কোরান সূরা জাসিয়া আয়াত 15 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Jathiyah ayat 15 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা জাসিয়া আয়াত 15 আরবি পাঠে(Jathiyah).
  
   

﴿مَنْ عَمِلَ صَالِحًا فَلِنَفْسِهِ ۖ وَمَنْ أَسَاءَ فَعَلَيْهَا ۖ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ﴾
[ الجاثية: 15]

যে সৎকাজ করছে, সে নিজের কল্যাণার্থেই তা করছে, আর যে অসৎকাজ করছে, তা তার উপরই বর্তাবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। [সূরা জাসিয়া: 15]

Surah Al-Jaathiyah in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Jathiyah ayat 15


যে কেউ সৎকর্ম করে তা তবে তার নিজের জন্যে, আর যে মন্দ করে তা তবে তারই বিরুদ্ধে, তারপর তোমাদের প্রভুর তরফেই তোমাদের ফিরিয়ে আনা হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫. সৎকর্মশীলের সৎ আমলের প্রতিদান তার জন্যই। আল্লাহ তার আমলের অমুখাপেক্ষী। পক্ষান্তরে যে মন্দ কাজ করে তার মন্দ কাজের শাস্তি তার উপরেই বর্তাবে। তার মন্দ কাজ আল্লাহর কোন ক্ষতি সাধন করবে না। অতঃপর তোমরা সবাই পরকালে এককভাবে আমার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে। যাতে আমি প্রত্যেককে তার পাওনা অনুযায়ী প্রতিদান দিতে পারি।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যে সৎকাজ করে, সে নিজ কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে ওর প্রতিফল সেই ভোগ করবে।[১] অতঃপর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। [২] [১] অর্থাৎ, প্রত্যেক দল ও ব্যক্তির কর্ম, ভাল হোক অথবা মন্দ, তার লাভ ও ক্ষতি স্বয়ং কর্তারই; অন্য কারো নয়। এতে সৎকর্মের প্রতি উৎসাহিতও করা হয়েছে এবং অসৎকর্ম থেকে ভীতিপ্রদর্শনও। [২] তিনি সকলকে তার আমল অনুযায়ী প্রতিদান দেবেন। ভালো লোককে ভালো এবং মন্দলোককে মন্দ।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


যে সৎকাজ করে সে তার কল্যাণের জন্যই তা করে এবং কেউ মন্দ কাজ করলে তা তারই উপর বর্তাবে, তারপর তোমাদেরকে তোমাদের রবের দিকেই প্রত্যাবর্তিত করা হবে।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২-১৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নিয়ামতের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তাঁরই হুকুমে মানুষ তাদের ইচ্ছানুযায়ী সমুদ্রে সফর করে থাকে। মালভর্তি বড় বড় নৌযানগুলো নিয়ে তারা এদিক হতে ওদিক ভ্রমণ করে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে আয়-উপার্জন করে থাকে। আল্লাহ তা'আলা এই ব্যবস্থা এ জন্যেই রেখেছেন যে, যেন তারা তার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়। আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আকাশের জিনিস যেমন সূর্য, চন্দ্র, তারাকারাজি এবং পৃথিবীর জিনিস যেমন পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী এবং মানুষের উপকারের অসংখ্য জিনিস তাদের কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন। এগুলোর সবই তাঁর অনুগ্রহ, ইহসান, ইনআম এবং দান। সবই তাঁর নিকট হতে এসেছে। যেমন তিনি বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তোমাদের নিকট যেসব নিয়ামত রয়েছে সবই আল্লাহ প্রদত্ত, অতঃপর যখন তোমাদেরকে কষ্ট ও বিপদ স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁরই কাছে অনুনয় বিনয় করে থাকো ।( ১৬:৫৩ ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেন যে, সব জিনিসই আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে এসেছে এবং তাতে যে নাম রয়েছে তা তাঁরই নামসমূহের মধ্যে নাম। সুতরাং এগুলোর সবই তাঁরই পক্ষ হতে আগত। কেউ এমন নেই যে তার নিকট হতে এগুলো ছিনিয়ে নিতে পারে বা তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হতে পারে। সবাই এ বিশ্বাস রাখে যে, তিনি এরূপই। একটি লোক হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করেঃ “ মাখলুককে কি জিনিস দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে? তিনি উত্তরে বলেনঃ “আলো, আগুন, অন্ধকার এবং মাটি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে ।” অতঃপর তিনি লোকটিকে বলেনঃ হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-এর সাথে দেখা হলে তাকেও জিজ্ঞেস করে নিয়ো । লোকটি সেখান হতে ফিরে গিয়ে হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ )-কে জিজ্ঞেস করলো। তিনিও ঐ উত্তরই দিলেন এবং লোকটিকে বললেনঃ “ তুমি আবার হযরত ইবনে উমার ( রাঃ )-এর নিকট ফিরে যাও এবং জিজ্ঞেস কর যে এ সবগুলো কি দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে?” লোকটি পুনরায় হযরত ইবনে উমার ( রাঃ )-এর নিকট গিয়ে ওটা জিজ্ঞেস করলো । তখন তিনি ( আরবী ) -এ আয়াতটি পাঠ করেন। ( এটা ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা গারীব আসার, এমনকি অস্বীকার্যও বটে)মহান আল্লাহ বলেনঃ চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে এতে বহু নিদর্শন রয়েছে।এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, মুমিনদেরকে ধৈর্যধারণের অভ্যাস রাখতে হবে। যারা কিয়ামতকে বিশ্বাস করে না তাদের মুখ হতে তাদেরকে বহু কষ্টদায়ক কথা শুনতে হবে এবং মুশরিক ও আহলে কিতাবের দেয়া বহু কষ্ট সহ্য করতে হবে।এই হুকুম ইসলামের প্রাথমিক যুগে ছিল কিন্তু পরবর্তীকালে জিহাদ এবং নির্বাসনের হুকুম নাযিল হয়। আল্লাহ পাকের ‘যারা আল্লাহর দিবসগুলোর প্রত্যাশা করে না' এই উক্তির ভাবার্থ হলোঃ যারা আল্লাহর নিয়ামত লাভ করার চেষ্টা করে না। তাদের ব্যাপারে মুমিনদেরকে বলা হচ্ছেঃ তোমরা পার্থিব জীবনে তাদের অপরাধকে ক্ষমার চক্ষে দেখো। তাদের আমলের শাস্তি স্বয়ং আল্লাহ তাআলা প্রদান করবেন। এ জন্যেই এর পরেই বলেনঃ তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। সেই দিন প্রত্যেককে তার ভাল ও মন্দের প্রতিফল দেয়া হবে। সকর্মশীলকে পুরস্কার এবং পাপীকে শাস্তি প্রদান করা হবে।

সূরা জাসিয়া আয়াত 15 সূরা

من عمل صالحا فلنفسه ومن أساء فعليها ثم إلى ربكم ترجعون

سورة: الجاثية - آية: ( 15 )  - جزء: ( 25 )  -  صفحة: ( 500 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. কাফেররা সর্বদাই সন্দেহ পোষন করবে যে পর্যন্ত না তাদের কাছে আকস্মিকভাবে কেয়ামত এসে পড়ে অথবা
  2. তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে তোমাদের সবাইকে, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনিই সৃষ্টি করেন প্রথমবার আবার
  3. আর যখন নাযিল হয় কোন সূরা যে, তোমরা ঈমান আন আল্লাহর উপর, তাঁর রসূলের সাথে
  4. যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এস, আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা
  5. তিনি বললেনঃ তোমরা তো অপরিচিত লোক।
  6. আল্লাহ নিজের অনুগ্রহ থেকে যা দান করেছেন তার প্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদযাপন করছে। আর যারা
  7. বলুনঃ আমার ও তোমাদের মধ্যে সত্য প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তো স্বীয় বান্দাদের বিষয়ে
  8. হা-মীম।
  9. অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
  10. এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপন পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা জাসিয়া ডাউনলোড করুন:

সূরা Jathiyah mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Jathiyah শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত জাসিয়া  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত জাসিয়া  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত জাসিয়া  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত জাসিয়া  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত জাসিয়া  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers