কোরান সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 18 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Muzammil ayat 18 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 18 আরবি পাঠে(Muzammil).
  
   

﴿السَّمَاءُ مُنفَطِرٌ بِهِ ۚ كَانَ وَعْدُهُ مَفْعُولًا﴾
[ المزمل: 18]

সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে। তার প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। [সূরা মুয্যাম্মিল: 18]

Surah Al-Muzzammil in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Muzammil ayat 18


আকাশ হবে বিদীর্ণ? তাঁর ওয়াদা অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৮. আসমান এর ভয়াবহতার দরুন ফেটে পড়বে। বস্তুতঃ আল্লাহর অঙ্গীকার অবশ্যম্ভাবীরূপে সংঘটিত হবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


যেদিন আকাশ হবে বিদীর্ণ; [১] তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। [২] [১] এটা কিয়ামতের আর এক অবস্থা। সেদিনকার ভয়াবহতায় আসমান ফেটে যাবে। [২] অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা মানুষের মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করা, হিসাব-নিকাশ এবং জান্নাত-জাহান্নামের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা অবশ্যই ঘটবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সে-দিন আসমান হবে বিদীর্ণ []। তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে। [] এখানে به শব্দের অর্থ করা হয়েছে, فيه বা ‘সে দিন’ । তাছাড়া এর আরেকটি অর্থ হচ্ছে, بسببه বা ‘এর কারণে’ বা له বা ‘যে জন্য’। প্রতিটি অর্থই উদ্দেশ্য হতে পারে। তবে প্রথমটিই বিশুদ্ধ। অর্থাৎ সেদিনের ভয়াবহতা এমন যে, তাতে আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে। [ কুরতুবী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১০-১৮ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তা’আলা স্বীয় নবী ( সঃ )-কে কাফিরদের বিদ্রুপাত্মক কথার উপর ধৈর্য ধারণের হিদায়াত করছেন এবং বলছেনঃ তাদেরকে কোন তিরস্কার ধমক ছাড়াই তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। আমি স্বয়ং তাদেরকে দেখে নিবো। আমার গজব ও ক্রোধের সময় দেখবো কি করে তারা মুক্তি পেতে পারে। তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী ও স্বচ্ছল লোক, যারা তোমাকে নানা প্রকারে কষ্ট দিচ্ছে, যাদের উপর দ্বিগুণ প্রাপ্য রয়েছে, এক জানের আর এক মালের, আর তারা কোনটাই আদায় করছে না, তাদের সাথে তুমি সম্পর্ক ছিন্ন করে দাও, তারপর দেখে নিয়ো, আমি তাদের সাথে কি ব্যবহার করি। অল্প দিন তারা দুনিয়ায় ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকুক, পরিণামে তারা কঠিন শাস্তির মধ্যে পতিত হবে। কেমন আযাব? এমন কঠিন আযাব যে, তাদেরকে শৃংখল পরিয়ে জাহান্নামের প্রজ্বলিত অগ্নিতে নিক্ষেপ করা হবে। আর তাদেরকে এমন খাদ্য খেতে দেয়া হবে যা কণ্ঠ নালীতে আটকে যাবে। নীচেও নামবে না এবং উপরেও উঠবে না। আরো নানা প্রকারের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে দেয়া হবে। এমন এক সময়ও হবে যখন পৃথিবী ও পর্বতমালা প্রকম্পিত হবে। পর্বতসমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বালুকারাশিতে পরিণত হয়ে যাবে। যে বালুকারাশিকে বাতাস এদিক-ওদিক উড়িয়ে নিয়ে যাবে। কারো কোন নাম-নিশানাও বাকী থাকবে না। যমীন এক সমতল ভূমিতে পরিণত হবে, যেখানে কোন উঁচু-নীচু পরিলক্ষিত হবে না। এরপর প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ বলেনঃ হে লোক সকল এবং বিশেষ করে হে কাফিরদের দল! আমি তোমাদের নিকট তোমাদের জন্যে সাক্ষী স্বরূপ এক রাসূল ( সঃ ) পাঠিয়েছি, যে রাসূল সত্যবাদী ও সত্যায়িত, যেমন আমি ফিরাউনের নিকট আমার আহকাম পৌঁছাবার জন্যে একজন রাসূল পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরাউন যখন তাকে অমান্য করলো তখন আমি তাকে কিরূপ কঠিন শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম তা তো তোমাদের জানা আছে। সুতরাং আমার এই নবী ( সঃ )-কে যদি তোমরা অমান্য কর তবে তোমাদেরও পরিণাম ভাল হবে না। তোমাদের উপরও আল্লাহর আযাব এসে পড়বে এবং তোমাদেরকে তচনচ করে দেয়া হবে। কেন না এই রাসূল ( সঃ ) সমস্ত রাসূলের নেতা। সুতরাং তাকে অমান্য করার শাস্তিও হবে অন্যান্য শাস্তি অপেক্ষা বড়। এর পরবর্তী আয়াতের দু’টি অর্থ হতে পারে। একটি অর্থ হলোঃ যদি তোমরা কুফরী কর তবে বল তো ঐ দিনের শাস্তি হতে তোমরা কিরূপে মুক্তি পেতে পার যে দিনের ভয়াবহতা কিশোরকে বৃদ্ধে পরিণত করবে? দ্বিতীয় অর্থ হলোঃ তোমরা যদি এতো বড় ভয়াবহ দিনকে অস্বীকার ও অবিশ্বাস কর তবে তোমরা, তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় কিরূপে লাভ করতে পার? এই উভয় অর্থই উত্তম হলেও প্রথম অর্থটিই বেশী উত্তম! এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। হযরত ইবনে আব্বাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ ( সঃ ) ( আরবি ) এ আয়াতটি পাঠ করে বলেনঃ “ এটা হলো কিয়ামতের দিন যেই দিন আল্লাহ তা’আলা হযরত আদম ( আঃ )-কে বলবেনঃ ‘উঠো এবং তোমার সন্তানদের মধ্য হতে জাহান্নামীদেরকে পৃথক কর' তখন হযরত আদম ( আঃ ) বলবেনঃ “ হে আমার প্রতিপালক! কতজনের মধ্য হতে কতজন? আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ প্রতি হাজারের মধ্য হতে নয়শ নিরানব্বই জনকে ।' এ কথা শুনে মুসলমানদের আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল এবং তারা হতবুদ্ধি হয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ ( সঃ )-ও তাদের চেহারা দেখে তা বুঝে নিলেন। সুতরাং তিনি তাদেরকে সান্ত্বনার সুরে বললেনঃ জেনে রেখো যে, হযরত আদম ( আঃ )-এর সন্তান অনেক। ইয়াজুজ ও মাজুজও হযরত আদম ( আঃ )-এরই সন্তান। তারা এক একজন নিজের পিছনে এক হাজার করে সন্তান ছেড়ে যায়। সুতরাং তারা এবং তাদের মত লোক মিলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে। সুতরাং ঘাবড়াবার কিছুই নেই। জান্নাত তোমাদের জন্যে এবং তোমরা জান্নাতের জন্যে।” ( ইমাম তিবরানী (রঃ ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এটা গারীব হাদীস) সূরা হজ্বের শুরুতে এরকম হাদীস সমূহের বর্ণনা গত হয়েছে।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ ঐ দিনের ভয়াবহতার কারণে আকাশও বিদীর্ণ হয়ে যাবে। কেউ কেউ ( আরবি )-এর ( আরবি ) সর্বনামটি আল্লাহর দিকে ফিরিয়েছেন। কিন্তু এটা সবল নয়। কেননা এখানে তাঁর যিকিরই নেই।মহান আল্লাহ বলেনঃ ঐদিনের ওয়াদা নিশ্চিতরূপে সত্য। ওটা সংঘটিত হবেই। ঐ দিনের আগমনে কোন সন্দেহই নেই।

সূরা মুয্যাম্মিল আয়াত 18 সূরা

السماء منفطر به كان وعده مفعولا

سورة: المزمل - آية: ( 18 )  - جزء: ( 29 )  -  صفحة: ( 574 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আর তারা যখন ঈমানদারদের সাথে মিশে, তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তাদের শয়তানদের
  2. প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি বললেনঃ হায়, আমি যদি
  3. আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
  4. এবং তোমার পালনকর্তার করুণার প্রত্যাশায় অপেক্ষামান থাকাকালে যদি কোন সময় তাদেরকে বিমুখ করতে হয়, তখন
  5. আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন
  6. আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা
  7. আপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে
  8. যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
  9. যাতে তারা তাদের প্রতি আমার দান অস্বীকার করে এবং ভোগ-বিলাসে ডুবে থাকে। সত্বরই তারা জানতে
  10. আর তোমরা যখন বললে, হে মূসা, আমরা একই ধরনের খাদ্য-দ্রব্যে কখনও ধৈর্য্যধারণ করব না। কাজেই

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা মুয্যাম্মিল ডাউনলোড করুন:

সূরা Muzammil mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Muzammil শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত মুয্যাম্মিল  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Friday, October 18, 2024

Please remember us in your sincere prayers