কোরান সূরা বাকারাহ্ আয়াত 141 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Baqarah ayat 141 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা বাকারাহ্ আয়াত 141 আরবি পাঠে(Baqarah).
  
   

﴿تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ ۖ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُم مَّا كَسَبْتُمْ ۖ وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ﴾
[ البقرة: 141]

তার চাইতে অত্যাচারী কে, যে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে প্রমাণিত সাক্ষ্যকে গোপন করে? আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না। [সূরা বাকারাহ্: 141]

Surah Al-Baqarah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Baqarah ayat 141


এরা ঐসব লোক যারা গত হয়ে গেছে। তাদের জন্য আছে যা তারা অর্জন করেছিল, আর তোমাদের জন্য যা তোমরা অর্জন করছ, আর তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে না ওরা যা করছিল সে-সন্বন্ধে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৪১. এরা এমন এক জাতি যারা অন্যান্যদের ন্যায় ইতিপূর্বে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। তারা দুনিয়া থেকে যে আমল অগ্রিম পাঠিয়েছে তারা তাই পাবে। তারা যাই অর্জন করেছে তারা তারই প্রতিদান পাবে। আর তোমরাও নিজেদের অর্জনেরই প্রতিদান পাবে। তোমাদেরকে তাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে না। না তাদেরকে তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। কাউকে অন্যের পাপের জন্য কখনোই পাকড়াও করা হবে না। না সে অন্যের আমল কর্তৃক লাভবান হবে। বরং প্রত্যেককে তার আমলেরই প্রতিদান দেয়া হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সে এক উম্মত ( দল ) ছিল, যা অতীত হয়ে গেছে। তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের, তোমরা যা অর্জন করেছ, তা তোমাদের। তারা যা করত, সে সম্বন্ধে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না। [১] [১] এই আয়াতে আবারও আমলের গুরুত্ব বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, বুযুর্গদের সাথে সম্পর্ক জুড়ে এবং তাঁদের উপর ভরসা করে কোন লাভ নেই। কারণ, " ( (وَمَنْ بَطَّأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ )) "যার কার্যকলাপ তাকে পিছিয়ে দেয়, তার বংশমর্যাদা তাকে এগিয়ে দিতে পারবে না।" (মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকর ও দু ' আ, পরিচ্ছেদঃ তেলাঅতে কুরআনের জন্য একত্রিত হওয়ার ফযীলত) অর্থাৎ, পূর্বপুরুষদের নেকী দ্বারা তোমাদের কোন লাভ হবে না এবং তাঁদের পাপের কারণে তোমাদেরকে পাকড়াও হবে না। তাঁদের কৃতকর্মের কারণে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।{وَلا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى} " কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। " ( সূরা ফাত্বির ৩৫:১৮ আয়াত ) {وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى} " আর মানুষ তাই পায়, যা সে করে। " ( সূরা নাজম ৫৩:৩৯ আয়াত )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারা এমন এক উম্মাত, যারা অতীত হয়ে গেছে। তারা যা অর্জন করেছে তা তাদের। আর তোমরা যা অর্জন করেছে তা তোমাদের। তারা যা করত সে সম্পর্কে তোমাদেরকে কোন প্রশ্ন করা হবে না।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৩৯-১৪১ নং আয়াতের তাফসীর বিশ্ব প্রভু স্বীয় নবী ( সঃ )কে মুশরিকদের ঝগড়া বিদুরিত করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর নবী ( সঃ )কে বলছেনঃ “ হে নবী ( সঃ )! তুমি মুশরিকদেরকে বলঃ “হে মুশরিকের দল! তোমরা আমাদের সাথে আল্লাহ তা'আলার একত্ববাদ, অকৃত্রিমতা, আনুগত্য ইত্যাদির ব্যাপারে বিবাদ করছে । কেন? তিনি তো শুধু আমাদের প্রভু নন বরং তোমাদেরও প্রভু। তিনি তো আমাদের ও তোমাদের উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং তিনি আমাদের সবারই ব্যবস্থাপক। আমাদের কাজের প্রতিদান আমাদেরকে দেয়া হবে। আমরা তোমাদের প্রতি এবং তোমাদের শিকের প্রতি অসন্তুষ্ট।' কুরআন মাজীদের অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “ এরা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে বলে দাওআমার জন্যে আমার কাজ এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের কাজ, তোমরা আমার ( সৎ ) কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট এবং আমিও তোমাদের ( অসৎ ) কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট ।' অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “ এরা যদি তোমার সঙ্গে ঝগড়া করে তবে তাদেরকে বলে দাও-আমি ও আমার অনুসারীরা আমাদের মুখমণ্ডল আল্লাহর দিকে ঝুঁকিয়ে দিলাম ।' হযরত ইবরাহীম ( আঃ )ও তার গোত্রের লোককে এ কথাই বলেছিলেনঃ “ তোমরা কি আমার সঙ্গে আল্লাহ তা'আলার ব্যাপারে ঝগড়া করছো?' অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “হে নবী ( সঃ! ) তুমি কি তাকে দেখনি যে ইবরাহীম ( আঃ )-এর সঙ্গে তার প্রভুর ব্যাপারে ঝগড়া করছিল? সুতরাং এখানে ঐ বিবাদীদেরকে বলা হচ্ছেঃ আমাদের কাজ আমাদের জন্যে এবং তোমাদের কাজ তোমাদের জন্যে । আমরা তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে তোমাদের হতে পৃথক হয়ে গেলাম। আমরা একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত হয়ে পড়বো।' অতঃপর ঐ সব লোকের দাবী খণ্ডন করা হচ্ছে যে, ইবরাহীম ( আঃ ) ইয়াহূদীও ছিলেন না এবং খ্রীষ্টানও ছিলেন না। কাজেই হে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানের দল! তোমরা এসব কথা বানিয়ে বলছো কেন? বলা হচ্ছে যে, তোমাদের জ্ঞান কি আল্লাহ তাআলার চেয়েও বেড়ে গেল? আল্লাহ তাআলা তো পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করছেনঃ ( আরবি )অর্থাৎ হযরত ইবরাহীম ( আঃ ) ইয়াহুদীও ছিল না এবং খ্রীষ্টানও ছিল না। বরং সুদৃঢ় মুসলমান ছিল এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।' ( ৩:৬৭ ) আল্লাহ্ তা'আলার সাক্ষ্যকে গোপন করে তাদের বড় অত্যাচার করা এই ছিল যে, তাদের নিকট আল্লাহ তা'আলা যে কিতাব অবতীর্ণ করেছিলেন তা তারা পড়েছিল এবং জানতে পেরেছিল যে, ইসলামই প্রকৃত ধর্ম ও মুহাম্মদ ( সঃ ) তাঁর সত্য রাসূল। এটা জেনেও তারা তা গোপন করেছিল। ইবরাহীম ( আঃ ), ইসমাঈল ( আঃ ), ইসহাক ( আঃ ), ইয়াকুব ( আঃ ) প্রভৃতি সবাই ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান ধর্ম হতে সম্পূর্ণরূপে পৃথক ছিলেন। কিন্তু তারা তা স্বীকার করেনি। শুধু তাই নয়, বরং এই কথাকেই তারা গোপন করেছিল। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, তাদের কাজ তার নিকট গোপন নেই। তার ইলম' সব জিনিসকেই ঘিরে রয়েছে। তিনি প্রত্যেক ভাল ও মন্দ কাজের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন।এই ধমক দেয়ার পর আল্লাহ বলেন যে, ঐ সব মহা মানব তো তাঁর নিকট পৌছে গেছে। এখন যদি তোমরা তাদের পদাংক অনসুরণ না কর, তবে তোমরা তাঁদের বংশধর হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তা'আলার নিকট তোমাদের কোনই সম্মান নেই। আর তোমাদের অসৎ কাজের বোঝাও তাদেরকে বইতে হবে না। তোমরা যখন এক নবীকে অস্বীকার করছে তখন যেন সমস্ত নবীকেই অস্বীকার করছে। বিশেষ করে তোমরা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা ( সঃ )-এর যুগে বাস করেও তাকে অস্বীকার করছে। যিনি হচ্ছেন সমস্ত নবীর নেতা। যাকে সমস্ত দানবও মানবের নিকট নবী করে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং তার রিসালাতকে মেনে নেয়া প্রত্যেকের উপর বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাঁর উপর ও অন্যান্য সমস্ত নবীর উপরও আল্লাহ তা'আলার দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক।

সূরা বাকারাহ্ আয়াত 141 সূরা

تلك أمة قد خلت لها ما كسبت ولكم ما كسبتم ولا تسألون عما كانوا يعملون

سورة: البقرة - آية: ( 141 )  - جزء: ( 1 )  -  صفحة: ( 21 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আল্লাহ বললেনঃ আজকের দিনে সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা তাদের উপকারে আসবে। তাদের জন্যে উদ্যান রয়েছে, যার তলদেশে
  2. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  3. তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমাকে এমতাবস্থায় সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি ?
  4. সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
  5. না তাদের কাছে গায়বের খবর আছে? অতঃপর তারা তা লিপিবদ্ধ করে।
  6. সে কি তোমাদেরকে এই ওয়াদা দেয় যে, তোমরা মারা গেলে এবং মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত
  7. এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং
  8. সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা
  9. তারা জোর শপথ করে বলত, তাদের কাছে কোন সতর্ককারী আগমন করলে তারা অন্য যে কোন
  10. অতঃপর তাদের কেউ তাকে মান্য করেছে আবার কেউ তার কাছ থেকে দূরে সরে রয়েছে। বস্তুতঃ

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা বাকারাহ্ ডাউনলোড করুন:

সূরা Baqarah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Baqarah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত বাকারাহ্  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers