কোরান সূরা আহ্কাফ আয়াত 14 তাফসীর
﴿أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ خَالِدِينَ فِيهَا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ الأحقاف: 14]
তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল। [সূরা আহ্কাফ: 14]
Surah Al-Ahqaaf in Banglaজহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Ahqaf ayat 14
এরাই হচ্ছে বেহেশতের বাসিন্দা, তাতেই তারা স্থায়ীভাবে থাকবে, -- তারা যা করে চলত সেজন্য এক প্রতিদান।
Tafsir Mokhtasar Bangla
১৪. পূর্বের বৈশিষ্ট্যাবলী কর্তৃক গুণান্বিত ব্যক্তিরা হলো জান্নাতী। তারা তথায় চিরদিন থাকবে। এটি হলো দুনিয়ার জীবনে তাদের কৃতকর্মের ফল।
Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান
তারাই জান্নাতের অধিবাসী; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। --এটাই তাদের কর্মফল।
Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স
তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তারা যা আমল করত তার পুরস্কার স্বরূপ।
Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর
১০-১৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে বলেনঃ হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! তুমি এই মুশরিক ও কাফিরদেরকে বল- সত্যিই যদি এই কুরআন আল্লাহর নিকট হতে এসে থাকে এবং এর পরও যদি তোমরা এটাকে অস্বীকার করতেই থাকে। তবে তোমাদের অবস্থা কি হতে পারে তা চিন্তা করেছো কি? যে আল্লাহ তাবারাকা, ওয়া তা'আলা আমাকে সত্যসহ তোমাদের নিকট এই পবিত্র কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন, তিনি তোমাদেরকে কি শাস্তি প্রদান করবেন তা কি ভেবে দেখেছো? তোমরা এই কিতাবকে অস্বীকার করছে এবং মিথ্যা জানছো, অথচ এর সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করছে ঐ সব কিতাব যেগুলো ইতিপূর্বে সময়ে সময়ে পূর্ববর্তী নবীদের উপর নাযিল হতে থেকেছে এবং বানী ইসরাঈলের একজন এর সত্যতার সাক্ষ্য দিয়েছে এবং এর হাকীকতকে চিনেছে ও মেনেছে এবং এর উপর ঈমান এনেছে। কিন্তু তোমরা এর অনুসরণ হতে গর্বভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ভাবার্থ এও বর্ণনা করা হয়েছে যে, ঐ সাক্ষী তার নবীর উপর এবং তার কিতাবের উপর বিশ্বাস করেছে, কিন্তু তোমরা তোমাদের নবীর সাথে ও তোমাদের কিতাবের সাথে কুফরী করেছো।আল্লাহ তা'আলা যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।( আরবী ) শব্দটি ( আরবী ) এবং এটা স্বীয় সাধারণ অর্থের দিক দিয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) প্রমুখ সকলকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এ আয়াতটি মাক্কী এবং এটা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ )-এর ইসলাম গ্রহণের পূর্বে অবতীর্ণ হয়। নিম্নের আয়াতটিও এ আয়াতের অনুরূপঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ যখন তাদের কাছে পাঠ করা হয় তখন তারা বলে- আমরা এর উপর ঈমান আনলাম, নিশ্চয়ই এটা আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে সত্য, আমরা তো এর পূর্বেই মুসলমান ছিলাম ।”( ২৮:৫৩ ) অন্য জায়গায় আছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ নিশ্চয়ই যাদেরকে এর পূর্বে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের নিকট যখন এটা পাঠ করা হয় তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং বলেঃ আমাদের প্রতিপালক পবিত্র, মহান । আমাদের প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি কার্যকরী হয়েই থাকে।”( ১৭:১০৭-১০৮ ) হযরত মাসরূক ( রঃ ) এবং হযরত শা'বী ( রঃ ) বলেন যে, এখানে এই আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ )-কে বুঝানো হয়নি। কেননা, এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় মক্কায়, আর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) ইসলাম গ্রহণ করেন রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর মদীনায় হিজরতের পর।” ( এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ ) এবং ইমাম ইবনে আবি হাতিম ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত সা'দ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “ আমি রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হতে শুনিনি যে, ভূ-পৃষ্ঠে চলাফেরাকারী কোন মানুষকে তিনি জান্নাতবাসী বলেছেন, একমাত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ( রাঃ ) ছাড়া । তাঁর ব্যাপারেই ( আরবী )-এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।” ( এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ ), ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এবং ইমাম নাসাঈ ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ), হযরত মুজাহিদ ( রঃ ), হযরত যহহাক ( রঃ ), হযরত কাতাদা ( রঃ ), হযরত ইকরামা ( রঃ ), হযরত ইউসুফ ইবনে আবদিল্লাহ ইবনে সালাম ( রঃ ), হযরত হিলাল ইবনে ইয়াসাফ ( রঃ ), হযরত সাওরী ( রঃ ) হযরত মালিক ইবনে আনাস ( রঃ ) এবং হযরত ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, এ আয়াত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে সালামকেই ( রাঃ ) বুঝানো হয়েছে।