কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 138 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 138 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 138 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿صِبْغَةَ اللَّهِ ۖ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً ۖ وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ﴾
[ البقرة: 138]

আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে?আমরা তাঁরই এবাদত করি। [সূরা বাকারাহ্: 138]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 138


“আল্লাহ্‌র রঙ। আর রঙের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র চাইতে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী।”


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৩৮. তোমরা আল্লাহর ধর্মকে আঁকড়ে ধরো যার উপর তিনি তোমাদেরকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ প্রদত্ত ধর্মের চেয়ে উত্তম আর কোন ধর্ম নেই। কারণ, সেটি হলো মানুষের প্রকৃতি মাফিক। যা সমূহ লাভ নিয়ে আসে এবং সমূহ অকল্যাণ থেকে রক্ষা করে। আর তোমরা বলো: আমরা এক আল্লাহর ইবাদাতকারী। তাঁর সাথে আমরা কখনো অন্যকে শরীক করবো না।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


( আমরা গ্রহণ করলাম ) আল্লাহর রঙ ( আল্লাহর ধর্ম বা তাঁর প্রকৃতি )। রঙে আল্লাহ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? [১] আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী। [১] খ্রিষ্টানদের কাছে এক প্রকার হলুদ রঙের পানি থাকে; যা প্রত্যেক খ্রিষ্টান শিশুকে এবং প্রত্যেক সেই ব্যক্তিকে পান করানো হয়; যাকে খ্রিষ্টান বানানো উদ্দেশ্য হয়। এই অনুষ্ঠানের নাম তাদের নিকট 'ব্যাপ্টিজম' ( পবিত্র বারি দ্বারা অভিসিঞ্চিত করে খ্রিষ্টধর্মের দীক্ষাদানোৎসব )। এটা তাদের নিকট অত্যধিক জরুরী ব্যাপার। এ ছাড়া তারা কাউকেও পবিত্র গণ্য করে না। মহান আল্লাহ তাদের এ বিশ্বাস খন্ডন করে বলেন, আসল রঙ তো আল্লাহর রঙ। এর চেয়ে উত্তম কোন রঙ নেই। আর আল্লাহর রঙের তাৎপর্য হল, প্রাকৃতিক ধর্ম ইসলাম, যার প্রতি প্রত্যেক নবী নিজ নিজ যুগে সব সব উম্মতকে আহবান করেছেন; যা ছিল তাওহীদের আহবান।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আল্লাহ্‌র রঙ এ রঞ্জিত হও []। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহ্‌র চেয়ে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই ‘ইবাদাতকারী। [] আল্লাহ্‌র রং বলতে অধিকাংশ মুফাসসিরীনের নিকট উদ্দেশ্য হলোঃ আল্লাহ্‌র দ্বীন বা ইসলাম। সারমর্ম হলো - যা কিছু বর্ণিত হলো, তা হলো আল্লাহ্‌র দ্বীন, তাঁর নবী ইবরাহীমের মিল্লাত, এটা হলো সর্বোত্তম রং। আয়াতটির দুটি অনুবাদ হতে পারে। ( এক ) আমরা আল্লাহ্‌র রং ধারণ করেছি। ( দুই ) আল্লাহ্‌র রং ধারণ কর। নাসারাদের দ্বীনের আত্মপ্রকাশের পূর্বে ইয়াহুদীদের মধ্যে একটি বিশেষ রীতির প্রচলন ছিল। কেউ তাদের দ্বীন গ্রহণ করলে তাকে গোসল করানো হত। আর তাদের ওখানে গোসলের অর্থ ছিল, তার সমস্ত গোনাহ যেন ধুয়ে গেল এবং তার জীবন যেন রং ধারণ করল। পরবর্তী কালে নাসারাদের মধ্যেও এ রীতির প্রচলন হয়। তাদের ওখানে এর পরিভাষিক নাম হচ্ছে – ‘ইস্‌তিবাগ’ বা রঙ্গিন করা ( ব্যাপ্টিজম )। তাদের দ্বীনে যারা প্রবেশ করে কেবল তাদেরকেই ব্যাপ্টাইজড করা হয় না, বরং নাসারা শিশুদেরকেও ব্যাপ্টাইজড করা হয়। এ ব্যাপারেই বলা হচ্ছে যে, এ লোকাচারমূলক রঞ্জিত হবার যৌক্তিকতা কোথায়? বরং আল্লাহ্‌র রঙে রঞ্জিত হও। যা কোন পানির দ্বারা হওয়া যায় না। বরং তাঁর বন্দেগীর পথ অবলম্বন করে এ রঙে রঞ্জিত হওয়া যায়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৩৭-১৩৮ নং আয়াতের তাফসীর অর্থাৎ হে ঈমানদার সাহাবীবর্গ ( রাঃ )! এই সব কাফিরও যদি তোমাদের মত যাবতীয় কিতাব ও রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তবে তারাও সুপথ প্রাপ্ত হবে এবং মুক্তি পেয়ে যাবে। আর যদি দলীল ও প্রমাণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও তারা ঈমান আনয়ন হতে বিরত থাকে তবে নিশ্চিত রূপে তারা ন্যায় ও সত্যের উল্টো পথে রয়েছে। সেই সময় হে নবী ( সঃ )! তোমাকে তাদের উপর জয়যুক্ত করতঃ আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্যে তোমাদেরকেই যথেষ্ট করবেন। হযরত নাফে' বিন আবু নাঈম ( রাঃ ) বলেন যে, কোন একজন খলীফার নিকট হযরত উসমানের ( রাঃ ) কুরআন মাজীদ পাঠানো হয়। একথা শুনে যিয়াদ নামক এক ব্যক্তি নাফে' বিন আবু নাঈমকে বলেনঃ “ জনসাধারণের মধ্যে একথা ছড়িয়ে রয়েছে যে, যখন হযরত উসমানকে ( রাঃ ) শহীদ করা হয় সেই সময় এই কালামুল্লাহ ( কুরআন মাজীদ ) তাঁর ক্রোড়ে বিদ্যমান ছিল এবং তাঁর রক্ত ঠিক এই শব্দগুলোর উপর ছিল ( আরবি ) একথা কি সত্য?' তখন হযরত নাফে' ( রাঃ ) বলেনঃ ‘এটা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক কথা আমি স্বয়ং এই আয়াতের উপর হযরত উসমান যিনুরাইনের ( রাঃ ) রক্ত দেখেছিলাম।এখানে রং’ এর ভাবার্থ হচ্ছে ‘ধর্ম'। অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো। কেউ কেউ বলেন যে, এটা ( আরবি )হতে ( আরবি )হয়েছে যা এর পূর্বে বিদ্যমান রয়েছে। সিবওয়াই ( রঃ ) বলেন যে, এটা। ( আরবি )-এরং ( আরবি ) এবং কারণে এর উপর ( আরবি )হয়েছে। যেমন ( আরবি )-এর উপর হয়েছে। একটি মারফু হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ ‘বানী ইসরাঈল হযরত মূসা ( আঃ )কে জিজ্ঞেস করেছিলঃ “ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের প্রভুও কি রং করে থাকেন?' তখন হযরত মূসা ( আঃ ) বলেনঃ “তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আল্লাহ তা'আলা তখন হযরত মূসা ( আঃ ) কে ডাক দিয়ে বলেনঃ “ তারা কি তোমাকে জিজ্ঞেস করছে যে, তোমার প্রভু কি রং করেন?' তিনি বলেনঃ হাঁ । তখন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তুমি তাদেরকে বলে দাও যে, লাল, সাদা, কালো ইত্যাদি সমুদয় রং আল্লাহ তাআলাই সষ্টি করেন। এই আয়াতেরও ভাবার্থ এটাই। কিন্তু হাদীসটি মাওকুফ হওয়াই সঠিক কথা এবং এটাও এর ইসনাদ বিশুদ্ধ হওয়ার উপর নির্ভর করে।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 138 সূরা

صبغة الله ومن أحسن من الله صبغة ونحن له عابدون

سورة: البقرة - آية: ( 138 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 21 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দ কর্মপ্রবণ কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার
  2. এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল
  3. তারা কি মনে করে যে, আমি তাদের গোপন বিষয় ও গোপন পরামর্শ শুনি না? হঁ্যা,
  4. যারা দৃঢ়পদ রয়েছে এবং তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করেছে।
  5. আর যেদিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করব, অতঃপর যারা শিরক করেছিল, তাদের বলবঃ যাদেরকে তোমরা
  6. তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর
  7. তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চালিত করেন, অতঃপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তাকে
  8. তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করছ না, অথচ রসূল তোমাদেরকে তোমাদের
  9. তারা বলে, এ কেমন রসূল যে, খাদ্য আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে? তাঁর কাছে
  10. আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই প্রেরণ করেছি, তাকে এ আদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers