কোরান সূরা ইন্ফিতার আয়াত 19 তাফসীর

  1. Mokhtasar
  2. Ahsanul Bayan
  3. AbuBakr Zakaria
  4. Ibn Kathir
Surah Infitar ayat 19 Bangla tafsir - তাফসীর ইবনে কাসীর - Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান - Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স - বাংলা ভাষায় নোবেল কোরআনের অর্থের অনুবাদ উর্দু ভাষা ও ইংরেজি ভাষা & তাফসীর ইবনে কাসীর : সূরা ইন্ফিতার আয়াত 19 আরবি পাঠে(Infitar).
  
   

﴿يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا ۖ وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِّلَّهِ﴾
[ الانفطار: 19]

যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃꦣ2468;্ব হবে আল্লাহর। [সূরা ইন্ফিতার: 19]

Surah Al-Infitar in Bangla

জহুরুল হক সূরা বাংলা Surah Infitar ayat 19


এ সেইদিন যেদিন কোনো সত্ত্বা কোনো আ‌ত্মার জন্যে কোনো-কিছু করার সামর্থ্য রাখবে না। আর কর্তৃত্ব সেইদিন হবে আল্লাহ্‌রই।


Tafsir Mokhtasar Bangla


১৯. সে দিন কেউ কারো উপকার করতে সক্ষম হবে না। বরং সে দিনের সকল কর্তৃত্ব হবে কেবল আল্লাহর। তিনি সে দিন তাঁর ইচ্ছা মাফিক তসরুপ করবেন।

Tafsir Ahsanul Bayan তাফসীরে আহসানুল বায়ান


সেদিন কেউই কারোর জন্য কিছু করবার সামর্থ্য রাখবে না; আর সেদিন সমস্ত কর্তৃত্ব হবে ( একমাত্র ) আল্লাহর। [১] [১] অর্থাৎ, দুনিয়াতে তো আল্লাহ তাআলা অস্থায়ীভাবে পরীক্ষা করার জন্য মানুষকে কম-বেশী কিছু পার্থক্যের সাথে অধিকার বা এখতিয়ার দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু কিয়ামতের দিন সমস্ত এখতিয়ার পূর্ণরূপে কেবল মাত্র আল্লাহরই হাতে থাকবে। যেমন তিনি বলেন " আজ রাজত্ব কার? একক প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর। " ( সূরা মু'মিন ৪০:১৬ আয়াত ) বলা বাহুল্য, মহানবী ( সাঃ ) নিজ ফুফুজান সাফিয়া ( রাঃ ) ও স্বীয় কন্যা ফাতেমাকে বলেছিলেন, " আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে কোন প্রকার উপকার করতে পারব না। " ( সহীহ মুসলিম ঈমান অধ্যায় ) আর বনী হাশেম ও বনী আব্দুল মুত্তালিবকেও সতর্ক করে বলেছিলেন, " তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে কোন প্রকার উপকার করতে পারব না। " ( মুসলিম ঐ, বুখারী সূরা শুআরার ব্যাখ্যা পরিচ্ছেদ )

Tafsir Abu Bakr Zakaria bangla কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স


সেদিন কেউ কারও জন্য কিছু করার মালিক হবে না; আর সেদিন সব বিষয়ের কর্তৃত্ব হবে আল্লাহ্র []। [] অর্থাৎ হাশরের ময়দানে কোন ব্যক্তি নিজ ইচ্ছায় অন্যের কোন উপকার করতে পারবে না এবং কারও কষ্ট লাঘবও করতে পারবে না; অপর ব্যক্তি তার যত প্রিয় ও কাছের মানুষ-ই হোক না কেন। অনুরূপভাবে সুপারিশও কারও নিজ ইচ্ছার উপর হবে না, যে পর্যন্ত আল্লাহ্ কাউকে কারও জন্যে সুপারিশ করার অনুমতি না দেন। একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই সকল আদেশের মালিক। তিনি স্বীয় কৃপায় কাউকে সুপারিশের অনুমতি দিলে এবং তা কবুল করলে তাও তাঁরই আদেশ হবে। [ ইবন কাসীর, সা‘দী ]

Tafsir ibn kathir bangla তাফসীর ইবনে কাসীর


১৩-১৯ নং আয়াতের তাফসীর এখানে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ঐ বান্দাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন যারা তাঁর অনুগত, বাধ্যগত এবং যারা পাপকর্ম হতে দূরে থাকে। ( এ হাদীসটি ইবনে আসাকির (রঃ ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী ( সঃ ) বলেছেনঃ “ তাদেরকে আবরার’ বলা হয়েছে এই কারণে যে, তারা পিতামাতার অনুগত ছিল এবং সন্তানদের সাথে ভাল ব্যবহার করতো ।”পাপাচারীরা থাকবে জাহান্নামে। হিসাব-নিকাশ এবং প্রতিদান লাভ করার দিনে তথা কিয়ামতের দিনে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এক ঘন্টা বা মুহুর্তের জন্যেও তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে নিষ্কৃতি দেয়া হবে না। তারা মৃত্যু বরণও করবে না এবং শান্তিও পাবে না। ক্ষণিকের জন্যেও তারা শাস্তি হতে দূরে থাকবে না।এরপর কিয়ামতের বিভীষিকা প্রকাশের জন্যে দুই দুইবার আল্লাহ পাক বলেনঃ ঐদিন কেমন তা তোমাদেরকে কোন জিনিস জানিয়েছে? তারপর তিনি নিজেই বলেনঃ কেউ কারো কোন উপকার করতে পারবে না এবং শাস্তি হতে নিষ্কৃতি দেয়ার ক্ষমতা রাখবে না। তবে হ্যা, কারো জন্যে সুপারিশের অনুমতি যদি স্বয়ং আল্লাহ কাউকেও প্রদান করেন তবে সেটা আলাদা কথা। এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা সমীচীন মনে করছি। তাহলো এই যে, নবী ( সঃ ) বলেনঃ “ হে বানু হাশিম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা কর । ( জেনে রেখো যে, ) আমি ( কিয়ামতের দিন ) তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব হতে রক্ষা করার কোনই অধিকার রাখবো না।সূরা শুআ'রার তাফসীরের শেষাংশে এ হাদীসটি গত হয়েছে। এখানে এ কথাও বলেছেন যে, সেই দিন কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ ( আরবি )অর্থাৎ “ আজ কতৃত্ব কার? এক, পরাক্রমশালী আল্লাহরই ।( ৪০:১৬ ) আর বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ যিনি কর্মফল দিবসের মালিক ।” আর এক জায়গায় বলেনঃ ( আরবি ) অর্থাৎ “ সেই দিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের ( অর্থাৎ আল্লাহর )( ২৫:২৬ )এসব আয়াতের আসল বক্তব্য হলো এই যে, সেই দিন মালিকানা ও সময় কর্তৃত্ব একমাত্র কাহহার ও রহমানুর রাহীম আল্লাহর হাতে ন্যস্ত থাকবে । অবশ্য এখনো তিনিই সর্বময় ক্ষমতা ও একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অধিকারী বটে, কিন্তু সেই দিন বাহ্যিকভাবেও অন্য কেউই কোন হুকুমত ও কর্তৃত্বের অধিকারী থাকবে না। বরং সমস্ত কর্তৃত্ব হবে একমাত্র আল্লাহর।

সূরা ইন্ফিতার আয়াত 19 সূরা

يوم لا تملك نفس لنفس شيئا والأمر يومئذ لله

سورة: الانفطار - آية: ( 19 )  - جزء: ( 30 )  -  صفحة: ( 587 )


English Türkçe Indonesia
Русский Français فارسی
تفسير Urdu اعراب

বাংলায় পবিত্র কুরআনের আয়াত

  1. এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
  2. অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
  3. এ সম্পর্কে তোমরা সন্দেহে পতিত ছিলে।
  4. এতে প্রবেশ কর অতঃপর তোমরা সবর কর অথবা না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা
  5. ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন।
  6. তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ?
  7. বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা
  8. অতঃপর আমার আযাব যখন উপস্থিত হল, তখন আমি সালেহকে ও তদীয় সঙ্গী ঈমানদারগণকে নিজ রহমতে
  9. অতঃপর আমি যখন তা পাঠ করি, তখন আপনি সেই পাঠের অনুসরণ করুন।
  10. অতঃপর আমি তোমাদেরকে যমীনে তাদের পর প্রতিনিধি বানিয়েছি যাতে দেখতে পারি তোমরা কি কর।

বাংলায় কোরআনের সূরা পড়ুন :

সুরত আল বাক্বারাহ্ আলে ইমরান সুরত আন-নিসা
সুরত আল-মায়েদাহ্ সুরত ইউসুফ সুরত ইব্রাহীম
সুরত আল-হিজর সুরত আল-কাহফ সুরত মারইয়াম
সুরত আল-হাজ্জ সুরত আল-ক্বাসাস আল-‘আনকাবূত
সুরত আস-সাজদা সুরত ইয়াসীন সুরত আদ-দুখান
সুরত আল-ফাতহ সুরত আল-হুজুরাত সুরত ক্বাফ
সুরত আন-নাজম সুরত আর-রাহমান সুরত আল-ওয়াক্বি‘আহ
সুরত আল-হাশর সুরত আল-মুলক সুরত আল-হাক্কাহ্
সুরত আল-ইনশিক্বাক সুরত আল-আ‘লা সুরত আল-গাশিয়াহ্

সবচেয়ে বিখ্যাত কোরআন তেলাওয়াতকারীদের কণ্ঠে সূরা ইন্ফিতার ডাউনলোড করুন:

সূরা Infitar mp3 : উচ্চ মানের সাথে সম্পূর্ণ অধ্যায়টি Infitar শুনতে এবং ডাউনলোড করতে আবৃত্তিকারকে বেছে নিন
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আহমেদ আল-আজমি
আহমেদ আল-আজমি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস ইব্রাহীম আল-আখদার
ইব্রাহীম আল-আখদার
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস বান্দার বেলাইলা
বান্দার বেলাইলা
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস খালিদ গালিলি
খালিদ গালিলি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
হাতেম ফরিদ আল ওয়ার
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস খলিফা আল টুনাইজি
খলিফা আল টুনাইজি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস সাদ আল-গামদি
সাদ আল-গামদি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস সৌদ আল-শুরাইম
সৌদ আল-শুরাইম
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস সালাহ আবু খাতর
সালাহ বুখাতীর
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আবদুল বাসিত আব্দুল সামাদ
আবদ এল বাসেট
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আবদুল রশিদ সুফি
আবদুল রশিদ সুফি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
আব্দুল্লাহ্ বাস্‌ফার
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আবদুল্লাহ আওওয়াদ আল-জুহানী
আবদুল্লাহ আল-জুহানী
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আলী আল-হুদায়েফি
আলী আল-হুদায়েফি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আলী জাবের
আলী জাবের
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস ফারেস আব্বাদ
ফারেস আব্বাদ
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস মাহের আলমাইকুলই
মাহের আলমাইকুলই
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস মোহাম্মদ আইয়ুব
মোহাম্মদ আইয়ুব
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
মুহাম্মদ আল-মুহাইসনি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস মুহাম্মাদ জিব্রীল
মুহাম্মাদ জিব্রীল
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস মুহাম্মদ সিদ্দিক আল মিনশাবি
আল-মিনশাবি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আল হোসারি
আল হোসারি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস আল-আফসী
মিশারী আল-আফসী
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস নাসের আল কাতামি
নাসের আল কাতামি
সুরত ইন্ফিতার  ভয়েস ইয়াসের আল-দোসারি
ইয়াসের আল-দোসারি


Thursday, August 15, 2024

Please remember us in your sincere prayers