কোরান সূরা আহ্কাফ আয়াত 14 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Ahqaf ayat 14 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আহ্কাফ আয়াত 14 আরবি পাঠে(Ahqaf).
  
   

﴿أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ الأحقاف: 14]

তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল। [সূরা আহ্কাফ: 14]

Surah Al-Ahqaaf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahqaf ayat 14


এরাই হচ্ছে বেহেশতের বাসিন্দা, তাতেই তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, -- তারা যা করে চলত সেজন্য এক প্রতিদান।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪. পূর্বের বৈশিষ্ট্যাবলী কর্তৃক গুণান্বিত ব্যক্তিরা হলো জান্নাতী। তারা তথায় চিরদিন থাকবে। এটি হলো দুনিয়ার জীবনে তাদের কৃতকর্মের ফল।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তারাই জান্নাতের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। --এটাই তাদের কর্মফল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কার স্বরূপ।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০-১৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! তুমি এই মুশরিক ও কাফিরদেরকে বল- সত্যিই যদি এই কুরআন আল্লাহর নিকট হতে এসে থাকে এবং এর পরও যদি তোমরা এটাকে অস্বীকার করতেই থাকে। তবে তোমাদের অবস্থা কি হতে পারে তা চিন্তা করেছো কি? যে আল্লাহ তাবারাকা, ওয়া তা'আলা আমাকে সত্যসহ তোমাদের নিকট এই পবিত্র কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন, তিনি তোমাদেরকে কি শাস্তি প্রদান করবেন তা কি ভেবে দেখেছো? তোমরা এই কিতাবকে অস্বীকার করছে এবং মিথ্যা জানছো, অথচ এর সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করছে ঐ সব কিতাব যেগুলো ইতিপূর্বে সময়ে সময়ে পূর্ববর্তী নবীদের উপর নাযিল হতে থেকেছে এবং বানী ইসরাঈলের একজন এর সত্যতার সাক্ষ্য দিয়েছে এবং এর হাকীকতকে চিনেছে ও মেনেছে এবং এর উপর ঈমান এনেছে। কিন্তু তোমরা এর অনুসরণ হতে গর্বভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, ঐ সাক্ষী তার নবীর উপর এবং তার কিতাবের উপর বিশ্বাস করেছে, কিন্তু তোমরা তোমাদের নবীর সাথে ও তোমাদের কিতাবের সাথে কুফরী করেছো।আল্লাহ তা'আলা যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) এবং এটা স্বীয় সাধারণ অর্থের দিক দিয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) প্রমুখ সকলকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এ আয়াতটি মাক্কী এবং এটা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ )-এর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে অবতীর্ণ হয়। নিম্নের আয়াতটিও এ আয়াতের অনুরূপঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যখন তাদের কাছে পাঠ করা হয় তখন তারা বলে- আমরা এর উপর ঈমান আনলাম, নিশ্চয়ই এটা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য, আমরা তো এর পূর্বেই মুসলমান ছিলাম ।( ২৮:৫৩ ) অন্য জায়গায় আছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই যাদেরকে এর পূর্বে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যখন এটা পাঠ করা হয় তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং বলেঃ আমাদের প্রতিপালক পবিত্র, মহান । আমাদের প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হয়েই থাকে।”( ১৭:১০৭-১০৮ ) হযরত মাসরূক ( রঃ ) এবং হযরত শা'বী ( রঃ ) বলেন যে, এখানে এই আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ )-কে বুঝানো হয়নি। কেননা, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মক্কায়, আর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) ইসলাম গ্রহণ করেন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর মদীনায় হিজরতের পর।” ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) এবং ইমাম ইবনে আবি হাতিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সা'দ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হতে শুনিনি যে, ভূ-পৃষ্ঠে চলাফেরাকারী কোন মানুষকে তিনি জান্নাতবাসী বলেছেন, একমাত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) ছাড়া । তাঁর ব্যাপারেই ( আরবী )-এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এবং ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ), হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), হযরত যহহাক ( রঃ ), হযরত কাতাদা ( রঃ ), হযরত ইকরামা ( রঃ ), হযরত ইউসুফ ইবনে আবদিল্লাহ ইবনে সালাম ( রঃ ), হযরত হিলাল ইবনে ইয়াসাফ ( রঃ ), হযরত সাওরী ( রঃ ) হযরত মালিক ইবনে আনাস ( রঃ ) এবং হযরত ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, এ আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালামকেই ( রাঃ ) বুঝানো হয়েছে।ইরশাদ হচ্ছেঃ এই কাফিররা বলে- “ এই কুরআন যদি ভাল জিনিসই হতো তবে আমাদের ন্যায় সম্ভ্রান্ত বংশীয় এবং আল্লাহর গৃহীত বান্দাদের উপর বিলাল ( রাঃ ), আম্মার ( রাঃ ), সুহায়েব ( রাঃ ), খাব্বাব ( রাঃ ) প্রমুখ নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা অগ্রগামী হতো না । বরং সর্বপ্রথম আমরাই এটা কবুল করতাম। কিন্তু এটা তাদের সম্পূর্ণ বাজে ও ভিত্তিহীন কথা। মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এভাবেই আমি তাদের কাউকেও কারো উপর ফিত্নায় ফেলে থাকি, যেন তারা বলেঃ এরাই কি তারা, আমাদের মধ্য হতে যাদের উপর আল্লাহ তা'আলা অনুগ্রহ করেছেন?”( ৬:৫৩ ) অর্থাৎ তারা বিস্মিত হয়েছে যে, কি করে এ লোকগুলো হিদায়াত প্রাপ্ত হয়েছে! যদি এটাই হতো তবে তো তারাই অগ্রগামী হতো । কিন্তু ওটা ছিল তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা নিশ্চিত কথা যে, যাদের সুবুদ্ধি রয়েছে এবং যারা শান্তিকামী লোক তারা সদা কল্যাণের পথে অগ্রগামীই হয়। এ জন্যেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাস এই যে, যে কথা ও কাজ আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-এর সাহাবীগণ ( রাঃ ) হতে প্রমাণিত না হয় ওটা বিদআত। কেননা, যদি তাতে কল্যাণ নিহিত থাকতো তবে ঐ পবিত্র দলটি, যারা কোন কাজেই পিছনে থাকতেন না, তাঁরা ওটাকে কখনো ছেড়ে দিতেন না। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেন যে, এই কাফিররা কুরআন দ্বারা পরিচালিত নয় বলে তারা বলেঃ ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।' একথা বলে তারা কুরআন এবং কুরআনের ধারক ও বাহকদেরকে ভর্ৎসনা করে থাকে। এটাই ঐ অহংকার যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ অহংকার হলো সত্যকে সরিয়ে ফেলা এবং লোকদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা ।”এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এর পূর্বে ছিল মূসা ( আঃ )-এর কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহ স্বরূপ। ওটা হলো তাওরাত। এই কিতাব অর্থাৎ কুরআন পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর সমর্থক। এই কুরআন আরবী ভাষায় অবতারিত। এর ভাষা অলংকার ও বাকচাতুর্যপূর্ণ এবং ভাবার্থ অতি স্পষ্ট ও প্রকাশমান। এটা যালিম ও কাফিরদেরকে সতর্ক করে এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয়। এরপরবর্তী আয়াতের তাফসীর সূরায়ে হা-মীম আসসাজদাহর মধ্যে গত হয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই অর্থাৎ আগামীতে তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই এবং তারা চিন্তিত ও দুঃখিত হবে না, অর্থাৎ তারা তাদের ছেড়ে যাওয়া জিনিসগুলোর জন্যে মোটেই দুঃখিত হবে না।তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে। এটাই তাদের ভাল কর্মের ফল।

সূরা আহ্কাফ আয়াত 14 সূরা

أولئك أصحاب الجنة خالدين فيها جزاء بما كانوا يعملون

سورة: الأحقاف - آية: ( 14 )  - جزء: ( 26 )  -  صفحة: ( 503 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তোমাদের সামনে কি আমার আয়াত সমূহ পঠিত হত না? তোমরা তো সেগুলোকে মিথ্যা বলতে।
  2. আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি
  3. অবশ্যই যেসব লোক আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই উৎফুল্ল রয়েছে,
  4. যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারা পূর্বে যা ভক্ষণ করেছে, সে জন্য তাদের
  5. নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি
  6. বরং তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলা নিজের কাছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
  7. এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরী করে নিয়েছি।
  8. তিনি মুমিন ও সৎকর্মীদের দোয়া শোনেন এবং তাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন। আর কাফেরদের
  9. যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান
  10. আল্লাহর পরিবর্তে সে যার এবাদত করত, সেই তাকে ঈমান থেকে নিবৃত্ত করেছিল। নিশ্চয় সে কাফের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্কাফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Ahqaf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahqaf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আহ্কাফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers