কোরান সূরা সাবা আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Saba ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা সাবা আয়াত 18 আরবি পাঠে(Saba).
  
   

﴿وَجَعَلْنَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْقُرَى الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا قُرًى ظَاهِرَةً وَقَدَّرْنَا فِيهَا السَّيْرَ ۖ سِيرُوا فِيهَا لَيَالِيَ وَأَيَّامًا آمِنِينَ﴾
[ سبأ: 18]

তাদের এবং যেসব জনপদের লোকদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং সেগুলোতে ভ্রমণ নির্ধারিত করেছিলাম। তোমরা এসব জনপদে রাত্রে ও দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর। [সূরা সাবা: 18]

Surah Saba in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Saba ayat 18


আর তাদের ও সেই শহরগুলোর যাতে আমরা অনুগ্রহ অর্পণ করেছিলাম, তাদের মাঝে আমরা স্থাপন করেছিলাম দৃশ্যমান জনবসতি, আর তাদের মধ্যে ভ্রমণস্তর ঠিক করে দিয়েছিলাম, -- ''তোমরা এসবে রাতে ও দিনে নিরাপদে পরিভ্রমণ কর।’’


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. আর আমি ইয়ামানের সাবাবাসী ও সিরিয়ার গ্রামসমূহ যেগুলোতে আমি বরকত প্রদান করেছি সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে কিছু কাছাকাছি অবস্থানকারী গ্রাম স্থাপন করেছি এবং তার মাঝে ভ্রমণকে নির্ধারিত সময়সাপেক্ষ করেছি। ফলে তারা সহজে এক গ্রাম থেকে অপর গ্রামে ভ্রমণ করে সিরিয়া পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে। আর আমি তাদেরকে বলেছি: তোমরা ইচ্ছামত শত্রæ, ক্ষুধা ও পিপাসা থেকে নির্ভয়ে দিনে ও রাতে ভ্রমণ করো।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


ওদের এবং যে সব জনপদে আমি প্রাচুর্য দান করেছিলাম[১] সেগুলির অন্তর্বর্তী স্থানে দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম[২] এবং ঐ সকল জনপদে ভ্রমণকালে বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবধানে বিশ্রামস্থান নির্ধারিত করেছিলাম এবং ওদেরকে বলেছিলাম, ‘তোমরা এ সব জনপদে রাত-দিন নিরাপদে ভ্রমণ কর।’ [৩] [১] 'যে সব জনপদে আমি প্রাচুর্য দান করেছিলাম' বলে বরকতময় শাম দেশের জনপদকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ, আমি সাবা' ( ইয়ামান ) ও শামের মাঝে পথের ধারে ধারে বহু জনবসতি আবাদ করে রেখেছিলাম। অনেকে ظاهرة শব্দটির অর্থ মিলিত করেছেন। অর্থাৎ, এক অপরের সাথে মিলিত ও সংযুক্ত। তাফসীরবিদগণ সেই জনবসতির সংখ্যা চার হাজার সাত শত বলেছেন। এটাই তাদের ব্যবসার প্রধান রাস্তা ছিল, যার সংলগ্নে সাবা' থেকে শাম পর্যন্ত কাছাকাছি জনবসতি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার ফলে প্রথমতঃ তাদের পানাহার ও আরাম করার জন্য পাথেয় সঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজন হত না। দ্বিতীয়তঃ জনশূন্য হওয়ার ফলে পথে যে চুরি-ডাকাতি, লুট-মার ইত্যাদির আশঙ্কা থাকার কথা, তা ছিল না। [২] অর্থাৎ, এক জনবসতি থেকে অপর জনবসতি নির্দিষ্ট ও পরিচিত দূরত্বে অবস্থিত ছিল এবং সেই হিসাবে তারা অতি সহজে নিজেদের সফর অতিক্রম করত। যেমন সকালে সফর আরম্ভ করলে ঠিক দুপুর পর্যন্ত কোন গ্রাম বা জনবসতি পর্যন্ত পৌঁছে যেত। সেখানে খাবারের প্রয়োজন মিটিয়ে দুপুরের আরাম করত এবং পুনরায় সফর আরম্ভ করলে রাত্রি পর্যন্ত অন্য কোন জনপদে পৌঁছে যেত। [৩] এটা সকল প্রকার ভীতি থেকে সুরক্ষা ও পাথেয়-সামগ্রী বহন করার ব্যাপারে অমুখাপেক্ষিতার বর্ণনা যে, রাত বা দিনের যে কোন সময়ে তোমরা সফর করতে চাও কর, না জান-মালের কোন ভয়, আর না সফরের জন্য সাথে কোন সামগ্রী নেওয়ার প্রয়োজন।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


আর তাদের ও যেসব জনপদের মধ্যে আমরা বরকত দিয়েছিলাম, সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে আমরা দৃশ্যমান বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং ঐ সব জনপদে ভ্রমনের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম। বলেছিলাম, 'তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্ৰমণ কর দিনে ও রাতে।'

সূরা সাবা আয়াত 18 সূরা

وجعلنا بينهم وبين القرى التي باركنا فيها قرى ظاهرة وقدرنا فيها السير سيروا فيها ليالي وأياما آمنين

سورة: سبأ - آية: ( 18 )  - جزء: ( 22 )  -  صفحة: ( 430 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আমি বনী-ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তাদের কাছে অনেক পয়গম্বর প্রেরণ করে ছিলাম। যখনই
  2. তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা বাস করবে অনন্তকাল। আর এমন করাটা আল্লাহর পক্ষে
  3. হে প্রশান্ত মন,
  4. তারা তথায় অবান্তর ও কোন খারাপ কথা শুনবে না।
  5. ফেরাউন বললঃ তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি?
  6. যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।
  7. তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তারে কোন
  8. বলুন, হে কাফেরকূল,
  9. আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করলেন যে, তা মানুষের নিকট বর্ণনা
  10. এটা এজন্য যে, তারা বিশ্বাস করার পর পুনরায় কাফের হয়েছে। ফলে তাদের অন্তরে মোহর মেরে

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা সাবা ডাউনলোড করুন:

সূরা Saba mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Saba শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত সাবা  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত সাবা  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত সাবা  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত সাবা  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত সাবা  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত সাবা  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত সাবা  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত সাবা  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত সাবা  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত সাবা  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত সাবা  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত সাবা  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত সাবা  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত সাবা  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত সাবা  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত সাবা  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত সাবা  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত সাবা  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত সাবা  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত সাবা  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত সাবা  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Wednesday, December 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers