কোরান সূরা ত্বা-হা আয়াত 39 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah TaHa ayat 39 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ত্বা-হা আয়াত 39 আরবি পাঠে(TaHa).
  
   

﴿أَنِ اقْذِفِيهِ فِي التَّابُوتِ فَاقْذِفِيهِ فِي الْيَمِّ فَلْيُلْقِهِ الْيَمُّ بِالسَّاحِلِ يَأْخُذْهُ عَدُوٌّ لِّي وَعَدُوٌّ لَّهُ ۚ وَأَلْقَيْتُ عَلَيْكَ مَحَبَّةً مِّنِّي وَلِتُصْنَعَ عَلَىٰ عَيْنِي﴾
[ طه: 39]

যে, তুমি (মূসাকে) সিন্দুকে রাখ, অতঃপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও, অতঃপর দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেবে। তাকে আমার শক্র ও তার শক্র উঠিয়ে নেবে। আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও। [সূরা ত্বা-হা: 39]

Surah Ta-Ha in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah TaHa ayat 39


''এই বলেঃ 'তাকে একটি সিন্দুকের মধ্যে রাখ, তারপর এটিকে পানিতে ভাসিয়ে দাও, তারপর নদী তাকে তীরে ভেড়াবে, তাকে নিয়ে যাবে আমার এক শত্রু ও তারও শত্রু।’’ আর আমি তোমার উপরে আমার তরফ থেকে ভালবাসা অর্পণ করেছিলাম, আর যেন তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হতে পার।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩৯. যখন আমি তাঁকে ইলহাম করেছি তখন আমি তাঁকে এ মর্মে আদেশ করেছি যে, আপনি তাকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সিন্দুকে নিক্ষেপ করে সিন্দুকটিকে সাগরে ভাসিয়ে দিন। অতঃপর সাগর অচিরেই তাকে আমার আদেশে পাড়ে নিক্ষেপ করবে। পরিশেষে আমার ও তার শত্রæ ফিরআউন তাকে উঠিয়ে নিবে। বস্তুতঃ আমি তোমার উপর আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছি। ফলে মানুষ তোমাকে ভালোবেসেছে। যাতে তুমি আমার চোখের সামনে ও আমার হিফাযতে এবং আমার তত্ত¡াবধানে লালিত-পালিত হও।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


এই মর্মে যে, তুমি তাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখো, অতঃপর তা ( নীল ) দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও যাতে দরিয়া ওকে তীরে ঠেলে দেয়, ওকে আমার ও ওর এক শত্রু তুলে নেবে।[১] আর আমি আমার নিকট হতে তোমার উপর ভালবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম,[২] যাতে তুমি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হও।[৩] [১] 'শত্রু' বলে ফিরআউনকে বুঝানো হয়েছে। কারণ সেই ছিল আল্লাহ তথা মূসা ( আঃ )-এর শত্রু। যখন কাঠের সেই শবাধার ঢেউয়ের সাথে রাজ-প্রাসাদের নিকট পৌঁছল, তখন তা তুলে এনে দেখা হল, যাতে একটি নিষ্পাপ শিশু ছিল। ফিরআউন তার স্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে রাজবাড়ীতে লালন-পালনের জন্য রেখে দিল। [২] অর্থাৎ, ফিরআউনের অন্তরে বা সর্বসাধারণের অন্তরে তোমার ভালবাসা ভরে দিয়েছিলাম। [৩] আল্লাহর মহাশক্তি তথা তার সুরক্ষা ও হিফাযতের নৈপুণ্য ও চমৎকারিত্ব দেখুন যে, যে শিশুটির জন্য ফিরআউন অসংখ্য শিশু-সন্তান হত্যা করিয়েছিল; যাতে সে জীবিত না থাকে, সেই শিশুকে ফিরআউনের কোলেই লালন-পালন করালেন, মা তাঁর নিজ শিশুকে দুধ দান করলেন এবং উপরন্তু শিশুর শত্রু ফিরআউনের কাছ হতে দুধপানের পারিশ্রমিকও আদায় করলেন! সুতরাং কত পবিত্র তিনি, যিনি প্রবলতা, সার্বভৌমত্ব, গর্ব ও মাহাত্ম্যের অধিকারী!

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যে, তুমি তাকে সিন্দুকের মধ্যে রাখ, তারপর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও [] যাতে দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেয় [], ফলে তাকে আমার শত্রু ও তার শত্রু নিয়ে যাবে []। আর আমি আমার কাছ থেকে আপনার উপর ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলাম [], আর যাতে আপনি আমার চোখের সামনে প্রতিপালিত হন []। [] ফির’আউন তার সিপাহীদেরকে ইসরাইলী নবজাতক শিশুদেরকে হত্যা করার আদেশ দিয়ে রেখেছিল। তাই সিপাহীদের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য তার মাতাকে ওহীর মাধ্যমে বলা হল যে, তাকে একটি সিন্দুকে রেখে দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও এবং তার ধ্বংসের আশংকা করো না। আমি তাকে হেফাজতে রাখব এবং শেষে তোমার কাছেই ফিরিয়ে দেব। [ ইবন কাসীর ] [] আয়াতে এক আদেশ মূসা আলাইহিস সালাম-এর মাতাকে দেয়া হয়েছে যে, এই শিশুকে সিন্দুকে পুরে দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও। দ্বিতীয় আদেশ নির্দেশসূচকভাবে দরিয়াকে দেয়া হয়েছে যে, সে যেন এই সিন্দুককে তীরে নিক্ষেপ করে দেয়। [ ফাতহুল কাদীর ] [] অর্থাৎ এই সিন্দুক ও তন্মধ্যস্থিত শিশুকে সমুদ্র তীর থেকে এমন ব্যক্তি কুড়িয়ে নেবে, যে আমার ও মূসার উভয়ের শত্রু; অর্থাৎ ফির’আউন। [ ফাতহুল কাদীর ] [] এখানে مَحَبَّةً শব্দটি আদরণীয় হওয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ বলেনঃ আমি নিজ কৃপা ও অনুগ্রহে আপনার অস্তিত্বের মধ্যে আদরণীয় হওয়ার গুণ নিহিত রেখেছি। ফলে যে-ই আপনাকে দেখত, সে-ই আদর করতে বাধ্য হত। ইবনে আব্বাস ও ইকরামা থেকে এরূপ তাফসীরই বর্ণিত হয়েছে। অন্য অর্থ হচ্ছে, আপনার শত্রুর কাছে আপনাকে আদরণীয় বানিয়ে দিয়েছি। [ ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর ] [] অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'আলার ইচ্ছা ছিল যে, মূসা 'আলাইহিস সালাম-এর উত্তম লালন পালন সরাসরি আল্লাহর তত্ত্বাবধানে হবে। তাই মিসরের সর্ববৃহৎ ব্যক্তিত্ব বাদশাহ ফিরআউনের গৃহে এই উদ্দেশ্য এমনভাবে সাধন হয়েছে যে, সে জানত না নিজের হাতে নিজেরই দুশমনকে লালন-পালন করছে। তার খাবার ছিল বাদশাহর খাবার। এটাই ছিল তৈরী করার অর্থ [ ইবন কাসীর ]। এখানে عيني দ্বারা এও অর্থ হবে যে, আমার চোখের সামনে। এতে আল্লাহর জন্য চোখ থাকার গুণ সাব্যস্ত হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীসেও আল্লাহ তা’আলার এ গুণটি প্রমানিত।

সূরা ত্বা-হা আয়াত 39 সূরা

أن اقذفيه في التابوت فاقذفيه في اليم فليلقه اليم بالساحل يأخذه عدو لي وعدو له وألقيت عليك محبة مني ولتصنع على عيني

سورة: طه - آية: ( 39 )  - جزء: ( 16 )  -  صفحة: ( 314 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের-
  2. কেন যাবে না, তার পালনকর্তা তো তাকে দেখতেন।
  3. তাদের কাছে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোরেরা।
  4. তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
  5. এবং এরপরে আসবে দূর্ভিক্ষের সাত বছর; তোমরা এ দিনের জন্যে যা রেখেছিলে, তা খেয়ে যাবে,
  6. আর তোমরা তো মৃত্যু আসার আগেই মরণ কামনা করতে, কাজেই এখন তো তোমরা তা চোখের
  7. ফেরাউন সম্প্রদায়ের কাছেও সতর্ককারীগণ আগমন করেছিল।
  8. তাদের অন্তর থাকে খেলায় মত্ত। জালেমরা গোপনে পরামর্শ করে, সে তো তোমাদেরই মত একজন মানুষ;
  9. সকল মানুষ একই জাতি সত্তার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা পয়গম্বর পাঠালেন সুসংবাদদাতা ও ভীতি
  10. তারা আর কিছুই বলেনি-শুধু বলেছে, হে আমাদের পালনকর্তা! মোচন করে দাও আমাদের পাপ এবং যা

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ত্বা-হা ডাউনলোড করুন:

সূরা TaHa mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি TaHa শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ত্বা-হা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, September 17, 2024

Please remember us in your sincere prayers