কোরান সূরা আনআম আয়াত 150 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Anam ayat 150 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা আনআম আয়াত 150 আরবি পাঠে(Anam).
  
   

﴿قُلْ هَلُمَّ شُهَدَاءَكُمُ الَّذِينَ يَشْهَدُونَ أَنَّ اللَّهَ حَرَّمَ هَٰذَا ۖ فَإِن شَهِدُوا فَلَا تَشْهَدْ مَعَهُمْ ۚ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَالَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ وَهُم بِرَبِّهِمْ يَعْدِلُونَ﴾
[ الأنعام: 150]

আপনি বলুনঃ তোমাদের সাক্ষীদেরকে আন, যারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ তা’আলা এগুলো হারাম করেছেন। যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে আপনি এ সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন না এবং তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না, যারা আমার নির্দেশাবলীকে মিথ্যা বলে, যারা পরকালে বিশ্বাস করে না এবং যারা স্বীয় প্রতিপালকের সমতুল্য অংশীদার করে। [সূরা আনআম: 150]

Surah Al-Anam in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Anam ayat 150


বলো -- ''হাজির করো তোমাদের সাক্ষীদের যারা সাক্ষ্য দিতে পারে যে আল্লাহ্ এ নিষেধ করেছেন।’’ অতএব যদি তারা সাক্ষ্য দেয় তবে তুমি তাদের সঙ্গে সাক্ষ্য দিতে যেও না, আর তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করো না যারা আমাদের নির্দেশাবলী প্রত্যাখ্যান করেছে, আর যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, আর তারাই তাদের প্রতিপালকের প্রতি সমকক্ষ ঠাওরায়।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৫০. হে রাসূল! যারা আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম করে এবং তা আল্লাহ তা‘আলাই হারাম করেছেন বলে দাবি করে আপনি সে মুশরিকদেরকে বলুন: তোমরা সেই সাক্ষীগুলোকে হাজির করো যারা এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা এ জিনিসগুলোকে হারাম করেছেন যা তোমরা হারাম করেছো। হে রাসূল! যদি তারা মূর্খতাবশত এ সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা এ জিনিসগুলোকে হারাম করেছেন তাহলে আপনি তাদের সাক্ষ্যকে সত্য মনে করবেন না। কারণ, সেটি একটি মিথ্যা সাক্ষ্য। যারা নিজেদের কুপ্রবৃত্তিকে বিচারক বানিয়েছে আপনি তাদের কৃপ্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। কারণ, তারা আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে হারাম করার মাধ্যমে সত্যিকারার্থে আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা বানিয়েছে। তেমনিভাবে আপনি আখিরাতে অবিশ্বাসীদেরও অনুসরণ করবেন না। তারা মূলতঃ নিজেদের প্রতিপালকের সাথেই শিরক করেছে। তারা তাঁকে অন্যের সমান ভাবে। নিজ প্রতিপালকের সাথে যার এমন আচরণ তার অনুসরণ কিভাবেই বা করা যাবে?!

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


বল, ‘তোমরা তোমাদের সাক্ষীদেরকে হাজির কর যারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ এ নিষিদ্ধ করেছেন।’[১] অতঃপর তারা সাক্ষ্য দিলেও তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিও না।[২] যারা আমার আয়াত ( বাক্যাবলী )কে মিথ্যা মনে করেছে, যারা পরকালে বিশ্বাস করে না এবং প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করায়, তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না।[৩] [১] অর্থাৎ, যে পশুগুলোকে মুশরিকরা হারাম করে নিয়েছিল। [২] কারণ, তাদের কাছে মিথ্যা এবং মিথ্যা অপবাদ ছাড়া আর কিছুই নেই। [৩] অর্থাৎ, তাঁর সমতুল্য নির্ধারণ করে শিরক করে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


বলুন, ‘ আল্লাহ্‌ যে এটা নিষিদ্ধ করেছেন এ সম্বদ্ধে যারা সাক্ষ্য দেবে তাদেরকে হাযির কর।’ তারা সাক্ষ্য দিলেও আপনি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিবেন না। আর আপনি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না, যারা আমাদের আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে এবং যারা আখেরাতে ঈমান রাখে না। আর তারাই তাদের রব-এর সমকক্ষ দাঁড় করায়।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৪৮-১৫০ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে একটা বিতর্কের অবতারণা করা হয়েছে এবং মুশরিকরা নিজেদের শিরক ও হালালকে হারাম করে নেয়া সম্পর্কে যে সন্দেহ পোষণ করতে, আল্লাহ পাক তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি তাদের শিক ও হারাম করে নেয়া সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করছেন। সেই সন্দেহ ছিল এই যে, তারা বলতো-আল্লাহ ইচ্ছা করলে আমাদের মনকে পরিবর্তন করতে পারতেন, তিনি আমাদেরকে ঈমানের তাওফীক প্রদানে সক্ষম ছিলেন এবং আমাদের প্রতিবন্ধক হয়ে তিনি আমাদেরকে কুফরী থেকে বিরত রাখতে পারতেন। কিন্তু এরূপ যখন তিনি করেননি তখন এটা প্রমাণিত হলো যে, তিনি এটাই চান এবং আমাদের এই কাজে তিনি সম্মত। তাই মহান আল্লাহ তাদের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ চাইলে আমরা শিক করতাম এবং আমাদের বাপ-দাদারাও না, না আমরা কোন জিনিসকে হারাম করে নিতাম। অনুরূপভাবে তারা বলতোঃ ( আরবী ) অর্থাৎ আল্লাহ যদি চাইতেন তবে আমরা তাদের ইবাদত করতাম না ।( ৪৩:২০ ) সুতরাং আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ এরূপই তাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল ।” ভাবার্থ এই যে, এভাবেই পূর্ববর্তী লোকেরাও পথভ্রষ্ট হয়েছিল। আর এটা হচ্ছে খুবই নিম্নমানের, ভিত্তিহীন ও ছেলেমি যুক্তি। যদি এটা সঠিক হতো তবে তাদের পূর্ববর্তীদের উপর কখনও আল্লাহর শাস্তি আসতো না এবং তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হতো না। আর মুশরিকদেরকে প্রতিশোধের শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে হতো না। আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে সম্বোধন করে বলেনঃ হে নবী ( সঃ )! তুমি ঐ কাফির ও মুশরিকদেরকে বলে দাও-তোমরা কি করে জানতে পারলে যে, আল্লাহ তোমাদের কাজে সন্তুষ্ট? যদি তোমাদের এ দাবীর পিছনে কোন দলীল থাকে তবে তা পেশ কর। তোমরা কখনও এটা প্রমাণ করতে পারবে না। তোমরা শুধু অনুমান ও মিথ্যা ধারণার পিছনে পড়ে রয়েছ। ধারণা দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজে বিশ্বাস। তোমরা শুধুমাত্র আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করছে। এই মুশরিকরা বলে- “ আমরা শুধু এই উদ্দেশ্যে মূর্তির উপাসনা করছি যে, তাদের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবো ।আল্লাহ বলেন যে, তারা তাদের মাধ্যমে কখনও আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবে না ।( আরবী ) আল্লাহ যদি চাইতেন তবে তারা শিরক করতো না। ( ৬:১০৭ ) ভাবার্থ এই যে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে সবাই যে হিদায়াত লাভ করতে এতে কোন সন্দেহ নেই। সত্যভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ দলীল প্রমাণ তো একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। তিনি ইচ্ছা করলে সবাই সুপথ প্রাপ্ত হয়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, হে মুহাম্মাদ ( সঃ )! তুমি বলে দাও যে, আল্লাহর হুজ্জত বা দলীল হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ দলীল এবং তাঁর হিকমত হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ হিকমত। কে যে হিদায়াত লাভের অধিকারী এবং কে পথভ্রষ্ট হওয়ার যোগ্য তা তিনিই ভাল জানেন। সবকিছুই তার ক্ষমতা ও ইচ্ছার মধ্যে রয়েছে। তিনি মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং কাফিরদের প্রতি অসন্তুষ্ট। তিনি ইচ্ছা করলে ভূ-পৃষ্ঠের সমস্ত লোকই ঈমান আনতে। তিনি চাইলে সবকে একই কওম ও একই জাতি বানিয়ে দিতেন। তিনি যে ওয়াদা করেছেন যে, জাহান্নামকে তিনি দানব ও মানব দ্বারা পূর্ণ করবেন। তার এ ওয়াদা পূর্ণ হবেই। বিদ্রোহী ও বিরুদ্ধবাদীদের কোনই দলীল নেই। তাই আল্লাহ পাক স্বীয় রাসূল ( সঃ )-কে সম্বোধন করে বলেনঃ তুমি তাদেরকে বলে দাও-যদি তোমাদের দাবীর অনুকূলে সাক্ষী থাকে তবে তাদেরকে হাযির কর, যারা সাক্ষ্য দেবে যে হ্যাঁ, আল্লাহ এসব জিনিস হারাম করেছিলেন। আর যদি তারা এ ধরনের মিথ্যাবাদী সাক্ষী হাযির করেও দেয় তবে হে নবী ( সঃ )! তুমি কিন্তু এরূপ সাক্ষ্য দেবে না। কেননা তাদের এ সাক্ষ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রতারণামূলক। তুমি ঐ লোকদের সঙ্গী হয়ো না যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, আখিরাতের উপর বিশ্বাস রাখে না এবং স্বীয় প্রভুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যদেরকে তাঁর শরীক ও সমকক্ষ বানিয়ে নেয়।

সূরা আনআম আয়াত 150 সূরা

قل هلم شهداءكم الذين يشهدون أن الله حرم هذا فإن شهدوا فلا تشهد معهم ولا تتبع أهواء الذين كذبوا بآياتنا والذين لا يؤمنون بالآخرة وهم بربهم يعدلون

سورة: الأنعام - آية: ( 150 )  - جزء: ( 8 )  -  صفحة: ( 148 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্ত করে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে
  2. অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা
  3. যখন পর্বতমালাকে উড়িয়ে দেয়া হবে এবং
  4. মূসা বললেনঃ আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন
  5. অতঃপর তাতে ফিরিয়ে নিবেন এবং আবার পুনরুত্থিত করবেন।
  6. আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যবক্তা হিসেবে তোমাদের
  7. আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি?
  8. তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।
  9. বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ-যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে ও আমার সংগীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের
  10. নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা আনআম ডাউনলোড করুন:

সূরা Anam mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Anam শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত আনআম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত আনআম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত আনআম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত আনআম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত আনআম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত আনআম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত আনআম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত আনআম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত আনআম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত আনআম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত আনআম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত আনআম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত আনআম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত আনআম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত আনআম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত আনআম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত আনআম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত আনআম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত আনআম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত আনআম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত আনআম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, November 22, 2024

Please remember us in your sincere prayers