কোরান সূরা ইউনুস আয়াত 3 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Yunus ayat 3 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইউনুস আয়াত 3 আরবি পাঠে(Yunus).
  
   

﴿إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ ۖ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ ۖ مَا مِن شَفِيعٍ إِلَّا مِن بَعْدِ إِذْنِهِ ۚ ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ ۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ﴾
[ يونس: 3]

নিশ্চয়ই তোমাদের পালনকর্তা আল্লাহ যিনি তৈরী করেছেন আসমান ও যমীনকে ছয় দিনে, অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কেউ সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তোমরা কি কিছুই চিন্তা কর না ? [সূরা ইউনুস: 3]

Surah Yunus in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Yunus ayat 3


নিঃসন্দেহ তোমাদের প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ্ যিনি মহাকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তখন তিনি অধিষ্ঠিত হলেন আরশের উপরে, তিনি সমস্ত ব্যাপার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর অনুমতিক্রমে ব্যতীত কোনো সুপারিশকারী নেই। এই-ই আল্লাহ্ -- তোমাদের প্রভু, অতএব তাঁরই উপাসনা করো। তোমরা কি তবে খেয়াল করো না।


Tafsir Mokhtasar Bangla


৩. হে আশ্চর্যান্বিতরা! নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক হলেন আল্লাহ যিনি বড় বড় আকাশগুলোকে এবং এ প্রশস্ত জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি আরশের উপর সুউচ্চ ও সমুন্নত হন। তোমরা কীভাবে আশ্চর্য হও তোমাদের মধ্যকার একজনকে রাসূল বানানোর দরুন?! তিনি তাঁর প্রশস্ত মালিকানায় একাই ফায়সালা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারো কোন অধিকার নেই কোন বিষয়ে তাঁর নিকট সুপারিশ করার সুপারিশকারীর প্রতি তাঁর সন্তুষ্টি ও সুপারিশের অনুমতি ছাড়া। এ সকল বৈশিষ্ট্যের অধিকারীই হলেন তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তাই তোমরা খাঁটিভাবে শুধু তাঁরই ইবাদত করো। তাঁর একত্ববাদের উপর এতো দলীল-প্রমাণ থাকা সত্তে¡ও তোমরা সেগুলো থেকে উপদেশ গ্রহণ করছো না? যার সামান্যটুকু উপদেশ গ্রহণের যোগ্যতা রয়েছে সে অবশ্যই তা বুঝবে ও তাঁর উপর ঈমান আনবে।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন,[১] তিনি প্রত্যেক কাজ পরিচালনা করে থাকেন।[২] তাঁর অনুমতি ছাড়া সুপারিশকারী কেউ নেই।[৩] ঐ ( স্রষ্টা ও পরিচালক ) আল্লাহ, তোমাদের প্রতিপালক। অতএব তোমরা তাঁর ইবাদত কর।[৪] তোমরা কি উপদেশ গ্রহণ করবে না? [১] বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন সূরা আ'রাফের ৭:৫৪ নং আয়াতের টীকা।[২] অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করে তিনি এমনিই ছেড়ে দেননি, বরং সারা বিশ্ব-জাহানকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন যে, কখনো পরস্পরের মাঝে কোন সংঘর্ষ হয় না। সকল বস্তু তাঁরই নির্দেশে নিজ নিজ কর্মে রত আছে।[৩] মুশরিক ও কাফের - যারা এখানে সম্বোধিত - তাদের বিশ্বাস ছিল যে, যে সকল মূর্তির তারা উপাসনা করে, তারা আল্লাহর নিকট তাদের জন্য সুপারিশ করবে এবং তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, সেখানে আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। আর এই অনুমতিও একমাত্র তাদের জন্য দেওয়া হবে, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করবেন। الأنبياء-২৮ ( وَلاَ يَشفَعُونَ إِلاَّ لِمَن ارتَضَى )النجم-২৬) ( لا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِنْ بَعْدِ أَنْ يَأْذَنَ اللهُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَرْضَى )[৪] অর্থাৎ এমন আল্লাহ যিনি বিশ্ব-জগতের স্রষ্টা এবং তার পরিচালক ও ব্যবস্থাপক। এ ছাড়া সমস্ত এখতিয়ারের পরিপূর্ণ মালিক একমাত্র তিনিই। ফলে একমাত্র তিনিই উপাসনা পাওয়ার যোগ্য।

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


তোমাদের রব তো আল্লাহ্‌, যিনি আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন [], তারপর তিনি ‘আরশের উপর উঠলেন []। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন []। তাঁর অনুমতি লাভ না করে সুপারিশ করার কেউ নেই []। তিনিই আল্লাহ্‌, তোমাদের রব; কাজেই তোমরা তাঁরই ইবাদাত কর []। তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহন করবে না []? [] এ আয়াতে তাওহীদকে এমন অনস্বীকার্য বাস্তবতার দ্বারা প্রমাণ করা হয়েছে যে, আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করার মধ্যে অতঃপর সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনার মধ্যে যখন আল্লাহ তা'আলার কোন শরীক-অংশীদার নেই, তখন ইবাদাত-বন্দেগী এবং হুকুম পালনের ক্ষেত্রে অন্য কেউ কি করে শরীক হতে পারে? বরং এতে ( ইবাদাতে ) অন্য কাউকে শরীক করা একান্তই অবিচার এবং সীমালঙ্ঘনের শামিল। এ আয়াতে এরশাদ হয়েছে যে, আসমান ও যমীনকে আল্লাহ্ তা'আলা মাত্র ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এখানে কি পরিমাণ সময় উদ্দেশ্য তা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। যদিও কোন কোন মুফাসসির এ দিনগুলোকে আমাদের বর্তমান দিন’ এর মত মনে করেছেন। কোন কোন মুফাসসির মত প্রকাশ করেছেন যে, এ দিনগুলো অন্য আয়াতে বর্ণিত, একদিন সমান একহাজার বছরের মত। [ ইবন কাসীর ] [] তারপর বলেছেন ( ثُمَّ اسۡتَوٰی عَلَی الۡعَرۡشِ ) অর্থাৎ আরশের উপর উঠেছেন। কুরআন এবং হাদীস দ্বারা এটা প্রমাণিত যে, আল্লাহ্ তা'আলার আরশ এক প্রকাণ্ড সৃষ্টি আর তা সমস্ত সৃষ্টিজগতের ছাদস্বরূপ। আল্লাহ্ তা'আলা তার আরশের উপর উঠা বাস্তব বিষয়। এটা আল্লাহর একটি মহান কার্যগত গুণ। তিনি যে রকম তার আরশের উপর উঠাও সেরকম। আমরা তার আরশের উপর উঠা কথাটা বুঝি তবে সে উঠার ধরণ আমরা জানিনা। আল্লাহর আরশের উপর উঠা সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা সূরা আল-বাকারায় করা হয়েছে। [] সৃষ্টিজগতের যাবতীয় কর্মকাণ্ড তিনিই পরিচালনা করেন। "আসমান ও যমীনের অণু পরিমান বস্তুও তাঁর জ্ঞানের বাইরে নেই।" [ সাবাঃ ৩ ] কোন ব্যাপারে মনযোগ দিতে গিয়ে অন্য ব্যাপার তাঁর বাধা হয় না। [ বুখারী ] অগণিত আবেদনকারীর আবেদন তাঁর জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না। চাওয়ার প্রচণ্ডতায় তিনি বিরক্ত হোন না। বৃহৎ কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে ছোট ছোট বস্তুগুলো তার খেয়ালচু্যত হয়না। চাই তা সমুদ্রে বা পাহাড়ে বা জনবসতিপূর্ণ এলাকা যেখানেই হোক না কেন। [ এ ব্যাপারে আরো দেখুনঃ সূরা হুদঃ ৬, সূরা আল-আনআমঃ ৫৯ ] [] অর্থাৎ দুনিয়ার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় অন্য কারোর হস্তক্ষেপ করা তো দূরের কথা, কারো আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে তাঁর কোন ফায়সালা পরিবর্তন করার অথবা করো ভাগ্য ভাঙা-গড়ার ইখতিয়ারও নেই। বড়জোর সে আল্লাহর কাছে দো'আ করতে পারে। কিন্তু তার দোআ কবুল হওয়া না হওয়া পুরোপুরি আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। আল্লাহর এ একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার রাজ্যে নিজের কথা নিশ্চিতভাবে কার্যকর করিয়ে নেবার মতো শক্তিধর কেউ নেই। এমন শক্তি কারোর নেই যে,তার সুপারিশকে প্রত্যাখ্যাত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে। এ সুপারিশের বিষয়টি আল্লাহ্ তা'আলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণনা করেছেন। [ দেখুনঃ সূরা আল-বাকারাহঃ ২৫৫, সূরা আন-নাজমঃ ২৬, সূরা সাবাঃ ২৩ ] [] উপরের তিনটি বাক্যে প্রকৃত সত্য বর্ণনা করা হয়েছিল, অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহই তোমাদের রব। এখন বলা হচ্ছে, এ প্রকৃত সত্যের উপস্থিতিতে তোমাদের কোন ধরনের কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। মূলত রবুবীয়াত তথা বিশ্ব-জাহানের সার্বভৌম ক্ষমতা, নিরংকুশ কর্তৃত্ব ও প্রভুত্ব যখন পরোপুরি আল্লাহর আয়ত্বাধীন তখন এর অনিবার্য দাবী স্বরুপ মানুষকে তাঁরই বন্দেগী করতে হবে। [ ইবন কাসীর ] অন্য আয়াতেও আল্লাহ্ তা'আলা সেটা বলেছেন, তিনি বলেন, “ আর যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে , তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ অতঃপর তারা কোথায় ফিরে যাচ্ছে?" [ সূরা আয-যুখরুফ ৮৭ ] আরও বলেন, “ বলুন, সাত আসমান ও মহা-আরশের রব কে? অবশ্যই তারা বলবে, ‘আল্লাহ বলুন, ‘তবুও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” [ সূরা আলমুমিনুন: ৮৬-৮৭ ] তাছাড়া সূরা ইউনুসের এ আয়াতের আগের ও পরের আয়াতেও একই বক্তব্য এসেছে। ৬) অর্থাৎ যখন এ সত্য তোমাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে এবং তোমাদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এ সত্যের উপস্থিতিতে তোমাদের কি কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তখন এরপরও কি তোমাদের চোখ খুলবে না এবং তোমরা এমন বিভ্রান্তির মধ্যে ডুবে থাকবে? তোমরা কি তোমাদের অস্বীকার ও গোড়ামীতেই রত থাকবে যে তোমরা মোটেই উপদেশ গ্রহণ করবে না? [ আইসারুত তাফাসীর ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি সমস্ত জগতের প্রতিপালক। তিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। বলা হয়েছে যে, এই দিন আমাদের দিনের মতই ছিল। আবার এ কথাও বলা হয়েছে যে, হাজার বছরের একটি দিন ছিল, যার বর্ণনা সামনে আসবে । তারপর তিনি বড় আরশের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেন। আরশ হচ্ছে সমস্ত সৃষ্টবস্তুর মধ্যে সবচেয়ে বড় সৃষ্টবস্তু। ওটা লাল ইয়াকুতের তৈরী । অথবা এটাও হচ্ছে আল্লাহর একটি নূর। আল্লাহ তা'আলা হচ্ছেন সারা মাখলুকের পরিচালক, অভিভাবক এবং যামানতদার। তার রক্ষণাবেক্ষণ হতে যমীন ও আসমানের অণু পরিমাণ জিনিসও বাদ পড়ে না। তাঁর একদিকের মনোযোগ অন্য দিকের মনোযোগ থেকে বিরত রাখতে পারে না। তাঁর জন্যে কোন একটা ব্যাপার ভুলবশতঃ বাকী থাকতে পারে না। পাহাড়ে, সাগরে, লোকালয়ে এবং জঙ্গলে কোথাও কোন বড় তদবীর কোন ছোট তদবীরকে ভুলিয়ে রাখতে পারে না । ভূ-পৃষ্ঠে এমন কোন প্রাণী নেই যার আহারের দায়িত্ব আল্লাহ তা'আলার উপর অর্পিত নয়। কোন কিছু নড়লে বা কোন একটা পাতা ঝরলে তারও খবর তিনি রাখেন। যমীনের অন্ধকারে কোন অণু পরিমাণ জিনিসও এমন নেই বা সিক্ত এবং শুষ্ক এমন কিছু নেই যে তাঁর লাওহে মাহফুষে বা ইলমের কিতাবে বিদ্যমান নেই। যখন ( আরবী ) -এই আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন এমন এক বিরাট যাত্রীদল মুসলিমদের দৃষ্টিগোচর হয় যাদেরকে বেদুঈন মনে করা হয়েছিল। জনগণ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেঃ “ তোমরা কে?” তারা উত্তরে বলেঃ “আমরা জ্বিন জাতি । এই আয়াতের কারণে আমরা শহর হতে বেরিয়ে পড়েছি।" আল্লাহ পাকের ( আরবী ) এই উক্তিটি তাঁর ( আরবী ) ( ২:২৫৫ )( আরবী ) ( ৫৩:২৬ ) এবং ( আরবী ) ( ৩৪:২৩ ) এই উক্তিগুলোর মতই।( আরবী ) অর্থাৎ ঐ লোকগুলো ইবাদতের জন্যে আল্লাহ তা'আলাকেই বিশিষ্ট করে নিয়েছে। আর হে মুশরিকরা! তোমরা ইবাদতে আল্লাহর সাথে তোমাদের অন্যান্য দেবতাদেরকেও শরীক করে নিচ্ছ! অথচ তোমরা ভালরূপেই জান যে, সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া আর কারো উপাসনা করা যেতে পারে না। যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- তাদেরকে কে সৃষ্টি করেছে । তবে ( উত্তরে ) অবশ্যই তারা বলবে- আল্লাহ ( তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন )।" ( ৪৩৪ ৮৭ ) আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবী ) অর্থাৎ “ তুমি বল ( অর্থাৎ তুমি জিজ্ঞেস কর ) সাতটি আকাশ ও বিরাট আরশের প্রতিপালক কে? ( তবে উত্তরে ) অবশ্যই তারা বলবে- আল্লাহ( এগুলোর প্রতিপালক ), তুমি বলে দাও- তবুও কি তোমরা ভয় করছো না?” ( ২৩:৮৬-৮৭ ) এরূপ আরও আয়াত এর পূর্বেও আছে এবং পরেও আছে ।

সূরা ইউনুস আয়াত 3 সূরা

إن ربكم الله الذي خلق السموات والأرض في ستة أيام ثم استوى على العرش يدبر الأمر ما من شفيع إلا من بعد إذنه ذلكم الله ربكم فاعبدوه أفلا تذكرون

سورة: يونس - آية: ( 3 )  - جزء: ( 11 )  -  صفحة: ( 208 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. আবার তিনি এক পথ ধরলেন।
  2. তারা তো আপনাকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছিল যে বিষয় আমি আপনার প্রতি ওহীর মাধ্যমে যা প্রেরণ
  3. তোমরা আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঐ অঙ্গীকারকেও যা
  4. তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে
  5. তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর
  6. সুতরাং যদি কখনো তুমি তাদেরকে যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের
  7. তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
  8. যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক
  9. তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী।
  10. তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইউনুস ডাউনলোড করুন:

সূরা Yunus mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Yunus শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইউনুস  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইউনুস  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইউনুস  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইউনুস  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইউনুস  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইউনুস  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইউনুস  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইউনুস  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইউনুস  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইউনুস  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইউনুস  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইউনুস  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইউনুস  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইউনুস  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইউনুস  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Tuesday, May 14, 2024

لا تنسنا من دعوة صالحة بظهر الغيب