কোরান সূরা রূম আয়াত 40 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Rum ayat 40 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা রূম আয়াত 40 আরবি পাঠে(Rum).
  
   

﴿اللَّهُ الَّذِي خَلَقَكُمْ ثُمَّ رَزَقَكُمْ ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ۖ هَلْ مِن شُرَكَائِكُم مَّن يَفْعَلُ مِن ذَٰلِكُم مِّن شَيْءٍ ۚ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ﴾
[ الروم: 40]

আল্লাহই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর রিযিক দিয়েছেন, এরপর তোমাদের মৃত্যু দেবেন, এরপর তোমাদের জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে এসব কাজের মধ্যে কোন একটিও করতে পারবে? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মহান। [সূরা রূম: 40]

Surah Ar-Rum in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Rum ayat 40


আল্লাহ্‌ই সেইজন যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাদের জীবিকা দিয়েছেন, তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর তিনি তোমাদের জীবনদান করবেন। তোমাদের অংশীদারদের মধ্যে কি কেউ আছে যে করতে পারে এগুলোর মধ্যের কোনো কিছু? সকল মহিমা তাঁরই, আর তারা যে-সব অংশী দাঁড় করায় সে-সব থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৪০. আল্লাহ একাই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি একাই রিযিক দিয়েছেন। অতঃপর একাই মৃত্যু দিবেন। আর তিনিই পুনরুত্থানের উদ্দেশ্যে জীবন দান করবেন। তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যেসব দেবতাদের দাসত্ব করো তারা কি এসবের কিঞ্চিৎ করতে পারে?! আল্লাহ মুশরিকদের আক্বিদা থেকে পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


আল্লাহই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদেরকে রুযী দিয়েছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন এবং পরে তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তোমাদের শরীকদের এমন কেউ আছে কি, যে এ সমস্তের কোন একটি করতে পারে? ওরা যাদেরকে শরীক স্থাপন করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র, মহান।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আল্লাহ্ [], যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তোমাদেরকে রিয্‌ক দিয়েছেন, তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন অবশেষে তিনি তোমাদেরকে জীবিত করবেন। ( আল্লাহ্‌র সাথে শরীক সাব্যস্তকৃত ) তোমাদের মা'বুদগুলোর এমন কেউ আছে কি, যে এসবের কোন কিছু করতে পারে []? তারা যাদেরকে শরীক করে, তিনি ( আল্লাহ্ ) সে সব ( শরীক ) থেকে মহিমাময়-পবিত্র ও অতি ঊর্ধে। [] এখান থেকে আবার মুশরিকদেরকে বুঝাবার জন্য বক্তব্যের ধারা তাওহীদ ও আখেরাতের বিষয়বস্তুর দিকে ফিরে এসেছে। [ আইসারুতি-তাফসীর ] [] অর্থাৎ তোমাদের তৈরী করা উপাস্যদের মধ্যে কেউ কি সৃষ্টিকর্তা ও রিযিকদাতা? জীবন ও মৃত্যু দান করা কি কারো ক্ষমতার আওতাভুক্ত আছে? অথবা মরার পর সে আবার কাউকে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষমতা রাখে? তাহলে তাদের কাজ কি? তোমরা তাদেরকে উপাস্য বানিয়ে রেখেছো কেন? [ তাবারী। ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


৩৮-৪০ নং আয়াতের তাফসীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদ্ব্যবহার ও সম্পর্ক যুক্ত রাখার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। মিসকীন তাকে বলা হয় যার কাছে কিছু না কিছু থাকে। কিন্তু তা তার প্রয়োজনের পক্ষে যথেষ্ট হয় না। তাদের সাথেও সদ্ব্যবহারের ও তাদের প্রতি করুণা প্রদর্শনের আদেশ করা হয়েছে। যে মুসাফির বিদেশে গিয়ে খরচ পরিমাণ পয়সার অভাবে পড়েছে তার প্রতিও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এগুলো তার জন্যে উত্তম কাজ যে আশা পোষণ করে যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাৎ লাভ ঘটবে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের জন্যে এর চেয়ে বড় নিয়ামত আর কিছুই নেই। এ ধরনের লোকই দুনিয়া ও আখিরাতে নাজাত পাবে। দ্বিতীয় আয়াতের তাফসীর হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ), মুজাহিদ ( রঃ ), যহহাক ( রঃ ), কাতাদা ( রঃ ), মুহাম্মাদ ইবনে কা'ব ( রঃ ) প্রমুখ গুরুজন হতে বর্ণিত আছে যে, যদি কোন লোক এ নিয়ত করে দান করে যে, লোকেরা তাকে তার চেয়ে বেশী দান করবে, এ নিয়তে দান করা জায়েয হলেও তাতে তার কোন সওয়াব হবে না। আল্লাহ তা'আলার কাছে তার জন্যে এর কোনই বিনিময় নেই। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে এর থেকেও নিষেধ করেছেন। এ অর্থে এ আদেশ রাসূলুল্লাহ( সঃ )-এর জন্যেই নির্দিষ্ট হবে। যহহাক ( রঃ ) আল্লাহ তা'আলার উক্তি দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ বেশী প্রাপ্তির নিয়তে কারো প্রতি অনুগ্রহ করো না ।" ( ৭৪:৬ ) হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) বলেছেন যে, সুদ দুই প্রকারের রয়েছে। এক হলো ব্যবসায় সুদ। এটা তো হারাম। দ্বিতীয় সুদ হলো এই যে, বেশী পাওয়ার নিয়তে কাউকে কিছু দান করা। এটা বৈধ। অতঃপর তিনি ( আরবি ) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন এবং বলেন যে, আল্লাহ তা'আলার কাছে যাকাত আদায়ের সওয়াব তো আছেই। যাকাত প্রদানকারীকে খুবই বরকত দেয়া হয়। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্যে যে যাকাত তোমরা দিয়ে থাকো তা-ই বৃদ্ধি পায় ও তারাই সমৃদ্ধশালী ।” অর্থাৎ তাদের জন্যে সওয়াব ও প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। যেমন সহীহ হাদীসে এসেছেঃ “ হালাল উপার্জন দ্বারা একটি মাত্র খেজর সাদকা করা হলে আল্লাহ রাহমানুর রাহীম স্বীয় দক্ষিণ হস্তে তা গ্রহণ করেন এবং তা এমনভাবে প্রতিপালন করেন ও বাড়িয়ে দেন, যেমনভাবে তোমাদের কেউ ঘোড়া বা উটের বাচ্চা প্রতিপালন করে থাকে, এমনকি শেষ পর্যন্ত একটি খেজুর উহুদ পাহাড় অপেক্ষাও বড় হয়ে যায় ।আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, আহারদাতা। মানুষ মায়ের পেট হতে ভূমিষ্ট হওয়ার সময় উলঙ্গ, অজ্ঞ, শ্রবণশক্তিহীন, দৃষ্টিশক্তিহীন, শারীরিক শক্তিহীন অবস্থায় থাকে। আল্লাহ তাআলা তাকে এ সবকিছু দান করেন। ধন-দৌলত দেন, মালিকানা দেন, উপার্জনক্ষম করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করার বুদ্ধি দান করেন। মোটকথা, অসংখ্য নিয়ামত দান করেন।হযরত খালেদ ( রাঃ )-এর দুই পুত্র হযরত হাব্বাহ ( রাঃ ) হযরত সাওয়া ( রাঃ ) হতে বর্ণিত, তারা বলেন, আমরা একদা নবী ( সঃ )-এর নিকট হাযির হলাম। ঐ সময় তিনি কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা তাঁকে তাঁর কাজে সাহায্য করলাম। তিনি বললেনঃ “ জেনে রেখো, তোমরা রিযক থেকে নিরাশ হয়ো না যে পর্যন্ত তোমাদের মাথা নড়তে থাকে ( অর্থাৎ তোমরা জীবিত থাকো ) মানুষ উলঙ্গ ও অভুক্ত অবস্থায় দুনিয়ায় আসে। একটি ছাল বা বাকলও তার পরনে থাকে না। কিন্তু মহামহিমান্বিত আল্লাহ তাকে রিযিক দান করেন।” ( এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত হয়েছে ) এরপর আল্লাহ পাক বলেনঃ তিনি এই জীবনের অবসানের পর তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন পুনরায় জীবিত করবেন। তোমাদের দেব-দেবীগুলোর এমন কেউ আছে কি, যে এসবের কোন একটিও করতে পারে? তারা যাদেরকে শরীক করে, আল্লাহ তা হতে পবিত্র ও মহান। তাঁর মহান পবিত্রতম সত্তা এসব হতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত। তাঁর শরীক হালে এ হতে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র। অথবা তার সমকক্ষ কেউ হালে, তার সন্তানাদি ও পিতা-মাতা থাক, তা হতে তিনি বহু ঊর্ধে। তিনি একক, তিনি অমুখাপেক্ষী ও অভাবমুক্ত। তার সমকক্ষ কেউই নেই।

সূরা রূম আয়াত 40 সূরা

الله الذي خلقكم ثم رزقكم ثم يميتكم ثم يحييكم هل من شركائكم من يفعل من ذلكم من شيء سبحانه وتعالى عما يشركون

سورة: الروم - آية: ( 40 )  - جزء: ( 21 )  -  صفحة: ( 408 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. ইব্রাহীম, এহেন ধারণা পরিহার কর; তোমার পালনকর্তার হুকুম এসে গেছে, এবং তাদের উপর সে আযাব
  2. অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।
  3. যদি আপনি দেখতেন যখন অপরাধীরা তাদের পালনকর্তার সামনে নতশির হয়ে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা
  4. নিশ্চয় মহিলা তার বিষয়ে চিন্তা করেছিল এবং সেও মহিলার বিষয়ে চিন্তা করত। যদি না সে
  5. আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়,
  6. তিনি বললেনঃ তোমরা তো অপরিচিত লোক।
  7. মূসা বললেন, হে আমার পরওয়ারদেগার, ক্ষমা কর আমাকে আর আমার ভাইকে এবং আমাদেরকে তোমার রহমতের
  8. আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী।
  9. তাদের অন্তরে যে ক্রোধ ছিল, আমি তা দূর করে দেব। তারা ভাই ভাইয়ের মত সামনা-সামনি
  10. তোমাদেরকে করতলগত করতে পারলে তারা তোমাদের শত্রু হয়ে যাবে এবং মন্দ উদ্দেশ্যে তোমাদের প্রতি বাহু

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা রূম ডাউনলোড করুন:

সূরা Rum mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Rum শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত রূম  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত রূম  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত রূম  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত রূম  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত রূম  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত রূম  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত রূম  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত রূম  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত রূম  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত রূম  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত রূম  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত রূম  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত রূম  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত রূম  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত রূম  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত রূম  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত রূম  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত রূম  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত রূম  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত রূম  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত রূম  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers