কোরান সূরা ফাত্হ আয়াত 15 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Al Fath ayat 15 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ফাত্হ আয়াত 15 আরবি পাঠে(Al Fath).
  
   

﴿سَيَقُولُ الْمُخَلَّفُونَ إِذَا انطَلَقْتُمْ إِلَىٰ مَغَانِمَ لِتَأْخُذُوهَا ذَرُونَا نَتَّبِعْكُمْ ۖ يُرِيدُونَ أَن يُبَدِّلُوا كَلَامَ اللَّهِ ۚ قُل لَّن تَتَّبِعُونَا كَذَٰلِكُمْ قَالَ اللَّهُ مِن قَبْلُ ۖ فَسَيَقُولُونَ بَلْ تَحْسُدُونَنَا ۚ بَلْ كَانُوا لَا يَفْقَهُونَ إِلَّا قَلِيلًا﴾
[ الفتح: 15]

তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ ধন-সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন যারা পশ্চাতে থেকে গিয়েছিল, তারা বলবেঃ আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও। তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করতে চায়। বলুনঃ তোমরা কখনও আমাদের সঙ্গে যেতে পারবে না। আল্লাহ পূর্ব থেকেই এরূপ বলে দিয়েছেন। তারা বলবেঃ বরং তোমরা আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছ। পরন্তু তারা সামান্যই বোঝে। [সূরা ফাত্হ: 15]

Surah Al-Fath in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Al Fath ayat 15


তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদের উদ্দেশ্যে যাত্রা কর তা হস্তগত করার জন্যে তখন পেছনে-পড়ে-থাকা লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে বলবে -- ''আমাদের অনুমতি দাও যাতে আমরা তোমাদের অনুগমন করতে পারি।’’ তারা আল্লাহ্‌র কালাম বদলাতে চায়। তুমি বলো -- ''তোমরা কিছুতেই আমাদের অনুগমন করবে না, আল্লাহ্ ইতিপূর্বেও এমনটাই বলেছিলেন।’’ তাতে তারা সঙ্গে সঙ্গে বলবে -- ''বরং তোমরা আমাদের ঈর্ষা করছ।’’ বস্তুত তারা যৎসামান্য ছাড়া বোঝে না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫. হে মুমিন সম্প্রদায়! তোমরা যখন হুদাইবিয়ার সন্ধির পর খায়বারে লব্ধ গনীমত গ্রহণ করার জন্য রওয়ানা করবে যে ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদেরকে অঙ্গীকার করেছেন তখন অচিরেই যারা পেছনে রয়ে গেছে তারা বলবে: আমাদেরকেও তোমাদের সঙ্গে যেতে দাও যেন আমরাও তোমাদের সাথে তা গ্রহণ করতে পারি। এদ্বারা তারা যেন আল্লাহর অঙ্গীকার পরিবর্তন করতে চায় যা তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির পর কেবল মুমিনদের উদ্দেশ্যে করেছিলেন। হে নবী! আপনি তাদের উদ্দেশ্যে বলে দিন, তোমরা আদৗ গনীমতের জন্য আমাদের অনুসরণ করো না। কেননা, খায়বারের গনীমতের ক্ষেত্রে আল্লাহ কেবল আমাদেরকে হুদায়বিয়ায় অংশ গ্রহণকারীদের জন্যেই অঙ্গীকার দিয়েছেন। অচিরেই তারা বলবে, আমাদেরকে তোমাদের সঙ্গে খায়বারে যেতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়; বরং তা তোমাদের প্রতিহিংসার নামান্তর। অথচ ব্যাপারটি এ সব পিছিয়ে থাকা লোকদের ধারণা অনুযায়ী নয়। বরং তারা আল্লাহর আদেশ-নিষেধ সম্পর্কে অতি অল্প বুঝ সম্পন্ন মাত্র। মূলতঃ সে জন্যই তারা তাঁর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে, তখন ( যুদ্ধ হতে ) পশ্চাতে থাকা লোকেরা বলবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের সাথে যেতে দাও।’[১] তারা আল্লাহর কথা পরিবর্তন করতে চায়।[২] বল, ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গী হতে পারবে না।’ আল্লাহ পূর্বেই এরূপ বলে রেখেছেন।[৩] তারা বলবে, ‘বরং তোমরা তো আমাদের প্রতি হিংসা করছ।’[৪] বস্তুতঃ তাদের বোধশক্তি সামান্য। [৫] [১] এই আয়াতে খায়বার যুদ্ধের আলোচনা রয়েছে। যার বিজয়ের সুসংবাদ মহান আল্লাহ হুদাইবিয়াতেই দিয়েছিলেন। অনুরূপ মহান আল্লাহ এ কথাও বলেছিলেন যে, এখান থেকে যুদ্ধলব্ধ সমস্ত সম্পদের অধিকারী হবে কেবল হুদাইবিয়ার বায়আতে অংশগ্রহণকারীরা। তাই হুদাইবিয়া থেকে ফিরে আসার পর ইহুদীদের বারংবার চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে নবী করীম ( সাঃ ) যখন খায়বারের উপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন পূর্বে উল্লিখিত পশ্চাতে অবস্থানকারীরা কেবল গনীমতের মাল অর্জনের লোভে সাথে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করল। তবে তা গৃহীত হয়নি। আয়াতে 'যুদ্ধলব্ধ সম্পদ' ( গনীমতের মাল ) বলতে খায়বারের গনীমতের মালকেই বুঝানো হয়েছে। [২] 'আল্লাহর কথা' বলতে খায়বারের গনীমতের মালকে হুদাইবিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্দিষ্টীকরণের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। মুনাফিকরা তাতে অংশ গ্রহণ করে 'আল্লাহর কথা' তথা তার প্রতিশ্রুতিকে পরিবর্তন করতে চায়। [৩] আয়াতে 'নাফী' ( নেতিবাচক ) বাক্যটি 'নাহী' ( নিষেধাজ্ঞা )র অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, আমাদের সাথে তোমাদের যাওয়ার অনুমতি নেই। মহান আল্লাহর নির্দেশও এটাই। [৪] অর্থাৎ, এ কথা পশ্চাতে অবস্থানকারীরা বলবে যে, তোমরা কেবল হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদেরকে তোমাদের সাথে নিতে চাচ্ছ না। যাতে আমরা গনীমতের মালে তোমাদের শরীক না হই। [৫] অর্থাৎ, ব্যাপার এটা নয়, যা তারা ভাবছে। বরং এই নিষেধাজ্ঞা তাদের পশ্চাতে থাকার কারণে। কিন্তু তারা প্রকৃত ব্যাপার বুঝতে পারছে না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে তখন যারা পিছনে রয়ে গিয়েছিল, তারা অবশ্যই বলবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের অনুসরণ করতে দাও।’ তারা আল্লাহর বাণী পরিবর্তন করতে চায়। বলুন, ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের অনুসরণ করবে নাআল্লাহ আগেই এরূপ ঘোষণা করেছেন।’ তারা অবশ্যই বলবে, তোমারা তো আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছ।’ বরং তারা তো বোঝে কেবল সামান্যই।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ যে বেদুঈনরা আল্লাহর রাসূল ( সঃ ) ও সাহাবী ( রাঃ )-এর সঙ্গে হুদায়বিয়ায় হাযির ছিল না, তারা যখন রাসূলুল্লাহ( সঃ )-কে এবং সাহাবীদেরকে ( রাঃ ) খায়বারের বিজয়ের পর যুদ্ধলব্ধ মাল নেয়ার জন্যে যেতে দেখবে তখন আশা পোষণ করবে যে, তাদেরকেও হয়তো সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। বিপদের সময় তো তারা পিছনে সরে ছিল, কিন্তু সুখের সময় মুসলমানদের সঙ্গে যাওয়ার তারা আকাক্ষা করবে। এ জন্যেই আল্লাহ্ তা'আলা বলেন যে, তাদেরকে কখনোই যেন সঙ্গে নেয়া না হয়। যুদ্ধ যখন তারা করেনি। তখন গানীমাতের অংশ তারা কি করে পেতে পারে? যারা হুদায়বিয়ায় উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকেই আল্লাহ্ তা'আলা খায়বারের গানীমাতের ওয়াদা দিয়েছেন, তাদেরকে নয় যারা বিপদের সময় সরে থাকে, আর আরামের সময় হাযির থাকে।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “ তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করতে চায় । অর্থাৎ আল্লাহ্ তা'আলা তো আহলে হুদায়বিয়ার সাথে খায়বারের গানীমাতের ওয়াদা করেছেন, অথচ এই মুনাফিকরা চায় যে, হুদায়বিয়ায় হাযির না হয়েও তারা আল্লাহর ওয়াদাকৃত গানীমাত প্রাপ্ত হবে। হযরত ইবনে যায়েদ ( রঃ ) বলেন যে, এর দ্বারা আল্লাহর নিম্নের হুকুমকে বুঝানো হয়েছেঃ ( আরবী ) অর্থাৎ ( হে নবী সঃ )! যদি আল্লাহ তোমাকে তাদের মধ্যে কোন দলের দিকে ফিরিয়ে আনেন এবং তারা তোমার কাছে জিহাদের জন্যে বের হবার অনুমতি প্রার্থনা করে তবে তুমি তাদেরকে বলে দাও- তোমরা আমার সাথে কখনো বের হবে না এবং আমার সাথে থেকে কখনো শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে না, তোমরা তো প্রথমবার আমাদের হতে পিছনে সরে থাকাকেই পছন্দ করেছে, সুতরাং এখন তোমরা পিছনে অবস্থানকারীদের সাথেই বসে থাকো ।( ৯:৮৩ ) কিন্তু এই উক্তির ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কেননা, এটা হলো সূরায়ে বারাআতের আয়াত যা তাবূকের যুদ্ধের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। আর তাবূকের যুদ্ধ হলো হুদায়বিয়ার সন্ধির বহু পরের ঘটনা। ইবনে জুরায়েজ ( রঃ )-এর উক্তি এই যে, এর দ্বারা মুনাফিকদের মুসলমানদেরকেও তাদের সাথে জিহাদ হতে বিরত রাখাকেই বুঝানো হয়েছে।আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি তাদেরকে বলে দাও- তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গী হতে পারবে না। আল্লাহ্ পূর্বেই এরূপ ঘোষণা করেছেন।আল্লাহ পাক বলেন যে, তারা তখন বলবেঃ তোমরা তো আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করছো। তোমাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে গানীমাতের অংশ দেয়া।আল্লাহ্ তা'আলা তাদের এ কথার জবাবে বলেনঃ প্রকৃতপক্ষে তাদের কোন বোধশক্তি নেই।

সূরা ফাত্হ আয়াত 15 সূরা

سيقول المخلفون إذا انطلقتم إلى مغانم لتأخذوها ذرونا نتبعكم يريدون أن يبدلوا كلام الله قل لن تتبعونا كذلكم قال الله من قبل فسيقولون بل تحسدوننا بل كانوا لا يفقهون إلا قليلا

سورة: الفتح - آية: ( 15 )  - جزء: ( 26 )  -  صفحة: ( 512 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত)
  2. আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং
  3. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা কোথায় ফিরছে?
  4. অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে,
  5. আর যারা ঈমান আনে না, তাদেরকে বলে দাও যে, তোমরা নিজ নিজ অবস্থায় কাজ করে
  6. যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
  7. কামিনী, সমবয়স্কা।
  8. তবে আমরা অবশ্যই আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম।
  9. আল্লাহ, পৃথিবীকে করেছেন তোমাদের জন্যে বাসস্থান, আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দান করেছেন,
  10. অবশ্যই যে সবর করে ও ক্ষমা করে নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ফাত্হ ডাউনলোড করুন:

সূরা Al Fath mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Al Fath শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ফাত্হ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ফাত্হ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ফাত্হ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ফাত্হ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ফাত্হ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Sunday, December 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers