কোরান সূরা ফাত্হ আয়াত 14 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Fath ayat 14 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফাত্হ আয়াত 14 আরবি পাঠে(Al Fath).
  
   

﴿وَلِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ يَغْفِرُ لِمَن يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاءُ ۚ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾
[ الفتح: 14]

নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান। [সূরা ফাত্হ: 14]

Surah Al-Fath in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Fath ayat 14


আর মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্‌র। তিনি যাকে ইচ্ছা করেন পরিত্রাণ করেন এবং শাস্তি দেন যাকে ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল, অফুরন্ত ফলদাতা।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪. আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব এককভাবে আল্লাহর। তিনি স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার পাপ ক্ষমা করবেন। ফলে তাকে তাঁর অনুগ্রহ দ্বারা জান্নাতে প্রবিষ্ট করবেন এবং তাঁর ইনসাফ অনুযায়ী যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যারা তাওবা করে তাদের ব্যাপারে ক্ষমাশীল ও দয়াশীল।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই; তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [১] [১] এখানে পশ্চাতে অবস্থানকারীদের জন্যে তওবা ও আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করার প্রতি প্রেরণা দেওয়া হয়েছে যে, তারা যদি মুনাফিকী থেকে তওবা করে নেয়, তবে মহান আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আসমানসমূহ ও যমীনের সর্বময় কর্তৃত্ব আল্লাহ্‌রই, তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেন। আর আল্লাহ্‌ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১১-১৪ নং আয়াতের তাফসীর: যেসব আরব বেদুঈন জিহাদ হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিল এবং মৃত্যুর ভয়ে বাড়ী হতে বের হয়নি, আর মনে করে নিয়েছিল যে, এতো বড় কুফরী শক্তির সামনে তারা কখনো টিকতে পারবে না এবং যারা তাদের সঙ্গে লড়বে তাদের ধ্বংস অনিবার্য, তারা আর কখনো তাদের ছেলে মেয়েদের মুখ দেখতে পাবে না, যুদ্ধক্ষেত্রেই তারা সবাই নিহত হয়ে যাবে, কিন্তু যখন তারা দেখলো যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) স্বীয় সাহাবীবর্গ ( রাঃ ) সহ আনন্দিত অবস্থায় ফিরে আসলেন তখন তারা রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সামনে মিথ্যা ওযর পেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে পূর্বেই অবহিত করেন যে, এই মন্দ অন্তর বিশিষ্ট লোকেরা তাঁর কাছে। এসে মুখে অন্তরের বিপরীত কথা বলবে এবং মিথ্যা ওযর পেশ করবে। তারা বলবেঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার পরিজন আমাদেরকে ব্যস্ত রেখেছে, অতএব তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন ।” মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাদের এ কথার জবাবে বলেনঃ “ তারা মুখে যা বলে তা তাদের অন্তরে নেই । সুতরাং হে নবী ( সঃ )! তুমি তাদেরকে বলে দাও- যদি আল্লাহ তোমাদের কারো কোন ক্ষতি কিংবা মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করেন তবে কে তাঁকে নিবৃত্ত করতে পারে? তোমরা জেনে রেখো যে, তোমরা যা কর সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবহিত।” অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা মুনাফিক বা কপটদের কপটতা সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন থাকে না। তিনি ভালরূপেই জানেন যে, মুনাফিকদের যুদ্ধ হতে পিছনে সরে থাকা কোন ওযরের কারণে ছিল না, বরং প্রকৃত কারণ ছিল তাদের অবাধ্যতা এবং কপটতা। তাদের অন্তর সম্পূর্ণরূপে ঈমান শূন্য। তারা আল্লাহর উপর নির্ভরশীল নয় এবং রাসূল ( সঃ )-এর আনুগত্যে যে কল্যাণ রয়েছে এ বিশ্বাস তাদের নেই। তারা নিজেদের প্রাণ ভয়ে ভীত। তারা নিজেরা যুদ্ধে মারা যাবে এ ভয়তো তাদের ছিলই, এমন কি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-এর সাহাবীদের ( রাঃ ) সম্পর্কেও তাদের ধারণা ছিল যে, তাঁরা সবাই নিহত হয়ে যাবেন, একজনও রক্ষা পাবেন না যিনি তাঁদের সংবাদ আনয়ন করতে পারেন। এই ধারণা তাদের অন্তরে প্রীতিকর মনে হয়েছিল। তাই, আল্লাহ তা'আলা তাদের সম্পর্কে বলেনঃ “ তোমরা মন্দ ধারণা করেছিলে, তোমরা তো ধ্বংসমুখী এক সম্প্রদায় ।”এরপর প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ “ যারা আল্লাহ ও র সূল ( সঃ )-এর প্রতি ঈমান আনে না, আমি ঐ সব কাফিরের জন্যে জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি ।”অতঃপর আল্লাহ তা'আলা স্বীয় আধিপত্য, শাসন ক্ষমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। যে কেউ তার দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং তাঁর রহমতের দরযায় করাঘাত করে, তিনি তার জন্যে তাঁর রহমতের দরযা খুলে দেন। তার পাপ যত বেশীই হোক না কেন, যখন সে তাওবা করে তখন করুণাময় আল্লাহ তার তাওবা কবুল করে নেন। এবং তাকে ক্ষমা করে থাকেন।

সূরা ফাত্হ আয়াত 14 সূরা

ولله ملك السموات والأرض يغفر لمن يشاء ويعذب من يشاء وكان الله غفورا رحيما

سورة: الفتح - آية: ( 14 )  - جزء: ( 26 )  -  صفحة: ( 512 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আর যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে উদ্বুদ্ধ
  2. আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে পুরাতন, এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে
  3. যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।
  4. তবে তার জন্যে আছে সুখ, উত্তম রিযিক এবং নেয়ামতে ভরা উদ্যান।
  5. তারা কি এই উদ্দেশ্যে দেশ ভ্রমণ করেনি, যাতে তারা সমঝদার হৃদয় ও শ্রবণ শক্তি সম্পন্ন
  6. তারা যদি আপনার প্রতি মিথ্যারোপ করে, তাদের পূর্ববর্তীরাও মিথ্যারোপ করেছিল। তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট
  7. আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি এবং তাঁর সাথে কোন মাবুদ নেই। থাকলে প্রত্যেক মাবুদ নিজ
  8. তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি উষর ভূমিতে পানি প্রবাহিত করে শস্য উদগত করি,
  9. আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।
  10. বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্যে। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাত্হ ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Fath mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Fath শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফাত্হ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফাত্হ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Monday, November 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers