কোরান সূরা কাহ্ফ আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Kahf ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা কাহ্ফ আয়াত 18 আরবি পাঠে(Kahf).
  
   

﴿وَتَحْسَبُهُمْ أَيْقَاظًا وَهُمْ رُقُودٌ ۚ وَنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ ۖ وَكَلْبُهُم بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيدِ ۚ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا﴾
[ الكهف: 18]

তুমি মনে করবে তারা জাগ্রত, অথচ তারা নিদ্রিত। আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে। যদি তুমি উঁকি দিয়ে তাদেরকে দেখতে, তবে পেছন ফিরে পলায়ন করতে এবং তাদের ভয়ে আতংক গ্রস্ত হয়ে পড়তে। [সূরা কাহ্ফ: 18]

Surah Al-Kahf in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Kahf ayat 18


আর তুমি তাদের মনে করতে জাগ্রত যদিও তারা ছিল ঘুমন্ত, আর আমরা তাদের পাশ ফিরিয়ে দিতাম ডান দিকে ও বাঁ দিকে, আর তাদের কুকুরটি থাবা মেলে রয়েছিল প্রবেশপথে। তুমি যদি তাদের হঠাৎ দেখতে তবে তাদের থেকে পিছন ফিরতে পলায়নপর হয়ে, আর তুমি নিশ্চয়ই তাদের কারণে ভয়ে বিহল হতে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. হে দর্শক! তুমি তাদের দিকে দৃষ্টি দিলে তাদেরকে সজাগ মনে করবে। কারণ, তাদের চোখগুলো খোলা। বস্তুতঃ তারা ঘুমন্ত। আমি তাদের ঘুমের মাঝে কখনো ডানে আবার কখনো বাঁয়ে তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম। যাতে তাদের শরীরগুলোকে মাটি খেয়ে না ফেলে। আর তাদের সাথের কুকুরটি গুহার প্রবেশ পথে তার পা দু’টো মেলে আছে। আপনি যদি তাদেরকে উঁকি দিয়ে দেখতেন তাহলে ভয়ে অবশ্যই তাদের কাছ থেকে পেছনে ফিরে পালাতেন। আর আপনার হৃদয় আতঙ্কে ভরে যেতো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


তুমি মনে করতে, তারা জাগ্রত; কিন্তু আসলে তারা নিদ্রিত।[১] আমি তাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম ডানে ও বামে[২] এবং তাদের কুকুর ছিল সম্মুখের পা দুটি গুহার দ্বারে প্রসারিত করে; তাকিয়ে তাদেরকে দেখলে তুমি পিছনে ফিরে পালিয়ে যেতে ও তাদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়তে।[৩] [১] أَيْقَاظٌ হল, يَقِظٌ ( জাগ্রত ) এর বহুবচন। আর رُقُوْدٌ হল, رَاقِدٌ ( নিদ্রিত )এর বহুবচন। তারা জাগ্রত এই জন্য মনে হচ্ছিল যে, তাদের চোখগুলো জাগ্রত ব্যক্তির মত খোলা ছিল। কেউ কেউ বলেন, খুব বেশী পার্শ্ব পরিবর্তন করার কারণে তাদেরকে জাগ্রত মনে হত। [২] যাতে তাদের দেহকে মাটিতে খেয়ে না নেয়। ( উই ধরে না যায়। ) [৩] তাদের হেফাযতের জন্য এ ছিল আল্লাহ কর্তৃক ব্যবস্থাপনা। যাতে কেউ যেন তাদের নিকটে যেতে না পারে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর আপনি মনে করতেন তারা জেগে আছে , অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত []। আর আমরা তাদেরকে পাশ ফিরাতাম ডান দিকে এবং বাম দিকে [] এবং তাদের কুকুর ছিল সামনের পা দু’টি গুহার দরজায় প্রসারিত করে। যদি আপনি তাদের প্রতি তাকিয়ে দেখতেন, তবে অবশ্যই আপনি পিছনে ফিরে পালিএ যেতেন। আর অবশ্যই আপনি তাদের ভয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়তেন [] ; তৃতীয় রুকু’ [] অর্থাৎ আপনি যদি তাদেরকে গুহায় অবস্থানকালে দেখতে পেতেন তাহলে মনে করতেন যে, তারা জেগে আছে অথচ তারা ঘুমন্ত। তাদেরকে জেগে আছে মনে করার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, তারা পাশ ফিরাচ্ছে। আর যারা পাশ ফিরে শুতে পারে তারা সামান্য হলেও জাগ্রত হয় । অথবা কারও কারও মতে, তারা ঘুমন্ত হলেও তাদের চোখ খোলা থাকত। [ ফাতহুল কাদীর ] [] অর্থাৎ কেউ বাইর থেকে উকি দিয়ে দেখলেও তাদের সাতজনের মাঝে মাঝে পার্শ্বপরিবর্তন করতে থাকার কারণে এ ধারণা করতো যে, এরা এমনিই শুয়ে আছে, ঘুমুচ্ছে না। পার্শ্ব পরিবর্তনের কারণ কারও কারও মতে, যাতে যমীন তাদের শরীর খেয়ে না ফেলে। [ ফাতহুল কাদীর ] [] অর্থাৎ পাহাড়ের মধ্যে একটি অন্ধকার গুহায় কয়েকজন লোকের এভাবে অবস্থান করা এবং সামনের দিকে কুকুরের বসে থাকা এমন একটি ভয়াবহ দৃশ্য পেশ করে যে, উকি দিয়ে যারা দেখতো তারাই ভয়ে পালিয়ে যেতো। তাছাড়া আল্লাহ তাদের উপর ভীতি ঢেলে দিয়েছিলেন, সুতরাং যে কেউ তাদের দেখত, তারই ভয়ের উদ্রেক হতো। [ ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


মহান আল্লাহ বলেনঃ “ তারা শুয়ে আছে, কিন্তু দর্শকরা তাদেরকে জাগ্রত মনে করে । কেননা তাদের চক্ষু খুলে রয়েছে। বর্ণিত আছে যে, নেকড়ে বাঘ যখন ঘুমায় তখন সে একটি চক্ষু বন্ধ করে ও আর একটি চুক্ষ খুলে রাখে। আবার ওটাকে বন্ধ করে এবং অন্যটিকে খুলে রাখে। যেমন কোন কবি বলেছেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ সে তার দুই চক্ষুর একটি দ্বারা ঘুমায় এবং অপরটি দ্বারা জেগে থাকে। সে নিজেকে রক্ষা করে। সুতরাং একই সময় সে জাগ্রত ও ঘুমন্ত উভয়ই।"জীব-জন্তু ও পোকামাকড় ও শত্রু হতে রক্ষা করার জন্যে নিদ্রিত অবস্থায়ও তাদের চুক্ষ খুলে রাখেন এবং মাটিতে যেন খেয়ে না ফেলে এজন্যে তিনি তাদের পার্শ্ব পরিবর্তন করাতে থাকেন। বর্ণিত আছে যে, বছরে দু'বার করে। তাদের পার্শ্ব পরিবর্তন করানো হতো। তাদের কুকুরটিও তাদের পাহারাদার হিসেবে দরজার পার্শ্বে চৌকাঠের নিকটবর্তী জায়গায় মাটিতে তার সামনের পা দুটি প্রসারিত করে বসেছিল। কুকুরটির দরজার বাইরে থাকার কারণ এই যে, যে ঘরে কুকুর, ছবি, অপবিত্র ব্যক্তি এবং কাফের ব্যক্তি থাকে সেই ঘরে ফেরেশতা যান না। যেমন একটি হাসান হাদীসে এসেছে। ঐকুকুরটিও ঐ অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়ে। এটা সত্য কথাই যে, ভাল লোকের সংস্পর্শে আসলে ভাল হওয়া যায়। এরই প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় ঐ কুকুরটি এমন মর্যাদা লাভ করে যার ফলে আল্লাহর কিতাবে ওরও বর্ণনা দেয়া হয়। বর্ণিত আছে যে, ঐ কুকুরটি তাদেরই কোন একজনের পালিত শিকারী কুকুর ছিল। একটা উক্তি এও আছে যে, ওটা ছিল বাদশাহর বাবুর্চীর কুকুর। সেও ছিল ঐ যুবকদেরই মাযহাবপন্থী। সেও তাদের সাথে হিজরত করেছিল। তখন তার কুকুরটিও তাদের পিছনে পিছনে চলে গিয়েছিল। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবরাহীমের ( আঃ ) হাতে হযরত যাবীহুল্লাহর ( আঃ ) পরিবর্তে যে ভেড়াটি যবাহকৃত হয়েছিল তার নাম ছিল জারীর। হযরত সুলাইমানকে ( আঃ ) যে হুদহুদ পাখিটি সাবার দেশের রাণী খবর এনে দিয়েছিল তার নাম ছিল আনফায। গুহাবাসীদের ঐ কুকুরটির নাম ছিল ‘কিমীর। বাণী ইসরাঈল যে বাছুরটির পূজা শুরু করেছিল তার নাম ছিল বাহমূত’। হযরত আদম ( আঃ ) জান্নাত থেকে ভারতে নেমেছিলেন।, হযরত হাওয়া ( আঃ ) নেমেছিলেন জিদ্দায়, ইবলীস নেমেছিল দাশতে বীসানে এবং সাপ পড়েছিল ইসফাহানে।একটি উক্তি আছে যে, ঐ কুকুরটির নাম ছিল হামরান। কুকুরটির রঙ সম্পর্কেও অনেকগুলি উক্তি রয়েছে। কিন্তু আমরা বিস্মিত হই যে, এতে লাভ কি? এর প্রয়োজনীয়তাই বা কি? বরং এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, এ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক নিষিদ্ধ। কেননা এতো হচ্ছে চক্ষু বন্ধ করে প্রস্তর নিক্ষেপ করা এবং বিনা দলীলে কথা বলা!এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ “ আমি তাদেরকে এমন প্রভাব দিয়েছিলাম যে, কেউই তাদের দিকে তাকাতে পারতো না । এটা এই কারণে যে, লোকেরা যেন তাদেরকে তামাশার পাত্র বানিয়ে না নেয়, কেউ বীরত্বপনা দেখিয়ে তাদের কাছে চলে না যায়, কেউ তাদের উপর হাত উঠাতে না পারে। যেন তারা ঐ সময় পর্যন্ত আরাম ও শান্তিতে ঘুমাতে পারে যত দিন পর্যন্ত তাদের ঘুমানো আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করেন। যারাই তাদের দিকে তাকায়, তাদের প্রভাবে তারা থর থর কাঁপতে থাকে। তৎক্ষণাৎ তারা উল্টো পায়ে ফিরে যায়। তাদের দিকে দৃষ্টিপাত করাও প্রত্যেকের জন্যে অসম্ভ।

সূরা কাহ্ফ আয়াত 18 সূরা

وتحسبهم أيقاظا وهم رقود ونقلبهم ذات اليمين وذات الشمال وكلبهم باسط ذراعيه بالوصيد لو اطلعت عليهم لوليت منهم فرارا ولملئت منهم رعبا

سورة: الكهف - آية: ( 18 )  - جزء: ( 15 )  -  صفحة: ( 295 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি তাতে স্থাপন করেছি মজবুত সুউচ্চ পর্বতমালা এবং পান করিয়েছি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণকারী সুপেয় পানি।
  2. তারপরেও তোমরা তা থেকে ফিরে গেছ। কাজেই আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী যদি তোমাদের উপর না
  3. আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের অবস্থা যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, যদি
  4. আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন
  5. বিগত দিনে তোমরা যা প্রেরণ করেছিলে, তার প্রতিদানে তোমরা খাও এবং পান কর তৃপ্তি সহকারে।
  6. আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর,
  7. অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন।
  8. কাফেরদের জন্যে, যার প্রতিরোধকারী কেউ নেই।
  9. হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের
  10. আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে,

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা কাহ্ফ ডাউনলোড করুন:

সূরা Kahf mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Kahf শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত কাহ্ফ  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, August 14, 2024

Please remember us in your sincere prayers