ইরশাদ হচ্ছেঃ এই কাফিররা বলে- “ এই কুরআন যদি ভাল জিনিসই হতো তবে আমাদের ন্যায় সম্ভ্রান্ত বংশীয় এবং আল্লাহর গৃহীত বান্দাদের উপর বিলাল ( রাঃ ), আম্মার ( রাঃ ), সুহায়েব ( রাঃ ), খাব্বাব ( রাঃ ) প্রমুখ নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা অগ্রগামী হতো না । বরং সর্বপ্রথম আমরাই এটা কবুল করতাম। কিন্তু এটা তাদের সম্পূর্ণ বাজে ও ভিত্তিহীন কথা। মহান আল্লাহ বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এভাবেই আমি তাদের কাউকেও কারো উপর ফিত্নায় ফেলে থাকি, যেন তারা বলেঃ এরাই কি তারা, আমাদের মধ্য হতে যাদের উপর আল্লাহ তা'আলা অনুগ্রহ করেছেন?”( ৬:৫৩ ) অর্থাৎ তারা বিস্মিত হয়েছে যে, কি করে এ লোকগুলো হিদায়াত প্রাপ্ত হয়েছে! যদি এটাই হতো তবে তো তারাই অগ্রগামী হতো । কিন্তু ওটা ছিল তাদের সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা নিশ্চিত কথা যে, যাদের সুবুদ্ধি রয়েছে এবং যারা শান্তিকামী লোক তারা সদা কল্যাণের পথে অগ্রগামীই হয়। এ জন্যেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাস এই যে, যে কথা ও কাজ আল্লাহর রাসূল ( সঃ )-এর সাহাবীগণ ( রাঃ ) হতে প্রমাণিত না হয় ওটা বিদআত। কেননা, যদি তাতে কল্যাণ নিহিত থাকতো তবে ঐ পবিত্র দলটি, যারা কোন কাজেই পিছনে থাকতেন না, তাঁরা ওটাকে কখনো ছেড়ে দিতেন না। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেন যে, এই কাফিররা কুরআন দ্বারা পরিচালিত নয় বলে তারা বলেঃ ‘এটা তো এক পুরাতন মিথ্যা।' একথা বলে তারা কুরআন এবং কুরআনের ধারক ও বাহকদেরকে ভর্ৎসনা করে থাকে। এটাই ঐ অহংকার যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ অহংকার হলো সত্যকে সরিয়ে ফেলা এবং লোকদেরকে তুচ্ছ জ্ঞান করা ।”এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এর পূর্বে ছিল মূসা ( আঃ )-এর কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহ স্বরূপ। ওটা হলো তাওরাত। এই কিতাব অর্থাৎ কুরআন পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর সমর্থক। এই কুরআন আরবী ভাষায় অবতারিত। এর ভাষা অলংকার ও বাকচাতুর্যপূর্ণ এবং ভাবার্থ অতি স্পষ্ট ও প্রকাশমান। এটা যালিম ও কাফিরদেরকে সতর্ক করে এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয়। এরপরবর্তী আয়াতের তাফসীর সূরায়ে হা-মীম আসসাজদাহর মধ্যে গত হয়েছে। তাদের কোন ভয় নেই অর্থাৎ আগামীতে তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই এবং তারা চিন্তিত ও দুঃখিত হবে না, অর্থাৎ তারা তাদের ছেড়ে যাওয়া জিনিসগুলোর জন্যে মোটেই দুঃখিত হবে না।তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেথায় তারা স্থায়ী হবে। এটাই তাদের ভাল কর্মের ফল।
সূরা আহ্কাফ আয়াত 14 সূরা
English | Türkçe | Indonesia |
Русский | Français | فارسی |
تفسير | Urdu | اعراب |
বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত
- বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর
- যেদিন তিনি বলবেনঃ তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তাদেরকে ডাক। তারা তখন তাদেরকে ডাকবে,
- আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা
- যারা আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তাদেরকে তাদের নাফরমানীর কারণে আযাব স্পর্শ করবে।
- এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক।
- এবং অপরাহেߠও মধ্যাহেߦ#2404; নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে, তাঁরই প্রসংসা।
- সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
- আপনার কাছে আচ্ছন্নকারী কেয়ামতের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে কি?
- হে মুমিনগণ, তোমরা ঐসব সুস্বাদু বস্তু হারাম করো না, যেগুলো আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন
- আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে
বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :
সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আহ্কাফ ডাউনলোড করুন:
সূরা Ahqaf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Ahqaf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
আহমেদ আল-আজমি
ইব্রাহীম আল-আখদার
বান্দার বেলাইলা
খালিদ গালিলি
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
খলিফা আল টুনাইজি
সাদ আল-গামদি
সৌদ আল-শুরাইম
সালাহ বুখাতীর
আবদ এল বাসেট
আবদুল রশিদ সুফি
আব্দুল্লাহ্ বাস্ফার
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
আলী আল-হুদায়েফি
আলী জাবের
ফারেস আব্বাদ
মাহের আলমাইকুলই
মোহাম্মদ আইয়ুব
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মাদ জিব্রীল
আল-মিনশাবি
আল হোসারি
মিশারী আল-আফসী
নাসের আল কাতামি
ইয়াসের আল-দোসারি
Please remember us in your sincere prayers