; মুমিনদেরকে সুসংবাদ দিন।” অর্থাৎ আখেরাতের নেয়ামত ও বাসগৃহ তো পাওয়া যাবেই; দুনিয়াতেও একটি নগদ নেয়ামত পাওয়া যাবে, তা হচ্ছে আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। এর অর্থ শক্ৰদের উপর বিজয় লাভ। এখানে قريب ( বা নিকট ) শব্দটি আখেরাতের বিপরীতে ধরা হলে ইসলামের সকল বিজয়ই এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আর যদি প্রচলিত قريب ( বা আসন্ন ) ধরা হয়, তবে এর প্রথম অর্থ হবে খাইবার বিজয় এবং এরপর মক্কা বিজয়। تحبوجما অর্থাৎ, তোমরা এই নগদ নেয়ামত খুব পছন্দ কর। কারণ মানুষ স্বভাবগতভাবে নগদকে পছন্দ করে। পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, وَكَانَ الْإِنسَانُ عَجُولًا অর্থাৎ, মানুষ তড়িঘড়ি পছন্দ করে। [ সূরা আল-ইসরা: ১১ ] এর অর্থ এই নয় যে, আখেরাতের নেয়ামত তাদের কাছে প্রিয় নয়। বরং অর্থ এই যে, আখেরাতের নেয়ামত তো তাদের প্রিয় কাম্যই, কিন্তু স্বভাবগতভাবে কিছু নগদ নেয়ামতও তারা দুনিয়াতে চায়। তাও দেয়া হবে। [ দেখুন-ফাতহুল কাদীর, মুয়াসসার, বাগভী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০-১৩ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) বর্ণিত হাদীস পূর্বে গত হয়েছে যে, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! কোন আমল আল্লাহ তা'আলার নিকট সবচেয়ে প্রিয়?” তাঁদের এই প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তা'আলা এই সূরাটি অবতীর্ণ করেন । এতে তিনি বলেনঃ এসো, আমি তোমাদেরকে এমন এক লাভজনক ব্যবসার কথা বলে দিই যাতে ক্ষতির কোনই সম্ভাবনা নেই। এতে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে এবং ভয়ের কোন কারণ থাকবে না। তা হচ্ছে এই যে, তোমরা আল্লাহর একত্বে ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এই ব্যবসা দুনিয়ার ব্যবসা হতে বহুগুণে উত্তম। যদি তোমরা এই ব্যবসায়ে হাত দাও তবে তোমাদের পদস্খলন ও পাপ-অপরাধ আমি ক্ষমা করে দিবো। আর তোমাদেরকে দাখিল করবে এমন জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং তোমাদেরকে প্রবিষ্ট করবে স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। বিশ্বাস রেখো যে, মহাসাফল্য এটাই।আরো জেনে রেখো যে, তোমরা সদা তোমাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলা করে থাকো, এই মুকাবিলার সময় আমি তোমাদেরকে সাহায্য করতে থাকবো এবং তোমাদের ঈপ্সিত বিজয় দান করবে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পাগুলো স্থির রাখবেন ।( ৪৭:৭ ) আর এক জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবী )অর্থাৎ “ অবশ্যই আল্লাহ তাকে সাহায্য করবেন যে তাঁকে সাহায্য করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমতাবান, মহাপরাক্রমশালী ।( ২২:৪০ ) দুনিয়ার এই সাহায্য ও বিজয় এবং আখিরাতের ঐ জান্নাত ও নিয়ামত ঐ লোকদের জন্যে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ( সঃ )-এর আনুগত্যের কাজে সদা লেগে থাকে এবং জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীনের খিদমত করে। তাই তো তিনি স্বীয় নবী ( সঃ )-কে বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি আমার পক্ষ হতে মুমিনদেরকে এর সুসংবদি দাও।

সূরা সাফ্ফ আয়াত 13 সূরা

وأخرى تحبونها نصر من الله وفتح قريب وبشر المؤمنين

سورة: الصف - آية: ( 13 )  - جزء: ( 28 )  -  صفحة: ( 552 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আর যারা পরকাল কামনা করে এবং মুমিন অবস্থায় তার জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, এমন লোকদের
  2. চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়,
  3. প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী;
  4. বলুন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, কিভাবে তিনি সৃষ্টিকর্ম শুরু করেছেন। অতঃপর আল্লাহ পুর্নবার
  5. তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
  6. তোমাদের নিরর্থক শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন না, কিন্তু সেসব কসমের ব্যাপারে ধরবেন, তোমাদের মন
  7. উঠুন, সতর্ক করুন,
  8. হে আহলে-কিতাবগণ, কেন তোমরা আল্লাহর কালামকে অস্বীকার কর, অথচ তোমরাই তাঁর প্রবক্তা?
  9. আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?
  10. আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাফ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Saff mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saff শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাফ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, May 20, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب