কোরান সূরা মু'মিনুন আয়াত 16 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Muminun ayat 16 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মু'মিনুন আয়াত 16 আরবি পাঠে(Muminun).
  
   

﴿ثُمَّ إِنَّكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تُبْعَثُونَ﴾
[ المؤمنون: 16]

অতঃপর কেয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে। [সূরা মু'মিনুন: 16]

Surah Al-Muminun in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muminun ayat 16


তারপর তোমাদের অবশ্যই কিয়ামতের দিনে পুনরুত্থিত করা হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৬. অনন্তর তোমাদেরকে মৃত্যুর পর কিয়ামতের দিন আবারো কবর থেকে উঠানো হবে। যাতে তোমাদের পেশকৃত আমলগুলোর হিসাব করা যায়।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


অতঃপর কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে অবশ্যই পুনরুত্থিত করা হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তারপর কেয়ামতের দিন নিশ্চয় তোমাদেরকে উত্থিত করা হবে []। [] পূর্ববর্তী ১২-১৪ নং আয়াতে সৃষ্টির প্রাথমিক স্তর উল্লেখ করা হয়েছিল, এখন ১৫ ও ১৬ আয়াতে তার শেষ পরিণতির কথা বলা হয়েছে। বলা হচ্ছেঃ তোমরা সবাই এ জগতে আসা ও বসবাস করার পর মৃত্যুর সম্মুখীন হবে। কেউ এর কবল থেকে রক্ষা পাবে না। মৃত্যুর পর আবার কেয়ামতের দিন তোমাদেরকে জীবিত করে পুনরুত্থিত করা হবে, যাতে তোমাদের ক্রিয়াকর্মের ভাল কিংবা মন্দের হিসাবান্তে তোমাদেরকে আসল ঠিকানা জান্নাত অথবা জাহান্নামে পৌঁছে দেয়া হয়। [ দেখুন, ইবন কাসীর ] এ হচ্ছে মানুষের শেষ পরিণতি।

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১২-১৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রাথমিক সৃষ্টির বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তিনি হযরত আদিম ( আঃ )-কে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যা কাদা ও বেজে ওঠে এমন মাটির আকারে ছিল। অতঃপর হযরত আদম ( আঃ )-এর শুক্র হতে তার সন্তানদেরকে সৃষ্টি করা হয়। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে এটাও একটি নিদর্শন যে, তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হতে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমরা এখন মানুষরূপে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছো ।( ৩০:২০ )হযরত আবু মূসা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম ( আঃ )-কে এক মুষ্টি মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন যা তিনি সমস্ত যমীন হতে গ্রহণ করেছিলেন । এ হিসেবেই হযরত আদম ( আঃ )-এর সন্তানদের রূপ ও রঙ বিভিন্ন রকম হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ হয়েছে লাল, কেউ সাদা, কেউ কালো এবং কেউ হয়েছে অন্য রঙ-এর। তাদের মধ্যে অশ্লীলও রয়েছে, পবিত্রও রয়েছে।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। এটা ইমাম আবু দাউদ ( রঃ ) ও ইমাম তিরমিযীও ( রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ( রঃ ) এটাকে হাসান সহীহ বলেছেন)( আরবী ) এর মধ্যে ( আরবী ) সর্বনামটি ( আরবী ) ( মানবজাতি )-এর দিকে ফিরেছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তিনি কর্দম হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন । অতঃপর তার বংশ উৎপন্ন করেছেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস হতে।” ( ৩২:৭-৮ ) আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি ( শুক্র ) হতে সৃষ্টি করিনি, অতঃপর স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে?" ( ৭৭:২০-২১ ) সুতরাং মানুষের জন্যে একটা নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তার মাতার গর্ভাশয়ই বাসস্থান হয়ে থাকে । সেখানে সে এক অবস্থা হতে অন্য অবস্থার দিকে এবং এক আকার হতে অন্য আকারের দিকে পরিবর্তিত হতে থাকে। তারপর শুক্র, যা তীব্রবেগে বহির্গত হয় এমন পানি, যা পুরুষের পৃষ্ঠদেশ হতে ও নারীর বক্ষদেশ হতে বহির্গত হয়, রূপ পরিবর্তন করে লাল রঙ-এর পিণ্ডে রূপান্তরিত হয়। এরপর ওটা গোশ্তপিণ্ডের রূপে পরিবর্তিত হয়। তখন তাতে কোন আকার বা কোন রেখা থাকে না। তারপর তাতে অস্থি তৈরী করেন এবং মাথা, হাত, পা, হাড়, শিরা, পাছা ইত্যাদি বানিয়ে দেন। হযরত আবূ হুরাইরা ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেনঃ “ মানুষের সারা দেহ গলে পচে যায়, শুধু মেরুদণ্ডের ( পাছার ) হাড়টি অবশিষ্ট থাকে । ওর থেকেই তাকে ( পুনরায় ) সৃষ্টি করা হবে এবং পুনর্গঠন করা হবে।”মহান আল্লাহ বলেন, অতঃপর অস্থি-পঞ্জরকে আমি গোশ্ত দ্বারা ঢেকে দিই, যেন তা গুপ্ত ও দৃঢ় থাকে। এরপর আল্লাহ তা'আলা তাতে রূহ ফুকে দেন, যাতে সে নড়া চড়া করা ও চলাফেলা করার যোগ্য হয়ে ওঠে। ঐ সময় সে জীবন্ত মানবরূপ ধারণ করে। সে দেখার, শুনার, বুঝার, নড়ার এবং স্থির থাকার শক্তি প্রাপ্ত হয়। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান! হযরত আলী ইবনে আবি তালিব ( রাঃ ) বলেন যে, যখন শুক্রের উপর চার মাস অতিবাহিত হয় তখন আল্লাহ তাআলা একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে দেন যিনি তিন তিনটি অন্ধকারের মধ্যে রুহ ফুঁকে দেন। অবশেষে ওকে গড়ে তুলি এক সৃফিলে আল্লাহ পাকের এই উক্তির অর্থ এটাই। অর্থাৎ দ্বিতীয় এর এই সৃষ্টি রা রুহ ফুঁকে দেয়াকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং মায়ের পেটের মধ্যে এক অবস্থা হতে দ্বিতীয় অবস্থায় এবং দ্বিতীয় হতে তৃতীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার পর একেবারে অবুঝ ও জ্ঞান শূন্য নিলে সে জাহণ করে। তারপর সে ধীরে ধীরে বড় হতে হতে যৌবনে গান করে। তারপর হয় পৌঢ় এবং এর পর বার্ধক্যে পৌঁছে যায়। পরিশেষে সে সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধ হয়ে পড়ে। মোটকথা রূহ ফুঁকে দেয়া হয় এবং পরে এসব বৃত্তির সাধিত হয়। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।হযরত ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন ধিৰি সত্যবাদী ও সত্যায়িতঃ “ তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টি ( এর মাধ্যম শুক্র ) তার মায়ের পেটে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা থাকে । তারপর ওটা চল্লিশ দিন পর্যন্ত রক্তপিণ্ডের আকারে থাকে। এর চল্লিশ দিন পর্যন্ত গোশ্তপিণ্ডের রূপ ধারণ করে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে দেন, যিনি তাতে ফুঁকে দেন এবং আল্লাহর নির্দেশক্রমে চারটি বিষয় লিখে নেন। তাহলো তার বিষক, আয়ুষ্কাল, আমল এবং সে হতভাগ্য হবে কি সৌভাগ্যবান হবে। যিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই তাঁর শপথ! এক ব্যক্তি জান্নাতবাসীর আমল করতে থাকে, এমনকি সে জান্নাত হতে শুধুমাত্র এক হাত দূরে রয়ে যায়। এমতাবস্থায় তার তকদীরের লিখন তার উপর জয়যুক্ত হয়ে যায়, ফলে সে শেষ অবস্থায় জাহান্নামবাসীর আমল করতে শুরু করে এবং ঐ অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করে। সুতরাং সে জাহান্নামী হয়ে যায়। অনুরূপভাবে অন্য একটি লোক খারাপ কাজ করতে করতে জাহান্নাম হতে মাত্র এক হাত দূরে রয়ে যায়। কিন্তু তকদীরের লিখন অগ্রগামী হয় এবং শেষ জীবনে সে জান্নাতবাসীর আমল করতে শুরু করে দেয়। সুতরাং সে জান্নাতবাসী হয়ে যায়।” ( এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী ( রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এটা তাখরীজ করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রাঃ ) বলেন যে, শুক্র বা বীর্য যখন গর্ভাশয়ে পতিত হয় তখন ওটা প্রত্যেক চুল ও নখের স্থানে পৌছে যায়। অতঃপর চল্লিশ দিন পরে ওটা জমাট রক্তের আকার ধারণ করে। ( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবদুল্লাহ ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) তাঁর সাহাবীদের ( রাঃ ) সাথে কথাবার্তা বলছিলেন, এমন সময় একজন ইয়াহুদী আগমন করে। তখন কুরায়েশ কাফিররা তাকে বলেঃ “ হে ইয়াহুদী! এই লোকটি ( হযরত মুহাম্মাদ সঃ ) নবুওয়াতের দাবী করছেন । সে তখন বলেঃ “ আচ্ছা, আমি তাকে এমন এক প্রশ্ন করাবো যার উত্তর নবী ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না ।” অতঃপর সে নবী ( সঃ )-এর মজলিসে এসে বসে পড়ে। সে প্রশ্ন করেঃ “ আচ্ছা বলুন তো, মানুষের জন্ম কি জিনিস থেকে হয়?” রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) উত্তরে বলেনঃ “পুরুষ ও স্ত্রীর মিলিত শুক্রের মাধ্যমে । পুরুষের শুক্র মোটা ও গাঢ় হয় এবং তার থেকে অস্থি ও পাছা বা নিতম্ব গঠিত হয়। আর স্ত্রীর শুক্র হয় তরল ও পাতলা। তার থেকে গঠিত হয় গোশ্ত ও রক্ত। তাঁর এই জবাব শুনে ইয়াহূদী বলেঃ “ আপনি সত্য বলেছেন । পূর্ববর্তী নবীদেরও ( আঃ ) উক্তি এটাই ছিল।” ( এটা ইমাম আহমাদ (রঃ ) স্বীয় মুসনাদ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)হযরত হুযাইফা ইবনে উসাইদ আল গিফারী ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-কে বলতে শুনেছেন, গর্ভাশয়ে শুক্রের যখন চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয় তখন একজন ফেরেশতা আগমন করেন এবং আল্লাহ তা'আলাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আমার প্রতিপালক! এ ভাল হবে, না মন্দ হবে? নর হবে না নারী হবে?” উত্তরে যা বলা হয় তাই তিনি লিখে নেন এবং তার আমল, বয়স, বিপদ-আপদ, রিযক ইত্যাদি সবকিছু লিখে ফেলেন । তারপর ঐ খাতাপত্র জড়িয়ে নেয়া হয় এবং তাতে কমবেশী করার কোন অবকাশ থাকে না। ( এ হাদীসটিও ইমাম আহমাদ (রঃ ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমও ( রঃ ) তাঁর সহীহ গ্রন্থে এটা বর্ণনা করেছেন)হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা গর্ভাশয়ে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেন যিনি আরয করেনঃ “ হে আমার প্রতিপালক! এখন শুক্র । হে আল্লাহ! এখন রক্তপিণ্ড। হে আমার প্রতিপালক! এখন গোশ্তপিণ্ড।” যখন আল্লাহ তা'আলা ওকে সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন তখন ফেরেশতা জিজ্ঞেস করেনঃ “ হে আল্লাহ! নর হবে, না নারী হবে? দুর্ভাগা হবে, না ভাগ্যবান হবে? এর রিযক কি হবে এবং আয়ুষ্কাল কত হবে?” তখন আল্লাহ তা'আলা উত্তর দেন এবং তিনি তার মায়ের পেটেই সবকিছু লিখে নেন । ( এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর আল বাযযার (রঃ ) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম বুখারী ( রঃ ) ও ইমাম মুসলিম ( রঃ ) এটা তাদের সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে তাখরীজ করেছেন)এসব কথা এবং নিজের পূর্ণ ও ব্যাপক ক্ষমতার বর্ণনা দেয়ার পর মহান আল্লাহ বলেনঃ অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কতই না মহান! হযরত উমার ইবনে খাত্তাব ( রাঃ ) বলেনঃ “ আমি চারটি বিষয়ে আমার প্রতিপালকের আনুকূল্য করেছি । যখন তিনি ( আরবী )-এই আয়াতটি অবতীর্ণ করেন তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার মুখ হতে বেরিয়ে যায় ( আরবী ) অর্থাৎ “ সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা কতই না মহান! আমার প্রতিপালক পরে এটাই আবার অবতীর্ণ করেন ।( এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আমির শা’বী ( রঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) যখন হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত আনসারী ( রাঃ )-কে ( আরবী ) হতে ( আরবী ) পর্যন্ত আয়াতগুলো লিখাতে ছিলেন তখন হযরত মুআয ( রাঃ ) হঠাৎ করে ( আরবী )-এই অংশটুকু বলে ফেলেন। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) হেসে ওঠেন। তাঁকে হাসতে দেখে হযরত মুআয ( রাঃ ) বলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল ( সঃ )! আপনার হাসার কারণ কি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) বলেনঃ “তোমার এই কথার দ্বারাই এই আয়াতকে সমাপ্ত করা হয়েছে ।( এই হাদীসের সনদে জাবির জুফী নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যিনি খুবই দুর্বল। আর এ বিওয়াইয়াতটি সম্পূর্ণরূপে মুনকার বা অনস্বীকার্য। অহী লেখক হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রাঃ ) মদীনায় ছিলেন, মক্কায় নয়। হযরত মুআয ( রাঃ )-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাও মদীনার ঘটনা। অথচ এই আয়াত অবতীর্ণ হয় মক্কায়। সুতরাং উল্লিখিত রিওয়াইয়াত নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। এসব ব্যাপারে সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ)এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ এই প্রথম সৃষ্টির পর তোমরা অবশ্যই মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর কিয়ামতের দিন তোমরা পুনরুত্থিত হবে। তারপর তোমাদের হিসাব নিকাশ হবে এবং ভাল ও মন্দ কর্মের প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।

সূরা মু'মিনুন আয়াত 16 সূরা

ثم إنكم يوم القيامة تبعثون

سورة: المؤمنون - آية: ( 16 )  - جزء: ( 18 )  -  صفحة: ( 342 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. অতঃপর মূসা (আঃ) যখন সেই মেয়াদ পূর্ণ করল এবং সপরিবারে যাত্রা করল, তখন সে তুর
  2. আর যখন আপনি তাদেরকে বলবেন, আল্লাহর নির্দেশের দিকে এসো-যা তিনি রসূলের প্রতি নাযিল করেছেন, তখন
  3. আমি আপনার প্রতি এ জন্যেই গ্রন্থ নাযিল করেছি, যাতে আপনি সরল পথ প্রদর্শনের জন্যে তাদের
  4. এটা আল্লাহর পক্ষে কঠিন নয়।
  5. বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ কর, সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্যে। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের
  6. যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
  7. বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি
  8. অতঃপর যখন প্রেরিতরা লূতের গৃহে পৌছল।
  9. আর যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে সবই আল্লাহর। বস্তুতঃ আমি নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের
  10. উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মু'মিনুন ডাউনলোড করুন:

সূরা Muminun mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muminun শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মু'মিনুন  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers